a
ফাইল ছবি
করোনা আক্রান্ত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের কেবিন থেকে সিসিইউতে (করোনারি কেয়ার ইউনিট) স্থানান্তর করা হয়েছে। হঠাৎ শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় আজ দুপুরে তাকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।
গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন খালেদা জিয়ার চিকিৎসক টিমের সদস্য ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, ম্যাডাম কিছু শ্বাসকষ্ট অনুভব করছিলেন সকালের দিকে। পরে চিকিৎসকরা বিকাল ৪টায় সিসিইউতে স্থানান্তর করেন। তারা জানায় খালেদা জিয়ার অবস্থা এই মুহূর্তে (সাড়ে ৪টায়) স্থিতিশীল।
এর আগে গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার করোনা শনাক্ত হয়। এরপর থেকে গুলশানের বাসা ‘ফিরোজায়’তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এফএম সিদ্দিকীর নেতৃত্বে চিকিৎসা শুরু হয়।
করোনা আক্রান্তের ১৪ দিন অতিক্রান্ত হওয়ার পরে খালেদা জিয়ার করোনা টেস্ট করা হলে ফলাফল পজিটিভ আসে। এরপর ২৭ এপ্রিল রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে সিটি স্ক্যান (চেস্ট), হৃদযন্ত্রের কয়েকটি পরীক্ষা করা হয়। এরপর থেকে সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন আছেন।
ছবি: সংগৃহীত
আজ চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের জনসভা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনসভায় ভাষণ দেবেন। তাকে স্বাগত জানাতে ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। রেলওয়ে পলোগ্রাউন্ড ময়দানে আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, রোববার (৪ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী সভাস্থলে আসবেন এবং ৩টার মধ্যেই বক্তব্য শুরু করবেন।
আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ জানান, জনসভায় ১০ লাখ জনসমাগমের টার্গেট করা হয়েছে। এই জনসভার আয়োজন করেছে চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যাওয়ার তিন বছর পর ২০১২ সালে এই পলোগ্রাউন্ডে সর্বশেষ জনসভায় এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। গত ১০ বছরে চট্টগ্রাম নগরীতে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে আর কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি হয়নি।
গতকাল শনিবার সকালে দেখা গেছে, পৌনে ৫ লাখ বর্গফুটের পলোগ্রাউন্ড ময়দানের শেষপ্রান্তে নৌকার আদলে তৈরি করা হয়েছে মঞ্চ। সাড়ে তিন হাজার বর্গফুটের এই মঞ্চে ২০০ জনের বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মূল মঞ্চ থেকে ৩০ মিটার সংরক্ষিত রেখে পশ্চিমে গুরুত্বপূর্ণ অতিথিদের বসার জন্য আলাদা মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। পূর্বদিকে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য এবং মাঝখানে নারীদের জন্য নির্দিষ্ট স্থান সংরক্ষিত রাখা হয়েছে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায় সাংবাদিকদের জানান, সাড়ে ৭ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। প্রথম ধাপের মোতায়েন শেষ হয়েছে। এছাড়া এসএসএফ, পিজিএফ, সাদা পোশাকের পুলিশ, ইউনিফর্মের পুলিশ, গোয়েন্দা সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। পুলিশ ও র্যাবের সদস্যরা মিলে পুরো জনসভাস্থল ঘিরে রেখেছে।
এদিকে, গতকাল শনিবার দুপুরে জনসভাস্থল পরিদর্শনে যান আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ ও বাহাউদ্দিন নাছিম, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলসহ কেন্দ্রীয় আরও কয়েকজন নেতা। সূত্র: ইত্তেফাক
ফাইল ছবি
আফগানিস্তানে এখনো কোনো সরকার গঠন করেনি তালেবান। সংগঠনটির নেতৃত্বে সেখানে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার গঠনে সহায়তা করে যাচ্ছে পাকিস্তান। এমনটাই জানিয়েছেন পাকিস্তান সেনবাহিনীর প্রধান কামার জাভেদ বাজওয়া। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
জানা যায়, গতকাল শনিবার ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাবের সঙ্গে এক বৈঠকে এ কথা বলেছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান।
পাকিস্তানের স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, আফগানিস্তানে সরকার গঠনে সহায়তার পাশাপাশি সেখানে শান্তি ও স্থিতিশীলতা আনতে পাকিস্তান কাজ করবে বলে ডমিনিক রাবের সঙ্গে বৈঠকে জানিয়েছেন দেশটির সেনাপ্রধান।
এদিকে, পাকিস্তান সেনাপ্রধান সঙ্গে বৈঠকে দুই দেশের সম্পর্ককে ‘খুবই শক্তিশালী’ বলে উল্লেখ করেছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী। দেশটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি বলেন, ‘এ সম্পর্ককে পরবর্তী ধাপে নেওয়ার ইচ্ছা রয়েছে যুক্তরাজ্যের। দুই দেশেরই আফগানিস্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে আগ্রহ রয়েছে। তবে আমরা তালেবানকে তাদের কাজের মাধ্যমে মূল্যায়ন করবো, মুখের কথায় নয়।’
তালেবানের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার ইঙ্গিতও দিয়েছেন ডমিনিক রাব। তবে এখনই তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়ার পথে হাঁটবে না যুক্তরাজ্য বলে জানান তিনি। পাশাপাশি আফগানিস্তানের শান্তি প্রতিষ্ঠায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী।