a
সংগৃহীত ছবি
আদালতের আদেশ পাওয়ার পর বাংলাদেশে পাবজি, ফ্রি ফায়ারের মত ‘বিপজ্জনক’ ইন্টারনেট গেইমের লিংক বন্ধ করেছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা-বিটিআরসি।
কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র বুধবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ডিপার্টমেন্ট অব টেলিকমকে (ডট) এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। ইতোমধ্যে পাবজি ও ফ্রি ফায়ার বন্ধ হয়ে গেছে। অন্য ‘ক্ষতিকর’ অ্যাপগুলোও বন্ধ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
কতগুলো অ্যাপ বন্ধ করা হবে জানতে চাইলে ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, টিকটক, বিগো লাইভ ও লাইকির মত অ্যাপসহ আরো বেশ কিছু অ্যাপ বাংলাদেশে বন্ধের প্রক্রিয়া তারা শুরু করা হয়েছে।
“এখন অ্যাপগুলোর লিংক বন্ধ করলেও ভিপিএন দিয়ে চালানো যায়। এসব বন্ধ করার মত সক্ষমতা আমাদের নেই। এই সব অ্যাপের কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দিয়েও আমরা বন্ধ করার অনুরোধ জানাব।”
ফাইল ছবি
বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ভিপিএন ব্যবহার হয় ভারতে। এরফলে ভিপিএন নিষিদ্ধ করতে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। তারা বলছেন, ভিপিএন অ্যাপ ব্যবহার করে অপরাধীরা নিজেদের পরিচয় গোপন রেখে অনলাইনে থাকছেন। তাই এটা বন্ধ করা অতীব জরুরী।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, অ্যাটলাস ভিপিএন-এর মতে বিশ্বে সবচেয়ে ভিপিএন ব্যবহার হয় ভারতে। দেশটিতে পাবজি গেম নিষিদ্ধের পরে রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে উঠে ভার্চ্যুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক বা ‘ভিপিএন’। এই অ্যাপ ও টুলের সহায়তা নিয়ে অনেকেই চলে যাচ্ছেন নিষিদ্ধ হওয়া ওয়েবসাইটে। জনপ্রিয় ভিপিএন পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলোর মধ্যে অন্যতম নর্ড ভিপিএন, এক্সপ্রেস ভিপিএন ও আইপি ভ্যানিশ।
রাজ্যসভায় জমা দেওয়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ভিপিএন ব্যবহার করে দেশের সাইবার নিরাপত্তার সমস্ত বিধিনিষেধ এড়িয়ে যাচ্ছেন অপরাধীরা। আশঙ্কা করা হচ্ছে, ভবিষ্যতে এর মাধ্যমে বড় ধরনের অপরাধ হতে পারে।
ভিপিএন পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা সম্ভব কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে দেশটির বিশেষজ্ঞরা জানান, অবশ্যই সম্ভব। কিন্তু সাধারণ মানুষের ব্যবহারের জন্য ভিপিএন নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেও সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ কিংবা হ্যাকারদের কাছ থেকে কি তা নিরাপদ হবে? সেটাই এখন ভাবনার বিষয়।
ছবি সংগৃহীত
নিউজ ডেস্ক: করদাতাদের জন্য অনলাইনে সংশোধিত রিটার্ন জমার সুবিধা চালু করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এ জন্য https://etaxnbr.gov.bd/ ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে সংশোধন অপশন ব্যবহার করতে হবে।
এনবিআরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে। এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, সংশোধনী রিটার্নে যদি করের পরিমাণ বাড়ে, তাহলে নিয়ম অনুসারে বাড়তি করসহ জরিমানা দিতে হবে।
এনবিআরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৪-২৫ করবর্ষে অনলাইনে ঘরে বসে আয়কর রিটার্ন দাখিলে করদাতাদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ দেখা গেছে। ইতিমধ্যে এ বছর নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে ১৪ লাখ ৩২ হাজার করদাতা অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করেছেন এবং ১৮ লাখ ৭৫ হাজার করদাতা ই-রিটার্নের জন্য রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, রিটার্নে কোনো ভুলত্রুটি পরিলক্ষিত হলে আয়কর আইন ২০২৩–এর ১৮০(১) ধারা অনুসারে মূল রিটার্ন দাখিলের ১৮০ দিনের মধ্যে ১৮০(২) ধারায় সংশোধিত রিটার্ন দাখিল করা যায়। যেসব করদাতা অনলাইনে মূল আয়কর রিটার্ন দাখিলের পর ভুলত্রুটির কারণে অনলাইনে সংশোধিত রিটার্ন দাখিল করতে চান, তাদের জন্য অনলাইনে সংশোধিত আয়কর রিটার্ন দাখিলের ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। যারা সংশোধন অপশন ব্যবহারের জন্য অনলাইনে প্রবেশ করবেন, তাদের অবশ্যই সংশোধিত রিটার্ন দাখিল করতে হবে।
আয়কর দিবস–পরবর্তী সময়েও বছরব্যাপী অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল করার সুবিধাও চালু আছে। সূত্র: প্রথম আলো