a
চীন থেকে আরও ৫৪ লাখ ডোজ সিনোফার্মের টিকা দেশে পৌঁছেছে। চীন থেকে এক সঙ্গে এই প্রথম এত টিকা দেশে আসলো।
শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে এসব টিকা ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়। বিমানবন্দরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা চীন থেকে আসা টিকা গ্রহণ করেন।
এর আগে শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে এক ফেসবুক পোস্টে ঢাকায় নিযুক্ত চীনা দূতাবাসের ডেপুটি প্রধান এবং মন্ত্রী কাউন্সিলর হুয়ালং ইয়ান এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, বাংলাদেশের কৌশলগত অংশীদার হিসেবে চীন সর্বদা বাংলাদেশি বন্ধুদের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য সরবরাহকারী হিসেবে পাশে থাকবে। তাদের যখনই প্রয়োজন হবে তখনই আমরা পাশে দাঁড়াবো।
বাংলাদেশ ফিলিস্তিনের পাশে আছে এবং সহযোগিতা করে যাবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনের শুরুতে সদ্যপ্রয়াত সংসদ সদস্যদের ওপর আনা শোক প্রস্তাবের আলোচনা অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ কথা জানান।
জাতীয় সংসদে উত্থাপিত শোক প্রস্তাবে প্যালেস্টাইনের ওপর ইসরায়েলের হামলায় নিহতদের প্রতি শোক প্রকাশ করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্যালেস্টাইনে যে ঘটনা ঘটেছে সেটা সত্যি অমানবিক। ছোট ছোট শিশুদের ওপর অত্যাচার। সেই শিশুদের যে কান্না, তাদের সেই আর্তনাদ, মাতৃ-পিতৃ হারানোর বেদনা সহ্য করার মতো না। ইসরায়েল কর্তৃক একের পর এক হত্যাযজ্ঞ। এর আগেও এভাবে তারা হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। এই হত্যাযজ্ঞের তীব্র নিন্দা জানাই। যারা মারা গেছেন তাদের আত্মার মাকফেরাত কামনা করি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, ছোট শিশুরা আহত হয়, তাদের ওপর অত্যাচার-জুলুম; তারা মা-বাবা হারিয়েছে, সত্যি খুব দুঃখজনক। এখানে যারা মানবতার এতো কথা বলে, এসময় তারা অনেকেই চুপ থাকে কেন? আন্তর্জাতিক অনেকে আছে এখন আর কথা বলে না, সেটাই আমার প্রশ্ন। আমরা প্যালেস্টাইনি ভাই-বোনদের সঙ্গে সব সময়ই আছি।
আমরা ফিলিস্তিনিদের সব ধরনের সহযোগিতা অতীতেও করেছি, এখনও করে যাচ্ছি এবং ভবিষ্যতেও করে যাব।
আসন্ন ২০২১-২২ অর্থবছর থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা ৬৬.৬৬ শতাংশ বা দুই-তৃতীয়াংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে এটাই সবচেয়ে লক্ষণীয় মাত্রায় মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তবে আসন্ন বাজেটে এই ভাতার বৃদ্ধির কারণে বরাদ্দ তেমন একটা বাড়ছে না। মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের নতুন তালিকায় পূর্বের প্রায় ২৩.২৭ শতাংশ নাম বাতিল হওয়ায় নতুন করে অধিক বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে না।
এই খাতে ব্যয়ের লক্ষ্যে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৩২’শ কোটি টাকা, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ২ হাজার ৯৯৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা এবং ২০১৯-২০ ও ২০২০-২১ অর্থবছরে বছর প্রতি ৩ হাজার ৩৮৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ফেব্রুয়ারিতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা প্রদানের এক অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা ১২ হাজার টাকা থেকে ২০ হাজার টাকায় উন্নীত করার ঘোষণা দেন। আসন্ন অর্থবছর থেকেই নতুন ভাতা প্রদান শুরু করা হবে।
ওই সময় পর্যন্ত সরকারের নথিভুক্ত ২ লাখ ৫ হাজার ২০৬ জন মুক্তিযোদ্ধা সরকারি ভাতা পেয়ে আসছিলেন। এর মধ্যে শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারগুলো মাসিক ৩০ হাজার টাকা এবং যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধারা মাসিক ২৫ হাজার টাকা করে ভাতা পাচ্ছেন।
এদিকে সাত বীরশ্রেষ্ঠের পরিবারগুলো মাসিক ৩৫ হাজার টাকা করে ভাতা পাচ্ছেন। এছাড়া বীর উত্তমদের জন্য ২৫ হাজার টাকা, বীর বিক্রমদের জন্য ২০ হাজার টাকা, বীর প্রতিকদের ১৫ হাজার টাকা এবং অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধারা ১২ হাজার টাকা করে ভাতা পেয়ে আসছেন।
মাসিক ভাতার পাশাপাশি যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধারা বিনা খরচে চিকিৎসা সেবাসহ সব মুক্তিযোদ্ধারা বছরে পাঁচটি উৎসব ভাতা পেয়ে আসছেন।