a
ফাইল ছবি
বাংলাদেশ ফাইজার ও বায়োএনটেকের যৌথ উদ্যোগে তৈরি করোনাভাইরাসের টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার ঔষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানান।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগী কোভ্যাক্স গ্রুপ থেকে ফাইজারের টিকা দেশে আসবে। কোভ্যাক্স থেকে প্রথম ধাপে বিনামূল্যে দেশের ১১ শতাংশ মানুষের জন্য টিকা আসার কথা রয়েছে। পরে সরকার প্রয়োজন মনে করলে সেসব গ্রুপ থেকে কিনে আরও টিকা আনতে পারবে।
প্রথম চালান হিসেবে ফাইজারের এক লাখ ৬২০ ডোজ টিকা আসবে এবং এর সঙ্গে আনুষঙ্গিক উপকরণ সামগ্রী আগামী সপ্তাহে দেশে পৌঁছাবে।
ফাইল ছবি
করোনার সংক্রমণ বাড়ায় চলমান বিসিএস পরীক্ষা থেকে শুরু করে সকল পরীক্ষা সাময়িক স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। ৪০তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা স্থগিতের পর এবার নন-ক্যাডার আরও দু’টি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
এর মধ্যে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন নার্সিং এবং মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের সিনিয়র স্টাফ নার্স পদের আগামী ১০ এপ্রিলের লিখিত পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
পিএসসি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, উক্ত পদের লিখিত পরীক্ষার পুননির্ধারিত তারিখ ও সময় পরবর্তীতে জানিয়ে দেয়া হবে। এছাড়াও পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের অধীন বস্ত্র অধিদপ্তরের ২য় শ্রেণীর (১০ম গ্রেড) ফটো টেকনিশিয়ান পদে প্রার্থীদের ৬ এপ্রিলের লিখিত পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (নন-ক্যাডার) মো: নজরুল ইসলাম জানান, কোভিড-১৯ উর্ধ্বমুখী সংক্রমণের পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট সকলকে এ লিখিত পরীক্ষার পরিবর্তিত তারিখ ও সময় পরে জানিয়ে দেয়া হবে।
এর আগে গত সোমবার ৪০তম বিসিএসের চলমান মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। পরীক্ষার তারিখ পরে জানানো হবে জানিয়েছেন।
সম্প্রতি ৪০তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে পিএসসি। ৪০তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশ নেন ৩ লাখ ২৭ হাজার পরীক্ষার্থী। তাদের মধ্যে প্রিলিমিনারিতে উত্তীর্ণ হন ২০ হাজার ২৭৭ জন।
পিএসসির সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সরকারের নির্দেশনা মেনে অফিস পরিচালনা করছে পিএসসি। করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় পরীক্ষা কার্যক্রম আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। পরিস্থিতি উন্নতি হলে পরীক্ষার বিষয়াদি পরবর্তীতে জানিয়ে দেয়া হবে।
ফাইল ছবি
জাতীয় সংসদকে খাটো করতে বিএনপি মো. আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলমকে উপনির্বাচনে প্রার্থী করেছিল বলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বক্তব্য দিয়েছেন। তার এ বক্তব্যকে ‘ঘৃণ্য মন্তব্য’ দাবি করেছেন বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে অল্প ভোটে হেরে যাওয়া এই স্বতন্ত্র প্রার্থী (একতারা প্রতীক)।
শনিবার রাত ৯টায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে এসে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্যের জবাব দিয়েছেন তিনি।
হিরো আলম বলেন, 'আমার কথা আমাকে বিএনপি কেন দাঁড়িয়ে দিবে? তাহলে তো আমি বিএনপির সাইনবোর্ড নিয়ে ভোট করতাম। ভোটকেন্দ্রে দেখছেন বিএনপির কোন নেতা আমাকে সাহায্য করেছে। তারা কি মাঠে আমার পাশে ছিল? ছিলনা। আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোট করেছি। আমাকে কিন্তু বিএনপি ভোটে দাঁড় করিয়ে দেয়নি।'
তিনি আরও বলেন, 'ওবায়দুল কাদের বলেছেন হিরো আলম জিরো হয়েছেন। এটা তিনি ভুল বলেছেন। হিরোকে কেউ কোনদিন জিরো বানাতে পারে না। হিরো হিরোই থাকে। কারণ আমাকে জিরো কেউ বানাতে পারেনি, পারবেও না। হিরোকে যারা জিরো বানাতে এসেছে তারাই জিরো হয়েছে।'
বিএনপির কাঁধে ভর করে হিরো আলম এসেছেনে এ কথাও ওবায়দুল কাদেরের ভুল বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, হিরো আলম কারো কাঁধে ভর করে চলে না।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বলেন, 'এই সরকার অসহায় হয়েছে কিনা তা আমি জানিনা। কিন্তু হিরো আলম অসহায় হয়েছে।'
হিরো আলম বলেন, 'আমার যে ভোট, ভোটের ফলাফল যে কেড়ে নেওয়া হল সেই বিচার আমি কার কাছে দিবো? প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমি বিচার দিলাম, আমার ভোট সুষ্ঠুভাবে হলো কিন্তু আমার ভোটের ফলাফল সুষ্ঠুমতো দেওয়া হলো না কেন।'
তিনি বলেন,'অনেকে বলছেন, পার্লামেন্টকে ছোট করা হবে, হিরো আলম নির্বাচন করলে...। তাহলে পার্লামেন্টে যেতে হলে কিছু আইন করতে হবে। যার যোগ্যতা নেই সে যেতে পারবে না। যার লেখাপড়া নেই সে সংসদে যেতে পারবে না।'
তিনি বলেন, 'আর একটা বিষয়ে আইন করছেন। যারা ভোট করবে স্বতন্ত্রভাবে তাদের ১ শতাংশ ভোটার তালিকা লাগবে। যদি তাই হয়, তাহলে দলীয়ভাবে যারা করবে তাদের ১ শতাংশ লাগে না কেন? আইন সবার জন্য সমান। তাহলে আইন চেঞ্জ করতে হবে। যারা দলীয়ভাবে বা স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করবেন, তাদের সবার ১ শতাংশ ভোটার তালিকা দিতে হবে। না হলে ১ শতাংশ তুলে দিতে হবে।'
লাইভে হিরো আলম সবার উদ্দেশ্যে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন। তিনি বলেন, ‘আমি হিরো আলম চ্যালেঞ্জ করছি সুষ্ঠু নির্বাচন দেন। প্রতি সেন্টারে সিসি ক্যামেরা দেন। বুথে সিসি ক্রামেরা দেন। ইভিএম দিবেন না। কারণ ইভিএম হলো চোর। বাইরের দেশে ইভিএম ডাস্টবিনে ফেলে দিছে। সেটা আমাদের দেশ কুড়িয়ে নিয়ে এসে ভোট করছে। এখানেও কারচুপি হয়। ইভিএমের টিপি মারলে একটায় যায় আরেকটায়।’
লাইভের শেষের দিকে তিনি বলেন, ‘আমি হিরো আলম কোনো দলের সাথে জড়িত না। না বিএনপি, না আওয়ামী লীগ, না অন্য কোনো দল। তাই আপনারা আমাকে নিয়ে কোনো মাখামাখি করবেন না। আপনারা একজন আরেকজনকে দোষ দিবেন না আমাকে নিয়ে।’ সূত্র: সমকাল