a
ফাইল ছবি
দেশে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন ঠেকাতে বেশ কিছু দিক-নির্দেশনা আরোপ করতে যাচ্ছে সরকার। আগামী সাত দিনের মধ্যে এ সংক্রান্ত নির্দেশ জারি করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
মন্ত্রিসভা বিভাগের সঙ্গে আলোচনার একদিন পর ওমিক্রন ঠেকাতে সরকারের নেওয়া সিদ্ধান্ত গণমাধ্যমকে জানান মন্ত্রী।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা কেবিনেটের সঙ্গে গতকাল মিটিং করেছি। বেশ কিছু পরামর্শ ও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এগুলো এখনো ফাইনাল না। কেবিনেট থেকে এগুলো ফাইনাল করা হবে। এর আগে যে আলোচনা হয়েছে, করোনাভাইরাস রুখতে হবে একারনেই এ সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, যানবাহনে মাস্ক ছাড়া চলাচল করা যাবে না। যারা চলাচল করবেন তাদের জরিমানার মধ্যে পড়তে হবে। পরিবহনের মধ্যে বাস থাকবে, ট্রেন থাকবে এবং লঞ্চ থাকবে এটা একটা সিদ্ধান্ত মোটামুটি হয়েছে। আমাদের প্রস্তাবনায় রয়েছে। তারপর বাস এবং অন্যান্য যানবাহনে যাত্রী অর্ধেক নেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, রেস্টুরেন্ট-হোটেল সেখানেও মাস্ক পড়ে যেতে হবে। মাস্ক ছাড়া গেলে দোকানদারসহ উভয়ের ফাইন হবে। দোকানের সময়সীমাও কমিয়ে আনা হয়েছে। রাত ৮টা পর্যন্ত ১০টার পরিবর্তে, এটাও প্রস্তাব করা হয়েছে। টিকা নেওয়ার জন্য তাগাদা দেয়া হয়েছে। রেস্টুরেন্টে খেতে গেলে ভ্যাকসিন কার্ড অবশ্যই দেখাতে হবে।
স্কুল চলবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে। সংক্রমন বেশি বৃদ্ধি পেলে স্কুলের বিষয় চিন্তাভাবনা করা হবে, এটাকে চালানো যাবে কিনা। এখনো আমরা সে সিদ্ধান্ত নেইনি, সে পরিস্থিতি এখনো বিরাজ করছে না।
তিনি বলেন, অনেকে জিজ্ঞেস করে লকডাউন দেওয়া হবে কিনা, পাশের দেশে তো দিয়েছে। আমরা এখনো সে চিন্তা করছি না। যদি পরিস্থিতি হাতের বাহিরে চলে যায়, সংক্রমন অনেক বৃদ্ধি পায় তাহলে লকডাউনের চিন্তা মাথায় আছে। পাশাপাশি আমাদের বর্ডারগুলো স্ক্রিনিং আরো জোরদার করা হয়েছে এবং কোয়ারেন্টিনে যারা থাকবে তারা যাতে বাহিরে ঘোরাফেরা না করে এজন্য পুলিশ পাহারা দেওয়া হবে। এ বিষয়ে বিশেষ দৃষ্টি দিতে বলা হয়েছে।
‘ডিসি এসপিদের বলা হয়েছে তারা এ নির্দেশ যখন পাবে তা যেন দ্রুত বাস্তবায়ন করেন। আগে ১৫ দিন সময় দেয়ার কথা বলা হয়েছিলো কিন্তু আজ প্রপোজ করেছি ১৫ দিন নয় সাত দিন দেয়ার জন্য। এটা কেবিনেট সচিবকে বলা হয়েছে তিনিও একমত পোষণ করেছেন। এটা সাত দিন পরেই নির্দেশগুলো বাস্তবায়ন কার্যকর শুরু হবে।’
করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগের কথাও তুলে ধরেন তিনি।
জাহিদ মালেক বলেন, আপনারা জানেন যে পৃথিবীতে ওমিক্রন বৃদ্ধি পাচ্ছে, পাশের দেশেও বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমাদের দেশেও কিছু রোগী পাওয়া গেছে যারা ওমিক্রনে আক্রান্ত। আমরা লক্ষ্য করছি সপ্তাহখানেক যাবত করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। গত ১০ দিন আগেও এটা ২০০ থেকে আড়াইশর মধ্যে ছিলো। গতকাল এটা পৌণে ৭শ হয়ে গেছে। যেভাবে বাড়ছে এটা আশঙ্কাজনক।’ সূত্র: যুগান্তর
ফাইল ছবি
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের ভিড়ে বঙ্গবন্ধু সেতুতে রেকর্ড পরিমাণ টোল আদায় হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে প্রায় ৫২ হাজার যানবাহন অতিক্রম করেছে। এতে টোল আদায় হয়েছে দুই কোটি ৯৯ লাখ ১৮ হাজার টাকা। যা পূর্বের রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে। বুধবার (১২ মে) ভোর ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার (১৩ মে) ভোর ৬টা পর্যন্ত এ টোল আদায় হয়।
সেতু কর্তৃপক্ষের সূত্রে জানা যায়, পণ্যপরিবহনে নিয়োজিত যানবাহন, ট্রাক, পিকআপভ্যান, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেল সেতু দিয়ে পার হয়েছে তাদের থেকে আদায়ক আদায়কৃত টোলের পরিমান প্রায় দুই কোটি ৯৯ লাখ ১৮ হাজার টাকা যা বঙ্গবন্ধু সেতু চালু হওয়ার পর সর্বোচ্চ আদায়কৃত টোল।
অপরদিকে, আজ বৃহস্পতিবার মহাসড়কে ট্রাক, মাইক্রোবাস, পিকআপভ্যানসহ বিভিন্ন ব্যক্তিগত গাড়ির পাশাপাশি কিছু কিছু দূরপাল্লার বাস চলাচল করতেও দেখা যায়। বিগত কয়েকদিন তুলনায় এখন মানুষের চাপ অনেকটাই কম। রাস্তা প্রায়ই ফাকা।
ফাইল ছবি
রোজা রাখলে করোনার ঝুঁকি বেড়ে যায় এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সংস্থাটির গবেষকরা বলছেন, রোজা রাখার মাধ্যমে কেউ করোনার বিস্তার ঘটায় না। সুস্থ মানুষের জন্য রোজা রাখা নিরাপদ।
করোনাকালে রোজা শুরু হওয়ায় আগে জারি করা এক নির্দেশিকায় এসব কথা জানান ডব্লিউএইচওর বিশেষজ্ঞরা।
ডব্লিউএইচও আরও বলেছে, রোজা রাখার ফলে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায় এমন কোনো প্রমাণ নেই। যারা দীর্ঘ সময় ধরে করোনায় ভুগছেন তারাও রোজা রাখতে পারবেন। রোজা রাখা অবস্থায় তাদের উপসর্গ যদি গুরুতর আকার ধারণ করে, তাহলে তারা চিকিত্সকের সঙ্গে পরামর্শ নিয়ে ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী রোজা ভাঙতে পারেন।
৭ এপ্রিল জারি করা ওই বিশেষ নির্দেশনায় বলা হয়, দুঃখের বিষয় যে, চলতি বছর করোনা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। আমরা করোনায় অনেক মানুষকে হারিয়েছি। আরও অনেকে সংক্রমিত হচ্ছে। করোনা মহামারি এখন একটি বাস্তব হুমকি। তাই, এই রমজানে আমাদের আরও সচেতন থাকা জরুরি।