a জবির কেন্দ্রীয় মাঠ দখল হওয়ায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ প্রকাশ
ঢাকা শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩২, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

জবির কেন্দ্রীয় মাঠ দখল হওয়ায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ প্রকাশ


অমৃত রায়,জবি প্রতিনিধি:
বৃহস্পতিবার, ১৭ জুন, ২০২১, ০৩:১৫
জবির কেন্দ্রীয় মাঠ দখল হওয়ায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ প্রকাশ

ফাইল ছবি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ (​ধুপখোলা মাঠ) দখল করে সেখানে মার্কেট ও পার্ক নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন। পূর্বের পরিকল্পনা হিসেবে গত ১০ জুন দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৪৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শামসুজ্জোহা ও সিটি কর্পোরেশনের সাব এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার হরিদাস মল্লিক মাঠের ভেতর ম্যাপ অনুযায়ী মাঠের চার কর্নারে খুঁটি বসান। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে মাঠের মধ্যে মার্কেট নির্মাণের পরিকল্পনার বিষয়টি নজরে আসার পর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষার্থীরা।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠ দখলের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল স্যারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মুঠোফোনে বলেন, "গতকাল ১৬ জুন আমরা মাঠ পরিদর্শনে গিয়েছিলাম, মাঠে যেয়ে সেখানে দায়িত্বরত যারা ছিলেন তাদের সাথে কথা হয়েছে কাজ আপাতত বন্ধ থাকবে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠ দখলের বিষয়ে  ভিসি স্যার মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ও মেয়র মহোদয়ের সাথে কথা বলবেন। এ ব্যাপারে দ্রুত সমাধান আসবে বলে আশাবাদী আমরা।"

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান ডিপার্টমেন্টের ১৩তম ব্যাচের ক্রীড়াপ্রেমী শিক্ষার্থী আনতাজ হেনা আখি বলেন, আমরা কখনোই চাইবো না মাঠটা দখল হোক। একজন খেলোয়াড়  হিসেবে অবশ্যই চাইবো মাঠ টা আমাদের থাকুক। কেননা এই মাঠটুকুই আমাদের জগন্নাথের খেলোয়াড়দের একমাত্র স্বস্তির জায়গা। ভালোবাসার জায়গা আমাদের খেলাধূলার জন্য। 

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরাসহ সকলেই এ বিষয়ে বিশেষ নজরদারি ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হচ্ছে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

সপ্তাহের ব্যবধানে মিলল না অংকনের রহস্যময় মৃত্যুর আসল রহস্য


মাহাদী সিয়াম, জবি প্রতিনিধি
শনিবার, ১৩ মে, ২০২২, ০৪:৩৬
সপ্তাহের ব্যবধানে মিলল না অংকনের রহস্যময় মৃত্যুর আসল রহস্য

ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ইংরেজি বিভাগের ২০১৬-২০১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী অংকন বিশ্বাসের রহস্যময় মৃত্যুর পিছনের রহস্য উন্মোচনের দাবি জানিয়ে গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার শিক্ষার্থীরা মোমবাতি প্রজ্জ্বলন ও প্লাকার্ড হাতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন। কর্মসূচি পালনের মূল উদ্দেশ্য ছিল  রহস্যজনক অকাল মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত ও অপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি। অংকনের মৃত্যুর সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও রহস্যময় মৃত্যুর কোন হদিস মিলল না। এতে ক্ষুব্ধ সহপাঠী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
 
শিক্ষার্থীরা জানান, আমাদের সহপাঠী অংকন বিশ্বাসের রহস্যজনক এমন মৃত্যু আমরা মেনে নিতে পারছি না। এই মৃত্যুর পেছনে কী আছে তা খুজে বের করার জোর দাবি জানাচ্ছি।  একমাত্র জবি প্রশাসনই আইনি ব্যবস্থা গ্ৰহন করে পলাতক শাকিলকে আটক করে মৃত্যুর পিছনের আসল রহস্য উন্মোচন করতে পারবে। অংকনের রহস্যজনক মৃত্যুর সাত দিন অতিবাহিত হাওয়ার পরেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিরব কেন? এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের নিকট সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ সুষ্ঠু তদন্ত ও অপরাধীকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি তুলে ধরেছিলেন।

অংকন বিশ্বাস ছিল ১২তম ব্যাচের শ্রেষ্ঠতম শিক্ষার্থী। ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট! অসাধারণ বিতার্কিক!টেলিভিশন বিতর্ক প্রতিযোগিতায়ও অংশগ্রহণ করেছে একাধিক বার৷ তার হাত ধরে ইংরেজি বিভাগে এসেছে বেশ কিছু ট্রফি৷ নাচেও চমৎকার। মানুষ হিসেবে অনন্য, অতুল্য! এমন একজন শিক্ষার্থী মৃত্যুর রহস্য এখনো উদঘাটন করার কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এমতাবস্থায় প্রশাসন নিরব ভূমিকায় রয়েছে বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।

নাহিদ হাসান রবিন জানান, অংকনকে আমরা ফিরে পাবো না কখনোই। তবে  বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের নিকট আবেদন শীঘ্রই রহস্যজনক মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে কাজ করবে। অংকনের মৃত্যু স্বাভাবিক মৃত্যু ছিল না তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। মৃত্যুর পিছনে এক বা একাধিক ব্যক্তি জড়িত থাকলে শীঘ্রই শনাক্ত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।  

১২ তম ব্যাচের এক শিক্ষার্থী জানান, অংকনের মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত দাবি জানাচ্ছি এমন মেধাবী শিক্ষার্থীর মৃত্যু স্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবে মেনে নিতে পারছি না। তার মানসিক যন্ত্রণাই মৃত্যুর অন্যতম কারণ ছিল।

উল্লেখ্য, গত ২৪ এপ্রিল রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালে অংকনকে মুমূর্ষু অবস্থায় রেখে পালিয়ে গিয়েছিল তার স্বামী শাকিল আহমেদ। পরবর্তীতে স্বাস্থ্যের অবনতি হলে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আইসিইউতে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৮ মে রাত ১১ঃ৩০ মিনিটে মৃত্যুবরণ করেন।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে জবি ছাত্রলীগের পুষ্পস্তবক অর্পণ


মাহাদী সিয়াম, প্রতিনিধি, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সোমবার, ১০ জানুয়ারী, ২০২২, ০৮:৫৩
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে জবি ছাত্রলীগের পুষ্পস্তবক অর্পণ

ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

১০ জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। বাঙালি জাতির মহান মুক্তিযুদ্ধের ধারাবাহিক ইতিহাসের একটি অনন্য মাইলফলক। এদিন পূর্ণতা পায় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের স্বাধীনতা। এ বছর জাতির পিতার ‘ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন’র ৫০ বছর পূর্তি তথা সুবর্ণজয়ন্তী।

একই দিন ১০ জানুয়ারি বিজয়ের দেশে, বিজয়ীর বেশে, স্বপ্নের সোনার বাংলার মাটিতে পা রাখেন জাতির জনক। এর মধ্য দিয়ে পূর্ণতা পায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধুর এ স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে আখ্যায়িত করা হয়েছিল ‘অন্ধকার হতে আলোর পথে যাত্রা’।

সেই থেকে কৃতজ্ঞ বাঙালি জাতি নানা আয়োজনে পালন করে আসছে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ বরাবরের মতো এবারও নানা কর্মসূচি আয়োজন করেছে। পাশাপাশি সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনও বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে।

এরই ধারাবহিকতায় আজ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ শ্রদ্ধা নিবেদন করে।

পুষ্পার্পণের পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন তার বক্তব্যে জানান, "বাংলাদেশের বিজয়ের পরিপূর্ণতা এসেছে ১০ জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রত্যাবর্তনের পর। এই দিনটি বাংলার সবচেয়ে আনন্দের দিন। ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্ত, দুই লক্ষ মা-বোনের সম্মান, সতের হাজার ছাত্রলীগ কর্মী তথা বঙ্গবন্ধুর সৈনিকের বিনিময়ে দীর্ঘ নয় মাস যে যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল, ১৬ ডিসেম্বরে বিজয় অর্জিত হলেও, বিজয়ের পরিপূর্ণতা আসে বঙ্গবন্ধুর প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে। বাঙালি জাতির গর্ব অহংকারের মূল কেন্দ্রবিন্দু বঙ্গবন্ধু প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নিরন্তর এগিয়ে যাবে। আজকের এই আনন্দের দিনে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর চেতনাকে শাণিত করে জাতির কল্যাণে কাজ করে যাবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ।"

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - আমার ক্যাম্পাস