a
ফাইল ছবি
এবার কোভিড-১৯ এর তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে রোগীরা দ্রুত মারা যাচ্ছেন বলে জানিয়েছে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)। শনিবার রাতে এক বুলেটিনে এ তথ্য জানায় সংস্থাটি।
এতে বলা হয়েছে, ২৮ জানুয়ারি থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত রোগীদের হাসপাতালে ভর্তির হার ছিল ৪৪ শতাংশ। যারা মারা গেছেন তাদের ৫২ শতাংশই উপসর্গ শুরু হওয়ার ৫ দিনের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।
করোনা আক্রান্তদের ৪৮ শতাংশই হাসপাতালে ভর্তির ৫ দিনের মাথায় মারা গেছেন। আর হাসপাতালে ভর্তির ৫ থেকে ১০ দিনের মারা গেছেন ১৬ শতাংশ রোগী। এছাড়া এবার গত বছরের তুলনায় নারীদের মৃত্যুহার বেড়েছে। সেই সঙ্গে বৃদ্ধি পেয়েছে মানসিক সমস্যা।
এতে আরও বলা হয়, কোভিড-১৯ মহামারিতে গত মার্চে মৃতের সংখ্যা ছিল ৬৩৮, যা এপ্রিলের প্রথম ১৫ দিনে এসে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৪১–এ। মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ দশমিক ২ শতাংশ।
ছবি সংগৃহীত
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ শনিবার ময়মনসিংহ যাচ্ছেন। পাঁচ বছর পর চতুর্থ বারের মতো প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে নগর জুড়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। দুপুর ১টায় প্রধানমন্ত্রী হেলিকপটারযোগে ময়মনসিংহ স্টেডিয়াম মাঠে অবতরণ করবেন, সেখান থেকে সার্কিট হাউজে এসে বিশ্রাম নেওয়ার পর দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী ময়মনসিংহ বিভাগ ও জেলার ৭৩টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন এবং ৩০টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। বেলা ৩টায় সার্কিট হাউজ মাঠে ময়মনসিংহ মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিভাগীয় জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখবেন তিনি।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর এই আগমনকে কেন্দ্র করে আনন্দ আর উচ্ছ্বাসের জোয়ারে ভাসছে গোটা ময়মনসিংহে। প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানাতে ব্যানার, পোস্টার আর ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে সার্কিট হাউজ ময়দানের জনসভাস্থলসহ ময়মনসিংহ নগরীর প্রতিটি সড়ক ও পাড়া-মহল্লা। বর্ণিল আলোকসজ্জা ও রংতুলির আঁচড়ে সজ্জিত হয়েছে নগরী। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থক ছাড়াও নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করতে অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছেন। জনসভাকে সফল করতে রাতদিন ব্যস্ত সময় পার করেছেন দলের স্থানীয় নেতৃবৃন্দসহ কর্মীরাও। ২০১৮ সালের ২ নভেম্বর সর্বশেষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ময়মনসিংহের সার্কিট হাউজ ময়দানের নির্বাচনি জনসভায় যোগ দিয়েছিলেন।
আজ প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় নেতাকর্মীদের আনতে আটটি বিশেষ ট্রেন বরাদ্দ দিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ঐ দিন সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ১০টার মধ্যে ময়মনসিংহ থেকে আটটি রেলপথে বিশেষ এসব ট্রেন চলবে বলে জানিয়েছেন ময়মনসিংহ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। সূত্র: ইত্তেফাক
ফাইল ছবি
আজ বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস। ‘প্রজন্মের জন্য নিরাপত্তা ও সুস্বাস্থ্য’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও আজ পালিত হচ্ছে ‘বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস’।
বাংলাদেশে ১৮ বছরের কম বয়সী ছেলে মেয়েদের শিশু বলা হয়। শিশু শ্রম বাংলাদেশের আইনে যেমন গর্হিতকাজ তেমনি বিশ্বের অন্যান্য দেশের কাছে শিশুশ্রম নিষিদ্ধ। প্রতিবছর ১২ জুন বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৮০টি দেশে আন্তর্জাতিক শিশু শ্রম দিবস পালিত হয়।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং আইএলও, সেইভ দ্যা চিলড্রেন, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরাম এবং ওয়ার্ল্ড ভিশন-এর সহযোগিতায় শিশুশ্রম প্রতিরোধে গণসচেতনতা বৃদ্ধিমূলক আলোচনাসভা, সারা দেশে পোস্টারিং এবং লিফলেট বিতরণসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয় এই দিবসকে ঘিরে । এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ দেশে প্রায় ৩৪ লাখের ও বেশি শিশু কাজে জড়িত তাদের ভিতর প্রায় ১৭ লাখই শিশু বাকিরা অনুমোদনযোগ্য।
১৯৫৯ সালে জাতিসংঘে শিশু অধিকার সনদ ঘোষণা করা হয়। বাংলাদেশ এই সনদে স্বাক্ষর করে। বর্তমান আইনে ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত শিশু হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। শিশু অধিকার সনদে ৫৪টি ধারা এবং ১৩৭টি উপ-ধারা আছে। এই উপ-ধারাগুলোতে বলা হয়েছে, শিশুদের ক্ষেত্রে কোন ধরনের বৈষম্য করা যাবে না। ২০০৬ সালের বাংলাদেশ শ্রম আইনের ১ থেকে ১৪ এবং ১৯৭৫ সালের শিশু আইনে বলা হয়েছে, শূন্য থেকে ১৬ বছরের শিশুদের ভারী কাজ করানো যাবে না।
আজকের শিশু আগামীদিনের কর্ণধার, তাই শিশুদেরকে যোগ্য করে গড়ে তুলতে হলে শিশু শ্রমপ্রতিরোধ করতে হবে এ জন্য এগিয়ে আসতে হবে সমাজের সচেতন নাগরিকদের। যেখানে শিশুদের হাতে থাকার কথা খাতা কলম সেখানে শিশুদের হাতে ভারীযন্ত্রপাতির ভার কখনো কাম্য নয় আমাদের সমাজ থেকে।
শিশুশ্রম নিরসনে নিরলস ভাবে যারা কাজ করে যাচ্ছেন তাদের প্রচেষ্টা সফল করতে আমাদের সকলের এগিয়ে আসা একান্ত কর্তব্য। শিশুরা হলো নিস্পাপ ফুলের মতন তাদেরকে দিয়ে ইটভাটা, ইটভাঙা, হোটেলে কাজ করানো, বাসের হেল্পার, লেগুনার হেল্পার হিসেবে কাজ করানোর মত ঝুকি বন্ধ করতে হবে তাহলে অতি শীগ্রই আমরা পাবো একটি সুন্দর সমাজ।