a
ফাইল ছবি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে কলা অনুষদভুক্ত ‘খ’ ইউনিটের অধীনে প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষা। সকাল ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত (দেড় ঘণ্টা) ঢাকা ও ঢাকার বাইরের সাতটি বিভাগীয় শহরে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এবার এই ইউনিটে মোট আবেদন করেছেন মোট ৫৮ হাজার ৫৬৫ জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী। ইউনিটটিতে এ বছর আসন রয়েছে ১ হাজার ৭৮৮টি। সেই হিসেবে এবার প্রতি আসনের বিপরীতে পরীক্ষায় অংশ নেবেন প্রায় ৩৩ জন শিক্ষার্থী।
এর আগে, শুক্রবার (৩ জুন) সকালে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদভুক্ত ‘গ’ ইউনিটের মাধ্যমে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শুরু করে ঢাবি কর্তৃপক্ষ।
সারাদেশের মোট ৩০ হাজার ৬৯৩ জন শিক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশ নেন। এবার ‘গ’ ইউনিটে আসন সংখ্যা ছিল ৯৩০টি। সে অনুযায়ী এখানেও প্রতিটি আসনের বিপরীতে ৩৩ জন শিক্ষার্থী ভর্তিযুদ্ধে অংশ নেন।
উল্লেখ্য, ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা ৫টি ইউনিটে (ক, খ, গ, ঘ ও চ) দেশের বিভাগীয় শহরগুলোতে অনুষ্ঠিত হবে। আজকের পর আগামী ১০ জুন বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ক’ ইউনিট, ১১ জুন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ঘ’ ইউনিট আর ১৭ জুন চারুকলা অনুষদভুক্ত ‘চ’ ইউনিটের সাধারণ জ্ঞান পরীক্ষা হবে। সূত্র: ইত্তেফাক
ছবি:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
দেশের ২২টি সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় ঐতিহ্যবাহী চাঁদপুর জেলা থেকে আগত শিক্ষার্থীদের জন্য ‘হেল্প ডেস্ক’ স্থাপন করে পর্যাপ্ত সহায়তা করেছে জবিস্থ চাঁদপুর জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদ।
শনিবার (৩০ জুলাই) গুচ্ছের ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার্থীদের সহায়তা ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করে উক্ত ছাত্রকল্যাণ পরিষদ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের সভাপতি জয়নাল আবেদীন, সাধারণ সম্পাদক বায়েজিদ বোস্তামী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, ফজলে রাব্বি ও রাফি, সাংগঠনিক সম্পাদক রবিনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, চাঁদপুর জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থীদের জন্য তথ্য সহায়তা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়। সহায়তা কেন্দ্র থেকে শিক্ষার্থীদের আসন পরিকল্পনা বিষয়ক তথ্য প্রদান করা হয়। হেল্প ডেস্কে শিক্ষার্থীদের ব্যাগ, মোবাইল গচ্ছিত রাখা হয়। এছাড়াও আগত পরীক্ষার্থীদের মাঝে মাস্ক, কলম, পানি বিতরণ করা হয়, অভিভাবকদের বসার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।
সার্বিক কার্যক্রমের বিষয়ে জবিস্থ চাদপুর জেলা ছাত্রকল্যাণের সভাপতি জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘আমরা আমাদের জেলা থেকে আগত শিক্ষার্থীদের সাধ্যমত সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছি। তাদের সাথে নিয়ে আসা জিনিসপত্র (ব্যাগ, ঘড়ি, মোবাইল) সংগ্রহ করে আমাদের হেফাজতে রেখে তাদেরকে পরীক্ষা শেষে আবার ফিরিয়ে দিয়েছে।’
সাধারণ সম্পাদক বায়েজিদ বোস্তামী বলেন, নিজ জেলা থেকে আসা পরীক্ষার্থীদের মাঝে মাস্ক, কলম পানিসহ অন্যান্য সহায়ক দ্রব্যাদি বিতরণের মাধ্যমে তাদের পাশে থাকার চেষ্টায় ছিলাম আমরা। আমাদের এ আয়োজনে যারা পাশে ছিলো তাদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। ভবিষ্যতেও আমরা এমন আয়োজন অব্যাহত রাখার চেষ্টা করবো।
নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলে আরো জানা যায় যে, সামনে আরো দুই ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় তাদের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য যে, গুচ্ছভুক্ত ২২টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা আজ থেকে শুরু হয়েছে। ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে দ্বিতীয়বারের মত গুচ্ছভুক্ত ভর্তি পরীক্ষা।
ফাইল ছবি
বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন শেখ হাসিনা সরকার দুর্বল হলে তা ভারত ও আমেরিকা কারও পক্ষেই সুখকর হবে না বলে মনে করে নয়াদিল্লি। বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন নিয়ে আমেরিকার বর্তমান ভূমিকায় ভারত যে খুশি নয়, ওয়াশিংটনকে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে সেই বার্তাও। একাধিক স্তরের বৈঠকে বাইডেন প্রশাসনকে এ কথা জানিয়েছে নয়াদিল্লি। সূত্রের বরাতে এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার।
নয়াদিল্লির নানা কূটনৈতিক সূত্রের বরাতে আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকায় সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন হোক এটা ওয়াশিংটনের মতো ভারতও চায়। কিন্তু যেভাবে হাসিনা সরকারকে অস্থির করার জন্য আমেরিকার তরফ থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে, তা প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে ভারত তথা দক্ষিণ এশিয়ার সার্বিক নিরাপত্তার জন্য ইতিবাচক নয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আর তিন সপ্তাহ পরেই নয়াদিল্লিতে এক মঞ্চে বসবেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার আগে ভারতের এই বার্তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
কূটনৈতিক মহলের বরাতে আনন্দবাজার আরও বলছে, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মনে করছে কাবুলের পাশাপাশি ভারতের অন্য প্রতিবেশী সম্পর্কে আমেরিকার নীতিও নয়াদিল্লির জাতীয় স্বার্থের প্রশ্নে অস্বস্তি বাড়াচ্ছে। ভারতের সঙ্গে দীর্ঘতম স্থলসীমান্ত রয়েছে বাংলাদেশের। ফলে বাংলাদেশের যে কোনও প্রতিকূল পরিস্থিতি ভারতেও প্রভাব ফেলে।
সূত্রের বরাতে আনন্দবাজার বলছে, নয়াদিল্লি এ কথাই বাইডেন প্রশাসনকে জানিয়েছে যে জামায়াতকে আস্কারা দিলে একদিকে যেমন ভারতের আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাস বাড়তে পারে, তেমনই চিনের প্রভাব বাংলাদেশে অনেকটাই বেড়ে যাবে, যা কাঙ্ক্ষিত নয় ওয়াশিংটনেরও।
মনে হচ্ছে, আমেরিকা জামাতকে বরাবর রাজনৈতিক ইসলামিক সংগঠন হিসাবেই দেখানোর চেষ্টা করে। মুসলিম ব্রাদারহুডের সঙ্গে তাকে তুলনা করে আমেরিকা।
বাংলাদেশের জন্য পৃথক একটি ভিসানীতি ঘোষণা করেছে বাইডেন প্রশাসন। সূত্রের বরাতে আনন্দবাজার উল্লেখ করেছে, বিষয়টি উচিত বলে মনে করছে না নয়াদিল্লি। এই ভিসানীতির ফলে বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন যারা বানচাল করার চেষ্টা করবে, তারা আমেরিকায় প্রবেশের অধিকার পাবে না। ভারতের কূটনৈতিক শিবির মনে করছে, আমেরিকার প্রশাসন সরাসরি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে নাক গলাতেই নিজের দেশের আইন প্রয়োগ করে বাংলাদেশের জন্য পৃথক ভিসানীতি গ্রহণ করলো।
অনন্দবাজারের প্রতিবেদন আরও বলছে, সম্প্রতি বাংলাদেশের আওয়ামী লীগের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল নয়াদিল্লি গিয়ে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব তথা দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করে গিয়েছেন। সেখানে তারাও বার্তা দিয়েছেন, আঞ্চলিক স্থিতি বজায় রাখার প্রশ্নে বিএনপি ও জামায়াত বিপজ্জনক। সূত্র: ইত্তেফাক