a
ফাইল ছবি । ড. ইমদাদুল হক
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য হিসেবে ৪ বছরের জন্য নিয়োগ পেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক।
মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতির অনুমোদনক্রমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব মাহমুদুল আলম স্বাক্ষরে এ-সংক্রান্ত এক আদেশ জারি করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, উপাচার্য হিসেবে তার নিয়োগের মেয়াদ চার বছর। তবে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে তিনি নিয়মিত চাকরির বয়সপূর্তিতে মূল পদে প্রত্যাবর্তনপূর্বক অবসর গ্রহণের আনুষ্ঠানিকতা সম্পাদন শেষে আগের পদের মেয়াদের অবশিষ্ট সময় পূর্ণ করবেন।
তিনি তার বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতন-ভাতাদি পাবেন, বিধি অনুযায়ী পদ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সার্বক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে হবে।
এছাড়া রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর প্রয়োজনে যে কোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন বলেও আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে। জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর করতে বলা হয়েছে।
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
আজ (১৯ আগষ্ট ২০২১-বৃহস্পতিবার) বাংলাদেশ ছাত্রলীগের উদ্যোগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে করোনা প্রতিরোধক বুথ এর উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক।
এসময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ, প্রক্টর, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নূরে আলম আব্দুল্লাহ, সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক ড. শামীমা বেগম সহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ, কর্মকর্তাবৃন্দ এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
তখন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সহায়তায় ক্যাম্পাসে এডিস মশা দমনে ফগার মেশিন এবং স্প্রে মেশিনের কার্যক্রম এর উদ্বোধন হয়।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন," জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর নিজ হাতে গড়ে তোলা এ সংগঠন বরাবরই জাতির কল্যানে অংশগ্রহণ করেছে নানা কাজে।" তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে ধন্যবাদ জানান তাদের এই উদ্যোগ এর জন্য। বলেন, "তাদের কার্যক্রম সবসময় প্রশংশনীয়। এই ধারাবাহিকতা এমন অতিমারীর সময়ে জনগণের পাশে থাকা বাংলাদেশের দারুণ প্রাপ্তি।"
এসময় সেখানে অনুষ্ঠান পরিচালনা এবং উদ্যোগের সফলতার সর্বোচ্চ চেষ্ঠায় উপস্থিত ছিলেন সাবেক সহ সভাপতি আল আমিল শেখ, সাবেক সহ সভাপতি জামাল উদ্দিন, সাবেক সহ সভাপতি আশরাফুজ্জামান টিটন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল আমিন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইব্রাহীম ফরাজি এছাড়াও অন্যান্য বিভিন্ন পদের নেতৃবৃন্দ ও কর্মীরা।
সংগৃহীত ছবি
শুক্রবার জুমার দিন মুসলমানদের জন্য সপ্তাহের সেরা দিন। পবিত্র কোরআন শরিফে জুমা নামে একটি সূরাও আছে। এইদিনে মহান আল্লাহতায়ালা জগৎ সৃষ্টির পূর্ণতা দান করেছিলেন।
আদি পিতা হজরত আদম (আ.) ও মা হাওয়া (আ.)-কে এই দিনেই জান্নাতে একত্র করেছিলেন এবং এই দিনে মুসলিম উম্মাহ সাপ্তাহিক ঈদ ও ইবাদত উপলক্ষে মসজিদে একত্র হয় বলে দিনটাকে ইয়াওমুল জুমাআ বা জুমার দিন বলা হয়।
জুমার নামাজের সূচনাঃ
জুমার নামাজ ফরজ হয় প্রথম হিজরিতে। রাসূলুল্লাহ (সা.) হিজরতকালে কুবাতে অবস্থান শেষে শুক্রবার দিনে মদিনা পৌঁছেন এবং বনি সালেম গোত্রের উপত্যকায় পৌঁছে জোহরের ওয়াক্ত হলে সেখানেই তিনি জুমার নামাজ আদায় করেন। এটাই ইতিহাসের প্রথম জুমার নামাজ।
হিজরতের পরে জুমার নামাজ ফরজ হওয়ার আগে নবুওয়তের দ্বাদশ বর্ষে মদিনায় নাকীউল খাজিমাতে হজরত আসআদ বিন যুরারাহ (রা.)-এর ইমামতিতে সম্মিলিতভাবে শুক্রবারে দুই রাকাত নামাজ আদায়ের প্রমাণ পাওয়া যায়। তবে সেটা ছিল নফল নামাজ।
জুমার দিনের ফজিলতঃ
সাপ্তাহিক ঈদ হিসেবে জুমার দিনের ফজিলত অনেক বেশি। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন – জুমার দিনে ফেরেশতাগণ বিশেষ রেজিস্টার নিয়ে মসজিদের প্রতিটি দরজায় দাঁড়িয়ে যান। তাঁরা মসজিদে আগমনকারী মুসল্লিদের নাম পর্যায়ক্রমে লিপিবদ্ধ করতে থাকেন। অতঃপর যখন ইমাম সাহেব এসে যান, তখন তারা রেজিস্টার বন্ধ করে খুতবা শুনতে থাকেন।