a
ফাইল ছবি
দেশের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরণের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে বিচ্ছিন্নভাবে মাঝারি ধরণের ভারি বর্ষণ হতে পারে। পরবর্তী তিন দিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে।
শুক্রবার (২২ জুলাই) সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরণের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিচ্ছিন্নভাবে মাঝারি ধরণের ভারি বর্ষণ হতে পারে। পরবর্তী তিন দিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে।
এদিকে রাজশাহী ও পাবনা জেলাসমূহের উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা আরো কয়েকদিন থাকতে পারে। সূত্র: ইত্তেফাক
ফাইল ছবি
ই-পাসপোর্টের সফটওয়্যার নিয়ে এক অভিনব জটিলতার মুখে পড়েছে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর (ডিআইপি)। তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের সময় স্বয়ংক্রিয় কম্পিউটার সিস্টেমে হাজার হাজার আবেদন আটকে যাচ্ছে। এতে যথাসময়ে প্রিন্টিং শেষ করা যাচ্ছে না।
এছাড়া বিপুল পরিমাণ আবেদন আটকে পড়ায় নজিরবিহীন পাসপোর্ট জটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে স্মরণকালের দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে পাসপোর্ট-প্রত্যাশীদের মধ্যে। বিদেশে জরুরি চিকিৎসা ছাড়াও বহুবিধ প্রয়োজনীয় কাজে বিদেশ যেতে পারছেন না অনেকে।
সূত্র বলছে, সফটওয়্যার জটিলতায় আটকে পড়া আবেদনের হার গড়ে ৪০ শতাংশেরও বেশি। অর্থাৎ, ১০০টি আবেদনের মধ্যে পেন্ডিং থাকছে অন্তত ৪০টি। বিশেষ করে এমআরপি (মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট) থেকে ই-পাসপোর্টে রূপান্তর জটিলতা ভয়াবহ। দাঁড়ি বা কমার মতো তুচ্ছ তথ্যবিভ্রাটেও হাজারো আবেদন আটকা পড়ে আছে।
এছাড়া এনআইডি, বিআরসি (জন্মনিবন্ধন সনদ) ও পেমেন্ট গেটওয়েতে (টাকা জমা) জটিলতার শেষ নেই। এসব কারণে মঙ্গলবার পর্যন্ত পেন্ডিং আবেদনের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এ সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। অনলাইনে ফর্ম জমা দিলেও ২/৩ তিন মাসের আগে ছবি তোলার তারিখ মিলছে না। এ কারণে সিরিয়াল ভাঙার অনৈতিক চাপও বাড়ছে। এতে জরুরি কাজের কথা বিবেচনায় নিয়ে কেউ কেউ টাকার দিকে না তাকিয়ে যেভাবে হোক তড়িঘড়ি পাসপোর্ট নিতে মরিয়া। এতে করে দুর্নীতির সুযোগ তৈরি হচ্ছে।
পাসপোর্ট অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, এমআরপি থেকে ই-পাসপোর্ট প্রবর্তনের পর থেকেই জটিলতার শুরু। তবে প্রথমদিকে ই-পাসপোর্টের আবেদন কম থাকায় সমস্যার ভয়াবহতা বোঝা যায়নি। কিন্তু বর্তমানে ৯৫ শতাংশ আবেদনই ই-পাসপোর্টের। ফলে জটিলতা চরম আকার ধারণ করেছে। ৮ নভেম্বর পেন্ডিং পড়ে ৩২ হাজার। সমস্যার স্থায়ী সমাধান না হলেও আগামী দুই মাসের মধ্যে পেন্ডিং সংখ্যা লাখের ঘরে পৌঁছাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জানা যায়, আবেদনকারীদের নামের আদ্যাক্ষর নিয়ে জটিলতা সর্বোচ্চ। যেমন অনেকের নামের প্রথম অংশে ‘মোহাম্মদ’-এর সংক্ষিপ্ত রূপ হিসাবে ‘এমডি’ লেখা হয়। তবে কেউ কেউ ‘এমডি’র স্থলে শুধু ‘এম’ আবার কেউ ‘এমএইচডি’ লেখেন। কিন্তু অনেকের এনআইডিতে তথ্যবিভ্রাট রয়েছে। এ কারণে এমআরপি থেকে ই-পাসপোর্টে রূপান্তর করতে গেলেই আটকে যাচ্ছে আবেদন।
এছাড়া চৌধুরি, খান, খানম, শেখ, নবাব এবং মিয়া নামের বিভ্রাটে আটকে পড়া আবেদন কয়েক হাজার। আবার বর্তমান ঠিকানা, জরুরি প্রয়োজনের মোবাইল নম্বর, এমনকি ডাকঘর কোড পরিবর্তন হলেও কম্পিউটারে আবেদন ‘পেন্ডিং’ দেখাচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আটকে পড়া আবেদন ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ছাড়াতে ‘বেসিক চেকস’ বা বেসিক ক্লিয়ারেন্স নামে একটি সাময়িক ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। কিন্তু এতেও জটিলতা নিরসন হচ্ছে না। সারা দেশের ৬৭টি অফিসে আটকে পড়া আবেদন ক্লিয়ারেন্সের দায়িত্বে রয়েছেন মাত্র ৯ জন কর্মকর্তা। একজন কর্মকর্তার পক্ষে গড়ে ১৫০টি আবেদন ক্লিয়ার করা সম্ভব।
কিন্তু শুধু ঢাকা বিভাগীয় অফিসেই দৈনিক গড়ে পেন্ডিং পড়ছে ৮০০-এর বেশি আবেদন। স্বাভাবিকভাবেই তদবির বা দালালের সহায়তা ছাড়া পেন্ডিং আবেদনের জট খুলছে না। এসব কারণে দুর্নীতির সুযোগ তৈরি হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, পেন্ডিং আবেদন ক্লিয়ারেন্স এবং ভুল সংশোধন তদবিরের চাপে কর্মকর্তাদের অবস্থা চিড়েচ্যাপটা। সচিব, অতিরিক্ত সচিব, পুলিশ কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদ এমনকি মন্ত্রী-নিয়মিতই তদবিরের ফোন আসছে। এছাড়া পাসপোর্ট কর্মকর্তাদের পরিচিতজন, বন্ধু ও আত্মীয়স্বজনের হঠাৎ ফোন আসা মানেই ক্লিয়ারেন্সের তদবির।
পরিস্থিতি এড়াতে পাসপোর্ট কর্মকর্তাদের অনেকে অপরিচিত ফোন নম্বর ধরা থেকে বিরত রয়েছেন। কেউ ফোন রেখেছেন সাইলেন্ট মুডে। আবার কেউ সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছেন সেলফোন।
সূত্র বলছে, উদ্ভূত সমস্যা সমাধানে পাসপোর্ট কর্মকর্তারা দফায় দফায় মিটিংয়ে বসেন। সর্বশেষ সমস্যার বিস্তারিত জানানো হয় ই-পাসপোর্ট প্রকল্প বাস্তবায়নকারী জার্মান কোম্পানি ভেরিডোজকেও। কিন্তু অদ্যাবধি সমাধান আসেনি। তবে আবেদন আটকে পড়ার কারণ হিসাবে নাম, পদবি, পোস্টকোড, ফুলস্টপসহ তথ্যবিভ্রাট-সংক্রান্ত মোট ৮০০ শব্দ চিহ্নিত করেছে ভেরিডোজ। এখন শব্দগুলোর অটো ক্লিয়ারেন্স দেওয়ার প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা চলছে।
এ প্রসঙ্গে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক সেলিনা বানু বুধবার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ই-পাসপোর্ট প্রকল্প নতুন। ফলে সফটওয়্যারে আবেদন আটকে যাওয়ার সাময়িক কিছু জটিলতা দেখা যাচ্ছে। দ্রুততম সময়ে জটিলতা নিরসনে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী কোম্পানি ভেরিডোজকে বলা হয়েছে। আমরা আশা করছি দ্রুতই সমস্যার সমাধান মিলবে।’
সফটওয়্যার ছাড়াও বিপুলসংখ্যক আবেদন এনআইডি জটিলতায় আটকা। গড়ে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ এনআইডিতে তথ্যবিভ্রাট পাওয়া যাচ্ছে। ফলে আবেদন জমা দেওয়ার পর অনেকে পুরোনো এনআইডি সংশোধন করছেন। কেউ আগের এনআইডি বদলে স্মার্টকার্ড আনছেন। এতে সার্ভার চেক করতে গিয়ে তথ্যে গরমিল পাওয়া যাচ্ছে।
এছাড়া অনেকের জন্মনিবন্ধন সনদ ডিজিটাল হয়নি। এ কারণে অনলাইনে ‘শো’ করছে না। আবার তথ্য সংশোধন করতে গেলে বদলে যাচ্ছে জন্মনিবন্ধন সনদের নম্বর। যাদের এনআইডি নেই, তারা জন্মনিবন্ধন সনদ জমা দেন। কিন্তু বয়স ২০ বছরের বেশি হলে জন্মনিবন্ধন সনদ গ্রহণযোগ্য নয়। আবার আবেদনকারীর আঙুলের ছাপ নিয়েও জটিলতা রয়েছে। ই-পাসপোর্টে ১০ আঙুলের ছাপ বাধ্যতামূলক।
কিন্তু বার্ধক্যজনিত কারণে অনেকের ছাপ মুছে যায়। এসব ক্ষেত্রে কয়েকবার হাত ধুয়ে, মেশিনে আঙুল চেপে ধরেও ছাপ উদ্ধার করা যাচ্ছে না। অনেক ক্ষেত্রে যমজ বা দুজন আবেদনকারীর মুখমণ্ডল হুবহু মিলের কারণেও বহু আবেদন পেন্ডিং।
পাসপোর্ট কর্মকর্তারা বলছেন, ইচ্ছাকৃত ভুল বা জালিয়াতির কারণেও উল্লেখযোগ্য পরিমাণ পাসপোর্ট আবেদন পেন্ডিং। অনেকে অসদুদ্দেশ্যে আগের পাসপোর্ট নম্বর গোপন করে ই-পাসপোর্টের আবেদন জমা দিচ্ছেন। প্রকৃত নাম গোপন করে নতুন বা ছদ্মনামে জমা দেওয়া আবেদনের সংখ্যাও অনেক। এসব কারণে নাম, মাতাপিতার নাম, জন্মতারিখ সংশোধনে কড়াকড়ি করা হচ্ছে।
আবেদনের যথার্থতা যাচাইয়ের জন্য অঙ্গীকারনামা, অ্যাফিডেভিট এবং পুলিশ তদন্ত বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তারপরও অনেকে জাল কাগজপত্র জমা দিচ্ছেন। গত তিন মাসে আগারগাঁও বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসে এ ধরনের ৬০টি ফাইলের মধ্যে ৫৫টির অ্যাফিডেভিট জাল হিসাবে শনাক্ত হয়েছে।
ই-পাসপোর্টের আবেদন প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপেই ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন অনেকে। কারণ অনলাইনে ই-পাসপোর্টের আবেদন করতে হলে ই-মেইল ঠিকানা থাকা বাধ্যতামূলক। অথচ ৮০ শতাংশ পাসপোর্ট-প্রত্যাশীর ই-মেইল ঠিকানা নেই। এ কারণে বাধ্য হয়ে তারা দালালচক্রের কাছে ধরনা দিচ্ছেন। আবার দালালের মাধ্যমে পূরণকৃত আবেদনে ভুলের পরিমাণ সর্বাধিক। দালালরা একই ঠিকানা বারবার ব্যবহার করছেন। উল্লিখিত ঠিকানায় গিয়ে আবেদনকারীর সন্ধান মিলছে না।
পাসপোর্ট কর্মকর্তারা বলছেন, করোনাপরবর্তী সময়ে প্রবাসী কর্মীসহ হঠাৎ পাসপোর্টের চাহিদা বেড়েছে। ঢাকাসহ সারা দেশেই রীতিমতো হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন পাসপোর্ট-প্রত্যাশীরা। কিন্তু জনবল সীমাবদ্ধতার কারণে ভিড় সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। শুধু আগারগাঁও বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসেই প্রতিদিন গড়ে দুই হাজারের বেশি আবেদন জমা পড়ছে। অথচ তাদের প্রতিদিন গড়ে পাঁচ থেকে ছয়শর বেশি আবেদন ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা নেই। সূত্র: যুগান্তর
ফাইল ছবি
জার্মান বুন্দেস লীগা, ইতালির লীগ সিরি আ তে ইতোমধ্যে নিশ্চিত হয়ে গেছে লীগ শিরোপা ইপিএলেও অনেকটা নিশ্চিত ম্যানস্টার সিটি জিতবে লীগ শিরোপা। এদিকে স্প্যানিশ লা লিগার শিরোপা কে জিতবে তা নিয়ে চলছে চরম রোমাঞ্চ। সর্বশেষ পয়েন্ট তালিকা অনুযায়ী লিগ শিরোপা জন্য এখনো দৌড়ে টিকে আছে অ্যাথলেটিকা মাদ্রিদ, বার্সোলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদ। তবে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা এটিএম কিছুটা সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে।
বার্সোলোনা ও অ্যাথলেটিকা মাদ্রিদ ড্রয়ের পর সৌভাগ্যের দুয়ার খুলেছিল রিয়াল মাদ্রিদের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে উঠার কিন্তু সেভিয়ার সাথে ড্র করে সে আশা পুরনে ব্যর্থ হয় জিদানের শীষ্যরা। ইতোমধ্যেই তিন দলেরই ৩৫টি করে ম্যাচ শেষ হয়েছে বাকি আছে ৩টি করে ম্যাচ ৭৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে এটিএম ৭৫ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে রিয়াল মাদ্রিদ তিনে থাকা কোয়েমেনের বার্সোলোনার পয়েন্ট ও ৭৫ মুখোমুখি লড়াই রিয়াল মাদ্রিদ এগিয়ে থাকায় তারা আছে ২ নম্বরে। তিন দলই যদি শেষ তিন ম্যাচ জিতে তাহলে লা লীগা জয় করবে অ্যাথলেটিকা মাদ্রিদ।
লা লীগায় দুদলের পয়েন্ট সমান হলে হিসাব করা হয় মুখোমুখী লড়াইয়ে কে বেশি জিতেছে, যে বেশি জিতে সে ই চ্যাম্পিয়ন হয় সেদিক থেকে এগিয়ে থাকবে রিয়াল মাদ্রিদ তারা মুখোমুখি লড়াইয়ে বার্সার সাথে দুইম্যাচে দুইটাতেই জয় এবং এটিএমের সাথে একটা ড্র আর একটাতে জয় আছে তাদের। তিন দলের পয়েন্ট সমান হলে শিরোপা জিতে নিবে রিয়াল মাদ্রিদ। তখন দ্বিতীয় হবে অ্যাথলেটিকা মাদ্রিদ আর বার্সা হবে তৃ্তীয়। রিয়াল আর বার্সা যদি কোন ম্যাচে হোচট খায় তাইলে সিমিওনির দলের শিরোপা পুরোপুরিই নিশ্চিত হয়ে যাবে।
বার্সাকে লীগ শিরোপা জিততে হলে তিন ম্যাচ অবশ্যই জিততে হবে এবং রিয়াল ও অ্যাথলিটাকার পয়েন্ট হারানোর দিকেও চেয়ে থাকতে হবে। দুর্দান্তভাবে লীগ শুরু করা এটিএম মাঝখানে হোচট না খেলে তারা এখন নিশ্চিত শিরোপা উদযাপন করত। অপরদিকে রিয়াল বার্সার ঘুড়ে দাঁড়ানোয় দারুনভাবে জমে উঠেছে লা লীগা।