a
ফাইল ছবি
বিখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী ও সুরকার বাপ্পি লাহিড়ির মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে এক শোক বার্তায় তার আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
বাপ্পি লাহিড়ি গত এক মাস ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন এবং সোমবার তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু মঙ্গলবার ফের তার স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে। এরপর হাসপাতালে নেওয়া হলে মধ্যরাতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
গত বছর এপ্রিলে করোনা আক্রান্ত হয়ে মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। কিছুদিন পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন তিনি।
১৯৭০ থেকে ৮০-এর দশকে হিন্দি ছায়াছবির জগতে আলোড়ন সৃষ্টি করেন নাম বাপ্পি লাহিড়ির। হিন্দিতে ‘ডিস্কো ডান্সার’, ‘চলতে চলতে’, ‘শরাবি’, বাংলায় অমর সঙ্গী, আশা ও ভালবাসা, আমার তুমি, অমর প্রেম প্রভৃতি ছবিতে সুর দিয়েছেন। গেয়েছেন একাধিক গান। ২০২০ সালে তার শেষ গান ‘বাগি- ৩’ সিনেমার জন্য।
বাপ্পি লাহিড়ি রাজনীতিতেও নেমেছিলেন। বিজেপি-তে যোগ দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের শ্রীরামপুর কেন্দ্র থেকে ভোটেও লড়েছিলেন। কিন্তু রাজনীতিতে কখনওই স্বচ্ছন্দ বোধ করেননি তিনি।
ফাইল ছবি
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ শনিবার ( ১২ জুন) বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষ্যে বাণী প্রদান করেছেন: মহামান্য রাষ্ট্রপতি বলেন-
“বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস’ পালনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। এ বছর বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবসের প্রতিপাদ্য ‘মুজিববর্ষের আহ্বান, শিশুশ্রমের অবসান’ যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি। জাতিসংঘ ২০২১ সালকে ‘আন্তর্জাতিক শিশুশ্রম নিরসন বছর’ হিসেবে ঘোষণা করায় এ বছরের ‘বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস’ উদযাপন বিশেষ তাৎপর্য বহন করে।
শিশুশ্রম একটি জাতীয় সমস্যা। উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে হলে শিশুর সার্বিক কল্যাণ নিশ্চত করে তাদের সুযোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার কোনো বিকল্প নেই। আর সেজন্যই শিশুশ্রম নির্মূল করে বাধ্যতামূলক শিক্ষাপ্রদানের মাধ্যমে শিশুর যথাযথ বিকাশ নিশ্চিত করতে হবে। বাংলাদেশ এ বছর স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করছে। তাই শিশুদের সার্বিক বিকাশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে যথাযথ কর্মসূচি গ্রহণ করার এখনই সময়। সরকার এসডিজি-বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০২১ সালের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম-নিরসন এবং ২০২৫ সালের মধ্যে দেশকে সকল ধরনের শিশুশ্রম হতে মুক্ত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। সরকার শিশুশ্রম-নিরসনে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে অঙ্গীকারবদ্ধ।
বাংলাদেশ জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদ ও ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রমবিষয়ক আইএলও-কনভেনশন অনুসমর্থনকারী দেশ। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিবিষয়ক এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য শিশুশ্রম-নিরসনকে অন্যতম সূচক হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। বিষয়টি United Nations Periodical Review (UPR), European Union এর সাথে প্রণীত National Action Plan on Labour Sector of Bangladesh এ এজেণ্ডাভুক্ত আছে। শিশুশ্রম নিরসনে ২০১০ সালে ‘জাতীয় শিশুশ্রম-নিরসন নীতিমালা’ প্রণয়ন করা হয়েছে। এ নীতিমালা-বাস্তবায়নে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা তৈরি ও শিশুদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ কাজের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। শিশুশ্রম-নির্মূলে জাতীয়, বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলাপর্যায়ে কমিটিগঠনের মাধ্যমে চারস্তরবিশিষ্ট প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়া এ বছর ৬টিসহ এ পর্যন্ত মোট ৮টি শিল্পখাতকে শিশুশ্রমমুক্ত করা হয়েছে। আমি আশা করি, সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টায় সকল প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক সেক্টরকে শিশুশ্রমমুক্ত করার মাধ্যমে বাংলাদেশকে শিশুশ্রমের অভিশাপ থেকে মুক্ত করা সম্ভব হবে।
ফাইল ছবি
নামে-বেনামে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক উপকমিটি থেকে সদ্য বহিষ্কৃত নেত্রী এবং জয়যাত্রা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা হেলেনা জাহাঙ্গীর (হেজা)। এরই মধ্যে তার নিজের এবং পরিবারের সদস্যদের নামে পাঁচটি গার্মেন্টস, রাজধানীর অভিজাত এলাকায় ১৫টি ফ্ল্যাট, অসংখ্য ভুঁইফোড় সংগঠনের প্রতিষ্ঠার সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা পেয়েছে একটি সংস্থা।
হেলেনা জাহঙ্গীরকে গ্রেফতারের পর সংবাদ সম্মেলনেও র্যাব হেলেনার আর্থিক অনিয়মের বিষয়টি উল্লেখ করেছে। এদিকে, শিগগিরই তার সম্পদের বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অনুসন্ধানে নামছে বলে নিশ্চিত করেছে সূত্র। দুদক তার মানি লন্ডারিংয়ের বিষয়টিও খতিয়ে দেখবে। দুদকের একাধিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করে জানায়, মানি লন্ডারিং, বিদেশে অর্থ পাচারসহ হেলেনা জাহাঙ্গীরের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত কোনো প্রকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ আছে কি না সে বিষয়ে অনুসন্ধানে নামতে পারে সংস্থাটি।
দুদকের সচিব ড. মুহম্মদ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, র্যাব যেহেতু তাদের ব্রিফিংয়ে হেলেনা জাহাঙ্গীরের আর্থিক বিষয়টি উল্লেখ করেছে তাই তারা অফিশিয়ালি আমাদেরকে অবহিত করবে। পরবর্তীতে কমিশন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী হেলেনা জাহাঙ্গীরকে গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদেই তার বিপুল সম্পদের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তবে এগুলো কীভাবে তিনি অর্জন করেছেন সে ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট তথ্য দিতে পারেননি। এ ব্যাপারে র্যাবের ভাষ্য ছিল, দলকে ভাঙিয়ে তিনি বিভিন্ন সময়ে চাঁদাবাজি কিংবা ‘ব্ল্যাকমেল’ করে দুর্নীতির মাধ্যমে আদায় করা টাকাগুলো তিনি ফ্ল্যাট কেনা ও ফাউন্ডেশনে বিনিয়োগ করতেন। দুদক চাইলে র্যাব তাদের সহায়তা করবে। দুদক কমিশনার মোজাম্মেল হক খান জানান, দুদকের তফসিলভুক্ত অপরাধে হেলেনা জাহাঙ্গীর জড়িত থাকলে অবশ্যই সে বিষয়ে অনুসন্ধানসহ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তদন্তে যা উঠে এসেছে: একটি সংস্থার অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, রাজধানীতে হেলেনা জাহাঙ্গীরের সর্বমোট ১৫টি ফ্ল্যাট রয়েছে। এর মধ্যে উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরে পাঁচটি, গুলশান ৩৬ নম্বর সড়কের পাঁচটি, গুলশান ২ নম্বরের ৮৬ নম্বর সড়কের ৭/বি নম্বর বাড়িতে ৮ হাজার ফুটের একটি ফ্ল্যাট, গুলশান এভিনিউতে একটি, গুলশান নিকেতনে একটি, মিরপুর ১১ নম্বরের ৬ নম্বর রোডে একটি ও কাজী পাড়ায় একটি ফ্ল্যাট। এর বাইরে তিনি মোট পাঁচটি গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠানের মালিক। এগুলো হলো মিরপুর ১১ নম্বরের নিউ কনসার্ন প্রিন্টিং ইউনিট, নারায়ণগঞ্জের জয় অটো গার্মেন্টস, জেসি এমব্রয়ডারি, প্যাক কনসার্ন ও হুমায়রা স্টিকার। এ ছাড়া অনেক ভুঁইফোড় প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছেন। এগুলোর মাধ্যমে তিনি বিভিন্ন সময় দেশ-বিদেশ থেকে অনুদান সংগ্রহ করেছেন। অনুদান সংগ্রহে ব্ল্যাকমেলিং ছিল হেলেনার অন্যতম একটি কৌশল। কেবল জয়যাত্রা ফাউন্ডেশনের ব্যানারেই তিনি বিপুল অঙ্কের চাঁদাবাজি এবং অনুদান সংগ্রহ করেছেন। ‘জয়যাত্রা ফাউন্ডেশনের সঙ্গে ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলের প্রভাবশালী একাধিক নেতাকে সম্পৃক্ত করেছিলেন। তাদের সামনে রেখেই তিনি অনেকের সঙ্গে ব্ল্যাকমেলিং করেছেন এমন অভিযোগ এখন উঠে আসছে। সুনামগঞ্জে তিনি ত্রাণ বিতরণ করায় স্থানীয়রা তাকে পল্লী মাতা উপাধি দিয়েছেন। তবে এই ফাউন্ডেশনের নামে প্রবাসীদের কাছ থেকে অনেক টাকা এনেছেন তিনি। এগুলো কী কাজে ব্যবহার করা হয়েছে সে বিষয়ে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি হেলেনা জাহাঙ্গীর।
হেলেনা দেশের ১২টি অভিজাত ক্লাবের সদস্য। সেগুলো হলো- গুলশান ক্লাব, গুলশান ক্যাপিটাস ক্লাব, গুলশান নর্থ ক্লাব, ঢাকা বোর্ড ক্লাব, গুলশান সোসাইটি ক্লাব, কুমিল্লা ক্লাব, গুলশান জগার সোসাইটি, ফিল্ম ক্লাব, গুলশান হেলথ ক্লাব, গুলশান লেডিস ক্লাব, ঢাকা রাইফেলস ক্লাব ও ওয়ার্ড ট্রাভেলস ক্লাব। হেলেনার কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের বরাত দিয়ে তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, হেলেনা জাহাঙ্গীরের স্বামী ১৯৯০ সাল থেকে গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে অন্যদের সঙ্গে পার্টনারশিপের মাধ্যমে ব্যবসা শুরু করে এখন পর্যন্ত পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের মালিক তিনি। একটা সময় রাজধানীর একটি অভিজাত ক্লাবে চিয়ার গার্ল হিসেবে কাজ করেছেন হেলেনা। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি কখনো ছয়টি অভিজাত গাড়ি, কখনো বা আটটি গাড়ির কথা বলেছেন। তবে আয়ের উৎস সম্পর্কে প্রকৃত তথ্য দিচ্ছেন না। এখন সিআইডি কিংবা দুদক এ ব্যাপারে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে।
জানা গেছে, ২০১৮ সালে তিনি আইপি টিভির কার্যক্রম শুরু করেন। তার এসব চ্যানেলে প্রায় ৭০ জন স্টাফ রয়েছে। তাদের বেতন ভাতা পরিশোধের ব্যাপারে অনিয়ম রয়েছে। জয়যাত্রা আইপিটিভির নিবন্ধন না করে স্টাফদের বেতন-ভাতা না দিয়ে অন্যায়ভাবে স্টাফদের চাকরিচ্যুত করেন তিনি।
গত দুই বছরে বিভিন্ন মাধ্যম এবং টেলিভিশনে চাকরি দেওয়ার কথা বলে, এজেন্সি দেওয়ার কথা বলে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে বিভিন্ন পরিমাণ টাকা আদায় করছেন তিনি। কারও কাছ থেকে ১০ হাজার, কারো কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা, আবার কারও কাছ থেকে ১ লাখ টাকা নিয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে এভাবে তিনি কী কারণে টাকা নিয়েছেন এবং কী কাজে ব্যবহার করেছেন এসব বিষয়ে হেলেনা কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি বলেও জানান র্যাব কর্মকর্তারা। তারা জানতে পেরেছেন, এসবের দায় অফিস স্টাফদের ওপর চাপিয়েছেন তিনি। তার বাসা এবং অফিস থেকে যে পরিমাণ ভাউচার পাওয়া গেছে তা এখনো পর্যালোচনা করা হচ্ছে। জয়যাত্রা টেলিভিশনের আইডি কার্ড ব্যবহার করে অনেক প্রতিনিধিও চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন।
সাইবার টিম ছিল হেলেনার: হেলেনার নিজস্ব একটি বিশেষ সাইবার টিম রয়েছে। টিমের সদস্যদেরকে তিনি উদ্দেশ্যমূলকভাবে নিজের প্রচার প্রচারণায় ব্যবহার করতেন। যারা তার সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্য করত তাদেরকে কৌশলে ঘায়েল করার পাশাপাশি অপমান অপদস্ত করতেন তিনি। র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, বর্তমানে হেলেনা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। মামলার তদন্তও করছে পুলিশ। এখন এ বিষযে তদন্তকারী কর্মকর্তাই বলবেন। তবে এখন পর্যন্ত বিতর্কিত এই নারীর বিষয়ে অনেক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। তবে প্রতিটি তথ্যই গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখে আমরা ছায়া তদন্ত করছি।
হেলেনার বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা: অনুমোদন ও বৈধ কাগজপত্র ছাড়া জয়যাত্রা টিভির সম্প্রচারের অভিযোগে হেলেনা জাহাঙ্গীরের নামে পল্লবী থানায় আরেকটি মামলা হয়েছে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন আইনে র্যাব-৪-এর মামলার বাদী হয়েছেন র্যাব-৪-এর উপপরিদর্শক ইদ্রিস আলী। শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে ওই মামলা করেন। এ নিয়ে হেলেনা জাহাঙ্গীরের নামে রাজধানীর গুলশান থানায় দুটি, পল্লবী থানায় একটিসহ তিনটি মামলা হলো। ওই মামলায় হেজাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর গুলশান-২ এর ৩৬ নম্বর রোডের ৫ নম্বরের হেলেনা জাহাঙ্গীরের বাসায় অভিযান চালিয়ে ১৯ বোতল বিদেশি মদ, একটি ক্যাঙ্গারুর চামড়া, একটি হরিণের চামড়া, দুটি মোবাইল ফোন, ১৯টি চেক বই ও বিদেশি মুদ্রা, দুটি ওয়াকিটকি সেট এবং ক্যাসিনো খেলার সরঞ্জামসহ ৪৫৬টি চিপস উদ্ধার করা হয়। সূত্র: বিডি প্রতিদিন