a
ফাইল ছবি । জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন
আগামী ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট সরকার ঘোষিত লকডাউনের সময় গার্মেন্টসসহ সব শিল্প প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
এর আগে ঈদুল আজহা উপলক্ষে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে আরোপিত বিধিনিষেধ শিথিল করলেও আগামী ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ফের কঠোর লকডাউনের ঘোষণা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। এতে লকডাউনের সময় সব ধরনের শিল্প কারখানা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।
শনিবার আবারও এই ঘোষণা দিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
ফাইল ছবি
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আরও ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে ১০ হাজার ৯০৬ জনের নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে। ফলে শনাক্তের হার বেড়ে দাঁড়ায় ৩১ দশমিক ২৯ শতাংশ। শনিবার শনাক্তের হার ছিল ২৮.২ শতাংশ।
রোববার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। গত ২৪ ঘণ্টার মৃত্যু নিয়ে এ পর্যন্ত করোনায় দেশে মোট ২৮ হাজার ২২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ১৬ লাখ ৮৫ হাজার ১৩৬ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৭৮২ জন এবং মোট সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৫৬ হাজার ৮৬১ জন। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয় ৩৫ হাজার ৫১ জনের। পরীক্ষা হয় ৩৪ হাজার ৮৫৪টি নমুনা।
সংগৃহীত ছবি
শুক্রবার জুমার দিন মুসলমানদের জন্য সপ্তাহের সেরা দিন। পবিত্র কোরআন শরিফে জুমা নামে একটি সূরাও আছে। এইদিনে মহান আল্লাহতায়ালা জগৎ সৃষ্টির পূর্ণতা দান করেছিলেন।
আদি পিতা হজরত আদম (আ.) ও মা হাওয়া (আ.)-কে এই দিনেই জান্নাতে একত্র করেছিলেন এবং এই দিনে মুসলিম উম্মাহ সাপ্তাহিক ঈদ ও ইবাদত উপলক্ষে মসজিদে একত্র হয় বলে দিনটাকে ইয়াওমুল জুমাআ বা জুমার দিন বলা হয়।
জুমার নামাজের সূচনাঃ
জুমার নামাজ ফরজ হয় প্রথম হিজরিতে। রাসূলুল্লাহ (সা.) হিজরতকালে কুবাতে অবস্থান শেষে শুক্রবার দিনে মদিনা পৌঁছেন এবং বনি সালেম গোত্রের উপত্যকায় পৌঁছে জোহরের ওয়াক্ত হলে সেখানেই তিনি জুমার নামাজ আদায় করেন। এটাই ইতিহাসের প্রথম জুমার নামাজ।
হিজরতের পরে জুমার নামাজ ফরজ হওয়ার আগে নবুওয়তের দ্বাদশ বর্ষে মদিনায় নাকীউল খাজিমাতে হজরত আসআদ বিন যুরারাহ (রা.)-এর ইমামতিতে সম্মিলিতভাবে শুক্রবারে দুই রাকাত নামাজ আদায়ের প্রমাণ পাওয়া যায়। তবে সেটা ছিল নফল নামাজ।
জুমার দিনের ফজিলতঃ
সাপ্তাহিক ঈদ হিসেবে জুমার দিনের ফজিলত অনেক বেশি। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন – জুমার দিনে ফেরেশতাগণ বিশেষ রেজিস্টার নিয়ে মসজিদের প্রতিটি দরজায় দাঁড়িয়ে যান। তাঁরা মসজিদে আগমনকারী মুসল্লিদের নাম পর্যায়ক্রমে লিপিবদ্ধ করতে থাকেন। অতঃপর যখন ইমাম সাহেব এসে যান, তখন তারা রেজিস্টার বন্ধ করে খুতবা শুনতে থাকেন।