a
ফাইল ছবি
ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাই কমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট। রবিবার (১৪ আগস্ট) সকালে তিনি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান। এসময় তাকে অভ্যর্থনা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মিশেল ব্যাচেলেট প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, জাতীয় মানবাধিকার সংস্থা, এনজিও, একাডেমিয়া, সুশীল সমাজসহ অন্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। এছাড়া তিনি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করবেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনারের সফরকে একটি সুযোগ হিসেবে দেখছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। তাদের দাবি, এ সুযোগে মানবাধিকার বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ব্যাখ্যা করবে সরকার। মানবাধিকার ঠিক রেখে বাংলাদেশের উন্নয়নের অবস্থা তুলে ধরা হবে । সূত্র: ইত্তেফাক
ফাইল ছবি । পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন
আফগানিস্তানের কিছু মানুষকে বাংলাদেশে আশ্রয় দিতে যুক্তরাষ্ট্র অনুরোধ করেছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি জানান, বাংলাদেশ সরকার সেই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে।
আজ সোমবার রাতে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘প্রথমে ওয়াশিংটনে আমাদের রাষ্ট্রদূতের কাছে এবং পরে ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত কিছু আফগান নাগরিককে সাময়িকভাবে বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়ার অনুরোধ করেন।
আমরা জানতে চেয়েছিলাম, কোন কোন দেশকে তারা এ অনুরোধ জানিয়েছে। কত আফগান নাগরিককে কত দিনের জন্য রাখতে হবে। এ বিষয়ে তারা কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি।’
‘এমনিতেই ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ সমস্যা আছে। নতুন করে কোনো দেশের লোকজনকে আশ্রয় দেওয়ার সুযোগ বাংলাদেশের নেই। তাই আমরা যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবটি নাকচ করে দিয়েছি’,- বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এর আগে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা জনতার সরকারে বিশ্বাস করি। আমরা সেই সরকারকে বিশ্বাস করি, জনগণ যাকে পছন্দ করে। আমরা গণতান্ত্রিক সরকারে বিশ্বাসী। যদি তালেবান সরকার তার জনগণের সমর্থিত সরকার হয়, তাহলে বাংলাদেশের দরজা অবশ্যই খোলা থাকবে।’
অপরদিকে এক বিবৃতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, আফগানিস্তানের পরিবর্তনশীল পরিস্থিতি সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বাংলাদেশ, যা আঞ্চলিক বা তার বাইরেও প্রভাব ফেলতে পারে।
সংগৃহীত ছবি
সিরিয়ায় জঙ্গি তৎপরতা বন্ধে সহযোগিতার প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করেছে ইরান, তুরস্ক ও রাশিয়া।
বৃহস্পতিবার কাজাখস্তানের রাজধানী নুর সুলতানে ১৬তম দফার বৈঠকে সিরিয়ায় জঙ্গিবাদ নির্মূলে একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিন দেশ। খবর-পার্সটুডের
বৈঠকে তারা বলেছেন, সিরিয়া থেকে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের শেকড় উপড়ে ফেলতে তারা বদ্ধপরিকর এবং এ লক্ষ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। সিরিয়া বিষয়ক প্রথম আলোচনা শুরুর সময় কাজাখস্তানের রাজধানীর নাম ছিল আস্তানা। পরবর্তীতে শহরটির নাম পরিবর্তন করে নুর সুলতান রাখা হয়। এ কারণে তিন দেশের এই আলোচনা প্রক্রিয়াটি এখনও 'আস্তানা আলোচনা' নামেই বেশি পরিচিত।
এই তিন দেশ প্রকাশিত এক যৌথ বিবৃতিতে আরও বলেছে, সিরিয়ায় জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস বা দায়েশসহ অন্যান্য সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর মূল উৎপাটন করতে হবে। এ কারণে পারস্পরিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখা জরুরি।
বিবৃতিতে তিন দেশই সিরিয়ার ইদলিবে স্থিতিশীলতা রক্ষা এবং সব চুক্তি পুরোপুরি বাস্তবায়নের ওপর জোর দিয়েছে। এসব দেশ সিরিয়ার ইউফ্রেটিস নদীর পূর্বাঞ্চলকে বিচ্ছিন্ন করার পরিকল্পনারও বিরোধিতা করেছে।
ইরান, রাশিয়া ও তুরস্ক ওই বিবৃতিতে আরও বলেছে, তারা সিরিয়ার তেলসহ কোনো সম্পদ লুট, বিক্রি ও স্থানান্তরের বিরোধী। সিরিয়ার সম্পদ কেউ নিতে পারবেনা।
সিরিয়ার ভূখণ্ডে ইসরায়েলি হামলা বন্ধের ওপরও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বিবৃতিতে। এতে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে সিরিয়ায় মাঝে মধ্যেই হামলা চালাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। এ ধরনের তৎপরতা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। চলতি ২০২১ সালের শেষের দিকে পরবর্তী দফা আস্তানা আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।