a
ফাইল ছবি
সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) সব থানা, ফাঁড়ি ও স্থাপনায় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বসানো হয়েছে এলএমজি পোস্ট। যে কোনো ধরনের অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা এড়াতে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
গত কয়েক দিন যাবত দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নাশকতামূলক কর্মকান্ড চালানো হচ্ছে কোথাও কোথাও সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় হামলা চালনা হয়েছে। ভাঙচুর ও আগুন দিয়ে রাষ্ট্রীয় ও ব্যক্তি মালিকানাধীন সম্পদ বিনষ্ট করা হয়েছে।
এ অবস্থায় সিলেট মহানগর পুলিশের আওতাধীন ৬ থানা, সব কটি ফাঁড়ি ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায়সমূহে বিশেষ নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। প্রতিটি স্থাপনায় বালু ও মাটি দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে এলএমজি পোস্ট।
প্রতিটা পোস্টে পুলিশ সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্বও পালন করে যাচ্ছে। সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ জানান, এসএমপির সব থানা, ফাঁড়ি ও স্থাপনায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি এড়াতে প্রতিটি স্থাপনায় এলএমজি পোস্ট বসানো হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাত থেকে এই পোস্টগুলো বসানোর কাজ শুরু করে। ইতিমধ্যে সব স্থাপনায় এলএমজি পোস্ট বসানোর কাজ শেষ হয়েছে।
ফাইল ছবি
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার রূপাপাত ইউনিয়নের কাটাগড় গ্রামের ধর্মীয় সাধক দেওয়ান শাগের শাহে্র (রহ.) মাজারের বার্ষিক ওরশ উপলক্ষে প্রতিবছর অনুষ্ঠিত হয় মেলা। বাংলা সনের ১২ চৈত্র শাগের শাহে্র মৃত্যু বার্ষিকী ওরসের পাঁশাপাশি বসে এই মেলা। মেলায় মাজারের ভক্ত নারী পুরুষ ছাড়াও আশপাঁশের এলাকা থেকে কয়েক হাজার লোকের আনাগোনা হয়।
প্রতিবছরের ন্যায় এবারও তার ব্যতীক্রম ঘটেনি। হাজার হাজার লোকের আনাগোনায় মেলা তার পরিপূর্ণতা লাভ করে।
জানা যায়, প্রায় চারশ বছরের ঐতিহ্যবাহী কাটাগড়ের দেওয়ান শাগির শাহ্ মেলা ১২ই চৈত্র শুক্রবার (২৬ মার্চ) থেকে শুরু হয়েছে। শুরু হওয়া তিনদিনের এই আয়োজন ১৪ চৈত্র শেষ হলেও এর রেশ থাকবে ১৫ দিনব্যাপি।
সাত দিনব্যাপী ব্যতিক্রমী এ মেলায় রকমারি পণ্য, নানা প্রজাতি আর হাতের কারুকাজ বিভিন্ন ধরনের পালঙ্গ দর্শনার্থীদের দৃষ্টি কাড়ছে। মেলা ঘিরে উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়েছে পুরো এলাকায়।তবে সবকিছু ছাপিয়ে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে মেলায় বসা মিষ্টির দোকান ।
জানা গেছে, প্রায় ৫০০ বছর আগে ইসলাম ধর্ম প্রচারের জন্য ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার কাটাগড় নামক এলাকায় আসেন দেওয়ান শাগের শাহ। তিনি ছিলেন একজন সাধক। আধ্যাত্মিক সাধক শাগের দেওয়ান এর শাহ মাজারে ওরসকে ঘিরে প্রতি বছর বাংলা ১২ চৈত্র থেকে সপ্তাহব্যাপী এ মেলার আয়োজন করা হয়। খেলনা, বাতাসা, মুড়ি-মুড়কি, প্রসাধনী, কাঠের আসবাবপত্র, হাড়ি-পাতিল থেকে শুরু করে সব কিছুই মিলবে এ মেলায়।
মেলা কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মশিউল আজম বাবু মিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, কাটাগড় মেলা এই এলাকায় নাম করা একটি মেলা। মেলায় এক সময় ঘোড়া দৌঁড় হতো এখন আর তা হয় না। ১২ চৈত্র মেলা অনুষ্ঠিত হয় কিন্তু ১২ চৈত্রর ৫-৬ দিন আগে থেকে মেলা শুরু হয়ে যায়। গত বছর করোনাভাইরাস দেখা দেওয়ার কারণে মেলাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ বছর প্রশাসন থেকে এখনও কোন নির্দেশ দেয়া হয়নি বলে তিনি জানান।
ফাইল ছবি
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের থাবায় বিপর্যস্ত গোটা বিশ্ব। ইউরোপ-আমেরিকার পর এই ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মহাবিপর্যয়ে নামিয়ে এনেছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশ ভারতে। দেশটিতে ইতোমধ্যে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ৩ হাজার ছাড়িয়েছে। দৈনিক সংক্রমণ গিয়ে পৌঁছেছে ৩ লাখ ৬৩ হাজারে, যা বিশ্বের যেকোনও দেশের চেয়ে বেশি।
বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের থাবা থেকে ফিরে আসাদের প্রত্যেকেই সুস্থ হওয়ার নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে অ্যান্টিবডি। তবে ব্যতিক্রম ঘটছে, সেখানে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পরেও অনেকের শরীরেই গড়ে ওঠেনি স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা। আর এ জন্যই রোগটি ফিরে আসছে বারবার। সমীক্ষা জানা গেছে, সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের অন্যতম কারণ হল কোভিড-১৯ প্রতিরোধী অ্যান্টিবডির অনুপস্থিতি। খবর আনন্দবাজারের।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘কাউন্সিল ফর সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ’ (সিএসআইআর)-এর মার্চ মাসের ওই সমীক্ষা জানিয়েছে, মোট ১০,৪২৭ লোকের উপর পরীক্ষা চালিয়ে দেখা গেছে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে (সেরো পজিটিভিটি) মাত্র ১০.১৪ শতাংশের শরীরে। দেশের ১৭টি রাজ্য এবং ২টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে সিএসআইআর-এর কর্মীদের উপর সমীক্ষা চালিয়ে এই তথ্য পাওয়া যায়।
খবরে আরও বলা হয়, ওই সমীক্ষার ফল দেখে উদ্বিগ্ন চিকিৎসা বিজ্ঞানীরাও। কারণ, তাদের মতে ভাইরাসের বিরুদ্ধে স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে না উঠলে শুধুমাত্র টিকা আর ওষুধের সাহায্যে কোভিড-দমন করা খুবই কঠিন।
এদিকে বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানান, করোনাভাইরাস প্রতিরোধী অ্যান্টিবডির ‘সক্রিয়তার মেয়াদ’ নিয়েও দুশ্চিন্তার কারণ রয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, অ্যান্টিবডিগুলো তৈরি হওয়ার ৫-৬ মাসের মধ্যেই সেগুলো দুর্বল হয়ে পড়ছে এবং কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলছে। ফলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির আবারও সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। [সূত্র:বিডিপ্রতিদিন]