a
ফাইল ছবি । প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে সংক্রমণের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে আশার কথা শোনালেন। তিনি বলেছেন, করোনা ভাইরাসের টিকার ব্যবস্থা হয়ে গেছে এবং ৮০ শতাংশ মানুষকেই এই টিকার আওতায় আনা হবে।
শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের টিকা দিয়ে উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার কথাও জানান তিনি।
আজ মঙ্গলবার (২৯ জুন) জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, টিকার ব্যবস্থা হয়ে গেছে। এখন আর কোনও সমস্যা হবে না। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, চীন, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ থেকে টিকা আসবে। জুলাই থেকেই আবারও শুরু হবে গণটিকা দান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, টিকা সংগ্রহে যত টাকাই লাগুক না কেন আমরা সেই টাকা দেব। ১৪ হাজার কোটি প্রস্তুত রাখা হয়েছে। টিকা বাজারে আসার আগে থেকেই আমরা যোগাযোগ রেখেছি।
দেশের ৮০ শতাংশ মানুষকেই টিকার আওতায় আনা হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, টিকাকরণের মাধ্যমেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দ্রুত খুলে দেওয়ার চেষ্টা করছে সরকার।
ছবি সংগৃহীত
বঙ্গবাজারে ভয়াবহ আগুনে জ্বলছে পুরো বঙ্গবাজারসহ আশে-পাশে আরও ৪টি ভবন। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৫০টি ইউনিট। একইসঙ্গে যোগ দিয়েছে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সাহায্যকারী দল। আকাশে ৩টি হেলিকপ্টার আগুন নেভাতে কাজ করছে। মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) ভোরের দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়। প্রায় ৪ হাজার দোকান আছে বলে উপস্থিত ব্যক্তিদের কাছে জানা যায় এবং এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এর পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবু হায়দার মো. রাসেলুজ্জামান জানান, বঙ্গবাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি সম্মিলিত সাহায্যকারী দল কাজ করছে।
ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রাফি আল ফারুক বলেন, মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) সকাল ৬টা ১০ মিনিটে বঙ্গবাজার মার্কেট আগুন লাগার খবর পাই। সংবাদ পাওয়ার পর আমাদের একের পর এক ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে ৪৭টি ইউনিট ঘটনাস্থলে কাজ করছে। সঙ্গে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সাহায্যকারী দল যুক্ত হয়েছে।
তিনি আরও জানান, আগুনে এখন পর্যন্ত হতাহতের খবর নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও জানানো যাচ্ছে না। এদিকে ভয়াবহ এই আগুন নেভাতে পানির সংকটে পড়েছে কর্মীরা। দ্রুত সেই সমস্যা সমাধানে বঙ্গবাজারের পার্শ্ববর্তী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদুল্লাহ হলের পুকুর থেকে আনা হচ্ছে পানি।
ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা মার্কেটের চার দিক থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। তবে বাতাসের কারণে আগুন ছড়িয়ে পড়ছে। বঙ্গবাজার মার্কেটে লাগা আগুন পাশের এনেক্সকো টাওয়ারেও ছড়িয়ে পড়েছে। আগুনের কারণে ধোঁয়ার কুণ্ডলীতে ছেয়ে গেছে বঙ্গবাজারের আকাশ। ভয়াবহ এ আগুনের কারণে প্রচণ্ড তাপ অনুভূত হচ্ছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আগুনের তীব্রতা বাড়ছে।
মার্কেটের দোকানিরা জানান, প্রথমে আগুন লাগে গুলিস্তান মার্কেটে। সেখানে থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে বঙ্গবাজার মার্কেটে। এখন পাশের অন্য ভবনগুলোতেও ছড়িয়ে পড়েছে। কাপড়ের মার্কেট হওয়ায় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। সূত্র: ইত্তেফাক
ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় বসার মাত্র পাঁচ সপ্তাহ পার হতে না হতেই লিজ ট্রাসের ক্ষমতা টালমাটাল অবস্থায় পড়েছেন। এবার লড়ছেন গদি রক্ষার লড়াইয়ে। গুঞ্জন চাউর হচ্ছে ক্ষমতা হারাতে যাচ্ছেন লিজ। এরই মধ্যে খবর এলো ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রাভারম্যান পদত্যাগ করেছেন।
স্থানীয় সময় বুধবার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে তিনি প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎ করে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। খবর বিবিসির।
লিজ ট্রাস ইতোমধ্যে নিজ দলের এমপিদের ব্যাপক অসন্তোষের মুখে রয়েছেন। এমন সঙ্কটময় সময়ে সুয়েলা ব্রাভারম্যানের পদত্যাগ দেশটির সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে আরও অশান্তি বাড়াবে।
এর আগে, ট্যাক্স ইস্যুতে পদত্যাগ করেন অর্থমন্ত্রী কাওয়াসি কোয়ারতেং। এরপরই গুঞ্জন ওঠে প্রধানমন্ত্রীকেও শিগগির পদত্যাগ করতে হতে পারে।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়, সুয়েলা মন্ত্রিপরিষদের দুটি নীতি ভঙ্গ করেন। প্রথমত সরকারি কাজে তিনি ব্যক্তিগত ই-মেইল ব্যবহার করেন। দ্বিতীয়ত তিনি এমন একজন ব্যক্তিকে সরকারি নথি প্রদান করেন, যার কাছে এ নথি দেওয়ার কথা নয়।
পদত্যাগপত্রে সুয়েলা ব্রাভারম্যান প্রধানমন্ত্রী ট্রাসের সমালোচনা করেছেন। বিশেষ করে ট্রাসের নীতির কঠোর সমালোচনা করেন তিনি। ট্রাসকে তিনি লেখেন, ‘এই সরকারের নির্দেশনা নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন। আমাদের ভোটারদেরকে প্রধান প্রধান যেসব প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল আমরা শুধু তা ভঙ্গই করিনি বরং নির্বাচনী ইশতেহারের প্রতিশ্রুতিগুলোকে, যেমন সামগ্রিক অভিবাসন সংখ্যা হ্রাস করা, অবৈধ অভিবাসন বন্ধ করা, বিশেষ করে ছোট ছোট নৌকায় করে বিপজ্জনকভাবে সমুদ্র পাড়ি দিয়ে আশ্রয়প্রার্থীদের আসা বন্ধা করার মতো প্রতিশ্রুতির প্রতি সম্মান রাখার বিষয়ে এই সরকারের স্বদিচ্ছা নিয়েও আমার গুরুতর উদ্বেগ রয়েছে।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘সরকারের ভুলের দায় স্বীকার করতে হবে এবং সরকারকে জনগণের উপর নির্ভর করতে হবে। আমরা ভুল করিনি এমন ভান করা এবং জিনিসগুলো জাদুকরিভাবে ঠিক হয়ে যাবে আশা করাও ঠিক নয়।’
এদিকে, এতো কিছুর পরও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করার কোনো পরিকল্পনা নেই লিজ ট্রাসের। তার রাজনৈতিক মুখপাত্র বুধবার (১৯ অক্টোবর) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এ মাসের শেষের দিকেও লিজ ট্রাস ক্ষমতায় থাকবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র বলেন, প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে তিনি পদত্যাগ করছেন না। সূত্র: ইত্তেফাক