a
ফাইল ছবি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদকের কটূক্তি ও অবান্তর মন্তব্যের প্রতিবাদে ও তাদের দৃষ্টানত মূলক শাস্তির দাবিতে ২৩ মে (সোমবার) বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ।
সোমবার (২৩ মে) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচ থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজি ও সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইন এর নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন নেতাকর্মীরা। মিছিলটি শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে রায়সাহেব বাজার মোড় ঘুরে ভিক্টোরিয়া পার্ক প্রদক্ষিণ করে বিজ্ঞান অনুষদ, ভিসি চত্বর, সমাজবিজ্ঞান অনুষদ হয়ে ভাষা শহীদ রফিক ভবনে এসে শেষ হয়। এ সময় জমায়েত হয়ে ছাত্রদলকে প্রতিহত করতে স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত করে তোলে পুরো ক্যাম্পাস।
উক্ত সমাবেশ সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইন। এসময় তিনি বলেন, ছাত্রলীগের একমাত্র অভিভাবক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কে নিয়ে কটূক্তি করায় ছাত্রদলকে মাফ না চাওয়া পর্যন্ত জগন্নাথে অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হল।
শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ ইব্রাহিম ফরাজী সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, আজ থেকে ছাত্রদল অবাঞ্চিত। আপনারা ছাত্রদলের অছাত্রদের দেখা মাত্রই প্রতিহত করবেন।
ফাইল ছবি
১৭ই অক্টোবর (রবিবার) গুচ্ছভুক্ত ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষাবর্ষ ২০২০-২১এর ভর্তি পরীক্ষা একযোগে সারাদেশে ২৬ টি বিশ্ববিদ্যালয়ে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
১৭ অক্টোবর (রবিবার) সকাল থেকে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে নির্ধারিত সময়ের আগে আসতে শুরু করে পরীক্ষা কেন্দ্রে। ঢাকা সহ আশেপাশের জেলার শিক্ষার্থীদের পছন্দের কেন্দ্র ছিলো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)।
আজ সরজমিনে দেখা যায় সকাল থেকে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গেইট সহ আশেপাশের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নেয়। সকাল সাড়ে ১০ টা নাগাদ ক্যাম্পাসের গেইট গুলো খুলে দিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠনের সার্বিক সহযোগিতায় শিক্ষার্থীরা একে একে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করেন। বিভিন্ন জেলার ছাত্র কল্যাণ পরিষদ গুলো তাদের নিজ নিজ জেলার নামে ব্যানার নিয়ে দুরথেকে আগত পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে টেবিল নিয়ে বাহাদুর শাহ পার্ক ও জবি গেটের আশেপাশে অবস্থান করে।
ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে সকল অপ্রীতিকর পরিস্থিতির জন্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়ালবডির সদস্যগণ সকাল থেকে ক্যাম্পাসে উপস্থিত ছিলেন। সেই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির জন্য পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করেন।
পরীক্ষা শুরু হওয়ার নির্ধারিত সময়ে শিক্ষার্থীদের হাতে প্রশ্ন তুলে দেয় শিক্ষকেরা। শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন পেয়ে সাথে সাথে নির্বিঘ্নে পরীক্ষা দিতে শুরু করে প্রত্যেকটা কেন্দ্রে। ক্যাম্পাসে প্রশ্ন ফাঁস রোধে ভ্রাম্যমান ম্যাজিস্ট্রেট টহলরত অবস্থায় ছিলো সার্বক্ষণিক। এই সময় পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ ইমদাদুল হক। সাথে ছিলেন কোষাধক্ষ ড. কামাল উদ্দিন আহমদ, রেজিস্টার ওয়াহিদুজ্জামান ও বিভিন্ন বিভাগের ডিন, প্রক্টোরিয়ালবডির সদস্যগণ।
পরিদর্শন শেষে জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ ইমদাদুল হক সাংবাদিকদের বলেন, " পরীক্ষার্থীদের যাতে কোন ডিস্টার্ব না হয় সেজন্য আমরা সবগুলো হলের ভিতরে প্রবেশ করিনি। তাদের জন্য পরীক্ষাগুলো গুরুত্বপূর্ণ। এক নম্বরের জন্য সিরিয়াল অনেক পেছনে চলে যেতে পারে।"
পরীক্ষা শেষে ভর্তিচ্ছু একাধিক শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা একসাথে ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিতে পেরে খুশি। এই নতুন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এভাবে পরীক্ষা নিলে আমাদের জন্য সুবিধা হতো।
বেশিরভাগ পরীক্ষার্থীরা ও অভিভাবকগণ বলেন, প্রশ্ন কিছুটা কঠিন হলেও সার্বিকভাবে আমরা সন্তুষ্ট সুন্দর ভাবে পরীক্ষা দিতে পেরে। আমাদের আর্থিক ও মানসিকভাবে অনেক উপকার হয়েছে।
এই বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ ইমদাদুল হক সাংবাদিকদের বলেন, আমরা শুরু থেকেই সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার সাথে ছিলাম। শিক্ষার্থীরা সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা দিচ্ছে এটাই আমাদের পরিশ্রমের সফলতা। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর অবস্থা তৈরি হয়নি ক্যাম্পাসে।
ফাইল ছবি: রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প
নিউজ ডেস্কঃ মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সম্ভাব্য ভূমিধস জয়ের পর ফ্লোরিডার ওয়েস্ট পাম বিচে বক্তব্য দিচ্ছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি নিজেকে বিজয় ঘোষণা করে সবাইকে ধন্যবাদ দিয়ে ভাষণ শুরু করেন। ট্রাম্প ভাষণে বলেন, এটা আমাদের একটা চমৎকার মুহূর্ত। আমাদের দেশকে ঠিক করতে হবে। আমরা আজ রাতে ইতিহাস সৃষ্টি করেছি। সবাই ভেবেছিলেন আমরা করতে পারব না। এটা আমাদের রাজনৈতিক জয়।
এ ছাড়া ট্রাম্প বলেন, প্রতিটা শহরে আমি আপনাদের জন্য লড়াই করব। এটি হবে আমেরিকার স্বর্ণসুযোগ তৈরির সুযোগ। এ সময় তিনি মেইক আমেরিকা গ্রেট এগেইন বললে সমর্থকরাও একই স্লোগান দিতে থাকেন।
সুইং স্টেটগুলোর কথা উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেছেন, নর্থ ক্যারোলিনা আমি ভালোবাসি, মিশিগান আমি আপনাদের ভালোবাসি। বিজয় ছাড়া আমাদের অন্য কোনো পথ ছিল না।
আমাদের অনুভূতি চমৎকার বলে উল্লেখ করে ট্রাম্প ভাষণে তার স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্পেরও ভূয়সী প্রশংসা করেন। তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মেলানিয়াকে এসময় ধন্যবাদ জানান। ট্রাম্প তার ভাষণে সন্তানদের কথাও উল্লেখ করতে ভুলেননি। সূত্র: ইত্তেফাক