a ঈদ উপহারের জন্য অন্তঃসত্ত্বা বউকে হত্যা
ঢাকা মঙ্গলবার, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২, ১৪ অক্টোবর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

ঈদ উপহারের জন্য অন্তঃসত্ত্বা বউকে হত্যা


এম.এস প্রতিদিন ডেস্ক
সোমবার, ১০ মে, ২০২১, ১১:৪৬
ঈদ উপহারের জন্য অন্তঃসত্ত্বা বউকে হত্যা

ফাইল ছবি

সিলেটের ওসমানীনগরে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ নিহতের স্বামী আরশ আলী ও শাশুড়ি মিনারা বেগমকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গত রবিবার (৯ মে) দুপুরে স্থানীয় থানায় কনে পক্ষ হত্যা মামলা দায়ের করলে অভিযুক্তদের  গ্রেফতার করে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত।

ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নিহতের বড় ভাই ইসলাম উদ্দিন শনিবার (৮ মে) রাতে নিহতের স্বামী এবং শ্বাশুড়িকে আসামি করে ওসমানীনগর থানায় মামালা দায়ের করেন। পুলিশ জানায়, গত শনিবার দুপুরে সিলেটের  ওসমানীনগর উপজেলার উসমানপুর ইউনিয়নের তাহিরপুর গ্রামের মৃত ইছন আলীর বাড়ি থেকে নিহত শরিফা বেগমের (২০) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতের শরীরে বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের দাগ বিদ্যমান ছিল। নিহত শরিফা সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন বলে দাবি তার পরিবারের।

তবে স্বামী ও শাশুড়ির অভিযোগ ছিল, শরিফা আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু শনিবার দুপুরে তার স্বামীর নিজ ঘরের বিছানা থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওসমানীগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ্যামল বণিক বলেন, ‘এ ঘটনায় নিহতের ভাই মামলা দায়ের করেন। আসামীদের মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।’

এদিকে নিহত শরিফার পারিবার থেকে জানতে পারা যায়, প্রায় ৯ মাস আগে ওসমানীনগর উপজেলার উসমানপুর ইউনিয়নের তাহিরপুর গ্রামের মৃত ইছন আলীর ছেলে আরশ আলীর সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার পুটিয়া গ্রামের শাকিম উল্লাহর ছোট মেয়ে শরিফার। বিয়ের অল্পকিছুদিন পর থেকেই যৌতুকসহ নানা কারণে স্বামী আরশ আলী ও শাশুড়ি মিনারা বেগম তার ওপর বিভিন্ন সময় অত্যাচার নির্যাতন শুরু করেন। বিষয়টি নিহতের পরিবার জানা সত্ত্বেও শরিফা অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় কারণে তার বাবা মা তাকে এসব সহ্য করে শ্বশুরবাড়িতেই থাকার কথা বলে।

পরিবারের অভিযোগ, এই রমজানে আরশ আলী শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে যান। এ সময় ইফতার দিতে কিছুটা  দেরি করার নানা কথা শোনান স্বামী। এছাড়া তাকে কেন আলাদাভাবে সাজানো থালায় ইফতার দিল না এ নিয়ে তাদের উভয়ের মাঝে তুমুল ঝগড়া হয়।

গত শুক্রবার (৭ মে) সন্ধ্যায় শরিফার বাবা তার স্বামীসহ অন্যান্য সদস্যদের জন্য ঈদের উপহার এখনো কেন নিয়া আসে নাই তা নিয়ে আবার ঝগড়া শুরু হয়। ঘটনার একপর্যায়ে শরিফাকে তার স্বামী ও শাশুড়ি মারধর করে। বিষয়টি সাথে সাথেই তার ভাইকে ফোন করে জানান শরিফা। পর সাহরির সময়ে শরিফার মোবাইল বন্ধ পান তার পরিবার। পরে যখন নতুন জামা কাপড় নিয়ে শরিফার বোন রওয়ানা হন পথিমধ্যে খবর পান শরিফা ভীষণ অসুস্থ তার এসে দেখেন তার বোন চিরতরে ঘুমিয়ে গেছে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / khurshedalm@msprotidin.com

ত্বক ফর্সার নামে বিষ! বাজারে এখনও বিক্রি হচ্ছে মার্কারি যুক্ত বিষাক্ত প্রসাধনী


সাইফুল আলম, ঢাকা প্রতিনিধি, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন, ২০২৫, ০৭:৪৫
ত্বক ফর্সার নামে বিষ বাজারে এখনও বিক্রি হচ্ছে মার্কারি যুক্ত বিষাক্ত প্রসাধনী

ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

 

সাইফুল আলম, ঢাকা:  ত্বক ফর্সার নামে বিষ! বাজারে এখনও বিক্রি হচ্ছে মার্কারি যুক্ত বিষাক্ত প্রসাধনী। ত্বক ফর্সাকারী পণ্যে মার্কারি নিয়ে ESDO ও BAN Toxics-এর উদ্বেগজনক অনুসন্ধান” নিয়ে আজ এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। 

এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন- এসডো, ইউরোপীয় এনভায়রনমেন্টাল ব্যুরো (ইইবি)-এর সহযোগিতায় এবং ফিলিপাইন ভিত্তিক সংস্থা ব্যান টক্সিকস-এর পরীক্ষামূলক সহযোগিতায় আজ ১৯ জুন ২০২৫, ঢাকার লালমাটিয়ায় অনুষ্ঠিত হয়। 

এসডো, ইইবি এবং ব্যান টক্সিকস-এর পরিচালিত সাম্প্রতিক এক যুগান্তকারী গবেষণা থেকে জানা গেছে যে, বাংলাদেশে পরীক্ষিত ২৬টি ত্বক ফর্সাকারী ক্রিমের মধ্যে ২২টিতে পারদের মাত্রা আন্তর্জাতিক স্বীকৃত নিরাপত্তা সীমা ১ পার্ট পার মিলিয়ন (পিপিএম) থেকে বহুগুণ বেশি রয়েছে, যা ব্যবহারকারীদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে। প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রকাশিত এই ফলাফলগুলো ক্ষতিকারক সৌন্দর্যের প্রবণতা এবং বাজারে নিষিদ্ধ প্রসাধনী বিক্রি বন্ধ করার জন্য জরুরি উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। সিভিল সোসাইটি, এসডো, এবং ফিলিপাইনের ব্যান টক্সিকস বাংলাদেশে পারদযুক্ত ত্বক ফর্সাকারী পণ্য বিক্রি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, যা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা জোরদার করা, জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার গুরুত্বকে সামনে নিয়ে এসেছে।

সাম্প্রতিক এই গবেষণায় সরাসরি শপিং মল, বাজার, দোকান, ও অনলাইন মার্কেটপ্লেস থেকে সংগৃহীত ত্বক ফর্সাকারী ক্রিমের পারদের মাত্রা পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। এই উদ্যোগটি ESDO-এর ২০১৭ সাল থেকে চলমান নিয়মিত মনিটরিং কার্যক্রমের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। অন্যদিকে, BAN Toxics ফিলিপাইনে পারদযুক্ত ত্বক ফর্সাকারী পণ্যের বিরুদ্ধে ধারাবাহিকভাবে সচেতনতা ও প্রতিরোধমূলক প্রচারণা চালিয়ে আসছে।
এক্স-রে ফ্লুরোসেন্স (XRF) মেশিন ব্যবহার করে গবেষকরা পরীক্ষিত পণ্যে অস্বাভাবিক উচ্চ মাত্রার মার্কারি উপস্থিতি নিশ্চিত করেছেন। সর্বোচ্চ পারদসহ দুটি ব্র্যান্ড হলো ডিউ বিউটি ক্রিম (২৪,৮০০ পার্ট পার মিলিয়ন) এবং গোল্ডেন পার্ল বিউটি ক্রিম (২০,৭০০ পার্ট পার মিলিয়ন)। গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে, পারদ শনাক্ত হওয়া ২২টি পণ্যের মধ্যে তিনটি পণ্য বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (BSTI) কর্তৃক নিষিদ্ধ। এই তিনটির মধ্যে রয়েছে উপরে উল্লেখিত দুটি জনপ্রিয় ব্র্যান্ড এবং Goree Beauty Cream with Lycopene। তবে নিষিদ্ধ ঘোষণার পরও এসব পণ্য এখনো স্থানীয় বাজার ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মে সহজেই পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়াও, বেশ কিছু ত্বক ফর্সাকারী ক্রিমে বিপজ্জনক মাত্রায় পারদ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: FEIQUE Herbal Extract Whitening Freckle Removing Cream 15,500 ppm, Parley Beauty Cream - 10,000 ppm, Kim Whitening Ginseng and Pearl Cream - ৭,৪০০ ppm। এইসব পণ্যের মধ্যে পারদের পরিমাণ আন্তর্জাতিক নিরাপদ মাত্রা (১ ppm)-এর তুলনায় হাজার গুণ বেশি, যা গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে।

২০২৪ সালের পরীক্ষায় দেখা যায়, Jiaoli Whitening Night Cream-এ সর্বোচ্চ ৫,১৪০ ppm পারদ রয়েছে। Collagen Plus Vitamin E Night Cream, Jiaoli Day Cream, এবং আরও কয়েকটি পণ্যে উচ্চ মাত্রার পারদ পাওয়া গেছে। যদিও Thanaka 3 Collagen Plus Vitamin E Day Cream-এ পারদ শনাক্ত হয়নি, তবুও এই ফলাফলগুলো দেখায় যে নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও পারদযুক্ত কসমেটিকস এখনো বাজারে সহজলভ্য এবং যা জনস্বাস্থ্যের জন্য গুরুতর হুমকি।

এসডো'র সিনিয়র টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আবুল হাশেম বলেন, “স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কিছু অগ্রগতি হলেও এখনো বাজারে এসব পণ্য সহজলভ্য, এটা অত্যন্ত উদ্বেগজনক”। এসডো'র নির্বাহী পরিচালক সিদ্দীকা সুলতানা বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও সাংস্কৃতিক প্রভাব যেমন বিয়ে ও ক্যারিয়ারের সুযোগ এসব কারণে নারীদের উপর বেশি প্রভাব ফেলে। ফলে ফর্সা হতে গিয়ে স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকার পরও ত্বক ফর্সাকারী ক্রিমের ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। এসডো'র সিনিয়র টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার ড. শাহরিয়ার হোসেন বলেন, “পারদের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সরকার, সিভিল সোসাইটি ও পরিবেশবাদী সংগঠনগুলোর সমন্বিত প্রচেষ্টা দরকার। ত্বক ফর্সাকারী ক্রিমে থাকা মার্কারি অনেক সময় কোনো তাৎক্ষণিক উপসর্গ ছাড়াই ধীরে ধীরে শরীরের ক্ষতি করে”।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-এর মতে, পারদ স্নায়ুতন্ত্রের মারাত্মক ক্ষতি করে। আন্তর্জাতিক জোট Zero Mercury Working Group (ZMWG) অনুযায়ী, পারদযুক্ত ত্বক ফর্সাকারী ক্রিম দীর্ঘমেয়াদে চোখ, ফুসফুস, কিডনি, হজম ও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করে। এসব পণ্যে থাকা পারদ শুধু ব্যবহারকারীর নয়, আশপাশের মানুষের জন্যও ঝুঁকিপূর্ণ, বিশেষ করে শিশু, নবজাতক ও গর্ভস্থ ভ্রূণের জন্য।

BAN Toxics-এর অ্যাডভোকেসি ও ক্যাম্পেইন অফিসার থনি ডিজন বলেছেন, পারদযুক্ত সৌন্দর্য পণ্যের অব্যাহত উপস্থিতি একটি বৈশ্বিক সমস্যা, এবং এর অবৈধ সীমান্ত পার বাণিজ্য বন্ধের জন্য জরুরি আন্তঃসরকারি সহযোগিতা ও পদক্ষেপ প্রয়োজন। তিনি উল্লেখ করেছেন যে, পারদযুক্ত ১৮টি নমুনার ঘোষিত উৎপাদনকারী দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে পাকিস্তান, চীন, কোরিয়া, থাইল্যান্ড, বাংলাদেশ, তাইওয়ান এবং ভিয়েতনাম।
“জোরালো সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ, আঞ্চলিক সহযোগিতা এবং মিনামাটা কনভেনশন অন মার্কারি এর মত আন্তর্জাতিক চুক্তির কঠোরভাবে পালন খুব জরুরি। দেশগুলোকে একসঙ্গে কাজ করে এই বিষাক্ত পণ্যের উৎপাদন, বাণিজ্য ও বিক্রয় বন্ধ করতে হবে।”
ডিজন আরও বলেন, ফিলিপাইনের অবস্থাও বাংলাদেশের মতোই। ফিলিপাইন ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ১০০টির বেশি পারদযুক্ত ত্বক ফর্সাকারী পণ্য নিষিদ্ধ করলেও, এই পণ্যের ব্যাপক বিক্রির বিরুদ্ধে কার্যকর বাস্তবায়ন এখনও বড় চ্যালেঞ্জ, বিশেষ করে জনপ্রিয় অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে।
২০১৭ সাল থেকে ESDO ও BAN Toxics অংশ নিচ্ছে ইউরোপীয় এনভায়রনমেন্টাল ব্যুরো এবং Zero Mercury Working Group (ZMWG) নেতৃত্বাধীন পারদযুক্ত ত্বক ফর্সাকারী পণ্যের বিরুদ্ধে চলমান বৈশ্বিক আন্দোলনে। যেখানে তারা দৈনন্দিন ব্যবহার্য পণ্যে, বিশেষ করে শিশুদের পণ্যে, থাকা বিষাক্ত রাসায়নিক নিয়ে গবেষণা ও জনসচেতনতা বৃদ্ধি করছে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরটিভির বাংলার গায়েন সিজন-২ এর চ্যাম্পিয়ন হবিগঞ্জের বাঁধন মোদক


মুজিবর, রিপোর্টার, হবিগঞ্জ, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বুধবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২২, ০৯:৫৫
আরটিভির বাংলার গায়েন সিজন-২ এর চ্যাম্পিয়ন হবিগঞ্জের বাঁধন মোদক

ছবি:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

আরটিভির বাংলার গায়েন সিজন-২ এর চুড়ান্ত প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে হবিগঞ্জের কণ্ঠশিল্পী বাঁধন মোদক। গতকাল তাঁর হাতে পুরস্কার তুলে দেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ।

সারাদেশ থেকে অসংখ্য প্রতিযোগী বাছাইয়ের মাধ্যমে বাংলার গায়েন অনুষ্ঠানের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। প্রসঙ্গত, বাঁধন মোদক হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার পূর্ব বুল্লা গ্রামের অঞ্জন মোদক ও জবা রাণী মোদকের সন্তান।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - অপরাধ