a
ফাইল ছবি
মহামারী করোনার প্রথম দফায় স্থগিত হয়ে যাওয়ার পর আবারো শুরু হচ্ছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে শুরু হচ্ছে জনপ্রিয় এই ক্রিকেট। এদিকে, আইপিএলে অংশ নিতে আজ রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে দুবাইয়ের উদ্দেশে উড়াল দিচ্ছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের দুই তারকা খেলোয়াড় সাকিব আল হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমান।
জানা গেছে, দুজন একই ফ্লাইটে যাবেন। তাদের ফ্লাইট আজ দিবাগত রাত ১টা ৪০ মিনিটে। আইপিএলের এবারের আসর গত মার্চে ভারতে শুরু হলেও ২৯ ম্যাচ পর স্থগিত করে দেওয়া হয়। বাকি ৩১ ম্যাচ হবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে আইপিএলের বাকি অংশ।
উল্লেখ্য, আইপিএলে সাকিবের দল কলকাতা নাইট রাইডার্স আর ‘কাটার মাস্টার’ মুস্তাফিজ খেলছেন রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে। এদিকে, দেশ ছাড়ার আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন সাকিব আল হাসান। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে আজ রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় এই তথ্য জানিয়েছেন সাকিব। সঙ্গে শেয়ার করেছেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তোলা ছবিও।
সাকিব লিখেছেন, 'আজ সন্ধ্যায় বিসিবি সভাপতি পাপন ভাইকে নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারাটা ছিল সম্মানজনক।’
ছবি সংগৃহীত
বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ডে সর্বস্বান্ত ব্যবসায়ীদের পাশে অনেকেই দাঁড়াচ্ছেন। এদের মধ্যে অন্যতম ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ক্ষতিগ্রস্তদের ইফতারের জন্য ২০ হাজার টাকা অনুদানের ঘোষণা দেন।
ঘটনার দিন সন্ধ্যায় এ অলরাউন্ডারের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লেখা হয়, ‘এই অগ্নিকাণ্ডে সবাই তাদের ব্যবসা ও আয়ের মাধ্যম হারিয়েছেন। রমজান মাসে এটি এখন খুব কঠিন সময় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমার ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে আগামীকালের ক্ষতিগ্রস্তদের ইফতারের জন্য ২০ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করব।’
সাকিবের এ ঘোষণায় ক্ষুব্ধ বঙ্গবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের অনেকেই। তারা বলছেন, ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে আজ আমরা রাস্তার ফকির। গত পরশুও ২০ হাজার টাকা আমাদের হাতের ময়লা ছিল। সাকিবের টাকায় আমরা থুতু মারি, থু।
এমন ক্ষোভ ঝাড়ার কারণও জানান এসব ব্যবসায়ী। তারা বলেন, একজন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার ইফতারির জন্য ২০ হাজার টাকা দেবে। এ দিয়ে কী হবে! ৫ পয়সা কইরাও তো কেউ পাবে না। এটা তো আমাদের ক্রিটিসাইজ করা হচ্ছে। এত বড় মার্কেটে যেখানে ছয় হাজার দোকান, সেখানে দুজন করে লোক ধরলেও ১২ হাজার লোক। এমন দোকান আছে পাঁচ-সাতজন। সাকিব আমাদের লজ্জা দিতে আসছেন।
এ সময় তারা বলেন, আমরা সাংবাদিকদের মাধ্যমে বলতে চাই— উনার (সাকিব আল হাসান) যদি লাগে আমরা ২০ হাজার টাকা আরও দেব। উনি ৪০ হাজার টাকা দিয়ে ইফতার করুক।
সাকিব অবশ্য তার মতো অন্যদেরও এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। পরবর্তী ইফতারের খরচ বহনের জন্য পেসার তাসকিন আহমেদকে আহ্বান জানান তিনি।
তিনি নিজের ওই পোস্টে লেখেন, ‘পরবর্তী ইফতারের জন্য আমি তাসকিন আহমেদকে ২০ হাজার টাকা প্রদান করার জন্য মনোনয়ন করতে চাই। এই মর্মান্তিক ভয়ানক পরিস্থিতিতে আমরা আমাদের ক্ষতিগ্রস্ত সব ভাইবোনদের সাহায্য করার জন্য নিজ উদ্যোগে এগিয়ে আসতে পারি। আসুন, এখন একে অপরের পাশে দাঁড়াই। এই রমজান মাসে মহান আল্লাহতায়ালা তার রহমত ও বরকতে আমাদের এই ক্ষতি পূরণ করার তৌফিক দান করুন।’ সূত্র: যুগান্তর
ছবি সংগৃহীত
নিউজ ডেস্কঃ আজ ঐতিহাসিক এইদিনে জুলাই সনদে স্বাক্ষর করলেন দেশের প্রধান উপদেষ্টা ও রাজনীতিদলের প্রধানগণ। এই স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে জাতীয় ঐক্য ও গণতন্ত্রের নতুন অধ্যায়ের সূচনা হলো।
সনদটির উদ্দেশ্য—দেশে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা। স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। তারা একমত হন যে, জাতীয় স্বার্থই সবার ঊর্ধ্বে। প্রধান উপদেষ্টা তাঁর বক্তব্যে বলেন, এই সনদ হবে ভবিষ্যৎ সহযোগিতার মাইলফলক। রাজনীতিবিদেরা প্রতিশ্রুতি দেন, দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে দেশের উন্নয়নে কাজ করবেন তারা।
সনদের ধারাগুলোতে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও নাগরিক অধিকারের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হয়েছে। এটি জাতিকে বিভেদের বদলে ঐক্যের পথে এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে। নেতৃবৃন্দ বিশ্বাস করেন, এই সনদ দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে। সামাজিক ন্যায়বিচার, শিক্ষা ও অর্থনৈতিক সংস্কারের দিকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত জনগণ আশাবাদী মনোভাব প্রকাশ করেন। তারা মনে করেন, এই উদ্যোগ জাতীয় উন্নয়নের ভিত্তি স্থাপিত হবে। প্রধান উপদেষ্টা সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
এটি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আনয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। গণমাধ্যমে ইতোমধ্যে এ স্বাক্ষরকে ঐতিহাসিক পদক্ষেপ বলা হচ্ছে। তরুণ সমাজও এ উদ্যোগে নতুন আশার আলো দেখছে। জুলাই সনদ তাই আজ দেশের ইতিহাসে এক স্মরণীয় অধ্যায় হয়ে উঠেছে। এটি জাতীয় ঐক্য ও গণতন্ত্রের এক উজ্জ্বল প্রতীক।