a
ফাইল ছবি
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের ভিড়ে বঙ্গবন্ধু সেতুতে রেকর্ড পরিমাণ টোল আদায় হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে প্রায় ৫২ হাজার যানবাহন অতিক্রম করেছে। এতে টোল আদায় হয়েছে দুই কোটি ৯৯ লাখ ১৮ হাজার টাকা। যা পূর্বের রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে। বুধবার (১২ মে) ভোর ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার (১৩ মে) ভোর ৬টা পর্যন্ত এ টোল আদায় হয়।
সেতু কর্তৃপক্ষের সূত্রে জানা যায়, পণ্যপরিবহনে নিয়োজিত যানবাহন, ট্রাক, পিকআপভ্যান, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেল সেতু দিয়ে পার হয়েছে তাদের থেকে আদায়ক আদায়কৃত টোলের পরিমান প্রায় দুই কোটি ৯৯ লাখ ১৮ হাজার টাকা যা বঙ্গবন্ধু সেতু চালু হওয়ার পর সর্বোচ্চ আদায়কৃত টোল।
অপরদিকে, আজ বৃহস্পতিবার মহাসড়কে ট্রাক, মাইক্রোবাস, পিকআপভ্যানসহ বিভিন্ন ব্যক্তিগত গাড়ির পাশাপাশি কিছু কিছু দূরপাল্লার বাস চলাচল করতেও দেখা যায়। বিগত কয়েকদিন তুলনায় এখন মানুষের চাপ অনেকটাই কম। রাস্তা প্রায়ই ফাকা।
ফাইল ছবি
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আজ সোমবার দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকবে। ফলে এ দিন ব্যাংক ও শেয়ারবাজারে লেনদেন হবে না। এছাড়াও সরকারি ছুটির কারণে সরকারি অফিস-আদালতগুলোও বন্ধ থাকবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, সরকারি ছুটির কারণে তফসিলি ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকও বন্ধ থাকবে।
আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে যথানিয়মে স্বাভাবিকভাবে লেনদেন চলবে ব্যাংক, প্রতিষ্ঠান ও পুঁজিবাজারে।
সংগৃহীত ছবি
করোনা সংক্রমণ বাড়ায় সারাদেশে কতিপয় বিধি-নিষেধ আরোপ করে নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ও সকল ধর্মের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং মসজিদসমূহে জামায়াতের নামাজের জন্য কিছু শর্ত আবশ্যিকভাবে পালনের জন্য অনুরোধ করেছে।
যেসব শর্ত পালন করতে বলছে ধর্ম মন্ত্রণালয়ঃ
মসজিদের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার/হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান-পানি রাখতে হবে এবং আগত মুসল্লিদেরকে অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে; প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে ওজু করে, সুন্নাত নামাজ ঘরে আদায় করে মসজিদে আসতে হবে এবং ওজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে; মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না।
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পূর্বে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবানুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে, মুসল্লিগণ প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসতে হবে; কাতারে নামাজে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে; শিশু, বয়ঃবৃদ্ধ, যেকোনো অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি জামায়াতে অংশগ্রহণ করা হতে বিরত থাকবে; সংক্রমণ রোধ নিশ্চিতকল্পে মসজিদের ওজুখানায় সাবান/হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না।
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, 'সর্বসাধারণের সুরক্ষা নিশ্চিতকল্পে, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে; করোনাভাইরাস মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য নামাজ শেষে মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে খতিব, ইমাম ও মুসল্লিগণ দোয়া করবেন এবং খতিব, ইমাম এবং মসজিদ পরিচালনা কমিটি বিষয়গুলো বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবেন।
ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আরো বলা হয়, অন্যান্য সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান/উপাসনালয়ে প্রবেশের ক্ষেত্রে মাস্ক পরিধান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার/সাবান দিয়ে হাত ধোয়াসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব যথাযথভাবে অনুসরণ করবেন।
উল্লিখিত নির্দেশনা লঙ্ঘিত হলে স্থানীয় প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে স্থানীয় প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্ট মসজিদের পরিচালনা কমিটিকে উল্লিখিত নির্দেশনা বাস্তবায়ন করার জন্য অনুরোধ জানানো হলো।