a
সংগৃহীত ছবি
নিউজ ডেস্ক: বিগত তিনটি বিতর্কিত সংসদ নির্বাচনের (২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত) দায়িত্বে থাকা সাবেক জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) মধ্যে যাঁদের চাকরির বয়স ২৫ বছর হয়েছে, তাঁদের বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার এবং বাকিদের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে চাকরির বয়স ইতিমধ্যে ২৫ বছর হওয়া ২২ জন সাবেক ডিসিকে আজ বৃহস্পতিবার বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।
সচিবালয়ে আজ সাংবাদিকদের এই সিদ্ধান্তের কথা জানান জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মোখলেস উর রহমান। এর আগে গতকাল বুধবার বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও দপ্তরে কর্মরত যুগ্ম সচিব ও সমপর্যায়ের পদে থাকা প্রশাসনের ৩৩ জন কর্মকর্তাকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করেছে সরকার। তাঁরা ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত বিতর্কিত নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মোখলেস উর রহমান বলেন, সম্প্রতি জনপ্রশাসন–সংক্রান্ত একটি কমিটি হয়েছে, সেখানে ৪জন উপদেষ্টা আছেন। এই কমিটিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব আছেন। আর তিনি নিজে সাচিবিক দায়িত্বে আছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব হিসেবে।
মোখলেস উর রহমান বলেন, এই কমিটিতে কয়েকটি বড় সিদ্ধান্ত হয়েছে। ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের বিতর্কিত নির্বাচনে যাঁরা রিটার্নিং কর্মকর্তা ছিলেন (ডিসিরা রিটার্নিং কর্মকর্তা হন), তাঁরা নেতিবাচক ভূমিকা রেখেছিলেন। তাঁদের মধ্যে ইতিমধ্যে ৪৩ জনকে ওএসডি করা হয়েছে। ওএসডি করা হয়েছে যাঁদের চাকরির বয়স ২৫ বছরের কম তাঁদের। আর যাঁদের চাকরির বয়স ২৫ বছরের বেশি, তাঁদের বাধ্যতামূলক অবসরে দেওয়া হচ্ছে। আজ এ রকম ২২ জন সাবেক ডিসিকে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়ার আদেশ জারি করা হয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব বলেন, যাঁদের চাকরির বয়স ২৫ বছরের কম, তাঁরা ওএসডি হবেন। আর যাঁদের চাকরির বয়স ২৫ বছরের বেশি, তাঁরা বাধ্যতামূলক অবসরে যাবেন। আর যাঁদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ থাকবে, তাদের বিষয়গুলো দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) পাঠানো হবে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব জানান, যুগ্ম সচিব ধনঞ্জয় কুমার দাসকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
সাবেক ডিসিদের বাইরেও অন্য কর্মকর্তাদের বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব বলেন, যাঁদের নামে দুর্নীতি আছে বা যাঁরা আইনের বাইরে গিয়ে অতিরঞ্জন কাজগুলো করেছেন, তাঁরাও চাকরিবিধি অনুযায়ী সাজা ভোগ করবেন। সূত্র: প্রথম আলো
ফাইল ছবি: সিইসিসহ ৪ নির্বাচন কমিশনার
নিউজ ডেস্কঃ আজ ২৪ নভেম্বর, দুপুরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার(সিইসি)সহ অপর ৪ জন নির্বাচন কমিশনার শপথ নেবেন। দুপুর দেড়টার দিকে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ নতুন নির্বাচন কমিশনারদের শপথ পড়াবেন।
উল্লেখ্য, গত ২১ নভেম্বর নির্বাচন কমিশন গঠনে সার্চ কমিটি গঠন করা হয় এবং সেই সার্চ কমিটির প্রস্তাব অনুযায়ী অবসরপ্রাপ্ত সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীনকে প্রধান(সিইসি) করে নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন করা হয়। পাশাপাশি আরেকটি প্রজ্ঞাপনে ৪ জন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়। নবনিযুক্ত নির্বাচন কমিশনারগণ হলেন- অবসরপ্রাপ্ত(অতি.) সচিব মো. আনোয়ারুল ইসলাম, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ আবদুর রহমান মাসুদ, অবসরপ্রাপ্ত যুগ্ম সচিব বেগম তাহমিদা আহমদ ও অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
ফাইল ছবি
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে প্রথম আলোর সিনিয়র প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে শারীরিকভাবে হেনস্তা করা ওই নারীর নাম মাকসুদা সুলতানা পলি। তিনি স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের আর্থিক ব্যবস্থাপনা ও অডিট অনুবিভাগের অফিস সহায়ক। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
গত সোমবার (১৭ মে) সাংবাদিক রোজিনাকে হেনস্তার ঘটনার পর সোস্যাল মিডিয়া একটি ছবি ছড়িয়ে পড়ে। ছবিতে দেখা যায়, রোজিনা ইসলামের গলা চেপে ধরেছেন এক নারী। তিনি একজন অতিরিক্ত সচিব বলে গুঞ্জন ওঠে।
তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, হেনস্তাকারী ওই নারী মাকসুদা সুলতানা পলি। এ ঘটনার ছবি প্রকাশ পাওয়ায় নিজেকে আড়ালে রাখার চেষ্টা করছেন।
গত বুধবার (১৯ মে) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগে পলির কক্ষে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে যে, মঙ্গলবার অফিসে আসেননি তিনি। বুধবার সকালে অফিসে এলেও বেশিক্ষণ থাকেননি। এরপর দুপুরে আবার এসে কয়েক মিনিট পর বের হয়ে যান।
ঘটনা প্রসঙ্গে জানতে মাকসুদা সুলতানা পলির মোবাইল ফোনে কল করলে রিসিভ করেও কোনো কথা বলেননি তিনি। এরপর আরও কয়েকবার কল করা হলেও আর রিসিভ করেননি।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যান। সেখানে ৫ ঘণ্টার বেশি সময় তাকে আটকে রেখে হেনস্তা করা হয়।একপর্যায়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। রাত ৯টার দিকে তাকে সচিবালয় থেকে শাহবাগ থানায় আনা হয়। রাতেই তার বিরুদ্ধে অফিসিয়াল সিক্রেটস আইনে মামলা করা হয়।
মঙ্গলবার সকাল পৌনে ৮টার দিকে রোজিনাকে আদালতে নেওয়া হয়। বেলা ১১টার একটু পরে সিএমএম আদালতে তোলা হয় তাকে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) আরিফুর রহমান সরদার তার পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। বিচারক রিমান্ড নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বর্তমানে তিনি কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারে আছেন।