a
সংগৃহীত ছবি: জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেছেন, এমন কোনো পণ্য নেই যা বাংলাদেশে নকল হচ্ছে না। কসমেটিকস থেকে শুরু করে শিশুখাদ্য, সব কিছুর নকল হচ্ছে। আর এসব দেশের ভেতরেই হচ্ছে।
রবিবার সকালে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরীর সভাপতিত্বে ভোক্তা অধিকার আইন ও সংরক্ষণ বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেন, আমাদের নকল পণ্যের তথ্য সারা বিশ্বে ছড়িয়ে যাচ্ছে। বিশ্বের মানুষের কাছে বার্তা যাচ্ছে বাংলাদেশে ভেজাল পণ্য তৈরি হয়। আমাদের সব অর্জন ম্লান হচ্ছে এই ভেজালের কারণে। এসব ভেজালের বিষয়ে তথ্য দিলে আমরা ব্যবস্থা নেব।
সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রেজাউল করিমের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সাঈদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান, ক্যাবের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি জামিল চৌধুরী প্রমুখ। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি
আফগানিস্তানে তালেবান অস্থায়ী সরকার গঠন করেছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, ভারত-পাকিস্তান বা অন্য কোনো দেশকে দেখে নয়, আফগানিস্তানের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের অবস্থান ‘নিজস্ব’ সিদ্ধান্তে নেবে।
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা (ইউরোপে) কেউ কেউ বলেছে, বিবিসি বলেছে, আপনারা ইন্ডিয়া যেটা করবে, সেটা করবেন কি না? কিংবা পাকিস্তান যেটা করে, সেটা করবেন কি না? 'আমরা বলেছি যে, কে কী করল আমরা দেখব না।’
যুক্তরাজ্য ও নেদারল্যান্ডসের নেতারাও বাংলাদেশের অবস্থান জানতে চেয়েছিল পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে।
আব্দুল মোমেন বলেন, আমাকে সবাই জিজ্ঞেস করেছেন, আমরা ওনাদের ব্যান্ডওয়াগনে জয়েন করব কি না? আমাদের কী পজিশন?
তিনি বলেন, আমরা বলেছি যে, আফগান ইস্যুটা আমরা এখনো পর্যবেক্ষণে আছি। তারা বলছেন যে, নতুন সরকারকে আমরা স্বীকৃতি দেব কি না? আমরা বলেছি, তাদের অবস্থা দেখি। তাদের এটিচিউড, তাদের পলিসিস, তাদের প্রজেক্টস- এগুলো দেখে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।
সার্কভুক্ত দেশ আফগানিস্তানে সেদেশের জনগণের বৃহত্তর অংশের সমর্থনে সরকার গঠিত হলে, তাদের সঙ্গে কাজ করার বিষয়ে বাংলাদেশ সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন।
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সাইফুল আলম, ঢাকা: জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবেলা বিশেষত মিথেন গ্যাস নিয়ন্ত্রণে প্রযুক্তি নির্ভর নতুন উদ্ভাবন নিয়ে এসেছেন জিন বিজ্ঞানী ড. আবেদ চৌধুরী ও তাঁর গবেষক দল। আজ ২৬ মে সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এ উদ্ভাবন বিষয়ে বিস্তারিত উপস্থাপন করেন তিনি।
রোম, কৃষাণ ফাউন্ডেশন, মেধাসম্পদ সুরক্ষা মঞ্চ ও জ্যাকফুট পোস্টের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বেসিসের সাবেক সভাপতি ও বিডিজবসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ কে এম ফাহিম মাশরুর, পরিবেশ গবেষক পাভেল পার্থ, অমল ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী ইশরাত করিম ইভা।
সংবাদ সম্মেলনে আবেদ চৌধুরী বলেন, বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য দায়ী গ্রীনহাউস গ্যাসের অন্যতম মিথেনের বড় অংশ আসে গবাদিপশু অর্থাৎ গরু, ছাগল আর মহিষের পেট থেকে। এই জাবর কাটা প্রাণীগুলোর হজম প্রক্রিয়ার সময় ঢেঁকুর, নিঃশ্বাস ও বর্জ্যের মাধ্যমে বিপুল মিথেন গ্যাস নিঃসরণ হয়। বৈশ্বিকভাবে প্রতিবছর এ ধরনের গবাদিপশু থেকে নির্গত হয় প্রায় ১০০ মিলিয়ন টন মিথেন। বাংলাদেশের গবাদিপশু খাত থেকেও প্রতিবছর প্রায় ৩০ মিলিয়ন টন কার্বন ডাই-অক্সাইডের সমতুল্য মিথেন নির্গত হয়।
অস্ট্রেলিয়ার গবেষণা প্রতিষ্ঠান Loam Bio এর পক্ষ থেকে এই আবিষ্কার সম্পর্কে বিজ্ঞানী ড. আবেদ চৌধুরী বলেন, তাদের উদ্ভাবিত বিশেষ ধরনের প্রাকৃতিক ছত্রাক, যা গবাদিপশুর হজম প্রক্রিয়ায় মিথেন উৎপাদন ৯০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে দিতে সক্ষম। এই ছত্রাক কোনো রকম জেনেটিক মডিফিকেশন ছাড়াই কাজ করে এবং পশুর স্বাস্থ্যে বিরূপ প্রভাব ফেলে না। এটি পশুখাদ্যে ফিড অ্যাডিটিভ হিসেবে মেশালে কার্যত মিথেন নির্গমন বন্ধ হয়ে যায়।
২০২৫ সালের মার্চ মাসে Biotechnology Reports জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণা ইতোমধ্যেই আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এই আবিষ্কারের ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে নতুন কোম্পানি - ROAM Agricultural। প্রতিষ্ঠানটির মডেল অনুযায়ী খামারিরাই ছোট ছোট ইউনিটে এই ছত্রাক উৎপাদন করতে পারবেন। তিনি বলেন, ROAM কোম্পানির মালিকানার বড় অংশ মাত্র ৮ মিলিয়ন ডলারে বিনিয়োগকারীদের জন্য উন্মুক্ত; বাংলাদেশেও এই সুযোগ নিতে পারে। আবেদ চৌধুরী বলেন, গবেষণায় দেখা গেছে, সঠিক প্রযুক্তি ও ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে গবাদী পশু থেকে মিথেন নির্গমন ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমানো সম্ভব। বাংলাদেশ যদি মিথেন নির্গমন অর্ধেক কমাতে সক্ষম হয়, তাহলে এই "সবুজ অর্থনীতি"-র সম্ভাব্য বাজারমূল্য দাঁড়াবে প্রায় ১.৫ বিলিয়ন ডলার!
এছাড়াও উক্ত অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন এ কে এম ফাহিম মাশরুর, পাভেল পার্থ এবং ইশরাত করিম ইভা। তারা বলেন, বাংলাদেশ থেকে মিথেন গ্যাস নির্গমন কমাতে হবে। সবুজ অর্থনীতির দিকে আগাতে হবে। বাংলাদেশ যদি চায় ROAM কোম্পানির বিনিয়োগে অংশগ্রহণ করতে পারে। ক্ষতিকর মিথেন গ্যাস নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশি বিজ্ঞানী ড. আবেদ চৌধুরীর নতুন উদ্ভাবন নিয়ে অনেক বড় আশা প্রকাশ করেন। বৈশ্বিক জলবায়ু নিয়ন্ত্রণে এই উদ্ভাবন অনেক কাজে লাগবে বলে সবাই প্রত্যাশা করেন এবং বিজ্ঞানী ড. আবেদ চৌধুরীকে শুভেচ্ছা ও সাধুবাদ জানান।