a
সংগৃহীত ছবি
গুচ্ছভুক্ত ২২ বিশ্ববিদ্যালয় ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি ফরম থেকে ৪৪ কোটি টাকার বেশি আয় করেছে। গত ২৫ জুন গুচ্ছের আবেদনের সময়সীমা শেষ হয়েছে।
এ বছর ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছের ভর্তি ফরমের মূল্য গতবারের চেয়ে ৩শ টাকা বৃদ্ধি আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয় এক হাজার ৫০০ টাকা।
১৫ জুন থেকে শুরু হওয়া গুচ্ছ ভর্তির আবেদন শেষ হয় ২৫ জুন। গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার তথ্যমতে এবার গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার তিন ইউনিটে আবেদন জমা পড়েছে মোট ২ লাখ ৯৪ হাজার ৫১৪ টি। এ বছর সবচেয়ে বেশি আবেদন জমা পড়েছে বিজ্ঞান বিভাগে। ইউনিট ভিত্তিক হিসেব করলে গুচ্ছ ভর্তি কমিটির তথ্যমতে এ ইউনিটে আবেদন জমা পড়েছে ১ লাখ ৬১ হাজার ৭২৬ টি। বি ইউনিটে আবেদন জমা পড়েছে ৯০ হাজার ৬১৮ টি। সি ইউনিটে৪২ হাজার ১৭০ টি।
আগামী ৩০ জুলাই ‘ক’ ইউনিট, ১৩ অগাস্ট ‘খ’ ইউনিট ও এবং ২০ আগস্ট ‘গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এ বছর গুচ্ছভুক্ত ২২টি বিশ্ববিদ্যালয় হলো— জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
ফাইল ছবি: ইডেন কলেজের সভাপতি-সেক্রেটারী
ইডেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভা এবং সাধারণ সম্পাদক রাজিয়া সুলতানা গভীর রাতে বোরকা পরে হল থেকে পালিয়েছেন। মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের আক্রমণের ভয়ে তারা হল ত্যাগ করতে বাধ্য হয়।
এর আগে, রাতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হল থেকে ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকা বিনতে হোসাইনসহ ৯ জন নেত্রীকে আন্দোলনকারীরা হল থেকে বের করে দেয়। একই সময়ে আরও কয়েকটি হল থেকেও ছাত্রলীগের নেত্রীদের বের করে দেওয়া হয়। এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পর ইডেন কলেজে ছাত্রলীগ নেত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। নিজেদের নিরাপত্তার জন্য হল থেকে পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তারা এবং কোন অনভিপেত ঘটনা এড়াতে বোরকা পরিধান করেন।
ইডেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভাকে ফোন করলে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ভাই, খুব ঝামেলায় আছি। এসব নিয়ে পরে কথা বলব।’
সকাল ৯টার দিকে জানা যায়, ইডেনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও প্রায় সব নেতাকর্মী হল থেকে পালিয়েছেন। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা তাদের কক্ষ ভাঙচুর করেছেন।
এদিকে, রাতের ঘটনা থেকে উদ্ভূত চাপের মুখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫টি ছাত্রীসহ বেশ কয়েটি ছাত্র হলকেও ছাত্র রাজনীতিমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক, রোকেয়া হল, শামসুন নাহার হল, কবি সুফিয়া কামাল হল, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল এবং বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলের প্রাধ্যক্ষরা শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে হলগুলোকে ছাত্র রাজনীতি মুক্ত করার অঙ্গীকারনামা প্রদান করেন।
রাত ১১টার দিকে রোকেয়া হলে প্রথমে এই ঘোষণাটি দেয়া হয়। শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগ নেত্রীদের হল থেকে বের করে দিয়ে প্রাধ্যক্ষের কাছ থেকে লিখিত অঙ্গীকারনামা গ্রহণ করেন, যাতে হলের অভ্যন্তরে সব ধরনের ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে আগামীকাল থেকে এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। তবে লকডাউনের আওতামুক্ত থাকবে জরুরি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান।
স্বাস্থ্যসেবা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান, পণ্যবাহী পরিবহনের পাশাপাশি খোলা থাকবে সংবাদপত্র বহনকারী পরিবহনও। এর বাইরে একমাত্র শিল্পকারখানা খোলা থাকবে। তবে শ্রমিকরা
অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিফট অনুযায়ী কাজ করবেন। সবাইকে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানতে দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি বুঝে লকডাউন আরও বাড়তে পারে বলে জানানিা হয়েছে।
এদিকে, রাজধানীতে এই লকডাউন কার্যকরে কঠোর থাকবে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। গতকাল শনিবার (৩ এপ্রিল) বিকেলে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায় গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা মাঠে থেকে লকডাউন কার্যকর করব এবং কঠোরভাবে কার্যকর করব।
অনেক আর্থিক ক্ষতি হবে জেনেও সরকার লকডাউনের মতো সিদ্ধান্ত নিল। কার্যকর না করে উপায় আছে? সুতরাং পুলিশ করোনারোধে কঠোর হবে। এজন্য জনসাধারণের সার্বিক সহযোগিতা চাই।
একই দিনে ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, গত বছর কোনো অভিজ্ঞতা ছাড়াই পুলিশ মাঠে থেকে কাজ করেছে। গতবারের অভিজ্ঞতা সঙ্গে নিয়ে এবার পুলিশ কাউকেই লকডাউন ও স্বাস্থ্যবিধি বিধি লঙ্ঘনে ছাড় দেবে না বলে জানান।
গত বছর লকডাউনের সময় বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে ঢাকা ছেড়েছিল এবং প্রবেশ করেছিল। এবার তা করতে দেওয়া হবে না। কোভিড-১৯-এর নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ মাঠে থেকে যা যা করা দরকার তা করবে।