a
ফাইল ছবি
করোনা আক্রান্ত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের কেবিন থেকে সিসিইউতে (করোনারি কেয়ার ইউনিট) স্থানান্তর করা হয়েছে। হঠাৎ শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় আজ দুপুরে তাকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।
গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন খালেদা জিয়ার চিকিৎসক টিমের সদস্য ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, ম্যাডাম কিছু শ্বাসকষ্ট অনুভব করছিলেন সকালের দিকে। পরে চিকিৎসকরা বিকাল ৪টায় সিসিইউতে স্থানান্তর করেন। তারা জানায় খালেদা জিয়ার অবস্থা এই মুহূর্তে (সাড়ে ৪টায়) স্থিতিশীল।
এর আগে গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার করোনা শনাক্ত হয়। এরপর থেকে গুলশানের বাসা ‘ফিরোজায়’তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এফএম সিদ্দিকীর নেতৃত্বে চিকিৎসা শুরু হয়।
করোনা আক্রান্তের ১৪ দিন অতিক্রান্ত হওয়ার পরে খালেদা জিয়ার করোনা টেস্ট করা হলে ফলাফল পজিটিভ আসে। এরপর ২৭ এপ্রিল রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে সিটি স্ক্যান (চেস্ট), হৃদযন্ত্রের কয়েকটি পরীক্ষা করা হয়। এরপর থেকে সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন আছেন।
সংগৃহীত ছবি
বৃহস্পতিবার (৩ জুন) জাতীয় সংসদে পেশ করা হবে ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট। বাজেটে নতুন করে কর আরোপ না করায় চাল, ডাল, চিনি, লবণ, দেশে উৎপাদিত পেস্ট, ফলের জুস, পাউরুটি, সাবান, বোতলজাত পানি, মসলা ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্যদ্রব্যের দাম বাড়বে না। কর অব্যাহতি-রেয়াতি সুবিধা এবং আমদানি করা সমজাতীয় পণ্যে শুল্ক আরোপ করায় বিদেশি খেলনার দাম বাড়লেও কমবে দেশি খেলনার দাম। আমদানি করা পূর্ণাঙ্গ মোটরসাইকেলের চেয়ে দেশে সংযোজিত মোটরসাইকেল কম দামে পাওয়া যাবে।
তবে করোনাভাইরাস মহামারির এই সংকটকালে সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দেওয়ার চেষ্টা থাকছে আগামী অর্থবছরের বাজেটে। দেশে উৎপাদিত এবং বেশি ব্যবহার হয় এমন বেশির ভাগ পণ্যের দাম নাগালে রাখতে দেশি শিল্পে ব্যাপক হারে রাজস্ব ছাড় দেওয়া হচ্ছে।
অপরদিকে দেশে কম্পিউটারসহ কিছু পণ্যের উৎপাদন উৎসাহিত করতে সেসব পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে বেশি হারে শুল্ক আরোপ করা হচ্ছে। তবে শুল্ক ছাড় পাচ্ছে কৃষিযন্ত্র, স্বাস্থ্য সুরক্ষা পণ্য। এতে ওই সব পণ্যের দাম কমতে পারে।
সিগারেট, বিড়িসহ তামাকজাতীয় পণ্যের ওপর বাড়তি কর আরোপের ঘোষণা অন্যান্য বছরের ন্যায় এবারও থাকছে।
জানা গেছে, প্রথমবারের মতো জিডিপির ৬ শতাংশের বেশি ঘাটতি ধরে চূড়ান্ত করা হয়েছে আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট। যার আকার হচ্ছে ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। এটি মোট জিডিপির ১৭ দশমিক ৪৭ শতাংশ। আর চলতি সংশোধিত বাজেটের তুলনায় নতুন বাজেটের আকার বাড়ছে ৬৪ হাজার ৬৯৮ কোটি টাকা। যা বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
সংগৃহীত ছবি
রাজধানী কাবুল দখল করলে তালেবান যাতে মার্কিন দূতাবাসে হামলা না করে সেজন্য এই গোষ্ঠীকে বোঝানোর চেষ্টা করছে মার্কিন আলোচক দল। একাধিক মার্কিন কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে ‘দৈনিক নিউ ইয়র্ক টাইমস’ শুক্রবার এ খবর প্রকাশ করে।
পত্রিকাটি বলেছে, মার্কিন প্রেসিডেন্টের আফগানিস্তান বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি জালমাই খলিলজাদের নেতৃত্বে একটি আলোচক দল তালেবানকে বিষয়টি বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করছে যে তালেবান কাবুলের দখল নিলে সেখানকার মার্কিন দূতাবাস যাতে পুরোপুরি খালি করে দিতে না হয় সেজন্য এই পদক্ষেপ নিয়েছে ওয়াশিংটন।
গত ৩ন দিন ধরে কাতারের রাজধানী দোহায় আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতায় তালেবানের সঙ্গে আলোচনা করেছে আফগান সরকার। ওই আলোচনায় খলিলজাদের নেতৃত্বে একটি মার্কিন প্রতিনিধিদল অংশ নিয়েছে।
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের মার্কিন দূতাবাসে বর্তমানে প্রায় ১,৪০০ কূটনীতিক ও কর্মী রয়েছে এবং তাদেরকে নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য আমেরিকা বিশেষ বাহিনী পাঠিয়েছে। তবে কাবুলের মার্কিন দূতাবাস যাতে পুরোপুরি খালি করে দিতে না হয় বরং কূটনীতিকদের একটি দল যাতে মার্কিন স্বার্থ দেখাশোনা করতে পারে সেজন্য তালেবানের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে মার্কিন আলোচক দল।
এছাড়া, সেসব মার্কিন নাগরিক দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে আফগানিস্তানে কাজ করছে না তাদেরকে অবিলম্বে বাণিজ্যিক ফ্লাইট ব্যবহার করে আফগানিস্তান ত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছে ওয়াশিংটন।
আফগানিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশে তালেবানের আকস্মিক অগ্রাভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন পশ্চিমা দেশ তাদের দূতাবাস ও ত্রাণ সংস্থাগুলোর কর্মীদের আফগানিস্তান থেকে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করেছে বলে খবর এসেছে। জাতিসংঘ সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, তালেবান রাজধানী কাবুল দখল করলে সেখানকার বেসামরিক নাগরিকরা ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হবে।
গত ২০ বছর ধরে আমেরিকা ও তার মিত্ররা আফগানিস্তানে বন্দি নির্যাতন, রাত্রিকালীন অভিযান, বেসামরিক নাগরিকদের ওপর গণহত্যা, মাদকদ্রব্যের আবাদ ও চোরাচালান বৃদ্ধিসহ এরকম আরও বহু জঘন্য অপরাধ করে আসছিল।
আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতিকে বিশ্লেষকরা আমেরিকার ওই অপরাধযজ্ঞের পরিণতি বলেই মনে করছেন। সূত্র: বিডি প্রতিদিন