a চীনের ৫৪ লাখ ডোজ সিনোফার্মের টিকা দেশে পৌঁছেছে
ঢাকা মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ২৫ নভেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

চীনের ৫৪ লাখ ডোজ সিনোফার্মের টিকা দেশে পৌঁছেছে


স্বাস্থ্য ডেস্ক: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
শনিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০৩:৫৩
চীনের ৫৪ লাখ ডোজ সিনোফার্মের টিকা দেশে পৌঁছেছে

চীন থেকে আরও ৫৪ লাখ ডোজ সিনোফার্মের টিকা দেশে পৌঁছেছে। চীন থেকে এক সঙ্গে এই প্রথম এত টিকা দেশে আসলো।

শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে এসব টিকা ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়। বিমানবন্দরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা চীন থেকে আসা টিকা গ্রহণ করেন।

এর আগে শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে এক ফেসবুক পোস্টে ঢাকায় নিযুক্ত চীনা দূতাবাসের ডেপুটি প্রধান এবং মন্ত্রী কাউন্সিলর হুয়ালং ইয়ান এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, বাংলাদেশের কৌশলগত অংশীদার হিসেবে চীন সর্বদা বাংলাদেশি বন্ধুদের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য সরবরাহকারী হিসেবে পাশে থাকবে। তাদের যখনই প্রয়োজন হবে তখনই আমরা পাশে দাঁড়াবো।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

রাজনৈতিক অভিলাষ চরিতার্থে ব্যবহৃত হবেন না: মাদ্রাসা শিক্ষক-ছাত্রদের উদ্দেশ্যে তথ্যমন্ত্রী


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
রবিবার, ২৮ মার্চ, ২০২১, ০৯:২২
রাজনৈতিক অভিলাষ চরিতার্থে ব্যবহৃত হবেন না: মাদ্রাসা শিক্ষক-ছাত্রদের উদ্দেশ্যে তথ্যমন্ত্রী

ফাইল ছবি: ড. হাছান মাহমুদ

কোনো বক্তি বা গোষ্ঠীর রাজনৈতিক অভিলাষ চরিতার্থের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত না হতে মাদ্রাসা শিক্ষক-ছাত্রদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা ও সরকারি সম্পত্তি রক্ষার দায়িত্ব পালনে সরকার যে কোনো নৈরাজ্য দমনে বদ্ধপরিকর। 

আজ দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এ আহ্বান জানান মন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস পালন না করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমনকে অজুহাত বানিয়ে দেশ, রাষ্ট্র ও জনগণের সম্পত্তির ওপর আক্রমণ ও আগুন দিয়ে দেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার পেছনে রাজনৈতিক অসৎ উদ্দেশ্য রয়েছে। 

ড. হাছান বলেন, কোমলমতি শিশু-কিশোরদেরকে রাজনৈতিক ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা, রাজনৈতিক হাঙ্গামার মধ্যে ঠেলে তাদের দিয়ে সরকারি সম্পত্তিতে আগুন দেয়া অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক, অগ্রহণযোগ্য এবং দুষ্কৃতিকারি মনোবৃত্তি।

মন্ত্রী বলেন, আমি কওমী মাদ্রাসার সাথে যুক্ত সকলকে অনুরোধ জানাবো, যেসব ব্যক্তি তাদের রাজনৈতিক অভিলাষ চরিতার্থ করতে আপনাদের ব্যবহারের অপচেষ্টা করছে, ব্যবহার করছে, তাদেরকে বর্জন করুন, তাদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হবেন না এবং শিশু-কিশোরদেরকে ব্যবহার করবেন না। 

কওমী মাদ্রাসার কল্যাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বহু কাজ করেছে এবং ইসলামের খেদমতে তিনি যে সমস্ত কাজ করেছেন অতীতে তা কেউ করেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশে এই কওমী মাদ্রাসার স্বীকৃতি দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। 

প্রায় ১ লাখ মসজিদে স্থাপিত মক্তবের আলেমদের প্রতিমাসে সাড়ে ৪ হাজার টাকা করে ভাতাও তিনি চালু করেছেন। সারাদেশে প্রতিটি উপজেলায় একটি করে মসজিদ নির্মাণ প্রকল্পও তিনি বাস্তবায়ন করে চলেছেন এবং শুধু কওমী মাদ্রাসার স্বীকৃতি দিয়েই বঙ্গবন্ধুকন্যা ক্ষান্ত হননি বরং সেখান থেকে পাস করা অনেককে সরকারি চাকুরিও দিয়েছেন। এর আগে পঁচাত্তরের পরের অন্য সরকারগুলো তাদের পাশে বসিয়ে মুরগির কল্লা-মাছের মাথাই খাইয়েছেন, স্বীকৃতি দেননি। সূত্র:বাসস

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

সাগরেও চলছে মাছের ‘লকডাউন’!


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
সোমবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২১, ০৮:০৫
সাগরেও চলছে মাছের লকডাউন

ফাইল ছবি

বাংলাদেশসহ সারা পৃথিবী জুড়ে আবারো মৃত্যুর মিছিল চলছে করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ে। করোনার ভয়াবহতারোধে কঠোর লকডাউন চলছে সারাদেশে। অকারণে ঘর থেকে বের হওয়া মানা। সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নে শৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে কঠোরতা দেখাচ্ছে। এরপরও কারণে-অকারণে অতি উৎসাহী মানুষ বাসা থেকে বের হচ্ছেন।

করোনাকালে স্থলে এ পরিস্থিতি হলেও সাগরে মাছদের মাঝেও যেনো কঠোর লকডাউন চলছে! লাখ টাকা খরচ করে জেলেরা সাগরে গেলেও জালে কাঙ্ক্ষিত মাছ ধরা পড়ছে না। এখানে-সেখানে সপ্তাহ খানেক জাল ফেলেও মাছের দেখা না পেয়ে খালি ট্রলার নিয়ে অনেকে তীরে ফিরছেন। এতে রমজানের কারণে বাড়তি চাহিদা থাকলেও বাজারে মাছের দেখা নেই। কোনো কোনো ট্রলারের ভাগ্যে জুটা যৎসামান্য মাছ, যা আগুন লাগা দামে বিক্রি হচ্ছে। 

জেলেদের দাবি, সাগরে মাছের আকাল চলছে গত কয়েক মাস ধরে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, মাছ সংকটে বাড়তি দামে লোক হয়রানি যেমন হচ্ছে তেমনি লোকসানও তাদের গুনতে হচ্ছে। কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সাগরে যাওয়া ট্রলার গুলো বাঁকখালী নদীর তীরে ফিরছে। কিছু কিছু ট্রলারে মাছ নামলেও পরিমাণ একেবারে কম। আবার অনেকে খালি ট্রলার নিয়েই ফিরেছেন।

জেলেরা বলছেন, সাগরে মাছের আকাল চলছে। জাল ফেলেও মাছের দেখা মিলছে না। ফলে ট্রলারে খাবার শেষ হয়ে যাওয়ায় যা পেয়েছি তা নিয়ে বা খালি ঘাটে ফিরতে বাধ্য হচ্ছেন।

এফবি আল্লাহর দান ট্রলারের মাঝি ইমরান বলেন, গত বছর এই সময় সাগরে মাছ শিকারে গিয়ে ইলিশ পেয়েছিলাম ৫ হাজার। কিন্তু গত ১২ দিন সাগরে মাছ শিকার করে মাত্র ৩০০টি ইলিশ পেয়েছি। অবশেষে খাদ্য শেষ হয়ে যাওয়ায় বাধ্য হয়ে ফিশারি ঘাটে ফিরতে হয়েছে।

মো. নয়ন নামে আরেক জেলে বলেন, ট্রলার মালিক ২ লাখ টাকার রসদে ১৫ জন জেলে দিয়ে মাছ শিকারে পাঠিয়েছিলেন সাগরে। কিন্তু ১৫ দিন সাগরে জাল ফেলে আশানুরূপ মাছ ভাগ্যে জুটলো না। অল্প পরিমাণ মাছ পেয়েছিলাম, যা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে এনে বিক্রি করে টাকা পেয়েছি মাত্র ৪০ হাজার। এতে ট্রলার মালিকের লোকসান হয়েছে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। এখন আর ট্রলার মালিক Mb সাগরে পাঠাচ্ছেন না।

নুনিয়ারছড়া এলাকার মৎস্য ব্যবসায়ী নাঈম উদ্দিন বলেন, কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র প্রতিদিন সকাল-বিকাল সামুদ্রিক মাছে প্রায় ভরা থাকে। কিন্তু এখন অবতরণ কেন্দ্রে মাছের আকাল।

মৎস্য ব্যবসায়ী জয়নাল আবেদীন হাজারী বলেন, মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে দাম বেড়ে যায় মাছের অবতরণ কম হলে। ট্রলার গুলো যেভাবে খালি ফিরে আসছে তাতে মনে হচ্ছে সাগরে মাছের লকডাউন চলছে। যতোসামান্য যা মাছ মিলছে তা লকডাউনের কঠোরতা হয়তো না মেনে বের হয়ে জালে আটকা পড়ছে। স্থল ও জলে একই পরিস্থিতি বিরাজ করায় ভুগছে সাধারণ মানুষ আর লোকসান গুনছেন ট্রলার মালিক এবং আগাম দাদন দেয়া ব্যবসায়ীরা। আয় বন্ধ হওয়ায় শ্রমিকসহ অবতরণ কেন্দ্র কেন্দ্রীয় কর্মজীবীরা ভুগছেন।

আরেক ব্যবসায়ী শামসুল আলম বলেন, একে তো মাছের পরিমাণ কম, তার উপর কঠোর লকডাউন। সব মিলিয়ে আমরা মহাবিপদে রয়েছি।

ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম বলেন, এক কেজি ইলিশের দাম এক হাজার টাকা পড়ছে, রিটা (গুইজ্জা মাছ) বিক্রি হচ্ছে ৪‘শ টাকা, সুরমা সাড়ে ৫‘শ টাকা, চাপা ৩‘শ টাকা ও টুনা ২‘শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সব ধরণের মাছে বাড়তি দাম ৫০ থেকে ১০০-১৫০ টাকা।

মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের মার্কেটিং কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, সাগরে মাছের আকাল চলায় জেলেদের মাছ শিকারে অনেক ট্রলার মালিক পাঠাচ্ছেন না। ফলে রাজস্ব আদায় কম হচ্ছে। গত বছর কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে ফেব্রুয়ারি, মার্চ ও ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত প্রায় ২ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন সামুদ্রিক মাছ অবতরণ হয়েছিল। সে হিসাবে গত বছরের এ সময়ে প্রায় সাড়ে ২৪ লাখ টাকা সরকারি রাজস্ব আয় হয়েছে।

কিন্তু এ বছর একই সময়ে গত রবিবার (১৮ এপ্রিল) পর্যন্ত ১ হাজার ৬০১ মেট্রিক টন মাছ অবতরণ হয়েছে। আর রাজস্ব সাড়ে ১৪ লাখ টাকা আয় হয়েছে। এতে ঘাটতি পড়েছে রাজস্ব আয়ে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - জাতীয়