a
ফাইল ছবি । মাহবুব তালুকদার
করোনায় আক্রান্ত হয়ে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মাহবুব তালকুদার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
রবিবার তার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মুহাম্মদ এনাম উদ্দীন গণমাধ্যমকে বলেন, স্যার শনিবার রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। স্যারকে রাতে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছিল। এখন তাকে কেবিনে আনা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, শনিবার রাতে স্যারের হঠাৎ জ্বর আসে। পরে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ডাক্তার বলেছেন, স্যার বর্তমানে সুস্থ আছেন। স্যার সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।
চীনের উপহারের ৫ লাখ ডোজ করোনা ভাইরাসের টিকা ঢাকায় পৌঁছেছে। বুধবার (১২ মে) এ টিকা পৌঁছায় ভোর সাড়ে ৫টায়। এ বিষয়টি ঢাকার চীনা দূতাবাস গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছে।
চীনা দূতাবাস সূত্র জানায়, বিমান বাহিনীর একটি বিশেষ ফ্লাইট টিকা নিয়ে বেইজিং থেকে ভোর সাড়ে ৫টায় বাংলাদেশের ঢাকায় পৌঁছে। এদিন বেলা সাড়ে ১১টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় চীনের পক্ষ থেকে বাংলাদেশেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ টিকা হস্তান্তর করা হবে।
‘সিনোভ্যাক’ চীনের কোম্পানি সিনোফার্মের তৈরি করোনার টিকা -এর পাঁচ লাখ ডোজ বহন করে আনা বিমানবাহিনীর উড়োজাহাজটি অবতরণের পর বাংলাদেশ ও চীনের পতাকা সংবলিত একটি ব্যানার প্রদর্শন করেন কর্মকর্তারা। যেখানে বাংলা ও চীনা ভাষায় লেখা রয়েছে, ‘পাহাড় বাইয়া চলে ভালবাসার নৌকা।’
ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং গত সোমবার (১০মে) জানিয়েছিলেন, করোনা মহামারি মোকাবিলায় সহায়তা দেবে বাংলাদেশকে। এ লক্ষ্যে পাঁচ লাখ সিনোফার্ম টিকা দেবে। এ টিকা ১২ মে আসবে।
কয়েকদিন আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ টিকার অনুমোদন দিয়েছে বলে তিনি জানান ।
ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার সরবরাহ সংকটে টিকাদান কার্যক্রম নিয়ে জটিলতার মধ্যে দ্রুত রাশিয়া ও চীনের টিকার অনুমোদন দেশে দেওয়া হয়।
ফাইল ছবি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা ৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে দেখি বিমানবন্দরে বোর্ডিং ব্রিজ ছিল না, পার্কিং ছিল না। ২৯ বছর যারা ক্ষমতায় ছিলেন তারা দেশের মানুষকে কিছুই দিতে পারেনি। আমরা এদেশের মানুষকে সব দিয়েছি।
শনিবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনাল-৩ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৯৬ সালে আমি যখন সরকারে আসি তখন আমাদের বিমানবন্দরের কোনো বোডিং ছিল না, পার্কিং লোড ছিল না, কিছুই ছিল না। আমরা সরকারে এসেই বিমানবন্দরের উন্নয়নের উদ্যোগ নিয়েছিলাম। চট্টগ্রাম এবং সিলেট এই দুই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরও আমরা নির্মাণ করি। সেই সঙ্গে শাহজালাল বিমানবন্দরের উন্নয়নের প্রকল্পের কাজ গ্রহণ করি।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, মানুষের যোগাযোগ ব্যবসা-বাণিজ্য অর্থনীতি উন্নতির জন্য একান্ত অপরিহার্য। আধুনিক যুগের নৌপথ সড়ক পথ রেলপথের সঙ্গে সঙ্গে আকাশ পথ সেটাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বহন করে। বিশেষ করে, এদের সঙ্গে আমাদের যে যোগাযোগ সেই যোগাযোগের মূল বাহন হচ্ছে বিমান। অর্থাৎ আকাশ যাত্রাটা হচ্ছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সেটাকে গুরুত্ব দেই।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের বিমানবন্দর আরও পর্যাপ্ত আধুনিক, সুযোগ-সুবিধা যাতে সৃষ্টি হয়, তার জন্য আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছি। কারণ, আমাদের দেশ থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রবাসীরা বসবাস করে। তারা বিভিন্ন দেশে কাজ করে। আমাদের রেমিট্যান্স পাঠায়। তারাও যাতায়াত করে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন