a ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ দুপুরে আঘাত হানতে পারে
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ৩ পৌষ ১৪৩২, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ দুপুরে আঘাত হানতে পারে


আবহাওয়া ডেস্ক:
বুধবার, ২৬ মে, ২০২১, ১০:১৭
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস দুপুরে আঘাত হানতে পারে

ফাইল ছবি

 

আজ বুধবার দুপুর নাগাদ ভারতের উত্তর ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে আঘাত হানতে পারে ইয়াস’ নামের প্রবল ঘূর্ণিঝড়টি। এদিকে সরাসরি বাংলাদেশে আঘাত না হানলেও এরই মধ্যে ভারি বর্ষণ ও জোয়ারের প্রভাবে দেশের উপকূলীয় জেলাগুলোর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করেছে। 

এর আগে গতকাল সন্ধ্যা নাগাদ ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ পৌঁছে গেছে ভারতের ওড়িশা উপকূলের আড়াই শ কিলোমিটারের মধ্যে। এ সময় ঘূর্ণিঝড়কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছিল।
 
এ বিষয়ে আবহাওয়ার এক বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমকালে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, ভোলা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর ও চট্টগ্রাম জেলা এবং অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোতে ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণের সঙ্গে ঘণ্টায় ৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটার বেগে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। 

এছাড়া পূর্ণিমার প্রভাবে উপকূলীয় জেলার নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে তিন থেকে ছয় ফুটের বেশি উচ্চতার জোয়ার প্লাবিত হতে পারে বলেও জানানো হয় বুলেটিনে।

এদিকে এরই মধ্যে ‘ইয়াস’র প্রভাবে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় জেলাগুলোতে ঝোড়ো বাতাস বয়ে যাচ্ছে। খুলনা, সাতক্ষীরা, পটুয়াখালী, বরিশাল, ভোলা, বরগুনাসহ বিভিন্ন জেলার নিচু এলাকা এবং চরাঞ্চলগুলোতে জোয়ারের পানি ঢুকে পড়েছে। কোনো কোনো এলাকার বাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে ঢুকতে শুরু করেছে পানি। অনেক স্থানে বেড়িবাঁধ উপচেও পানি ঢুকছে। বাঁধ না থাকা কিছু এলাকা এরই মধ্যে প্লাবিত হয়ে গেছে। এছাড়া নদ-নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে তিন-চার ফুট পানি বেড়েছে।
 
প্রসঙ্গত, ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়সহ পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও সরকারের বিভিন্ন দপ্তর ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। 

এ বিষয়ে গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয় জানায়, করোনা সংক্রমণের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ মোকাবেলায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে তিন গুণ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। শতভাগ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার প্রস্তুতি সরকারের রয়েছে।

আশ্রয়কেন্দ্রে স্বাস্থ্যবিধি মানা, সবার জন্য মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার নিশ্চিত করা হয়েছে। বুদ্ধপূণির্মা উপলক্ষে আজ সরকারি ছুটি থাকলেও উপকূলীয় এলাকাসহ সারা দেশের ঘূর্ণিঝড়সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের এনডিআরসিসি, সিপিপি অধিশাখা ও সংশ্লিষ্ট শাখাগুলো খোলা থাকবে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

মার্কিন কোম্পানিগুলোকে বিনিয়োগের প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
মঙ্গলবার, ০৬ এপ্রিল, ২০২১, ১১:১৬
মার্কিন কোম্পানিগুলোকে বিনিয়োগের প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ও বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশকে একটি প্রতিশ্রুতিশীল গন্তব্য অভিহিত করে সে দেশের কোম্পানিগুলোকে একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও একটি হাইটেক পার্কে বড় ধরনের বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছেন।

মঙ্গলবার ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল ভার্চুয়ালি উদ্বোধনকালে পাঠানো এক বার্তায় তিনি বলেন, আমরা আমেরিকান উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোর জন্য শিল্প-কারখানা স্থাপনের সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের প্রস্তাব দিচ্ছি। খবর বাসস

বাংলাদেশ এখন দেশি-বিদেশি বিনিয়োগে আইসিটি শিল্পের জন্য ২৮টি হাইটেক পার্ক স্থাপন করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা মার্কিন কোম্পানিগুলোকে একটি হাইটেক পার্ক নির্মাণের মাধ্যমে আইসিটি খাতে বিনিয়োগের প্রস্তাব দিচ্ছি।

তিনি বলেন, এটি গুরুত্বপূর্ণ যে, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য আরো সম্প্রসারণের লক্ষ্যে উভয় দেশেরই পর্যাপ্ত নীতিগত সমর্থন রয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, দ্রুত বর্ধনশীল অভ্যন্তরীণ বাজার এবং ৪ বিলিয়ন ভোক্তার বিরাট আঞ্চলিক বাজারের সাথে বর্ধনশীল যোগাযোগ ব্যবস্থা-এ দেশকে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসা ও বিনিয়োগের জন্য একটি প্রতিশ্রুতিশীল গন্তব্যে পরিণত করেছে।

তিনি বলেন, আমরা বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য টেকসই ভৌত-অবকাঠামো, আইনি ও আর্থিক সুবিধা দিচ্ছি। আমার সরকার বাংলাদেশে দ্রুত শিল্পায়ান ঘটাতে ১০০টি ‘বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল’ স্থাপন করছে। আর আমাদের দেশের গণতন্ত্র ও উন্নয়নের পথ যাত্রায় যুক্তরাষ্ট্র সব সময়ই একটি শক্তিশালী অংশীদার হিসেবে আমাদের পাশে থেকেছে। এটা আমাদের রপ্তানির সর্ববৃহৎ গন্তব্য, সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের বৃহত্তম উৎস, আমাদের দীর্ঘ-দিনের উন্নয়ন অংশীদার এবং প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস।

বাংলাদেশ প্রায় ৮ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করে, যার ৮০ শতাংশই তৈরি পোশাক উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের রপ্তানিকারকরা গড়ে ১৬ শতাংশ শুল্ক দেয়। আমরা যুক্তরাষ্ট্র থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সুতা, সয়াবিন ও গমের মতো শিল্প-কাঁচামাল ও ভোগ্য-পণ্য ক্রয় করি। বাংলাদেশে এই সব পণ্য বিনা-শুল্কে আমদানি হয়। বিদেশি সাহায্যের উপর বাংলাদেশের নির্ভরশীলতা উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পাওয়ার সাথে সাথে আমাদের দেশের লাখো তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশে আমাদের রূপকল্প ২০২১ এর একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। আর এক্ষেত্রে সরকারি কাজে জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে প্রযুক্তির ব্যবহার সক্ষম একটি আধুনিক বাংলাদেশের রূপকল্প পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে সহায়তার জন্য আমি আমার আইসিটি উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদকে ধন্যবাদ দিতে চাই।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ আজ বিশ্বের ৬০টি দেশে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি আইসিটি পণ্য রপ্তানি করে। এই দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি আইসিটি পণ্য রপ্তানি হয়। ইউএসএইড’এস প্রাইভেট সেক্টর এসেসমেন্ট ২০১৯ ফর বাংলাদেশ-এর মতে-আইসিটি শিল্প ২০২৫ সাল নাগাদ প্রায় ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছবে।

ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের উদ্বোধনী আয়োজনে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ অংশ নেয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মার্কিন ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের এই অংশ গ্রহণ বাংলাদেশে ব্যবসা ও বিনিয়োগের ব্যাপারে তাদের ক্রমবর্ধমান ইচ্ছার বহিঃপ্রকাশ। আমি আশা করছি, এটা আমাদের দু’দেশের মধ্যকার অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বকে আরো সম্প্রসারিত করতে সহায়ক হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার সরকার আগামী দিনগুলোতে ইউএস-বাংলাদেশে বিজনেস কাউন্সিলের কর্মকাণ্ডে অব্যাহতভাবে সমর্থন দিয়ে যাবে।

শেখ হাসিনা বলেন, কাউন্সিলের যাত্রা এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে যখন আমরা বাংলাদেশের গৌরবময় স্বাধীনতার পঞ্চাশতম বার্ষিকী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করছি।

তিনি আরও বলেন, ১৯৭১ সালে ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে ৩০ লাখ শহীদদের জীবন এবং ২ লাখ নারীর সম্ভ্রমের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের ধ্বংসস্তুপের উপরে সমৃদ্ধ বাংলাদেশের ভিত্তি রচনা করেছিলেন।

এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দারিদ্র্য, শোষণ ও অর্থনৈতিক বৈষম্যমুক্ত তার স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নের অসমাপ্ত কাজ হাতে নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, গত এক দশকে আমরা আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছি। বাংলাদেশের অর্থনীতির শক্তি এখন বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। কোভিড-১৯ মহামারী চলাকালীনও আমাদের অর্থনীতি দুর্দান্ত স্থিতিস্থাপকতা দেখিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তোরণে গত ফেব্রুয়ারিতে জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ লাভ করে। এখন ২০৪১ সালের মধ্যে উচ্চ-আয়ের উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হওয়ার লক্ষ্য অর্জনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে বাংলাদেশ। সূত্র:সমকাল

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

বিজিবিকে সততার সাথে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
রবিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২১, ০৪:৫৪
বিজিবিকে সততার সাথে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী

ফাইল ছবি

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের দেশপ্রেম, সততা ও শৃঙ্খলার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আপনাদের কাছে আমার প্রত্যাশা— আপনারা দেশপ্রেম, সততা ও শৃঙ্খলার সঙ্গে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করবেন।

রোববার সকালে ‘বিজিবি দিবস-২০২১’ উদযাপনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

রাজধানীর পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিজিবি সদস্যদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মনে রাখবেন— শৃঙ্খলা ও চেইন অব কমান্ড বাহিনীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি। কখনও শৃঙ্খলার ব্যাঘাত ঘটাবেন না। তাতে নিজেদেরই ক্ষতি। চেইন অব কমান্ড মেনে চলবেন। কর্তৃপক্ষের আদেশ মেনে চলা শৃঙ্খলা বাহিনীর অবশ্য কর্তব্য।

তিনি আরও বলেন, আমার বিশ্বাস— জাতির পিতার প্রত্যাশিত আধুনিক সীমান্তরক্ষী বাহিনী হিসেবে বিজিবি এগিয়ে যাবে তার অভীষ্ট লক্ষ্যে ও দেশের মানুষের আস্থার প্রতীক হয়ে সীমান্তের অতন্দ্রপ্রহরী হিসেবে অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখবে।

প্রধানমন্ত্রী বিজিবি সদস্যদের কুচকাওয়াজ প্রত্যক্ষ করেন। এ সময় তাকে একটি সুসজ্জিত দল অভিবাদন জানায়।

প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বিজিবি সদস্যদের বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি পদক বিতরণ করেন। অনুষ্ঠানে বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

সর্বশেষ - জাতীয়