a
ছবি সংগৃহীত: হিজবুল্লাহর হামলায় হতাহত ইসরাইলি সেনা
হিজবুল্লাহর একটি আক্রমণে চারজন ইসরাইলি সৈন্য নিহত এবং আরও কয়েকজন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। ফিলিস্তিনের গণমাধ্যম সূত্রের বরাত দিয়ে বুধবার ইরানি বার্তা সংস্থা ইরনা জানিয়েছে, হামলাটি লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলীয় ওডাইসা এলাকায় সংঘটিত হয়েছে।
ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, লেবাননের দক্ষিণ এবং অধিকৃত উত্তর ফিলিস্তিনের সীমান্ত অঞ্চলে ইসরাইলের একটি সৈন্যদল হিজবুল্লাহর আক্রমণের শিকার হয়েছে। হামলায় বহু সংখ্যক ইসরাইলি সৈন্য আহত হয়েছে এবং উদ্ধারকারী দল তাদেরকে চারটি হেলিকপ্টারের মাধ্যমে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এদিকে হিজবুল্লাহর বরাত মিডল ইস্ট আই জানিয়েছে, লেবাননের সীমান্ত শহর মারুন আল-রাসে ইসরাইলি বাহিনীর সঙ্গে চলমান সংঘর্ষে তারাও কয়েকজন ইসরাইলি সৈন্যকে হত্যা করেছে।
বুধবার লেবাননের যোদ্ধাদের সঙ্গে ইসরাইলি সেনাদের এটি দ্বিতীয় সরাসরি সংঘর্ষ বলে জানায় হিজবুল্লাহ। তাদের মতে, দুটি সংঘর্ষেই ইসরাইলি সেনাদের মধ্যে নিহত ও আহত হয়েছে। সূত্র: যুগান্তর
ফাইল ফটো
পাকিস্তানের সংসদ থেকে চীনা ক্যামেরা উদ্ধার নিয়ে হৈ-চৈ শুরু হয়। পাকিস্তানের সংসদে তখন ভোট চলছিল। দেশটির সংসদের উপরের কক্ষে সিনেট চেয়ারম্যান নির্বাচন নিয়ে গত শুক্রবার (১১ মার্চ) সকাল থেকেই উত্তপ্ত ছিল সংসদের অধিবেশন। এক্ষেত্রে ভোটের প্রক্রিয়া চলছিল গোপনীয়তা রক্ষা করে।
খবরে জানা যায়, গোপন ব্যালটের মাধ্যমে ভোট প্রদান করছিলেন জনপ্রতিনিধিরা। হঠাৎ ভোট চলাকালে সিনেট হল থেকে উদ্ধার করা হয় চীনা গোপণ ক্যামেরা। হয়তোবা কোন চীনা স্পাই গোপন ক্যামেরার মাধ্যমে গোটা নির্বাচন প্রক্রিয়াটিকে মনিটরিং করে আসছিল বলে ধারণা করা হয়। ফলে ফের হট্টগোল শুরু হয়। ব্যাহত হয় ভোট প্রক্রিয়া।
সিনেটের চেয়ারম্যান ও ডেপুটি চেয়ারম্যান পদে গোপন ব্যালটে নির্বাচন চলছিল। সেখানে গোপন ক্যামেরার মাধ্যমে কে রেকর্ডিং করছিলেন তা জানা যায়নি। তবে পাকিস্তানের সংসদের মধ্যে চীনের স্পাই ক্যামেরা উদ্ধার হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি হয়। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
ছবি সংগৃহীত
পঞ্চাশের যুবতী
কি সাহস রে বাবা মহিলার।
বয়সটা যে পঞ্চাশ ছুঁয়েছে সে দিকে
কোনো ভ্রুক্ষেপ ই নেই।
কি একটিভ স্যোশাল মিডিয়ায় !!
ফেসবুক,ইনস্টাগ্রাম কিছুতে--ই বাদ নেই।
সারা দিনে তার লাইক, কমেন্ট,আর শেয়ারের ছড়াছড়ি।
আবার টিকটকেও কখনো নায়িকা-, --তো কখনো গায়িকা !
বাপরে বা---প পারেও বটে।
নিজেকে একেবারে টিন এজারে এনে নামিয়েছে।
এই তো সেদিন দেখলাম
হৈ হৈ করতে করতে
পার্টিতে মেয়ের সাথে ডান্স করছে।
উঁঃ লজ্জার মাথা খেয়েছে এক্কেবারে।
* * *
হ্যাঁ হ্যাঁ বলুন। যত্ত খুশি বলুন।
এ সব শুনে শুনে গা সওয়া হয়ে গেছে, বুঝলেন।
কি হয়েছে পঞ্চাশ হয়েছে তো।
পঞ্চাশ হয়েছে বলে ঘরের কোণে
একটা সুতির ছাপা পরে বসে থাকব নাকি।
শুনুন,সারা জীবন শুধু
এটা করতে নেই,ওটা করতে নেই
এখানে যাওয়া হবে না,ওখানে যাওয়া হবে না
এই ই শুনে এসেছি।
যখন ষোলোই ছিলাম
ছেলে বন্ধু তো দূরের কথা
কোনো মেয়ে বন্ধুর বাড়িতে গেলেও
মা কে সঙ্গে নিয়ে যেতে হতো।
আর পিকনিক, ঘোরাফেরা,সিনেমা !
এ সব তো অলীক কল্পনা ছিল মশাই---
অলীক কল্পনা।
তারপর যখন কুড়ি হল---
বেশ রাঙা টুকটুকে বৌ সেজে শ্বশুরবাড়িতে এলাম।
বাব রে বা---প !!!
সেখানেও আবার এমন নজরদারি,
কি বলি !! ---
কোনটা খাইনা, কেন খাইনা?
হাতে কেন বড় বড় নখ রেখেছি?
সকলের সামনে নাইটি পড়তে আমার লজ্জা করে কিনা,---
মেয়ে মানুষ হয়ে এত হৈ হৈ কিসের,
ইত্যাদি ইত্যাদি।
আর বাইরে গেলে !
শ্বশুর-শ্বাশুড়ি, জা -ননদ হাজারটা কৈফিয়ত।
তারপর পঁচিশে---, যখন মা হলাম,
ছেলেকে খাওয়াতে অসুবিধা হবে বলে
নাইটি ছেড়ে সুতির ছাপা পড়া ধরলাম।
কোমরে আঁচল গুঁজে এমন দশভুজা হয়ে গেলাম যে----
কোথায় সিনেমা,কোথায় বেড়ানো,
আর কোথায় যে আনন্দ সব ভুলে গেলাম।
না না এটার জন্য আক্ষেপ করছিনা।
এটা তো আমার কর্তব্য।
দেখতে দেখতে আরো পঁচিশটা বছ--র কেটে গেল।
ছেলে আর মেয়ের পড়াশোনা,গানবাজনা
আর ওদের সামাজিক প্রতিষ্ঠা নিয়ে।
ওদের সংসারও গড়ে দিয়েছি নিজের হাতে।
ওরা এখন যে যার মত ---
বন্ধু বান্ধব, হৈ হুল্লোড়,পার্টি, ভ্রমণ এসব নিয়ে ব্যস্ত।
তাই আমিও একটা প্রফাইল খুললাম
খুঁজেনিলাম নিজের একটা জগৎ।
জানেন? আমার ফেসবুক ফ্রেন্ডের সংখ্যা এখন দু-হাছার ছাড়িয়েছে!
আমা---র আবার ফেসবুকে ভেসে ওঠা
ঐ সব রেডিমেড কমেন্টে মন ভরেনা।
তাই ভালো কোনো পোষ্ট পেলেই
ইয়া---ব্বড় একটা কমেন্ট লিখি।
কত খুশি হয় ওরা জানেন?
আর আমার কবিতা গুলো যখন
শেয়ারের পর শেয়ার হয়,
তখন মনটা আনন্দে উথলে ওঠে।
এই নিয়েই তো আমার একার দুপুর টা কাটিয়ে দিই রোজ।
মেয়ে,জামাই,ছেলে,বৌমা ওরা যখন দু-দিনের জন্য এসে আবার চলে যায়
তখন ঐ খারাপ মনটা ভোলাতে খুব বেশি সময় লাগেনা আমার।
জানেন,আমি এখন নিজের পছন্দের মাছ কিনি বাজার থেকে।
আর যে খাবারটা খেতে ইচ্ছে সেটাই বানাই।
যেখানে যেতে ইচ্ছে করে সেখানে যাই।
আর তো কটা মাত্র দিন পড়ে আছে তাই না।
নিজেকে কি করে ঠকাই বলুন তো?
মর্নিং ওয়াক করি,কিটো ডায়েট করি,
ঘন ঘন পার্লারে যাই।
শরীর চর্চা থেকে মনের চর্চা
স---ব সব করি এখন।
এই তো আমার যুবতি হওয়ার বয়স।
তাই যে যাই বলুক
চলুন, মনের বয়স বাড়তে না দিয়ে
এই পঞ্চাশেই আবার না হয় যুবতি হয়ে যাই।
লেখিকা:গোপা গড়াই মন্ডল