a
ফাইল ছবি
ঢাকায় ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলছে দেশের অন্যান্য স্থানের তুলনায়। প্রতিবছর গ্রীষ্মকালে ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়লেও এবার গরম শুরুর আগেই দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ার খবর আসছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগনিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক মো. নাজমুল ইসলাম।
রোববার অধিদপ্তরের ভার্চ্যুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিনে তিনি বলেন, ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ঢাকা মহানগরীতে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ডায়রিয়া রোধ করা যায় উল্লেখ করে অধ্যাপক নাজমুল বলেন, ডায়রিয়া রোধ করতে বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। রান্নাসহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করতে হবে জীবাণুমুক্ত পানি।
তিনি আরও বলেন, ডায়রিয়াজনিত রোগ চলে যায়নি। আমরা একে মোকাবিলা করতে চাই। ডায়রিয়া শুরু হলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
ফাইল ছবি । প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
দেশে গত ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯৬ লাখ ৫৪ হাজার ১১৯ ডোজ করোনাভাইরাসের টিকার মজুদ ছিল বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার জাতীয় সংসদে পিরোজপুর-৩ আসনের জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ডা. রুস্তম আলী ফরাজীর প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য তুলে ধরেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ১৮ বছরের বেশি সব বাংলাদেশি নাগরিককে করোনার টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। সেজন্য বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা থেকে টিকা সংগ্রহের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
তিনি জানান, ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দুই কোটি নয় লাখ ২২ হাজার ৭১৫ জনকে প্রথম ডোজ এবং তাদের মধ্যে এক কোটি ৩৮ লাখ ৫৫ হাজার ৪৬ জনকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে দেওয়া হয়েছে মোট তিন কোটি ৪৭ লাখ ৭৭ হাজার ৭৬১ ডোজ টিকা।
বর্তমানে সাধারণভাবে ২৫ বছর ও তার বেশি বয়সিদের টিকা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া শিক্ষার্থীরা ১৮ বছর বয়স হলেই টিকার জন্য নিবন্ধন করতে পারছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে মোট জনসংখ্যার ৫০ শতাংশকে টিকার আওতায় আনার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুসরণ করে ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, টিকা সংগ্রহের জন্য সম্ভাব্য সব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সরকারের গৃহীত এ সব কার্যক্রমের ফলে এ পর্যন্ত ২৪ কোটি ৬৫ লাখ ১৩ হাজার ৬৬০ ডোজ টিকা সংগ্রহের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সংগৃহীত ছবি
বাড়ছে বিশ্বের তাপমাত্রা। এই পরিস্থিতিতে আরও চিন্তা বাড়াচ্ছে জয়বায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল আইপিসিসি’র সাম্প্রতিক রিপোর্ট।
জানা গেছে, ওই রিপোর্টে সাফ বলা হয়েছে- যে হারে সমুদ্রের পানির স্তর বাড়ছে তাতে কয়েক বছরের মধ্যেই পানিতে তলিয়ে যেতে পারে ভারতের ১২টি উপকূলবর্তী শহর। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য মুম্বাই, চেন্নাই, কোচি, বিশাখাপত্তনম। প্রায় তিন ফুট পানির নিচে চলে যেতে পারে এই শহরগুলো। খবর জি নিউজের।
জানা গেছে, উষ্ণায়নের ফলে যেভাবে বিশ্বব্যাপী জলস্তর বাড়ছে তা নিয়ে চিন্তিত স্পেস এজেন্সিগুলো। তাদেরও নজরে পড়েছে ভারতের ১২টি উপকূলবর্তী শহর বিপদের মুখে দাঁড়িয়ে আছে।
আইপিসিসি’র রিপোর্ট বলছে, গোটা বিশ্বের তুলনায় এশিয়ার পানির স্তর বৃদ্ধির হার অনেক বেশি। আগে যেখানে ১০০ বছরে একবার সমুদ্রের জলস্তর পরিবর্তিত হত, আগামী কয়েক বছরে মাঝে মধ্যেই সেই পরিবর্তন হবে। সেজন্যই বাড়বে সমুদ্রের পানির স্তর। যদি এই হারেই জলস্তর বৃদ্ধি পেতে থাকে তবে, শতাব্দীর শেষে ভারতের ১২টি উপকূলবর্তী শহর তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেসব শহরগুলো হল:
কান্দলা: ১.৮৭ ফুট
ওখা: ১.৯৬ ফুট
ভৌনগর: ২.৭০ ফুট
মুম্বাই: ১.৯০ ফুট
মরমুগাও: ২.০৬ ফুট
ম্যাঙ্গালোর: ১.৮৭ ফুট
কোচিন: ২.৩২ ফুট
পরাদীপ: ১.৯৩ ফুট
খিদিরপুর: ০.৪৯ ফুট
বিশাখাপত্তনম: ১.৭৭ ফুট
চেন্নাই: ১.৮৭ ফুট
তুতিকোরিন: ১.৯ ফুট
সূত্র: বিডি প্রতিদিন