a
সংগৃহীত ছবি: জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেছেন, এমন কোনো পণ্য নেই যা বাংলাদেশে নকল হচ্ছে না। কসমেটিকস থেকে শুরু করে শিশুখাদ্য, সব কিছুর নকল হচ্ছে। আর এসব দেশের ভেতরেই হচ্ছে।
রবিবার সকালে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরীর সভাপতিত্বে ভোক্তা অধিকার আইন ও সংরক্ষণ বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেন, আমাদের নকল পণ্যের তথ্য সারা বিশ্বে ছড়িয়ে যাচ্ছে। বিশ্বের মানুষের কাছে বার্তা যাচ্ছে বাংলাদেশে ভেজাল পণ্য তৈরি হয়। আমাদের সব অর্জন ম্লান হচ্ছে এই ভেজালের কারণে। এসব ভেজালের বিষয়ে তথ্য দিলে আমরা ব্যবস্থা নেব।
সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রেজাউল করিমের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সাঈদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান, ক্যাবের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি জামিল চৌধুরী প্রমুখ। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি
আগামী দিনে জাতীয় সরকার গঠন করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কখনোই সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ উপায়ে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে না। রাজপথেই ফয়সালা হবে। আর আগামী দিনে জাতীয় সরকার গঠিত হবে।
রোববার (৮ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
আমীর খসরু বলেন, আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনা একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে শান্তিপূর্ণ উপায়ে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে এটা যারা ভাবছে তারা বোকার স্বর্গে বসবাস করছে। তাই রাজপথেই ফয়সালা হবে।
আগামী দিনে জাতীয় সরকার গঠিত হবে। কারণ দেশের যা অবস্থা সেখান থেকে তুলে যদি দেশকে একটা রাস্তায় আনতে হয় তাহলে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা যাওয়ার পর যে রাজনীতি আসবে, তা ভিন্ন রাজনীতি। রূপান্তরমূলক পরিবর্তনের মাধ্যমে সত্যিকার অর্থে মানবাধিকার, আইনের শাসন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে। মানুষের অংশগ্রহণ থাকবে। শুধু একজন ফ্যাসিস্টকে বিদায় করার জন্য আমরা আন্দোলন করছি না, একটি জ্ঞানভিত্তিক, ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের আজকের আন্দোলন।
নির্বাচন কমিশনার ফ্যাসিস্ট রেজিমের অংশ উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ নেতা বলেন, তাকে বসানোই হয়েছে কারচুপির নির্বাচন করার জন্য ৷ এদের কিছু বলে কোনো লাভ নেই। একটাই উপায় আছে, এই রেজিমকে সরাতে হবে।
আমীর খসরু বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের অধিকার আওয়ামী লীগের নেই। তত্ত্বাবধায়ক সরকার সব রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যে হয়েছিল। এটা বাতিল করতে হলেও সবার ঐকমত্যে বাতিল করতে হবে। কিন্তু আওয়ামী লীগ এককভাবে এটা বাতিল করল। এটা অবৈধ কাজ, এটা বাতিল করার তাদের অধিকার নাই। সূত্র: ইত্তেফাক
ছবি এডিট: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
নিজস্ব প্রতিনিধি: আজ যুগান্তরের রিপোর্টে প্রকাশ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর থেকেই দেশে চলছিল একের পর এক ষড়যন্ত্র। নানামুখী অপতৎপরতার মাধ্যমে নতুন সরকারকে ব্যর্থ করার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়েছিল পরাজিত আওয়ামী শক্তি। সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় এবার রাজধানী ঢাকা দখলের চেষ্টা করছেন আওয়ামী লীগ। এই পরিকল্পনাকে সামনে রেখে বেশকিছু নেতাকর্মী রীতিমতো গেরিলা প্রশিক্ষণও নিয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রশিক্ষিত গেরিলা বাহিনীর প্রধান উদ্দেশ্য দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করে রাজধানী ঢাকাকে দখলে নেয়া। এলক্ষ্যে দেশে-বিদেশে হাজার হাজার নেতা-কর্মী প্রশিক্ষণ নিচ্ছে।
সম্প্রতি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া একাধিক চক্রের সদস্যের কাছে এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেছে একাধিক গণমাধ্যম।
অথচ, গতকাল বুধবার স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, আগামী ৫ আগস্ট জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি ঘিরে কোনো ধরনের নিরাপত্তা শঙ্কা নেই।
অপরপক্ষে, আজ বৃহস্পতিবার মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব জনাব শফিকুল আলম বলেন, আগামী ৫-৬ দিন অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আজ (৩১ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
এদিকে আইন উপদেষ্টা আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সংস্কার ও সমসাময়িক বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বরাবরের ন্যায় আবারও বলেন, কিছুদিনের মধ্যেই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সংস্কার ও সমসাময়িক বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা এ কথা জানান। তিনি আরও বলেন, জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে এবং কিছুদিনের মধ্যেই আগামী নির্বাচনের ঘোষণা আসবে। সবাই ভোট দিতে পারবেন।
রাজনৈতিক দলসহ সুশীল সমাজ যখন ভোট সংক্রান্ত বিষয়গুলো সামনে আনেন, তখন সরকারি লোকজন আবোল-তাবোল অনেক কথাই বলেন কিন্তু সুনিদিষ্ট তারিখ কখনো উল্লেখ করেননা। তবে পতিত স্বৈরাচারের প্রেতাত্বাগুলো যখন দেশে বিভিন্ন জায়গায়, বিভিন্নভাবে মাথা চাড়া দিয়ে উঠে, তখন ঐক্যের নামে বিএনপিসহ ছোট, বড় সকল দলগুলোকে কাছে নিয়ে মাথা হাত বুলিয়ে বলার চেষ্টা করেন, শীঘ্রই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। এভাবে নির্বাচনের মুলা ঝুলিয়ে কালক্ষেপণ করে দেশে একটি অস্থির ও অরাজোকতা পরিবেশ তৈরি হলে এর দায়ভার কে নেবে?
সরকারের আশির্বাদে এনসিপি নামক দল নানান রটনা, ঘটনা দিয়ে সৃষ্টি হওয়ার পর থেকে সরকারের ছত্রচ্ছায়ায় এরা দেশে নানান রকম নৈরাজ্য সৃষ্টি করে জুলাই-আগষ্টের যে স্পিরিট মানুষের মাঝে ধারণ করেছিল, তা অনেকটাই থিতিয়ে যেতে বসেছে। এর দায়ভার বর্তমান অন্তবর্তী সরকার কি এড়াতে পারবে?
বর্তমান সরকার হয়তোবা তাকিয়ে আছে, বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো যদি নির্বাচনের জন্য মাঠ গরম করে এবং এনসিপি-জামাতসহ ছোট ছোট দলগুলোকে দিয়ে প্রতিরোধ করে আরও কিছুদিন ক্ষমতায় আঁকড়ে থাকাটা মন্দ কি? এসব দিবা স্বপ্ন কিছু অথর্ব ব্যক্তিবর্গ করতে পারেন! তারা হয়তোবা ভুলে যেতে বসেছেন, বিগত স্বৈরাচার সরকার প্রায় ১৭ বছর ক্ষমতায় থেকে অঢেল অর্থকরী কামিয়েছে। তারা সেসব দেদারছে খরচ করে দেশের পুরো দৃশ্যপট পাল্টিয়ে দেয়া অসম্ভবের কিছুনা। হয়তোবা এর কিছুটা রেশ বুঝতে পেরেই মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব জনাব শফিকুল আলম বলেন, আগামী ৫-৬ দিন অন্তবর্তী সরকারের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
সবশেষ, নিয়মতান্ত্রিকভাবে নির্বাচন না দিয়ে অন্য কোন ফাঁক ফোকর দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার উকি-ঝুকি দিলে পরিণামে ঝুঁকিই বাড়বে বৈকি! ৫ আগষ্টের পর যে কোন সরকার আওয়ামীর ন্যায় স্বৈরতন্ত্রের পথে হাঁটলে এদেশের মানুষ পতিত হাসিনার চেয়েও খারাপ কিছু ঘটিয়ে দেবে, এটা কিন্তু হলফ করে বলা যায়।