a
ফাইল ছবি
আজ রবিবার (৩ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন সারাদেশে ইলিশ ধরা বন্ধ থাকবে।
এ সময় ইলিশকে স্বাচ্ছন্দ্যে ডিম ছাড়ার সুযোগ দিতেই সরকার এই সুযোগ দিয়েছে। এই সময় মাছ ধরা, বিক্রি, বিপণন, মজুত ও পরিবহন নিষিদ্ধ থাকবে। নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করা হলে জরিমানা ও কারাদণ্ডের বিধান রাখা রয়েছে।
প্রতিবছর আশ্বিনের ভরা পূর্ণিমার আগে-পরে মিলিয়ে মোট ১৫ থেকে ১৭ দিন হচ্ছে ইলিশের ডিম ছাড়ার আসল সময়। এ সময় সাগর থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ নদীতে ছুটে আসে।
এই সময়কে বিবেচনায় নিয়ে প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও মোট ২২ দিন ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার।
ফাইল ছবি
আগামী দিনে জাতীয় সরকার গঠন করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কখনোই সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ উপায়ে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে না। রাজপথেই ফয়সালা হবে। আর আগামী দিনে জাতীয় সরকার গঠিত হবে।
রোববার (৮ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
আমীর খসরু বলেন, আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনা একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে শান্তিপূর্ণ উপায়ে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে এটা যারা ভাবছে তারা বোকার স্বর্গে বসবাস করছে। তাই রাজপথেই ফয়সালা হবে।
আগামী দিনে জাতীয় সরকার গঠিত হবে। কারণ দেশের যা অবস্থা সেখান থেকে তুলে যদি দেশকে একটা রাস্তায় আনতে হয় তাহলে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা যাওয়ার পর যে রাজনীতি আসবে, তা ভিন্ন রাজনীতি। রূপান্তরমূলক পরিবর্তনের মাধ্যমে সত্যিকার অর্থে মানবাধিকার, আইনের শাসন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে। মানুষের অংশগ্রহণ থাকবে। শুধু একজন ফ্যাসিস্টকে বিদায় করার জন্য আমরা আন্দোলন করছি না, একটি জ্ঞানভিত্তিক, ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের আজকের আন্দোলন।
নির্বাচন কমিশনার ফ্যাসিস্ট রেজিমের অংশ উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ নেতা বলেন, তাকে বসানোই হয়েছে কারচুপির নির্বাচন করার জন্য ৷ এদের কিছু বলে কোনো লাভ নেই। একটাই উপায় আছে, এই রেজিমকে সরাতে হবে।
আমীর খসরু বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের অধিকার আওয়ামী লীগের নেই। তত্ত্বাবধায়ক সরকার সব রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যে হয়েছিল। এটা বাতিল করতে হলেও সবার ঐকমত্যে বাতিল করতে হবে। কিন্তু আওয়ামী লীগ এককভাবে এটা বাতিল করল। এটা অবৈধ কাজ, এটা বাতিল করার তাদের অধিকার নাই। সূত্র: ইত্তেফাক
বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাসের দাবিতে গাজীপুরের স্টাইলক্রাফট নামের একটি তৈরি পোশাক কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। উত্তেজিত শ্রমিকেরা আজ বুধবার সকালে ঢাকা–জয়দেবপুর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন। সড়ক অবরোধের কারণে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রী ও পথচারীরা। বেলা ১১টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছে পুলিশ।
আন্দোলনরত শ্রমিকদের অভিযোগ, ঢাকা–জয়দেবপুর সড়কে গাজীপুর মহানগরীর তিনসড়ক এলাকায় স্টাইলক্রাফট নামের তৈরি পোশাক কারখানায় প্রায় তিন হাজার শ্রমিক কাজ করেন। মালিকপক্ষের কাছে তাঁদের জুন ও জুলাই মাসের বেতন এবং কোরবানি ঈদের বোনাস পাওনা আছে।
এসব পাওনা নিয়ে তাঁদের মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে আগে থেকেই। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৬ জুলাই কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরে মালিকপক্ষের সঙ্গে শ্রমিকদের সমঝোতা চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী ১ আগস্ট তাঁদের বেতন পরিশোধ করার কথা। কিন্তু পাওনা আদায় না করে মালিকপক্ষ কারখানা বন্ধ করে নোটিশ টাঙিয়ে দেয়। আজ সকালে কাজে যোগ দিয়ে শ্রমিকেরা বন্ধের নোটিশ দেখতে পেয়ে কারখানার সামনের রাস্তার উপরে আন্দোলন শুরু করেন।
শিল্প পুলিশের পরিদর্শক রেজাউল করিম বলেন, বেতন–ভাতা পরিশোধের জন্য কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের শ্রমিকদের সঙ্গে কারখানার মালিকের সমঝোতা চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী ১ আগস্ট জুন মাসের বেতন এবং ৮ আগস্ট শ্রমিকদের ঈদ বোনাস দেওয়ার কথা। কিন্তু মালিকপক্ষ বেতনাদি পরিশোধ না করেই কারখানা সাত দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেন।
আজ বুধবার সকালে শ্রমিকেরা কাজে এসে বন্ধের নোটিশ দেখতে পেয়ে উত্তেজিত হয়ে রাস্তায় নামে। পুলিশ মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছে। মালিকপক্ষ জানিয়েছে, বেতনের টাকা জোগাড় করতে না পেরে তারা কারখানা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সূত্র: প্রথম আলো