a
ফাইল ছবি
আজ হিজরি ১২ রবিউল আউয়াল। ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের এ দিনে মানব জাতির জন্য রহমত হিসেবে প্রেরিত মহানবী হজরত মোহাম্মদ সা: দুনিয়াতে আসেন। রিসালাতের দায়িত্ব পালন শেষে ৬৩ বছর বয়সে ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দে ১১ হিজরির ঠিক এ দিনেই তিনি দুনিয়া থেকে বিদায় নেন। দিনটি মুসলিম উম্মাহর কাছে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। বাংলাদেশে দিনটি সরকারিভাবে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী সা: হিসেবে পালিত হয়।
এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সাথে যথাযথ মর্যাদায় দিনটি পালনের জন্য সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এ সব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে মহানবী সা:-এর ওপর আলোচনা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল। এ উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে পক্ষকালব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে। এ ছাড়া পত্রিকায় ক্রোড়পত্র ও টেলিভিশনে অনুষ্ঠানমালা সম্প্রচারিত হবে।
হজরত মুহাম্মদ সা: চল্লিশ বছর বয়সে নবুওয়াতি লাভের পর ২৩ বছর কঠোর পরিশ্রম ও শত বাধা-বিপত্তি মোকাবেলা করে ইসলামের সুমহান আদর্শ প্রচার করে গেছেন। তার দেখানো পথে পৃথিবীতে নেমে আসে শান্তি। এজন্য তার প্রতিটি কাজ, কথা আমাদের জন্য আদর্শ। বর্তমান অশান্ত পৃথিবীতে তার দেখানো পথেই আসতে পারে শান্তি ও মানবতার মুক্তি। আল্লাহতায়ালা সূরা আল আম্বিয়ার ১০৭ নম্বর আয়াতে মহানবী হজরত মুহাম্মদ সা: সম্পর্কে বলেন, আমি আপনাকে সমগ্র বিশ্বের জন্য রহমত হিসেবে প্রেরণ করেছি।
রাষ্ট্রপতির বাণী: রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, হজরত মোহাম্মদ সা:-এর আদর্শ ও বিচক্ষণতা বর্তমান বিশ্বে জাতিতে জাতিতে সঙ্ঘাত-সংঘর্ষ নিরসনে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে। তিনি আরো বলেন, সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ নবী হজরত মুহাম্মদ সা:-এর জন্ম ও ওফাতের স্মৃতি বিজড়িত পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী সা: সারাবিশ্বের মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত পবিত্র ও মহিমান্বিত দিন। মহান আল্লাহতায়ালা হজরত মুহাম্মদ সা:কে ‘রহমাতুল্লিল আলামিন’ তথা সমগ্র বিশ্বজগতের রহমত হিসেবে প্রেরণ করেন। তিনি বলেন, দুনিয়ায় তার আগমন ঘটেছিল ‘সিরাজাম মুনিরা’ তথা আলোকোজ্জ্বল প্রদীপরূপে। তৎকালীন আরব সমাজের অন্যায়, অবিচার, অসত্য ও অন্ধকারের বিপরীতে তিনি মানুষকে আলোর পথ দেখান এবং প্রতিষ্ঠা করেন সত্য, সুন্দর ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজব্যবস্থা।
প্রধানমন্ত্রী : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, হজরত মুহাম্মদ সা:-এর সুমহান আদর্শ ও সুন্নাহ অনুসরণের মাধ্যমেই মুসলমানদের অফুরন্ত কল্যাণ, সফলতা ও শান্তি নিহিত রয়েছে। তিনি আরো বলেন, ‘বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব, বিশ্বমানবতার মুক্তির দিশারী, বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ সা:-এর জন্ম এবং ওফাতের পবিত্র স্মৃতি বিজড়িত ১২ রবিউল আউয়াল তথা ঈদে মিলাদুন্নবী সা: বিশ্ববাসী বিশেষত মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত পবিত্র ও মহিমান্বিত দিন। এ উপলক্ষে আমি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব মুসলিম উম্মাহ্কে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানাচ্ছি।’
বিএনপির বাণী : পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী সা: উপলক্ষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তারা বলেন, ঈদে-মিলাদুন্নবীর এক মহামানবের জন্মদিন। সূত্র: নয়া দিগন্ত
ফাইল ছবি
দেশের আকাশে পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে আগামী ১০ জুলাই রবিবার (১০ জিলহজ) বাংলাদেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠকে উপস্থিত এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সন্ধ্যায় ফাউন্ডেশনের দ্বীনি দাওয়াত ও সংস্কৃতি বিভাগে ফোন করে ফাউন্ডেশনের শেরপুর, কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার উপ-পরিচালকরা চাঁদ দেখার সংবাদ জানান।
ফাইল ছবি: রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের
আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের রাষ্ট্রীয় শেষকৃত্য। সেই অনুষ্ঠানে অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বিশ্বের অধিকাংশ নেতাকে।
তবে তিনটি দেশের কোনো প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে। আমন্ত্রণ না পাওয়া তিন দেশ হলো— রাশিয়া, বেলারুশ ও মিয়ানমার।
সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দেশ ইউক্রেনে হামলা কেন্দ্র করে ব্রিটেন ও এর পশ্চিমা মিত্ররা বিশ্বমঞ্চে রাশিয়া এবং তার মিত্র বেলারুশকে বিচ্ছিন্ন করতে চাইছে। এ জন্য রাশিয়ার বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা ছাড়াও বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে পশ্চিমা দেশগুলো। মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর নৃশংসতা চালিয়েছে দেশটির সামরিক বাহিনী। এ ছাড়া নির্বাচিত সু চি সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করায় মিয়ানমারের জান্তা সরকারের কর্মকর্তাদের ওপর ব্রিটেন নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানা যায়, লন্ডনে রানির শেষকৃত্যে ৫০০ জনের বেশি বিদেশি অতিথি উপস্থিত থাকবেন। ইতোমধ্যে বিশ্বের অধিকাংশ দেশের রাষ্ট্রপ্রধানকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ব্রিটেনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে, এমন সব দেশের নেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তার স্ত্রী ফার্স্টলেডি জিল বাইডেন এবং কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীরা রানির শেষকৃত্যে নিজেদের উপস্থিতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত বৃহস্পতিবার স্কটল্যান্ডের বালমোরাল প্রাসাদে মারা যান রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। তার বয়স হয়েছিল ৯৬ বছর। সূত্র: যুগান্তর