a
ফাইল ছবি
শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল জানিয়েছেন, সুনির্দিষ্ট তারিখে স্কুল-কলেজ খোলার পর প্রাথমিকভাবে সপ্তাহে একদিন ক্লাস করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওয়ান স্টপ ইমারজেন্সি কেয়ার উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপমন্ত্রী এ কথা বলেন।
শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের ওপর মানসিক চাপের সৃষ্টি হয়েছে। প্রাথমিক, নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষাসহ সব পর্যায়ে শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু এটা যথেষ্ট নয়।
তিনি বলেন, আমরা আশা করছি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী যে সুনির্দিষ্ট তারিখ দিয়েছেন তারপর থেকে শারীরিক উপস্থিতির মাধ্যমে ক্লাস শুরু করতে পারব। প্রাথমিকভাবে একদিন করে ক্লাস নেওয়ার চিন্তা ভাবনা করছি। আপাতত এটাই আমাদের পরিকল্পনা। তবে সেটা পরিবর্তন হতে পারে।
তিনি বলেন, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে শারীরিক উপস্থিতির মধ্যে নেওয়ার যে প্রচেষ্টা আছে সেটা অব্যাহত থাকবে। এটাই আমাদের আপাতত লক্ষ্য। পাশাপাশি অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবেই চলবে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) চাঁদপুর সদর উপজেলার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানান, আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে সারাদেশের প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের পাঠদান শুরু করা যাবে।
ফাইল ছবি
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ঢাকায় বিএনপির নির্বিঘ্নে সমাবেশের সুবিধার্থে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বরাদ্দ ও সেখানে অনুষ্ঠেয় ছাত্রলীগের সম্মেলনের তারিখ এগিয়ে আনা হয়েছে। তারপরও যদি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে চায়, বাড়াবাড়ি করা হয়, তাহলে সরকার যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে।
সচিবালয়ে মঙ্গলবার দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি একথা বলেন। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের সম্মেলন ৮ তারিখের পরিবর্তে এগিয়ে এনে ৬ তারিখ করেছেন। যাতে সেই মঞ্চ, প্যান্ডেল গুটিয়ে ফেলার পর বিএনপি মঞ্চ ও প্যান্ডেল নির্মাণ করতে পারে। কোনো সম্মেলন পিছিয়ে দেওয়া সহজ কিন্তু এগিয়ে আনা সহজ নয়। তারপরও বিএনপির জন্য আওয়ামী লীগ সেটি করেছে। শুধু তাই নয়, বিএনপি নির্বিঘ্নে সারা দেশে সমাবেশ করছে।
মন্ত্রী বলেন, আমরা যখন সমাবেশ করতাম আমাদের ওপর গ্রেনেড হামলা, বোমা হামলা, বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালিয়ে মানুষ হত্যা করা হয়েছে। আমাদের দলীয় কার্যালয়ের দুপাশে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া ছিল। সহজে আমাদের সমাবেশ করতে দেওয়া হতো না। রাসেল স্কয়ারে আমরা ২০ জন নিয়ে দাঁড়ালে পুলিশ লাঠিপেটা করত। সেই ছবিগুলো আপনারাই (সাংবাদিক) সংগ্রহ করেছেন এবং এখনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আছে। তাদের আমলে আমাদের প্রয়াত নেতা মো. নাসিমকে পুলিশ লাঠিপেটা ও জ্যেষ্ঠ নেতা মতিয়া চৌধুরীকে টানাহেঁচড়া করেছিল। আমিও পুলিশের লাঠিপেটা খেয়েছি। এভাবে তাদের (বিএনপির) কোনো নেতা আমাদের ১৪ বছরের আমলে এসবের শিকার হতে হয়নি। সরকার তাদের সহায়তা করছে বিধায় তারা নির্বিঘ্নে সারা দেশে সমাবেশ করতে পারছে।
বিএনপির সমাবেশে জঙ্গি প্রভাব নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, এ দেশের জঙ্গিদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক বিএনপি, তাদের কারণেই জঙ্গিদের উত্থান ঘটেছে। সম্প্রতি জঙ্গিদের যে অপতৎপরতা দেখতে পাচ্ছি এটির সঙ্গেও বিএনপির অপতৎপরতা একই সূত্রে গাথা।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে জঙ্গিগোষ্ঠীর উত্থান হয়েছে বিএনপির আমলে। বাংলা ভাইকে মাঠে নামিয়েছিল বিএনপি। বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন বাংলা ভাইকে পুলিশ প্রটেকশন দেওয়া হয়েছিল। অপারেশন কিলিং কমান্ডার বাংলা ভাইয়ের নেপথ্যে গডফাদার ছিলেন রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, রাজশাহীর সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু, আলমগীর কবীর, নাদিম মোস্তফা, ব্যারিস্টার আমিনুল হকসহ আরও অনেকেই। এভাবেই জঙ্গিগোষ্ঠীর উত্থান ও বিস্তৃতি ঘটিয়েছিল বিএনপি। তাদের সময়েই ৫শ জায়গায় বোমা ফাটিয়ে জঙ্গিরা তাদের অস্তিত্ব জানান দিয়েছে, যার বিরুদ্ধে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি।
হাছান মাহমুদ আরও বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপি সারা দেশে সমাবেশের নামে উসকানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছে এবং দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। একই সঙ্গে দেখা যাচ্ছে জঙ্গিরাও আগের তুলনায় তৎপর লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সূত্র: যুগান্তর
ফাইল ছবি
কাতার বিশ্বকাপটি মরক্কোর জন্য ছিল স্বপ্নের মতো। ফিফা বিশ্বকাপের মতো বড় আসরে প্রথমবার কোয়ার্টার ফাইনালে সুযোগ পেয়ে বাজিমাত করে দেয় আশরাফ হাকিমিরা।
ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর মতো তারকা খচিত পর্তুগালকে কোয়ার্টার ফাইনালে বিদায় করে দিয়ে সেমিফাইনালে উঠে মরক্কো। তাদের সেই ধারাবাহিকতা স্বপ্নের যাত্রা থামিয়ে দেয় ফরাসিরা।
বুধবার সেমিফাইনালে বিশ্বকাপের গত আসরের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের বিপক্ষে ২-০ গোলে হেরে ফাইনালের আগেই বিদায় নিতে হয় মরক্কোকে।
বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিলেও দুর্দান্ত ফুটবল খেলে ভক্ত-সমর্থকদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন আশরাফ হাকিমিরা। সেমিফাইনালে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় হলেও বিশ্ব নেতাদের প্রশংসায় ভাসছে মরক্কো দল।
দল হেরে গেলেও মরক্কোর বাদশাহ ষষ্ঠ মোহাম্মদের প্রশংসা কুঁড়িয়েছে জাতীয় দল। মরক্কোর এমন অর্জনে এক টুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন, তোমাদের ধন্যবাদ সিংহ।
মরক্কো টিমের প্রশংসা করেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁও। বিশ্বকাপে এমন ইতিহাস সৃষ্টি করায় মরক্কো টিমের প্রশংসা করে ম্যাক্রোঁ বলেন, আমাদের মরক্কোর বন্ধুদের এমন সুন্দর যাত্রার জন্য অভিনন্দন জানাচ্ছি। আপনারা ফুটবল ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনেরও নজর কেড়েছে মরক্কো টিম। জো বাইডেন বলেন, এই দলটি কতটা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে তা দেখতে অসাধারণ ছিল।
বুধবার দিবাগত রাত ১টায় কাতারের আল বাইত স্টেডিয়ামে সেমিফাইনাল ম্যাচে মুখোমুখি হয় ফ্রান্স-মরক্কো। খেলার শুরুতেই এগিয়ে যায় ফ্রান্স।
সেমিফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বাঁ পায়ের দারুণ শটে ম্যাচের ৫ মিনিটে দলকে (১-০) এগিয়ে নেন হার্নান্দেজ। তার গোলে বিশ্বকাপে প্রথমবারের মত প্রতিপক্ষ ফুটবলারের কাছ থেকে গোল হজম করল মরক্কো।
গোল খেয়ে পিছিয়ে পরলেও দারুণ খেলে যায় মরক্কো। ১১ মিনিটে ডি বক্সের বাইর থেকে উনাহির দূরপাল্লার শট বা পাশে ঝাপিয়ে পড়ে রুখে দেন ফ্রেঞ্চ গোলরক্ষক হুগো লরিস।
১৮ মিনিটে আবারো গোলের সুযোগ পায় মরক্কো। বৌফালের পাস থেকে ডি বক্সে বল পেলেও বা পায়ের দুর্বল শটে গোল করতে ব্যর্থ হন জিয়েচ৷।
৩৬ মিনিটে দারুণ এক কাউন্টার এটাকে মরক্কোর রক্ষণভাগে ভয় ধরিয়ে দেয় এমবাপ্পে। তার গতির কাছে পরাস্ত হন মরক্কোর ডিফেন্ডার।
কিন্তু ফোফানার পাস থেকে দারুণভাবে একা বল পেয়ে গোলবারের বাইরে শট নেন জিরুড।
৪১ নিনিটে গ্রিজম্যানের কর্নার থেকে ভারানের ডান পায়ের শট আবারো লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে বাইরে চলে যায়। ম্যাচের ৪৭ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার দারুণ সুযোগ পায় মরক্কো। কিন্তু এল ইয়ামিকের ওভার হেড কিক গোলবারে লেগে প্রতিহত হয়, ফলে গোলবঞ্চিত হয় মরক্কো।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে গোল পরিশোধে আরো আক্রমণাত্মক খেলা খেলে মরক্কো। ৫৫ মিনিটে ফ্রান্সের রক্ষণভাগে ভয় ধরিয়ে দেন মরক্কোর ফুটবলাররা। বৌফাল, এল নাসিরের দুই প্রচেষ্টা রুখে দেন ভারান ও থিও হার্নান্দেজ।
খেলার ৮০ মিনিটে দারুণ এক কাউন্টার এটাক থেকে এমবাপ্পের একক নৈপুণ্যে ডিবক্সের ভেতর শট নিলে প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়ের পায়ে লেগে বল যায় কোলো মুয়ানির কাছে। এমন সুযোগ আর তিনি মিস করেননি৷ বদলি হিসেবে নামার ২ মিনিটের ভেতরেই গোলটি করেন তিনি।
দুই গোলে পিছিয়ে থেকে আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি মরক্কো। ৯২ মিনিটে ডিবক্সের বাইরে থেকে মরক্কোর উনাহির শট চলে যায় গোলবারের উপর দিয়ে।
শেষ দিকে আরো কয়েকবার ফ্রান্স আক্রমণভাগে বল নিয়ে ঢুকলেও ফিনিশিংটাই করতে পারেনি। ফলে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল থেকেই বিদায় নিতে হল আফ্রিকান প্রতিনিধি মরক্কোকে। সূত্র: যুগান্তর