a ওমিক্রন মোকাবেলায় ১ সপ্তা‌হের ম‌ধ্যে নতুন দিক-নির্দেশনা আসছে
ঢাকা সোমবার, ৭ পৌষ ১৪৩২, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

ওমিক্রন মোকাবেলায় ১ সপ্তা‌হের ম‌ধ্যে নতুন দিক-নির্দেশনা আসছে


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
মঙ্গলবার, ০৪ জানুয়ারী, ২০২২, ০৬:৫৪
ওমিক্রন মোকাবেলায় ১ সপ্তা‌হের ম‌ধ্যে নতুন দিক-নির্দেশনা আসছে

ফাইল ছবি

দে‌শে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন ঠেকাতে বেশ কিছু দিক-নির্দেশনা আরোপ করতে যাচ্ছে সরকার। আগামী সাত দিনের মধ্যে এ সংক্রান্ত নির্দেশ জারি করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

মন্ত্রিসভা বিভাগের সঙ্গে আলোচনার একদিন পর ওমিক্রন ঠেকাতে সরকারের নেওয়া সিদ্ধান্ত  গণমাধ্যমকে জানান মন্ত্রী।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা কেবিনেটের সঙ্গে গতকাল মিটিং করেছি। বেশ কিছু পরামর্শ ও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এগুলো এখনো ফাইনাল না। কেবিনেট থেকে এগুলো ফাইনাল করা হবে। এর আগে যে আলোচনা হয়েছে, করোনাভাইরাস রুখতে হবে একারনেই এ সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, যানবাহনে মাস্ক ছাড়া চলাচল করা যাবে না। যারা চলাচল করবেন তাদের জরিমানার মধ্যে পড়তে হবে। পরিবহনের মধ্যে বাস থাকবে, ট্রেন থাকবে এবং লঞ্চ থাকবে এটা একটা সিদ্ধান্ত মোটামুটি হয়েছে। আমাদের প্রস্তাবনায় রয়েছে। তারপর বাস এবং অন্যান্য যানবাহনে যাত্রী অর্ধেক নেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, রেস্টুরেন্ট-হোটেল সেখানেও মাস্ক পড়ে যেতে হবে। মাস্ক ছাড়া গেলে দোকানদারসহ উভয়ের ফাইন হবে। দোকানের সময়সীমাও কমিয়ে আনা হয়েছে। রাত ৮টা পর্যন্ত ১০টার পরিবর্তে, এটাও প্রস্তাব করা হয়েছে। টিকা নেওয়ার জন্য তাগাদা দেয়া হয়েছে। রেস্টুরেন্টে খেতে গেলে ভ্যাকসিন কার্ড অবশ্যই দেখাতে হবে।

স্কুল চলবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে। সংক্রমন বেশি বৃদ্ধি পেলে স্কুলের বিষয় চিন্তাভাবনা করা হবে, এটাকে চালানো যাবে কিনা। এখনো আমরা সে সিদ্ধান্ত নেইনি, সে পরিস্থিতি এখনো বিরাজ করছে না।

তিনি বলেন, অনেকে জিজ্ঞেস করে লকডাউন দেওয়া হবে কিনা, পাশের দেশে তো দিয়েছে। আমরা এখনো সে চিন্তা করছি না। যদি পরিস্থিতি হাতের বাহিরে চলে যায়, সংক্রমন অনেক বৃদ্ধি পায় তাহলে লকডাউনের চিন্তা মাথায় আছে। পাশাপাশি আমাদের বর্ডারগুলো স্ক্রিনিং আরো জোরদার করা হয়েছে এবং কোয়ারেন্টিনে যারা থাকবে তারা যাতে বাহিরে ঘোরাফেরা না করে এজন্য পুলিশ পাহারা দেওয়া হবে। এ বিষয়ে বিশেষ দৃষ্টি দিতে বলা হয়েছে।

‘ডিসি এসপিদের বলা হয়েছে তারা এ নির্দেশ যখন পাবে তা যেন দ্রুত বাস্তবায়ন করেন। আগে ১৫ দিন সময় দেয়ার কথা বলা হয়েছিলো কিন্তু আজ প্রপোজ করেছি ১৫ দিন নয় সাত দিন দেয়ার জন্য। এটা কেবিনেট সচিবকে বলা হয়েছে তিনিও একমত পোষণ করেছেন। এটা সাত দিন পরেই নির্দেশগুলো বাস্তবায়ন কার্যকর শুরু হবে।’

করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগের কথাও তুলে ধরেন তিনি।

জাহিদ মালেক বলেন, আপনারা জানেন যে পৃথিবীতে ওমিক্রন বৃদ্ধি পাচ্ছে, পাশের দেশেও বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমাদের দেশেও কিছু রোগী পাওয়া গেছে যারা ওমিক্রনে আক্রান্ত।  আমরা লক্ষ্য করছি সপ্তাহখানেক যাবত করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। গত ১০ দিন আগেও এটা ২০০ থেকে আড়াইশর মধ্যে ছিলো। গতকাল এটা পৌণে ৭শ হয়ে গেছে। যেভাবে বাড়ছে এটা আশঙ্কাজনক।’ সূত্র: যুগান্তর

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

লকডাউনের নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে অবকাঠামো নির্মাণ কাজ: ওবায়দুল কাদের


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
মঙ্গলবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২১, ০২:৩৩
লকডাউনের নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে অবকাঠামো নির্মাণ কাজ: ওবায়দুল কাদের

ওবায়দুল কাদের

অবকাঠামো নির্মাণ কাজ লকডাউনের নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং শতভাগ মাস্ক পরে এসব কাজ পরিচালনা করার নির্দেশ দেন।

ওবায়দুল কাদের আজ মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) সকালে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরে প্রকৌশলীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় একথা বলেন। তিনি তার বাসভবন থেকে সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।

সামনে বর্ষাকাল, তাই বর্ষা শুরু হবার আগেই নির্মাণাধীন কাজ এগিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, বর্ষার আগে কাজ করার এখনই উপযুক্ত সময়।

তিনি বলেন, ১৪ তারিখ থেকে শুরু হওয়া লকডাউনে সড়কে গণপরিবহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকার কারণে রাস্তা ফাঁকা থাকবে। তাই এই সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা মেরামত করে যান চলাচলের উপযোগী করতে হবে।

মন্ত্রী সামনে যেসব প্রকল্প গ্রহণের পরিকল্পনা রয়েছে তার পেপার ওয়ার্ক এখনই শেষ করার নির্দেশনা দিয়ে বলেন, যেন শুকনো মৌসুম এলেই নির্মাণ কাজ শুরু করা যায়।

বিগত কয়েক বছরে সড়ক যোগাযোগে বৈপ্লবিক পরিবর্তন হয়েছে এবং হচ্ছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন এসব কাজ আরও দ্রুত এগিয়ে নিতে হবে।

ঢাকা-কক্সবাজার সড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ কাজ সবচেয়ে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য মন্ত্রী সবাইকে তাগিদ দেন।

ওবায়দুল কাদের ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক চারলেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পটি বিষয়ে বলেন, এই প্রকল্প সিলেটবাসীর দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি, তাই এই প্রকল্পের কাজ দীর্ঘদিন ঝুলে থাকলেও সম্প্রতি এর গতি পেয়েছে।

মন্ত্রী প্রকল্প বাস্তবায়নকালে বা কাজ শুরু হওয়ার আগে জমি অধিগ্রহণের বিষয়টি দ্রুততার সাথে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আজ হিটলারের দেশ জার্মানীতে ঢুকে পড়ে সোভিয়েত বাহিনী


খোরশেদ আলম, সম্পাদক, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
মঙ্গলবার, ০২ মে, ২০২৩, ১০:২০
আজ হিটলারের দেশ জার্মানীতে ঢুকে পড়ে সোভিয়েত বাহিনী

ছবি সংগৃহীত

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষভাগে হিটলারের দেশ জার্মানীতে আজ ঢুকে পড়েছিল সোভিয়েত বাহিনী। আজ রাশিয়ার নামে বিশাল দেশটি সোভিয়েত আমলের বিশ্বাল সামাজ্যেরই একাংশ। বর্তমানে এই রাশিয়া তার অস্তিত্ব টেকানোর নামে ইউক্রেনে আক্রমণ করে এবং সীমান্ত ঘেষা ইউক্রেন যেন ন্যাটোতে যোগ না দেয় তার জন্য বিভিন্ন ছলাকলা কৌশল অবলম্বন করা সত্ত্বেও, ইউক্রেন কোনভাবেই রাশিয়ার কথা না শুনলে এবং পশ্চিমামুখী দেশগুলোর সাথে একাট্রা বাধলে গত বছরে ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ করে বসে। রাশিয়া তার সীমান্ত ঘেষা ৪টি প্রদেশ দখল করে তা নিজেদের সাথে একীভূত করে ডিক্রি জারি করে।

রাশিয়া মনে করেছিল আক্রমণের মাধ্যমে অল্প সময়ে তারা ইউক্রেনকে বাগে আনতে পারবে। কিন্তু ন্যাটো নামে যে বিশাল সংগঠন সে সংগঠনের অন্যতম শক্তি জার্মানী সব সময় ইউক্রেনকে সর্বতোভাবে সহযোগিতা করে আসছিল রাশিয়ার বিরুদ্ধে। তারা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঝাল মেটানোর জন্য রাশিয়াকে পর্যদুস্ত করতে ক্ষেত্র বিশেষে আমেরিকার, যুক্তরাজ্যের চেয়েও বেশি সহযোগিতা করছে ইউক্রেনকে। তাদের একটাই চাওয়া রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনকে জিতিয়ে নেওয়া।

পৃথিবীর অনেক মানুষ অনেক ইতিহাস ভুলে গেলেও জার্মানী তাদের স্থায়ীভাবে দাগাঙ্কিত কালিমা আজও মলিন হয়নি বলেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাতে এবং ইউক্রেণকে যে কোন মূল্যে জিতিয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়া।

সোভিয়েত বাহিনীর নিকট জার্মানীর পরাজয়ের ইতিহাসের সেই দিনটি আজ ২ মে। উল্লেখযোগ্য কী ঘটনা ঘটেছিল আজকের এই দিনে তা জানার চেষ্টা করবো। সময়টা ১৯৪৫ সাল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ একেবারে শেষের দিকে। জার্মানি-ইতালি-জাপানের সম্মিলিত শক্তিও চরমভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল। সেই ১৯৪৫ সালে এ দিনে জার্মানির রাজধানী বার্লিনে ঢুকে পড়ে সোভিয়েত রেড আর্মি। সোভিয়েত ইউনিয়নের বিশাল বাহিনীর মুখে আনুষ্ঠানিকভাবে পতন ঘটে জার্মানির একনায়ক অ্যাডলফ হিটলারের। আজও বিশেষজ্ঞরা মনে করেন সোভিয়েত বাহিনী যদি তৎকালীন সময়ে বার্লিনে না ঢুকতো, তাহলে জার্মানী তথা হিটলারের পতন সেভাবে নাও ঘটতে পারতো।

উল্লেখ্য, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আমেরিকার একক পরাশক্তির আত্বপ্রকাশ বিশ্ববাসী দেখে আসছে, হয়তোবা তারও পরিবর্তন সামনের দিনগুলোতে লক্ষ্য করবো ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধ পরবর্তীতে। আমরা আশা করবো, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পরিসমাপ্তি হয় যেন শান্তি আলোচনার মাধ্যমে অর্থাৎ হিরোশিমা এবং নাগাসাকির মতো কোন বড় ধরণের পারমানবিক অস্ত্র ব্যবহার না করে।


মোহা. খোরশেদ আলম
মহাসচিব
হিউম্যানরাইটস এন্ড এনভায়রমেন্ট ডেভোলপমেন্ট সোসাইটি(হিডস)

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - জাতীয়