a
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ঈদ উপহার বিতরণ করলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতা পিয়াল দাস অনুপ।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ মানবতার সেবায় সর্বদা এগিয়ে। যেকোনো দুর্যোগ ও মহামারি মোকাবেলায় ছাত্রলীগের সূর্য সন্তানরা মানুষের পাশে থেকেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার ক্ষুধা মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সর্বদা নিয়োজিত।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সূযোগ্য সভাপতি অাল নাহিয়ান খান জয় ভাই ও বিচক্ষণ সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য দাদার নির্দেশে মানুষের জন্য কাজ করে যাবো প্রতিটি নেতাকর্মী। শিক্ষা,শান্তি আর প্রগতির পতাকাবাহী সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
এ করোনার মহামারীতে মানুষের পাশে থেকে মানুষের জন্য কাজ করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ যে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে তা অন্য কোন সংগঠন করেনি।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণকেন্দ্রে নতুন ভবনের ঠিক সামনে অবস্থান করছে "৭১ এর গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি "নামে যে ভাস্কর্যটি অবস্থান তা বাংলাদেশের একমাত্র গুচ্ছ ভাস্কর্য এটি। ভাস্কর্যটির সামনে পেছনে আছে দুইটি অংশ। অত্যন্ত সুনিপুণ হাতে ভাস্কর্যটি তৈরি করেছেন শিল্পী ভাস্কর রাসা।
এই শিল্পকর্মে তাঁকে সহযোগিতা করেছিলেন সহকারী ভাস্কর রাজীব সিদ্দিকী, রুমি সিদ্দিকী, ইব্রাহীম খলিলুর রহমান ও মিয়া মালেক রেদোয়ান। ভাস্কর্যের এক অংশে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ১৯৭১ সালে ২৫ এ মার্চ রাতে ঢাকায় পাক হানাদার বাহিনীর বর্বরচিত গণহত্যার দৃশ্য। গণহত্যায় নিহত সে সমস্ত ব্যক্তিবর্গের স্মৃতি রক্ষার্থে ভাস্কর্যের এক অংশে নির্মাণ করা হয় ৭১ এর গণহত্যা।
১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জ্বালাময়ী ভাষণে তিনি বলেছিলেন, ‘তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করতে হবে’। তখন থেকে দেশের তৃণমূল পর্যায়ে দা, ছুরি, বটি, বল্লমসহ নানা ধরনের দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সজ্জিত হয় নারী-শিশুসহ বিভিন্ন শ্রেণীর পেশাজীবীরা।
২৫ মার্চ রাতে গণহত্যার প্রতিশোধ নিতে ও দেশকে শত্রুমুক্ত করতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি। বর্তমান ভাস্কর্যটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সোভা বর্ধনের এক অদ্বিতীয় শিল্পকর্ম। এর চারদিকে আছে পানির ফোয়ারা। পানির ফোয়ারা ছাড়লে নয়নাভিরাম এক দৃশ্যের অবতারণা হয়। রাতের বেলায় রঙ্গিন বাতির আলোয় এর রূপ যেন আরও চমৎকার হয়ে ওঠে। সাবেক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম খান ২০০৮ সালের ৩১ মার্চ এর শুভ উদ্বোধন করেন।
বর্তমানে ভার্স্কটিকে শান্ত চত্বর নামে অভিহিত করা হয়। শান্ত চত্বর নাম করার পিছনে রয়েছে বিশেষ এক অর্থ। কে এই শান্ত? যার নামানুসারে এই চত্বরের নামকরন করা হলো। মেহেদী আলম শান্ত যিনি ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০০-২০০১ শিক্ষাবর্ষের ব্যবস্থাপনা বিভাগের এক মেধাবী তরুণ শিক্ষার্থী। মেহেদী আলম শান্তর জন্ম ব্রাহ্মনবাড়িয়া সদর উপজেলার ঘাটাইল গ্রামে। যিনি ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের একনিষ্ঠ কর্মী। যিনি ২০১০ সালে অকাল মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর নাম অনুসারেই এই ভাস্কর্য অঙ্গণ এর নামকরণ করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালেয়র শিক্ষার্থীদের আনাগোনায় সারাক্ষণ মুখরিত থাকে এই চত্বর। নানা ধরনের উৎব অনুষ্ঠানের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবেও কাজ করে চত্বরটি। মাঝে মাঝে পর্যটকদের পদাচরাণায় আরও বিকশিত হয় এর সোভা।
ভাস্কর্যটি ঘিরে আছে ২টি শিক্ষাভবনে প্রায় ১২টি বিভাগ। ক্লাসের ফাঁকে অবসর সময় কাটাতে এ সমস্ত বিভাগর শিক্ষার্থীরা এসে এখানে ভিড় জমায়। চলে আড্ডা গল্পও। কেউ আবার ফেসবুক চালাতে কিংবা বই পড়াতে মশগুল থাকে। জবি শান্ত চত্বর সত্যিই যেমনি ঐতিহ্যের ধারক বাহক তেমনি শিক্ষার্থীদের চেতনা ও প্রাণের তারুন্যের জায়গা।
বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশে যে নিস্তব্ধ নীরবতা বিরাজ করে চলেছে তার মাঝেই প্রাণের তারণায় স্বমহিমায় দাঁড়িয়ে ভাস্কর্যটি যে এক অনন্য ভালোবাসার জায়গা। করোনা মহামারী পেরিয়ে আবারো মুখরিত হোক জবি, আবার জনসমাগমে উল্লাসিত হোক শান্ত চত্বর। সকল শিক্ষার্থীদের এই প্রত্যাশায়ই কেটে যাচ্ছে মহামারীর দিনগুলো।
ফাইল ছবি
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাস ও রাশিয়া একই রকমের। উভয়ই প্রতিবেশী দেশের গণতন্ত্রকে নিশ্চিহ্ন করতে চায়। কিন্তু কাউকেই জিততে দেওয়া হবে না।
ওয়াশিংটনের ওভাল অফিস থেকে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে বাইডেন এসব কথা বলেন। ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাতের জেরে তেল আবিব সফর করেন বাইডেন। সেখান থেকে ফিরে তিনি এই ভাষণ দেন।
বাইডেন বলেন, ‘একটি মহান জাতি হিসেবে আমরা হামাসের মতো সন্ত্রাসী এবং পুতিনের মতো একজন স্বৈরাচারী শাসককে জয়ী হতে দিতে পারি না, দেব না।’
ভাষণে বাইডেন আরও বলেন, হামাস ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বিভিন্ন হুমকি দিয়ে বেড়ায়। তবে উভয়ের সাধারণ হুমকি হলো, প্রতিবেশীর গণতন্ত্রকে সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিহ্ন করতে চাওয়া।
ইউক্রেন ও ইসরায়েলকে বড় ধরনের সহায়তা দেওয়ার কথাও জানান বাইডেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, এই দুই দেশের জন্য সহায়তা প্রস্তাব ছাড় দিতে কংগ্রেসকে বলবেন তিনি। বাইডেনের মতে, এই সহায়তা বৈশ্বিক নেতা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যতের জন্য বিনিয়োগ।
এ বিষয়ে বাইডেন বলেন, এটা একটি স্মার্ট বিনিয়োগ। এ বিনিয়োগ প্রজন্মান্তরে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য লভ্যাংশ জুগিয়ে যাবে।
ভাষণে যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক নেতৃত্বের বিষয়েও কথা বলেন বাইডেন। তিনি বলেন, ‘আমেরিকার নেতৃত্ব বিশ্বকে একত্রিত করে।
আমেরিকান জোট আমাদের নিরাপদ রাখে। এই মূল্যবোধ অন্যান্য জাতিকে আমাদের সঙ্গে কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করে। আমেরিকা এখনো বিশ্বের জন্য একটি আলোকবর্তিকা।’
হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে মার্কিন কংগ্রেসের কাছে ১০ হাজার কোটি ডলারের সহায়তা প্রস্তাব ছাড় দিতে আহ্বান জানানো হয়েছে। এই অর্থ ইউক্রেন ও ইসরায়েলকে দেওয়া হবে।
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায়। জবাবে ওই দিনই পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এ সংঘাতে দুই পক্ষের চার হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
এর মধ্যে জেরুজালেমসহ ফিলিস্তিনের কয়েকটি জায়গায় আশ্রয়শিবিরে অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এ ছাড়া গাজা থেকে পালানোর সময় বেসামরিক লোকজনের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলা চালানোর খবর এসেছে। হামলা হয়েছে গাজার হাসপাতালেও। এ পরিস্থিতিতে পুরানো মিত্র ইসরায়েলের প্রতি সংহতি জানাতে দেশটি সফর করেন জো বাইডেন। সূত্র: প্রথম আলো