a
ফাইল ছবি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘সব থেকে দুর্ভাগ্য হলো আমি যখন সিদ্ধান্ত নিলাম প্রত্যেকটা মানুষকে আমরা ঘর করে দেবো, আমাদের দেশের কিছু মানুষ এত জঘন্য চরিত্রের, আমি কয়েকটা জায়গায় হঠাৎ দেখলাম যে কীভাবে ঘর ভেঙে পড়ছে, কোন জায়গায় ভাঙা ছবি ইত্যাদি দেখার পরে পুরো সার্ভে করালাম কোথায় কী হচ্ছে। সেখানে আমরা প্রায় দেড় লাখের মতো ঘর তৈরি করে দিয়েছি। ৩শটা ঘর (ভেঙেছে) বিভিন্ন এলাকায় কিছু মানুষ নিজে থেকে গিয়ে হাতুড়ি-শাবল দিয়ে সেগুলো ভেঙে ভেঙে তারপর মিডিয়ায় সেগুলো ছবি তুলে দিচ্ছে। তাদের নাম-ধাম এগুলো একদম এনকোয়ারি করে সবগুলো বের করা হয়ে গেছে। আমার কাছে যে পুরো রিপোর্টটা আছে, মানে যারা গরিবের জন্য ঘর করে দিচ্ছি, তারা এইভাবে যে ভাঙতে পারে, সেই ছবিগুলো দেখলে, দেখা যায়।’
আজ বৃহস্পতিবার গণভবনে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভার সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘মিডিয়া এগুলো ধারণ করে প্রচার করে, তারা কিন্তু এটা কীভাবে হলো সেটা কিন্তু না। কয়েকটা জায়গায় গেছে, যেমন এক জায়গায় ৬শ ঘর সেখানে হয়তো ৩/৪টা ঘর, ঐ যে প্রবল বৃষ্টি হলো যখন এজন্যই মাটি ধসে কয়েকটা ঘর নষ্ট হয়েছে। মাত্র ৯টা জায়গায় আমরা পেয়েছিলাম যেখানে কিছুটা দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে, মাত্র ৯টা জায়গায়।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি দেখেছি যে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের অধীনে ঘর নির্মাণে প্রত্যেকে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছে। আমাদের ইউএনও-ডিসি সমস্ত কর্মচারীরা ছিল তারা কিন্তু অনেকে নিজেরা এগিয়ে এসেছে এই ঘরগুলো তৈরিতে সহযোগিতা করার জন্য। যারা ইট তৈরি করে তারাও এগিয়ে এসেছে, অল্প পয়সায় তারা ইট দিয়ে দিয়েছে। এভাবে সবাই। সবার সহযোগিতা, আন্তরিকতাটাই বেশি। কিন্তু এর মধ্যে দুষ্টু বুদ্ধির কিছু... এটাই হচ্ছে সবচেয়ে কষ্টকর। যখন এটা গরিবের ঘর, সেখানে হাত দেয় কীভাবে?’ সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি
এই মুহূর্তে সরকারের দুই চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘এই মুহূর্তে করোনা সংক্রমণ মোকাবিলা ও উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর অপতৎপরতা প্রতিরোধ করাই হচ্ছে সরকারের চ্যালেঞ্জ। এই দুই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারি কাজের সুসমন্বয় এবং দলের ঐক্য আরও সুসংহত করা আশু জরুরি কর্তব্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
আজ মঙ্গলবার কক্সবাজার লিংক রোড থেকে উনচিপ্রাং পর্যন্ত ৫০ কিলোমিটার সম্প্রসারিত সড়কের উদ্বোধন শেষে তিনি এ কথা বলেন। ঢাকায় নিজ সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এ সময় ভেদাভেদ ভুলে দলীয় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে এ লড়াইয়ের সাহসী কাণ্ডারি শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। করোনা মোকাবিলায় সর্বস্তরের জনগণের সহযোগিতা কামনা করছি।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব লঞ্চডুবির সঙ্গে প্রাকৃতিক দুর্যোগকেও মিলিয়ে ফেলেছেন। কোনটি সরকারের দায়, কোনটি নয়—সেটিও বিবেচনায় নেওয়ার সক্ষমতা হারিয়েছে বিএনপি। সমালোচনা বিএনপিকে এমনই অন্ধ করেছে যে, এখন কালবৈশাখীর মৃত্যুর দায়ও সরকারের ওপর চাপাচ্ছে। সামনের দিনগুলোতে হয়তো দেখা যাবে বজ্রপাতে নিহতের ঘটনায়ও সরকারকে দায়ী করছে বিএনপি।’
ফাইল ছবি
ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহ নিয়ে ইসরায়েলকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে রাশিয়া। দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেছেন, ইউক্রেনে ইসরায়েলের অস্ত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত হবে ‘বেপরোয়া’।
দিমিত্রি মেদভেদেভ বর্তমান রাশিয়ার নিরাপত্তা কাউন্সিলের উপ প্রধানের দায়িত্বে আছেন। ইউক্রেন ইস্যুতে বিভিন্ন মন্তব্য করে বেশ আলোচনায় আছেন তিনি।
সোমবার এক টেলিগ্রাম বার্তায় দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেন, ‘মনে হচ্ছে ইসরায়েল ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহের পরিকল্পনা করছে। এই সিদ্ধান্ত ‘খুবই অপরিণামদর্শী’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা রাশিয়া-ইসরায়েলের মধ্যে সকল আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্ক নষ্ট করে দিবে।’
এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গণমাধ্যম সিএনএন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে যোগাযোগ করে। কিন্তু মেদভেদেভের মন্তব্য নিয়ে তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
উল্লেখ্য, ইসরায়েলের প্রবাসী (ডায়াস্পোরা) বিষয়ক মন্ত্রী ন্যাসম্যান শাই রবিবার এক টুইটবার্তায় ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা পাঠানোর পক্ষে কথা বলেন।
ইসরায়েলের এই মন্ত্রী টুইটারে লেখেন, ইরান রাশিয়ায় ব্যালেস্টিক মিসাইল পাঠাচ্ছে এমন খবর বের হয়েছে। সুতরাং এই রক্তাক্ত সংঘাতে ইসরায়েলের কোথায় অবস্থান নেওয়া উচিত, তা নিয়ে আর কোনো সন্দেহ নেই। ন্যাটো এবং যুক্তরাষ্ট্রের মতো ইসরায়েলের কাছ থেকেও ইউক্রেনের অস্ত্র নেওয়ার সময় এসেছে।’ ইউক্রেন যুদ্ধে ইসরায়েল রাশিয়ার নিন্দা জানালেও কিয়েভকে এখন পর্যন্ত অস্ত্র দেয়নি। সূত্র: বিডি প্রতিদিন