a
ফাইল ছবি
সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা কমবে এবং শীতের তীব্রতা আরো বাড়তে পারে। এর পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে।
আজ শুক্রবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।
শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আকাশ আংশিক মেঘলাসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
এ সময়ে রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে বলেও পূর্বাভাসে উল্লেখ করা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, গোপালগঞ্জ, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, যশোর ও কুষ্টিয়া জেলাসহ এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকবে এবং তা বিস্তার লাভ করতে পারে।
ফাইল ছবি: নবনির্মিত ডাক ভবন
নবনির্মত ডাক অধিদপ্তরের সদর দপ্তর ‘ডাক ভবন ’ এর আগামীকাল আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হচ্ছে। ডাক বাক্সের মডেলে ঢাকার আগারগাঁওয়ে অত্যাধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত নান্দনিক এই ভবনটি আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করবেন। প্রধান অতিথি হিসেবে গণভবন থেকে অনলাইনে শুভ উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার আগারগাঁওয়ে ডাক ভবনে নিজে উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো: আফজাল হোসেন এবং ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: সিরাজ উদ্দিনসহ ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ ও এর অধীন দপ্তর ও সংস্থা সমূহের কর্মকর্তাগণ স্বাস্থ্য বিধি মেনে আগারগাঁও প্রান্ত থেকে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগদান করবেন।
৯১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা ব্যয়ে রাজধানীর ঢাকার আগারগাঁওয়ে দৃষ্টিন্দন এই ভবনটি নির্মাণ করা হয়। ২টি বেইজমেন্টসহ ১৪ তলা ভবন নির্মাণের জন্য বাংলাদেশ ডাক অধিদপ্তরের সদরদপ্তর শীর্ষক প্রকল্পটি গত ২০ মার্চ ২০১৮ তারিখ একনেকে অনুমোদিত হয়। নবনির্মিত ডাক ভবনটিতে থাকছে সুসজ্জিত ও সমৃদ্ধ লাইব্রেরি, আধুনিক পোস্টাল মিউজিয়াম, সুপরিসর অডিটরিয়াম, ক্যাফেটেরিয়া, ডে-কেয়ার সেন্টার, মেডিক্যাল সুবিধা, অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা এবং সার্বক্ষণিক ওয়াইফাইসহ অন্যান্য তথ্যপ্রযুক্তিগত সুবিধা রাখা হয়েছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার এ বিষয়ে বলেন, ১৯৭১ সালের ২০ ডিসেম্বর তারিখে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই তৎকালীন ঢাকা জিপিও ভবনের কয়েকটি কক্ষ নিয়ে ডাক অধিদপ্তরের যাত্রা আরম্ভ হয়। তীব্র স্থান সংকটের মধ্যে স্বাধীনতার পর থেকে অদ্যাবধি ঢাকার গুলিস্তানে অবস্থিত ঢাকা জিপিও ভবন এর তৃতীয় তলায় ডাক অধিদপ্তরের প্রশাসনিক সদর দপ্তরের কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। ঢাকা জিপিও প্রায় ৬০ বছরের পুরোনো হয়ে যাওয়ায় ভবনটির উর্ধমুখী সম্প্রসারণ এখন সম্ভব নয়। ফলে স্থান সংকুলান না হওয়ায় দাপ্তরিক কর্মপরিবেশ ও গতিশীলতা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছিল। এ অবস্থায় ডাক অধিদপ্তরের সদর দপ্তর হিসেবে একটি আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন ও নান্দনিক স্বতন্ত্র ডাক ভবন স্থাপন করা ছিল একান্ত জরুরী। এ সংকট নিরসনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অসামান্য আন্তরিকতায় বর্তমান সরকার তাঁর উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় উন্নত কর্মপরিবেশ ও প্রশাসনিক কাজে উদ্যম ও গতিশীলতা আনয়নের লক্ষ্যে ঢাকার শেরে বাংলা নগরে ডাক অধিদপ্তরের সদর দপ্তর হিসেবে একটি স্বতন্ত্র ভবন স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি এই অনন্য ভবনটি নির্মাণের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
ফাইল ছবি
ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে বর্তমানে শরীরে লেগেই আছে জ্বর, সর্দি, কাশির মত সমস্যা। করোনা ভাইরাসের প্রকোপের কারণে এখন অনেকেই জ্বর, সর্দির নাম শুনলেই ভয় পায়। কিন্তু এই বর্ষা মৌসুমে বা ঘন ঘন আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে শরীরে সাধারনত জ্বর, সর্দির সমস্যা দেখা দিতেই পারে। এই সর্দি-কাশির সমস্যা থেকে রেহাই পেতে কিছু আয়ুর্বেদিক প্রতিকার নিম্নে আলোচনা করা হলো:
১) তুলসী:
আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রে তুলসীকে বলা হয় ‘মাদার মেডিসিন অফ নেচার’ এবং ‘কুইন অফ হার্বস’। এই তুলসী সর্দি ও কাশির সমস্যা থেকে রেহাই দিতে সহায়ক। এজন্য কাঁচা তুলসীর পাতা চিবিয়ে খেতে পারেন। অথবা চায়ের সঙ্গে তুলসীর পাতা ফুটিয়ে তুলসীর চা বানিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
২) আদা:
আদার মধ্যে দ্বারা প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য গলার সংক্রমণ থেকে শুরু করে সর্দি, কাশির সমস্যা থেকে রেহাই দিতে সহায়ক। এজন্য আপনি শুকনো আদা চিবিয়ে খেতে পারেন। আবার চা পাতার সঙ্গে আদা ফুটিয়ে আদা চা খেতে পারেন। অথবা কাঁচা আদার সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে এই সব সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে পারেন।
৩) মধু:
মধুর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান যা কাশির সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে অত্যন্ত সহায়ক। আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রে এই উপাদানের ব্যবহার অপরিহার্য। গলার সংক্রমণকে দূর করতে এবং কাশি হতে রক্ষা পেতে মধু খেতে পারেন।
৪) রসুন:
আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রে রসুনের ব্যবহার অতি পরিচিত নাম। রসুনের মধ্যে থাকে অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টি ভাইরাল উপাদান জ্বর, সর্দি, কাশির সমস্যা থেকে রেহাই দিতে সাহায্য করে।
এছাড়াও শরীরে গড়ে তোলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। এর জন্য আপনি প্রতিদিন এক কোয়া করে কাঁচা রসুন খেতে পারেন অথবা কোনও খাবারের সঙ্গে মিশিয়েও খেতে পারেন।