a পররাষ্ট্রমন্ত্রী অভিনন্দন জানালেন মমতাকে
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৯ কার্তিক ১৪৩২, ১৩ নভেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

পররাষ্ট্রমন্ত্রী অভিনন্দন জানালেন মমতাকে


আমিনুল, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন:
বুধবার, ০৫ মে, ২০২১, ১১:৫৬
পররাষ্ট্রমন্ত্রী অভিনন্দন জানালেন মমতাকে

ফাইল ছবি

 

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির দল তৃণমূল কংগ্রেস আবারও নির্বাচনে ঐতিহাসিক বিজয় লাভ করায় মমতা ব্যানার্জিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন। বুধবার মমতা ব্যানার্জিকে লেখা এক পত্রে ড. মোমেন এ অভিনন্দন জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস ধারাবাহিকভাবে তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠনে জনগণের সমর্থন লাভ করেছে, যা আপনার নেতৃত্বের প্রতি পশ্চিমবঙ্গের জনগণের অব্যাহত আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতিফলন।

আমরা আপনার প্রতি কৃতজ্ঞ, কারণ আপনি বাঙালির দীর্ঘ লালিত মূল্যবোধ ‘ধর্মীয় সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ববোধ’ ধারণ করেছেন এবং এ ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু সারাজীবন অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন।

ড. মোমেন উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বিদ্যমান এবং সাম্প্রতিক বছরে দু’দেশের পারস্পারিক সহযোগিতার সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলো আরও প্রসারিত হয়েছে।

অবিভক্ত ইতিহাস, সংস্কৃতি, ভাষা, মূল্যবোধ এবং বংশানুক্রমিক সংযোগ দু’দেশের জনগণের সম্পর্ককে অনন্য ও শক্তিশালী করেছে। বিশেষ করে, পশ্চিমবঙ্গের জনগণ বাংলদেশিদের হৃদয়ে বিশেষ স্থান দখল করে রেখেছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী, মুজিববর্ষ এবং বাংলাদেশ ও ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপনের এ বিশেষ বছরে আমি পশ্চিমবঙ্গের জনগণসহ ভারতের জনগণ এবং রাজনৈতিক নেতৃত্বের সমর্থন ও আত্মত্যাগকে কৃতজ্ঞতার সহিত স্মরণ করছি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আপনার অঙ্গীকার ও  সহযোগিতার মাধ্যমে দু’দেশের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে এবং অনিষ্পন্ন বিষয়গুলোর সমাধান হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।’

ড. মোমেন আরও বলেন, অজানা শত্রু  করোনাভাইরাসের ফলে সারাবিশ্ব নজিরবিহীন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে। এ প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ দু’দেশের পারস্পারিক সম্পদ ও অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং জনগণের কল্যাণে কাজ করে যেতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, সবাই সম্মিলিতভাবে এ মহাবিপদ থেকে মুক্ত হয়ে শিগগিরই স্বাভাবিক জীবন-যাপনে ফিরে আসবো।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

‘শেষ বার্তা দিচ্ছি, শেখ হাসিনা নির্বাচনকালীন সরকারপ্রধান থাকবেন’


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
বুধবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৩, ০৯:২৭
‘শেষ বার্তা দিচ্ছি, শেখ হাসিনা নির্বাচনকালীন সরকারপ্রধান থাকবেন’

ফাইল ছবি

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আপনি শেষ বার্তা দিচ্ছেন, আজ আমি শেষ বার্তা দিচ্ছি- শেখ হাসিনা নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান থাকবেন। শেখ হাসিনা আবারও জনগণের রায়ে নির্বাচিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী হবেন।’

বুধবার বিকালে আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর উত্তর এবং দক্ষিণ আয়োজিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুলের পকেট গরম, মালপানি ভালো ঢুকেছে বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ওনার (মির্জা ফখরুল) কথা গরম, হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে। আমাদের ভয় দেখায়। ফখরুল সাহেব জুস খায়, অনশন বন্ধ করে দেয়। আমাদের বার্তা দিচ্ছেন ক্ষমতা ছেড়ে দিতে, দিনকালও ঠিক করে দিচ্ছেন।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘মির্জা ফখরুল পাঁচ তারকা হোটেলে নাস্তা করে অনশন করেন ৩ ঘণ্টা। আড়াই ঘণ্টা পর বিদেশি জুস খাইয়া অনশন বন্ধ করে দেন। এই আন্দোলন তারা করছে।

আমাদের বার্তা দিচ্ছে, দিনক্ষণ বলে দিচ্ছে কবে ক্ষমতা ছেড়ে দিতে হবে। বাংলাদেশের ম্যাজিক লিডার শেখ হাসিনা। আপনি (ফখরুল) কে বার্তা দেওয়ার?’

তিনি বলেন, ‘খেলা হবে বিএনপির বিরুদ্ধে, ভোট চুরির বিরুদ্ধে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে, লুটপাটের বিরুদ্ধে, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে। বিএনপি হলো খুনির দল, এদের হাতে রক্ত।’

এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিএনপির যোগাযোগের ইঙ্গিত দিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘উৎসাহিত হচ্ছেন, কারণ পশ্চিমারা নাকি উৎসাহ দিচ্ছে। ফখরুল সাহেব, দুনিয়ার অবস্থা ভালো না। তাদের নিজেদের ঘর সামলানোই কঠিন। তারা ঘর সামলাবে নাকি আপনাকে উৎসাহ দেবে? উৎসাহ দেওয়ার দিন শেষ।’

বিএনপির অবরোধ কর্মসূচির প্রসঙ্গ তুলে কাদের বলেন, ‘অবরোধ করবেন? পালটা অবরোধ দেব। দাঁড়াতে দেব না। অবরোধ যারা করবে, তারাই সাধারণ মানুষের জন্য বাধা। তাদের বিরুদ্ধে মার্কিনিদের ব্যবস্থা কী হয়, সেটা দেখা হবে।’ সূত্র: যুগান্তর

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

ভাষা শহীদদের প্রতি বাংলাদেশ বেকার সম্প্রদায়ের শ্রদ্ধা নিবেদন


সাইফুল, বিশেষ প্রতিনিধি, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বুধবার, ২২ ফেরুয়ারী, ২০২৩, ০৫:৫৪
ভাষা শহীদদের প্রতি বাংলাদেশ বেকার সম্প্রদায়ের শ্রদ্ধা নিবেদন

ছবি:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

মহান ২১শে ফেব্রুয়ারি শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। এই উপলক্ষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে বাংলাদেশ বেকার সম্প্রদায়। রাত ১টা ৩০ মিনিটে সংঘটনের সভাপতি মো: আল কাওছার এবং সাধারণ সম্পাদক মো: সাইফুল আলমের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ফুলেল শুভেচ্ছা নিবেদন করেন।

একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে রাত ১২টা ১ মিনিটে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রথমে রাষ্ট্রপতি এবং পরে প্রধানমন্ত্রী শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এরপর স্পিকার ও প্রধান বিচারপতি শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। তার কিছুক্ষণ পরেই বাংলাদেশ বেকার সম্প্রদায় সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সকলে মিলে কিছুক্ষণ নীরবতা পালন করেন। পরবর্তীতে উপস্থিত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাসহ বিশিষ্টজনদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।

বেকারের অধিকার আমাদের অঙ্গীকার এই শ্লোগানকে সামনে রেখে সারাদেশের লাখ লাখ বেকারের কর্মসংস্থান এবং বেকারদের জন্য ৪ দফা দাবী বাস্তবায়নের লক্ষে সক্রিয় আন্দোলন এবং গণসংযোগ করে যাচ্ছেন এই সংগঠনটি। জাতির সূর্যতরুণদের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সবাই। শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক মো: জসীম নায়েক, সহ- সভাপতি - জোবাইদুল হক সবুজ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক - আ আ ম আশিকুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক - বঙ্কিম চন্দ্র সরকার, প্রচার সম্পাদক - মো: রোমান গাজী সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা (ইউনেস্কো) মহান একুশের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি দেওয়ার পর থেকে আন্তর্জাতিক পর্যায়েও গত কয়েক বছর ধরে দিবসটি পালিত হচ্ছে।

বাঙালি জাতির জন্য এই দিবসটি হচ্ছে চরম শোক ও বেদনার। অনদিকে মায়ের ভাষা বাংলার অধিকার আদায়ের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত। যেকোনো জাতির জন্য সবচেয়ে মহৎ ও দুর্লভ উত্তরাধিকার হচ্ছে মৃত্যুর উত্তরাধিকার-মরতে জানা ও মরতে পারার উত্তরাধিকার। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদরা জাতিকে সে মহৎ ও দুর্লভ উত্তরাধিকার দিয়ে গেছেন।

১৯৫২ সালের এদিনে ‘বাংলাকে’ রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে বাংলার (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) ছাত্র ও যুবসমাজসহ সর্বস্তরের মানুষ সে সময়ের শাসকগোষ্ঠীর চোখ-রাঙানি ও প্রশাসনের ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাজপথে নেমে আসে। মায়ের ভাষা প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে দুর্বার গতি পাকিস্তানি শাসকদের শংকিত করে তোলায়  সেদিন ছাত্র-জনতার মিছিলে পুলিশ গুলি চালালে সালাম, জব্বার, শফিক, বরকত ও রফিক গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন। সেই থেকে দিবসটি গুরুত্বের সঙ্গে পালিত হয়ে আসছে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর জনপ্রিয়

সর্বশেষ - জাতীয়