a দেশে ‘এক রেটে’ ইন্টারনেট সেবামূল্য নির্ধারণ
ঢাকা মঙ্গলবার, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

দেশে ‘এক রেটে’ ইন্টারনেট সেবামূল্য নির্ধারণ


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
শুক্রবার, ১৩ আগষ্ট, ২০২১, ১১:১৬
দেশে ‘এক রেটে’ ইন্টারনেট সেবামূল্য নির্ধারণ

সংগৃহীত ছবি

অবশেষে একযুগ পর সারা দেশে ‘এক রেটে’ ইন্টারনেট সেবামূল্য (ট্যারিফ) নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলে এখন থেকে কম দামে ইন্টারনেট পাওয়া যাবে। এই নতুন দাম আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হবে।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা-বিটিআরসি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব মো. আফজাল হোসেন, বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র, বিটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. রফিকুল মতিন, এনটিটিএন প্রতিষ্ঠান সামিট কমিউনিকেশন্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ আল ইসলাম, আইএসপিএবির সভাপতি আমিনুল হাকিম, আইআইজি ফোরামের মহাসচিব আহমদে জুনায়েদ প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী বলেন, যে সেবামূল্য বেঁধে দেওয়া হলো- তা ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের জন্য। এ মূল্য নির্ধারণের ফলে ডিজিটাল বাংলাদেশের আরও এক ধাপ অগ্রগতি হলো। আজকের এ ঘোষণার ফলে সারা দেশে ‘এক দেশ এক রেট’ ইন্টারনেট বাস্তবায়ন আরও সহজ হলো। ৬ জুন ‘এক দেশ এক রেট’ ইন্টারনেট ঘোষণা দেওয়ার পর- তা বাস্তবায়নে সমস্যা হচ্ছিল। এখন এটা আর থাকবে না।

এ সময় কল ড্রপ নিয়েও কথা বলেন মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেন, মোবাইল অপারেটরের বিরুদ্ধে কল ড্রপ, নেটওয়ার্ক সমস্যা নিয়ে শত শত অভিযোগ রয়েছে। সাধারণ মানুষের সঙ্গে আমার সম্পৃক্ততা বেশি থাকার কারণে সরাসরি অভিযোগ করেন অনেকে।

ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) ও ভূগর্ভস্থ ক্যাবল সেবা এনটিটিএন চালু হওয়ার ১২ বছর পর নতুন এই সেবামূল্য নির্ধারণ করা হলো।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিটিআরসি আইআইজির জন্য বিভিন্ন ভলিউমে ১১টি স্ল্যাবে ব্যান্ডউইথের দাম ও এনটিটিএনগুলোর জন্য ট্রান্সমিশন ক্যাপাসিটির ভলিউম অনুযায়ী ১৫টি স্ল্যাবে সেবামূল্য বেঁধে দেওয়া হয়। এটি ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা প্রদানে আইআইজি এবং আইএসপিএদের জন্য বেসরকারি এনটিটিএন’র ব্যাকহল (ক্যাপাসিটিভিত্তিক) ট্যারিফ। এ ছাড়া আগেই আইএসপির দাম তিনটি স্ল্যাবে (৫ এমবিপিএস ৫০০ টাকা, ১০ এমবিপিএস ৮০০ এবং ২০ এমবিপিএস এক হাজার ২০০ টাকা) বেঁধে দেওয়া হয়।

এর আগেও এই তিনটি প্রতিষ্ঠানের সেবামূল্য ছিল। কিন্তু তা কখনই সরকারিভাবে বেঁধে দেওয়া হয়নি। প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেরা একটা দাম নির্ধারণ করে তা গ্রাহকের সামনে উপস্থাপন করত।

সংবাদ সম্মেলনে আইআইজি ফোরামের মহাসচিব আহমদে জুনায়েদ বলেন, সারা দেশে এখন এক দামে ব্যান্ডউইথ বিক্রি হবে। এতদিন ঢাকার বাইরে একেক আইএসপি একেক দামে ব্যান্ডউইথ কিনত। কিন্তু ট্যারিফ ঠিক করে দেওয়ার ফলে সারা দেশে এখন থেকে এক রেটে কিনবে। সূত্র: যুগান্তর

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

সাড়ে ১৮ কোটি টাকা আত্মসাত খুলনায় সোনালী ব্যাংকে।



মঙ্গলবার, ১৭ আগষ্ট, ২০২১, ০১:০৮
সাড়ে ১৮ কোটি টাকা আত্মসাত খুলনায় সোনালী ব্যাংকে।

সাড়ে ১৮ কোটি টাকা আত্মসাত খুলনায় সোনালী ব্যাংকে।
খুলনা সোনালী ব্যাংকে করপোরেট শাখার ১৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎ করার অভিযোগে ৩ জনের নামে দুদকে’র মামলা দায়ের হয়েছে। স্টার সি ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. সালাউদ্দিন ও ব্যাংকের গোডাউন কিপার আব্দুল মান্নান হাওলাদারসহ তিনজনের নামে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ সোমবার (১৬ আগস্ট) দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মো. শাওন মিয়া খুলনার উপ-পরিচালক বাদী হয়ে মামলাটি করেন। খুলনা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মামলা নথিভুক্ত হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, মো. সালাউদ্দিন স্টার সি ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর খুলনা সোনালী ব্যাংক করপোরেট শাখা হতে প্লেজ ১৭ কোটি এবং হাইপো দেড় কোটি টাকাসহ মোট ১৮ কোটি ৫০ লাখ টাকার ঋণ গ্রহণ করেন। জামানত ছিল গোডাউনে রক্ষিত রপ্তানিযোগ্য চিংড়ি এই ঋণের বিপরীতে। ব্যাংকের পক্ষ হতে গোডাউনের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে গোডাউন কিপার আব্দুল মান্নান হাওলাদার ও সাপোর্টিং স্টাফ আব্দুর রহিম বাবু (গ্রেড : ২) ছিলেন। স্টার সি ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের এমডি মো. সালাউদ্দিন ব্যাংকের গোডাউন কিপারের যোগসাজসে ২০১৭ সালের ১৫জুলাই থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত রপ্তানিযোগ্য চিংড়ি স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে দেন। গভীর রাতে গোডাউন খুলে চিংড়ি পাচারকালে ব্যাংকের তৎকালীন ডিজিএম মো. আবু হোসেন শেখ (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত) পুলিশের সহায়তায় গোপনে চিংড়ি বিক্রির প্রমাণ পান। এতে তিনি নিজে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
দুদকের এজাহারে আরও উল্লেখ রয়েছে মো. আব্দুর রহিম বাবু ব্যাংকের সিবিএ নেতা হওয়াই তখনকার ডিজিএমকে এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থাপনা না নেয়ার জন্য হুমকি দেন। ব্যাংকের ডিজিএম মো. আবু হোসেন শেখ সিবিএ নেতাদের চাপে তার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারেননি। পরবর্তীতে দুর্নীতি দমন কমিশন ঘটনার তদন্ত শুরু করে প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হওয়াই স্টার সি ফুড ইন্ডাস্ট্রিজের এমডি মো. সালাউদ্দিন, ব্যাংকের গোডাউন কিপার আব্দুল মান্নান হাওলাদার এবং ব্যাংকের স্টাফ আব্দুর রহিম বাবুসহ তিনজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
সোনালী ব্যাংক খুলনা করপোরেট শাখার ডিজিএম শেখ শহিদুল ইসলাম মামলার কথা স্বীকার করে জানান, গোডাউন কিপার আব্দুল মান্নান হাওলাদার সাময়িক বরখাস্ত আছেন। এছাড়া মামলার কপি পাওয়া গেলে অন্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরও জানান স্টার সি ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে অর্থঋণ আদালতে প্রায় ২০ কোটি টাকার মামলা দায়ের করা হয়েছে ঋণ খেলাপির। খুলনা দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মুজিবর রহমানও মামলা সত্যতা স্বীকার করেছেন।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / Amin Hossain

কুমিল্লা লাকসামে সব শিক্ষকের করোনা পজেটিভ, স্কুল বন্ধ ঘোষণা


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
মঙ্গলবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০২২, ০৭:১২
কুমিল্লা লাকসামে সব শিক্ষকের করোনা পজেটিভ, স্কুল বন্ধ ঘোষণা

ফাইল ছবি

কুমিল্লার লাকসামে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে তিনগুণ বেড়ে গেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় লাকসামে ২১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে ১৯ জনের নতুন করে করোনা পজেটিভ আসে। যা আগের দিনের তুলনায় প্রায় তিনগুণের বেশি।

নতুন আক্রান্তদের মধ্যে পৌরসভার পশ্চিমগাঁও মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

এ ঘটনায় উপজেলা শিক্ষা প্রাশাসনের পক্ষ থেকে স্কুলটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। লাকসাম উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবদুল্লাহ আল মামুন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

গতকাল সোমবার এখানে ১০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে ৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়।

লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, এই উপজেলায় মঙ্গলবার ২১ জনের করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে ১৯ জনের করোনা পজেটিভ পাওয়া যায়।

নতুন করে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ১০ জন পুরুষ এবং ৯ জন নারী। তাদের মধ্যে পৌর এলাকার পশ্চিমগাঁও মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ ৮ জন করোনায় আক্রান্ত।

আক্রান্ত শিক্ষকরা হলেন, স্কুলের প্রধান শিক্ষক সম্পা রানী সাহা, সহকারী শিক্ষক মো. শাহ আলম, মো. একরামুল হক খন্দকার, মন্টু চন্দ্র ঘোষ, উম্মে কুলসুম, বিলকিছ নাসরিন, কামরুন্নাহার ও রুবিনা ইসলাম।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সম্পা রানীর তথ্য মতে, শনিবার আমি ও আমার এক সহকারী জ্বরের কারণে ছুটি কাটিয়েছি। রবিবার প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত হই, পরের দিন আরও দুই শিক্ষককে অসুস্থতা অনুভব করতে দেখি। মঙ্গলবার স্কুলে আসার আগেই আমি এবং আমার স্বামী লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা পরীক্ষা করতে যাই। পরীক্ষায় আমাদের দুই জনেরই রেজাল্ট পজিটিভ আসে। পরে স্কুলে এসে পুরুষ শিক্ষকদের করোনা পরীক্ষা করতে পাঠাই। তাদেরও রেজাল্ট পজিটিভ আসায় নারী শিক্ষকদের পরীক্ষা করা হয়, তাদেরও রেজাল্ট পজিটিভ আসে। বিষয়টি লাকসাম উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবদুল্লাহ আল মামুন স্যারকে অবহিত করি। পরবর্তীতে তিনি স্কুল বন্ধের ঘোষণা দেন।

লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নাজিয়া বিনতে আলম বলেন, করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোনো বিকল্প নেই। তিনি সকলকে মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন। তাছাড়া রোগীদের চিকিৎসা সেবায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকগণ সর্বদা তৎপর রয়েছে বলে জানান তিনি।

লাকসাম উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবদুল্লাহ আল মামুন আরো জানান, আমরা দুপুর ১২টায় প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ ঘোষণা করি। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত স্কুল বন্ধ থাকবে।

এছাড়াও লাকসাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এ কে এম সাইফুল আলম, পৌরসভার প্রধান নির্বাহী অফিসার (সিইও) নিলুফার ইয়াসমিন এবং পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জসিম উদ্দিন আহমেদও করোনায় আক্রান্ত। তারা সকলেই হোম আইসোলেশনে আছেন। সূত্র: বিডি প্রতিদিন

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - জাতীয়