a বাংলাদেশ যাতে দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি না হয় সেজন্য প্রস্তুত থাকুন : প্রধানমন্ত্রী
ঢাকা মঙ্গলবার, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২, ১৪ অক্টোবর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

বাংলাদেশ যাতে দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি না হয় সেজন্য প্রস্তুত থাকুন : প্রধানমন্ত্রী


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
বৃহস্পতিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২২, ০৯:৫৩
বাংলাদেশ যাতে দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি না হয় সেজন্য প্রস্তুত থাকুন : প্রধানমন্ত্রী

ফাইল ছবি

দীর্ঘস্থায়ী রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং চলমান কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে বাংলাদেশ যাতে কখনোই দুর্ভিক্ষ এবং খাদ্যের অপ্রতুলতার মতো কোনো পরিস্থিতির মুখোমুখি না হয় সেজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীকে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘আমাদের মাটি ও মানুষ আছে। তাই এখন থেকেই আমাদের উদ্যোগ নিতে হবে, বাংলাদেশ যাতে কখনো দুর্ভিক্ষ বা খাদ্য সঙ্কটে না পড়ে। আমরা আমাদের খাদ্য উৎপাদন বাড়াব।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার ১৪২৫ ও ১৪২৬’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন।

তিনি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে কৃষি মন্ত্রণালয় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।

শেখ হাসিনা করোনা পরিস্থিতির মধ্যে আবার রাশিয়া- ইউক্রেন যুদ্ধ এবং একে কেন্দ্র করে স্যাংশনের প্রসঙ্গ টেনে দেশে প্রতি ইঞ্চি জমিকে চাষাবাদের আওতায় এনে উৎপাদন বাড়ানোয় তার আহবান পূণর্ব্যক্ত করেন।

বিশ্ববাজারে প্রতিটি পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং পরিবহন ব্যয় অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে তিনি আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে আনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

তার সাম্প্রতিক যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র সফরে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের অন্তেষ্টিক্রিয়া এবং জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদানকালে উন্নত বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান এবং সংস্থার প্রধানদের সাথে আলোচনায় আগামী বছর বিশ্ব একটি ভয়াবহ খাদ্য সঙ্কটের দিকে যেতে পারে বলে সবার উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার কথাও উল্লেখ করেন ।

যুদ্ধের কারণে সারাবিশ্বের সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে উল্লেখ করে জাতিসঙ্ঘে প্রদত্ত ভাষণে তার যুদ্ধ বন্ধ করার উদাত্ত আহবানের পাশাপাশি শিশুদের জন্য খাদ্য, চিকিৎসা, শিক্ষার পাশাপাশি উন্নত জীবন নিশ্চিত করার ব্যবস্থা গ্রহণের আহবানের কথাও অনুষ্ঠানে উল্লেখ করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি মনে করেন না যে যুদ্ধ এত তাড়াতাড়ি বন্ধ হয়ে যাবে। কারণ অস্ত্র বিক্রির কারণে যুদ্ধ চালিয়ে রাখতে পারলে কিছু দেশ লাভবান হয়।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশের ডিজেল, এলএনজি, সার, ভোজ্য তেল, গমসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানির বাস্তবতা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সেইক্ষেত্রে আমি অনুরোধ করব যে আমাদের নিজেদের পণ্য উৎপাদন যেমন বাড়াতে হবে, পাশাপাশি আমরা ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কিছু উদ্যোগ নিয়েছি এবং জাতিসঙ্ঘের নেতৃত্বে আমরা এখন কিনে আনতে পারব।’

তিনি উদাহারণ হিসেবে বলেন, যেমন কানাডার থেকে যাতে আমরা গম ও সার আনতে পারি সেই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। রাশিয়া অথবা ইউক্রেন এবং বেলারুশ থেকে আমরা সব পণ্য এখন আনতে পারব। জাতিসঙ্ঘের সেক্রেটারি জেনারেলের চ্যাম্পিয়ন গ্রুপে রয়েছি বলে এটা করতে পারছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পণ্যের দাম যেমন বেড়েছে পরিবহনের খরচও কিন্তু অতিরিক্ত বেড়েছে। তারপরও কৃষকদের ভর্তুকি কিন্তু আমরা অব্যাহত রেখেছি। কারণ আমার দেশের মানুষের খাদ্য এবং পুষ্টির চাহিদা আমাদের পূরণ করতে হবে। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’

তিনি বলেন, আমাদের সব সময় মাথায় রাখতে হবে যে আমরা কখনো আমদানি নির্ভর হব না। আমরা নিজের পায়ে দাঁড়াবো।

রফতানি পণ্য বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কৃষি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী সেদিকে ব্যবস্থা নেয়ার এবং গবেষণা বাড়ানোর ওপর জোর দেন। এক্ষেত্রে তিনি দেশীয় বিজ্ঞানীদের জুট জেনোম আবিস্কারের প্রসঙ্গ টেনে পাট পণ্যের বহুমুখীকরণ করে রফতানি বৃদ্ধিতে সরকারের পাশাপাশি এখন বেসরকারি খাতও এগিয়ে আসছে বলে উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, পেঁয়াজ উৎপাদনে আমাদের সক্ষমতা থাকলেও সংরক্ষণ করা যেত না বলে এক সময় আমরা অন্যের ওপর নির্ভরশীল ছিলাম। কিন্তু এখন আমরা এটি উৎপাদনে যথেষ্ট সাফল্য পেয়েছি এবং তৃতীয় স্থান অর্জন করেছি। এই উৎপাদিত পেঁয়াজ সংরক্ষণেরও যেন ব্যবস্থা হয় সেদিকে আমরা বিশেষ দৃষ্টি দিচ্ছি এবং বেসরকারি খাতকেও আমরা উৎসাহিত করছি।

তিনি আরো বলেন, ‘শুধু উৎপাদন করলে হবে না সেগুলো যেন সংরক্ষণ করতে পারি সে ব্যবস্থা আমাদের নিতে হবে।’

ভোজ্য তেল আমাদের আমদানি নির্ভর হয়ে যাওয়ায় দেশে কিভাবে এর উৎপাদন বাড়ানো যায় সেদিকে সংশ্লিষ্টদের প্রধানমন্ত্রী নজর দিতে বলেন। অতীতে স্থানীয় পর্যায়ে চিনা বাদামের তেল উৎপাদনেরও উদাহারণ দেন তিনি, যা বর্তমানে প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে গবেষণার মাধ্যমে উন্নত মানের সরিষা বীজ আমরা পেয়েছি। এছাড়াও অন্যান্য যে তেল আন্তর্জাতিকভাবে অনেকে ব্যবহার করে যেমন সূর্যমূখী, সয়াবিন তা দেশীয়ভাবে উৎপাদনের পদক্ষেপ গ্রহণের আহবান জানান তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের পরনির্ভরশীলতা কমিয়ে নিজেদের পায়ে দাঁড়ানোর মত ব্যবস্থা নিতে হবে এবং এটা আমরা করতে পারব বলে বিশ্বাস করি।’

যত্রতত্র শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠে যেন কৃষি জমি নষ্ট না হয় সেজন্য সারাদেশে এক শ’ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (শিল্পাঞ্চল) প্রতিষ্ঠায় সরকারের উদ্যোগ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেখানে আমার একটা লক্ষ্য আছে যে যে অঞ্চলে আমাদের যেসব কৃষিপণ্য উৎপাদিত হয় সেই উৎপাদন বৃদ্ধি করে সেগুলো প্রক্রিয়াজাত করার জন্য সেসব অঞ্চলে আমরা কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে পারি। ফলে দেশে এগুলোর যেমন ব্যবহার হবে, বিদেশেও রফতানি করা যেতে পারে।

তিনি এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণে অনুষ্ঠানে উপস্থিত কৃষিমন্ত্রী এবং মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, এই উৎপাদিত পণ্যগুলোর সংরক্ষণের ব্যবস্থা আমাদের করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কৃষি পণ্য পচনশীল। এটা গাছ থেকে তোলার পর বেশি দিন থাকে না। সেদিকে লক্ষ্য রেখে আমাদের কৃষি পণ্য সংরক্ষণ করতে হবে। কোন কৃষি পণ্য কতটা তাপমাত্রায় ভালো থাকবে সেইভাবে সংরক্ষণাগার গড়ে তুলতে হবে। যাতে উৎপাদিত ফসল বাজারজাতের পাশাপাশি সংরক্ষণ করা সম্ভব হয়। তাহলে নিজেরা ব্যবহারের পাশাপাশি রফতানিও করতে পারব।

দেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের পাশাপাশি পণ্য সংরক্ষণাগার তৈরির সুযোগ রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটা তৈরি করার জন্য যে ফান্ড লাগবে সে ফান্ড আমি দেব।’

এজন্য যে ফান্ড দরকার তা তিনি আলাদা করে রেখেছেন। ফলে একটু উদ্যোগ নিলেই এটি করা সম্ভব বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি সবাইকে করোনাভাইরাসের টিকা গ্রহণের কথাও অনুষ্ঠানে পুণরায় স্মরণ করিয়ে দেন। সূত্র : বাসস

 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

মার্কিন কোম্পানিগুলোকে বিনিয়োগের প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
মঙ্গলবার, ০৬ এপ্রিল, ২০২১, ১১:১৬
মার্কিন কোম্পানিগুলোকে বিনিয়োগের প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ও বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশকে একটি প্রতিশ্রুতিশীল গন্তব্য অভিহিত করে সে দেশের কোম্পানিগুলোকে একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও একটি হাইটেক পার্কে বড় ধরনের বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছেন।

মঙ্গলবার ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল ভার্চুয়ালি উদ্বোধনকালে পাঠানো এক বার্তায় তিনি বলেন, আমরা আমেরিকান উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোর জন্য শিল্প-কারখানা স্থাপনের সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের প্রস্তাব দিচ্ছি। খবর বাসস

বাংলাদেশ এখন দেশি-বিদেশি বিনিয়োগে আইসিটি শিল্পের জন্য ২৮টি হাইটেক পার্ক স্থাপন করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা মার্কিন কোম্পানিগুলোকে একটি হাইটেক পার্ক নির্মাণের মাধ্যমে আইসিটি খাতে বিনিয়োগের প্রস্তাব দিচ্ছি।

তিনি বলেন, এটি গুরুত্বপূর্ণ যে, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য আরো সম্প্রসারণের লক্ষ্যে উভয় দেশেরই পর্যাপ্ত নীতিগত সমর্থন রয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, দ্রুত বর্ধনশীল অভ্যন্তরীণ বাজার এবং ৪ বিলিয়ন ভোক্তার বিরাট আঞ্চলিক বাজারের সাথে বর্ধনশীল যোগাযোগ ব্যবস্থা-এ দেশকে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসা ও বিনিয়োগের জন্য একটি প্রতিশ্রুতিশীল গন্তব্যে পরিণত করেছে।

তিনি বলেন, আমরা বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য টেকসই ভৌত-অবকাঠামো, আইনি ও আর্থিক সুবিধা দিচ্ছি। আমার সরকার বাংলাদেশে দ্রুত শিল্পায়ান ঘটাতে ১০০টি ‘বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল’ স্থাপন করছে। আর আমাদের দেশের গণতন্ত্র ও উন্নয়নের পথ যাত্রায় যুক্তরাষ্ট্র সব সময়ই একটি শক্তিশালী অংশীদার হিসেবে আমাদের পাশে থেকেছে। এটা আমাদের রপ্তানির সর্ববৃহৎ গন্তব্য, সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের বৃহত্তম উৎস, আমাদের দীর্ঘ-দিনের উন্নয়ন অংশীদার এবং প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস।

বাংলাদেশ প্রায় ৮ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করে, যার ৮০ শতাংশই তৈরি পোশাক উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের রপ্তানিকারকরা গড়ে ১৬ শতাংশ শুল্ক দেয়। আমরা যুক্তরাষ্ট্র থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সুতা, সয়াবিন ও গমের মতো শিল্প-কাঁচামাল ও ভোগ্য-পণ্য ক্রয় করি। বাংলাদেশে এই সব পণ্য বিনা-শুল্কে আমদানি হয়। বিদেশি সাহায্যের উপর বাংলাদেশের নির্ভরশীলতা উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পাওয়ার সাথে সাথে আমাদের দেশের লাখো তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশে আমাদের রূপকল্প ২০২১ এর একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। আর এক্ষেত্রে সরকারি কাজে জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে প্রযুক্তির ব্যবহার সক্ষম একটি আধুনিক বাংলাদেশের রূপকল্প পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে সহায়তার জন্য আমি আমার আইসিটি উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদকে ধন্যবাদ দিতে চাই।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ আজ বিশ্বের ৬০টি দেশে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি আইসিটি পণ্য রপ্তানি করে। এই দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি আইসিটি পণ্য রপ্তানি হয়। ইউএসএইড’এস প্রাইভেট সেক্টর এসেসমেন্ট ২০১৯ ফর বাংলাদেশ-এর মতে-আইসিটি শিল্প ২০২৫ সাল নাগাদ প্রায় ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছবে।

ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের উদ্বোধনী আয়োজনে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ অংশ নেয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মার্কিন ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের এই অংশ গ্রহণ বাংলাদেশে ব্যবসা ও বিনিয়োগের ব্যাপারে তাদের ক্রমবর্ধমান ইচ্ছার বহিঃপ্রকাশ। আমি আশা করছি, এটা আমাদের দু’দেশের মধ্যকার অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বকে আরো সম্প্রসারিত করতে সহায়ক হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার সরকার আগামী দিনগুলোতে ইউএস-বাংলাদেশে বিজনেস কাউন্সিলের কর্মকাণ্ডে অব্যাহতভাবে সমর্থন দিয়ে যাবে।

শেখ হাসিনা বলেন, কাউন্সিলের যাত্রা এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে যখন আমরা বাংলাদেশের গৌরবময় স্বাধীনতার পঞ্চাশতম বার্ষিকী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করছি।

তিনি আরও বলেন, ১৯৭১ সালে ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে ৩০ লাখ শহীদদের জীবন এবং ২ লাখ নারীর সম্ভ্রমের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের ধ্বংসস্তুপের উপরে সমৃদ্ধ বাংলাদেশের ভিত্তি রচনা করেছিলেন।

এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দারিদ্র্য, শোষণ ও অর্থনৈতিক বৈষম্যমুক্ত তার স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নের অসমাপ্ত কাজ হাতে নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, গত এক দশকে আমরা আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছি। বাংলাদেশের অর্থনীতির শক্তি এখন বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। কোভিড-১৯ মহামারী চলাকালীনও আমাদের অর্থনীতি দুর্দান্ত স্থিতিস্থাপকতা দেখিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তোরণে গত ফেব্রুয়ারিতে জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ লাভ করে। এখন ২০৪১ সালের মধ্যে উচ্চ-আয়ের উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হওয়ার লক্ষ্য অর্জনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে বাংলাদেশ। সূত্র:সমকাল

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

বাংলাদেশেও ভূ-কম্পন অনুভূত


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
বৃহস্পতিবার, ১২ আগষ্ট, ২০২১, ০৬:০০
বাংলাদেশেও ভূ-কম্পন অনুভূত

সংগৃহীত ছবি

ফিলিপাইনের দক্ষিণ–পূর্বাঞ্চলীয় পোন্দাগুইতান ও এর আশপাশের এলাকায় শক্তিশালী ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ১। 

ফিলিপাইনের দাভাও ওরিয়েন্টাল প্রদেশের মাতি শহরে ৬ দশমিক ৫ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। স্থানীয় সময় বুধবার দিবাগত রাত ১টা ৪৬ মিনিটে ১০ কিলোমিটার গভীরে এই ভূমিকম্প আঘাত হানে।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, পোন্দাগুইতান থেকে ৬৩ কিলোমিটার পূর্বে, ভূপৃষ্ঠ থেকে ৬৫ দশমিক ৬ কিলোমিটার গভীরে ছিল ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল।

ভূমিকম্পের পরপরই ওই এলাকায় সুনামি সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সুনামি সতর্কতা ব্যবস্থা। ফিলিপাইনের ইনস্টিটিউট অব ভলকানোলজি অ্যান্ড সিসমোলজি জানিয়েছে, আজকের ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।

তবে এই ভূমিকম্পের ফলে মার্কিন উপকূলে সুনামি আঘাত হানার আশঙ্কা নেই বলেই জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস (এনডব্লিউএস)।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - জাতীয়