a
ফাইল ছবি
সারা দেশে রপ্তানিমুখী সব শিল্প ও কলকারখানা খুলেছে আজ রোববার। চলমান কঠোর লকডাউনের (বিধিনিষেধ) মধ্যে কলকারখানা খোলার ঘোষণার পর শুরু হয় গ্রাম থেকে ঢাকামুখী মানুষের ঢল নেমেছে। এছাড়া গণপরিবহন চলাচলের ঘোষণায় সড়কে গাড়ির চাপ বেড়েছে বলে জানা গেছে।
সকালে সরেজমিনে সাভারের আশুলিয়া, বাইপাল, জামগড়া, শ্রীপুর, নরসিংহপুর, জিরাবো, আশুলিয়া বাজার এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। সাভারের সড়কে আন্তঃজেলা ও লোকাল বাস, ট্রাক, সিএনজি ও ব্যক্তিগত গাড়ির আধিক্য দেখা গেছে।
ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের গাড়ির তেমন চাপ না থাকলেও আশুলিয়া বাইপাল-আবদুল্লাহপুর সড়কে চাপ দেখা গেছে। বিভিন্ন স্থানে দেখা গেছে গাড়ির তেমন চাপ নেই। তবে কঠোর লকডাউনে গেল ৯ দিনের চেয়ে গাড়ি অনেক বেড়েছে।
গত ২৩ জুলাই থেকে কঠোর লকডাউন সারা দেশে চলছে । এমনকি গার্মেন্টসসহ সব শিল্প-কারখানাও বন্ধ ছিল। যা শেষ হবে আগামী ৫ আগস্ট। এর মধ্যে ১ আগস্ট থেকে গার্মেন্টস খোলার অনুমতি দিয়েছে সরকার। এরফলে সড়কে সব ধরণের যানবাহন ও মানুষের যাতায়াত বেড়েছে।
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার সিংগারবিল গ্রামের বাউয়ালাবন্দে নয়নাভিরাম সূর্যমুখী ফুল চাষ কৃষিতে যোগ হয়েছে নতুন মাত্রা। নতুন মাত্রা কৃষকদের সূর্যমুখী ফুল চাষে আগ্রহী করছে ও ভবিষ্যতে অপার সম্ভাবনার হাতছানি দিচ্ছে। কৃষিতে সূর্যমুখী ফুল চাষ হবে লাভজনক। এই সূর্যমুখী ফুল দেখতে প্রতিদিন শত শত মানুষ ভীড় জমাচ্ছে সিংগারবিল বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বাবুল এলাহীর বাউয়ালাবন্দের প্রায় সাত বিঘা জমিতে।
এ অঞ্চলের মাটির গুনাগুন আবহাওয়া ও জলবায়ু সূর্যমুখী ফুল চাষাবাদের জন্য উপযোগী বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষিবিদ। সূর্যমুখীর তেল অন্যান্য সাধারন তেলের চেয়ে আলাদা। কোলোষ্ঠোরেলমুক্ত প্রচুর পরিমাণ প্রাণ শক্তি থাকায় সূর্যমুখী তেল মানুষের শরীরের দূর্বলতা ও কার্যক্ষমতা বাড়ায়। রান্নার জন্য সয়াবিন তেলের চেয়ে সূর্যমুখী তেল দশ গুণ বেশি পুষ্টি সমৃদ্ব হওয়ায় শরীরের হাড় সুস্থ ও মজবুত করে। সূর্যমুখী তেলে থাকা ম্যাগনেসিয়াম আমাদের মানুষিক চাপ দূর করে। এই তেল মানব দেহের মহৌষধ হিসেবে কাজ করে বলে সূত্রে জানা যায়।
সূর্যমুখী ফুলবীজ বপনের ৯০ থেকে ১০৫ দিনের মধ্যে এই ফসল তোলা যায়। হাইসান ৩৩ জাতের সূর্যমুখী ফুলের চাষ করা হয়েছে বাবুল এলাহীর ৭ বিঘা জমিতে। তিনি জানান ফুল ফোটার পর অনেক দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আসছে এই হলুদের সমারোহ নয়নাভিরাম সৌর্ন্দয্য দেখার জন্য। বিজয়নগর কৃষি কর্মকর্তাদের নির্দেশনায় ও তাদের সহযোগিতায় এই প্রথম আমি সূর্যমুখী ফুল চাস করলাম। এতে আমার তেমন কোন খরচ নেই বললেই চলে। কৃষি অফিস বীজ সার ও অন্যান্য খরচ বহন করেছে। আমি আশা করছি অন্যান্য ফসলের চেয়ে সূর্যমুখী ফুল চাষ লাভজনক হবে।কিন্তু বর্তমানে টিয়াপাখি ফুলের বীজ নষ্ট করছে।
এ ব্যাপারে সিংগারবিল ইউনিয়ন কৃষি কর্মকর্তা হাদিউল ইসলাম সৃজনের সাথে কথা বলে জানা যায় বাবুল এলাহীকে কৃষি অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সকল প্রকার সহযোগীতা করা হয়। আগামীতে আমরা আরও বেশি কৃষক সমন্নয় করে সূর্যমুখী ফুলের চাষ বাড়াতে চাই। কিন্তু এই সূর্যমুখী ফুল বীজ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তেল ভাঙানোর তেমন মিলার নাই। সরিষার তেল ভাঙানোর মেশিন দিয়েই আপাতত তেল ভাঙানো হচ্ছে।
ফাইল ছবি: ধর্ম উপদেষ্টা মাওলানা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন
বাংলাদেশীরা জাহাজে করে কম খরচে হজে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাওলানা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। গতকাল রাতে মাদারীপুরের শিবচরের জামিয়াতুস সুন্নাহ মাদরাসায় সীরাতুন্নবী মাহফিলে প্রধান অতিথির আলোচনায় তিনি এ কথা জানান।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, স্বাধীনতাপূর্ব এবং স্বাধীনতা উত্তর হাজিরা জাহাজে করে হজ করতে যেতেন। আমরা পরীক্ষামূলকভাবে জাহাজে করে হাজিদের হজে পাঠানোর বিষয়টি আলোচনা করেছি। সৌদি সরকারও এ বিষয়ে সম্মতি দিয়েছে। ইতিমধ্যে আমরা জাহাজ কোম্পানির মালিকদের সঙ্গেও আলোচনা করেছি।
এ বছরই আমরা জাহাজে পাঠানোর চেষ্টা করছি। আমরা একটা ডোর ওপেন করে দিয়ে যেতে চাই। এ দেশের সাধারণ মানুষ যাতে কম খরচে হজ করতে পারেন। এ সময় তিনি আরও বলেন, হাজিদের সার্বিক সহযোগিতার বিষয়ে সৌদি সরকার আন্তরিক রয়েছে। আমরা আপাতত দুটি প্যাকেজ চালু করবো। স্বল্প খরচে কাবা শরিফ এবং মদিনা শরিফ থেকে এক কিলোমিটারের মধ্যে এবং আরেকটু দূরে! হাজিরা হেঁটেও যেন কাবা শরীফে আসতে পারেন।
তাছাড়া বাংলাদেশ বিমানে খরচ বেশি। আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনা করছি, যাতে খরচটাও কমিয়ে আনা যায়। আমরা আশাবাদী, হজ প্যাকেজগুলো সাশ্রয়ী মূল্যে করতে পারবো।
কওমী শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে তিনি বলেন, কওমী মাদরাসার সনদকে কিভাবে কার্যকর করা যায়, কোন কোন ক্ষেত্রে কওমী মাদরাসা থেকে প্রাপ্ত সনদ কাজে লাগানো যায় সে বিষয়েও বর্তমান সরকার কাজ করবে। সূত্র:মানবজমিন