a
ফাইল ছবি
এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। রোববার দুপুরে ২০২১ সালের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুপুরে শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট এবং এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানা যাবে।
রোববার ১২টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফলাফলের কপি তুলে ধরেন সব শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা। পরে শিক্ষামন্ত্রী সংবাদ সম্মেলন করে ফলাফলের সার্বিক বিষয় গণমাধ্যমে তুলে ধরেন। এর পর সবার জন্য ফল উন্মুক্ত করে দেয়া হয়।
করোনার কারণে ২০২১ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে গত ডিসেম্বরে নেয়া হয়। এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১৩ লাখ ৯৯ হাজার পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।
গ্রুপভিত্তিক তিনটি বিষয়ে নম্বর ও সময় কমিয়ে দেড় ঘণ্টার পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। চলতি বছরের জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ বা ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ফল প্রকাশের কথা থাকলেও দেশের বাইরে থাকা বিভিন্ন কেন্দ্রের খাতা মূল্যায়নে সময় লাগে।
ফাইল ছবি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘সব থেকে দুর্ভাগ্য হলো আমি যখন সিদ্ধান্ত নিলাম প্রত্যেকটা মানুষকে আমরা ঘর করে দেবো, আমাদের দেশের কিছু মানুষ এত জঘন্য চরিত্রের, আমি কয়েকটা জায়গায় হঠাৎ দেখলাম যে কীভাবে ঘর ভেঙে পড়ছে, কোন জায়গায় ভাঙা ছবি ইত্যাদি দেখার পরে পুরো সার্ভে করালাম কোথায় কী হচ্ছে। সেখানে আমরা প্রায় দেড় লাখের মতো ঘর তৈরি করে দিয়েছি। ৩শটা ঘর (ভেঙেছে) বিভিন্ন এলাকায় কিছু মানুষ নিজে থেকে গিয়ে হাতুড়ি-শাবল দিয়ে সেগুলো ভেঙে ভেঙে তারপর মিডিয়ায় সেগুলো ছবি তুলে দিচ্ছে। তাদের নাম-ধাম এগুলো একদম এনকোয়ারি করে সবগুলো বের করা হয়ে গেছে। আমার কাছে যে পুরো রিপোর্টটা আছে, মানে যারা গরিবের জন্য ঘর করে দিচ্ছি, তারা এইভাবে যে ভাঙতে পারে, সেই ছবিগুলো দেখলে, দেখা যায়।’
আজ বৃহস্পতিবার গণভবনে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভার সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘মিডিয়া এগুলো ধারণ করে প্রচার করে, তারা কিন্তু এটা কীভাবে হলো সেটা কিন্তু না। কয়েকটা জায়গায় গেছে, যেমন এক জায়গায় ৬শ ঘর সেখানে হয়তো ৩/৪টা ঘর, ঐ যে প্রবল বৃষ্টি হলো যখন এজন্যই মাটি ধসে কয়েকটা ঘর নষ্ট হয়েছে। মাত্র ৯টা জায়গায় আমরা পেয়েছিলাম যেখানে কিছুটা দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে, মাত্র ৯টা জায়গায়।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি দেখেছি যে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের অধীনে ঘর নির্মাণে প্রত্যেকে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছে। আমাদের ইউএনও-ডিসি সমস্ত কর্মচারীরা ছিল তারা কিন্তু অনেকে নিজেরা এগিয়ে এসেছে এই ঘরগুলো তৈরিতে সহযোগিতা করার জন্য। যারা ইট তৈরি করে তারাও এগিয়ে এসেছে, অল্প পয়সায় তারা ইট দিয়ে দিয়েছে। এভাবে সবাই। সবার সহযোগিতা, আন্তরিকতাটাই বেশি। কিন্তু এর মধ্যে দুষ্টু বুদ্ধির কিছু... এটাই হচ্ছে সবচেয়ে কষ্টকর। যখন এটা গরিবের ঘর, সেখানে হাত দেয় কীভাবে?’ সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি
ইসরায়েলে নতুন সরকার গঠনের জন্য ৮টি বিরোধী দল মিলে যে জোট গঠন করেছে, সে জোটের কঠোর সমালোচনা করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
সম্ভাব্য সরকার গঠন করতে এই জোটকে ঠেকিয়ে দিতে সংসদ সদস্যদের প্রতি তিনি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি দাবি করেছেন, এই জোট যে সরকার গঠন করতে যাচ্ছে, তা ইসরায়েলের জন্য ‘বিপজ্জনক’।
তিনি বলেন, পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের রাজনৈতিক দলগুলো মিলে যে জোট সরকার গঠনে সম্মত হয়েছে, সেটা ‘বামপন্থি’ সরকার। এই সরকার ইসরায়েলের ভবিষ্যতকে বিপদাপন্ন করে তুলবে। খবর বিবিসির।
প্রস্তাবিত সরকারের বিরুদ্ধে দেশের ডানপন্থিদের একজোট হওয়ার আহ্বানও জানিয়ে নেতানিয়াহু এক টুইট বার্তায় আরও বলেন, এটি (নতুন সরকার) হল ইসরায়েলবাসীর জন্য শতাব্দীর সবচেয়ে বড় প্রতারণা। এটি একটি বামপন্থি সরকার।
নেতানিয়াহু বলেন, নিশ্চিতভাবেই অদূর ভবিষ্যতে এর কারণে ইসরায়েলের সার্বভৌমত্ব ও জনগণের জীবন-নিরাপত্তা বিপন্ন হবে। আমি নেসেটের (ইসরায়েলের আইনসভা) ডানপন্থি সব সদস্যকে এই সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। এই বামপন্থিদের বিরুদ্ধে অবস্থা নিন।
এদিকে, নেতানিয়াহুকে সরিয়ে নতুন সরকার গঠন করতে জোট তৈরি করেছে ৮টি বিরোধী দল। ইয়ামিনা পার্টি ও ইয়েশ আটিডের নেতৃত্বাধীন এই জোটে যুক্ত হয়েছে একটি আরব দলও। ইসরায়েলের ইতিহাসে প্রথমবার এমন ঘটনা ঘটলো।
৮ দলের জোট সরকার গঠন করার লক্ষ্যে বুধবার রাতে ইসলামি আন্দোলনের দক্ষিণ শাখার রাজনৈতিক দল ইউনাইটেড আরব লিস্ট প্রধান মনসুর আব্বাসের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ইয়েশ আটিড দলের নেতা ইয়ার লাপিদ। তারা নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে একজোট হওয়ার লক্ষ্যেই জোট সরকার গঠন করতে যাচ্ছে।