a শিক্ষা সংস্কৃতির মাইলফলক- এশিয়ান ইউনিভার্সিটির অব বাংলাদেশের রজতজয়ন্তী
ঢাকা শুক্রবার, ১১ পৌষ ১৪৩২, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

শিক্ষা সংস্কৃতির মাইলফলক- এশিয়ান ইউনিভার্সিটির অব বাংলাদেশের রজতজয়ন্তী



বৃহস্পতিবার, ২৫ মার্চ, ২০২১, ১২:৫৩
শিক্ষা সংস্কৃতির মাইলফলক- এশিয়ান ইউনিভার্সিটির অব বাংলাদেশের রজতজয়ন্তী

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পটভূমির  দিকে যদি তাকাই, তাহলে দেখতে পাই যে, আমাদের শিক্ষার্থীদের মেধা ও যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আসন স্বল্পতার কারণে তারা উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাচ্ছিল না। এ কারণে আমাদের শিক্ষার্থীদের একটি বিরাট অংশ পার্শ্ববর্তী দেশসহ বিভিন্ন দেশে উচ্চশিক্ষার জন্য গমন  করতো। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে যে, এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা মানসম্মত বলে বিবেচিত হয়নি। এমনকি শিক্ষার্থীরা অনেক ক্ষেত্রে প্রতারণার শিকার হয়েছিল। এই পরিস্থিতি একদিকে যেমন আমাদের মেধার অপচয় করছিল  অন্যদিকে তেমনি দেশ থেকে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা বের হয়ে যাচ্ছিলো। কিন্তু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ সংখ্যা প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। সুতরাং বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

উল্লেখিত পরিস্থিতিতে সরকার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অনুমতি প্রদান করে এবং এই লক্ষ্যে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন প্রণীত হয়। সরকারের এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারা এগিয়ে আসেন। তখন কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সরকারের অনুমোদন নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং তাদের কার্যক্রম শুরু করে।  কিন্তু সেই সময় যে কয়টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল  তাতে এমন একটি ধারণার সৃষ্টি হয়েছিল যে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা একটি বিশেষ শ্রেণীর মধ্যে সীমাবদ্ধ।   এরকম ধারণার কারণ ছিল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের অত্যন্ত ব্যয়বহুল  টিউশন ফি স্ট্রাকচার।  যে কারণে  শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের মধ্যে একটি ধারণার জন্ম হয় যে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ স্বল্প আয়ের লোকদের পক্ষে সম্ভব নয়।

এরকম একটি অবস্থার মধ্যে ১৯৯৬ সালের ৪ জানুয়ারি এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ তার যাত্রা শুরু করে। এই বিশ্ববিদ্যালয়টি একমাত্র বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, যা দ্বৈত পদ্ধতিতে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি লাভ করে। অর্থাৎ দূরশিক্ষণ এবং অন ক্যাম্পাস ভিত্তিক  শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার অনুভূতি লাভ করে| বিশ্ববিদ্যালয়টি সব শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে টিউশন ফি স্ট্রাকচার , পাঠ্যসূচি নির্ধারণ  এবং বিষয়সমূহ চালু করে যা স্বল্পমূল্যে মানসম্মত উচ্চশিক্ষা গ্রহণের পথ  প্রশস্ত করে। ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চশিক্ষা অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং সাধারণের নাগালের বাইরে’- বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে এই অচলায়তন ভেঙে দেয়| এই প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি সরকারি বেসরকারি খাতে কর্মরত বিভিন্ন পেশাজীবীদের স্বল্প ব্যয়ে মানসম্মত উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে।

একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, বাংলাদেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এখন বাস্তবতা। প্রচুর শিক্ষার্থী এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়ে কর্মক্ষেত্রে যোগ দিচ্ছেন। দেশের অর্থনীতিতে তাদের অবদানও যোগ হচ্ছে। ৩৪তম বিসিএসে মেধা তালিকায় সবার সেরা হয়েছিলেন ওয়ালিদ। এই ওয়ালিদ কিন্তু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। বিসিএসের ইতিহাসে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে প্রথম হওয়ার গৌরবও এই ওয়ালিদের হাতে।

সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর  পাশাপাশি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয়তা কোনোভাবেই অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। বরং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ভালোমানের শিক্ষার্থী তৈরির ব্যাপারে ভূমিকা রাখছে।

বাংলাদেশে   উচ্চ শিক্ষা বিস্তারে এবং জ্ঞান ভিত্তিক সমাজ নির্মাণে যেসকল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়     গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে তারমধ্যে অন্যতম হলো এশিয়ান ইউনিভারিসিটি অব বাংলাদেশ। আসন্ন ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে এ বিদ্যাপীঠ রজত জয়ন্তী উৎসব পালন করবে নব চেতনায়, তার সুবিশাল নিজস্ব ক্যাম্পাসে।

বাংলাদেশের ইতিহাস ,ঐতিহ্য ও  সংস্কৃতি তুলে ধরার জন্য এটিই প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে  বাংলা বিভাগ চালু করা হয় |এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও একটি অনন্য বৈশিষ্ট্য হচ্ছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত শিক্ষার পাশাপাশি সামাজিক, কলা ও মানবিক বিষয় সমূহকে যথাযথ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে|  এইউবি শুরু থেকেই শিক্ষাক্রম এমনভাবে নির্ধারণ ও চালু করেছে, যাতে একজন শিক্ষার্থী পূর্ণাঙ্গ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারে। এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় দুই লক্ষ শিক্ষার্থী তাদের শিক্ষা কার্যক্রম শেষে দেশে ও বিদেশে সাফল্যের সাথে কাজ করে যাচ্ছেন।

রজতজয়ন্তী তথা ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে জাতির প্রত্যাশা, বিশ্ববিদ্যালয়টি জ্ঞানভিত্তিক সমাজ নির্মাণে তার কার্যক্রম সাফল্যের সাথে অব্যাহত রাখবে।

গবেষক ও  লেখক

সহযোগী অধ্যাপক, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব  বাংলাদেশ

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

জীবন থেকে অনেক কিছু হারাতে পারে কিন্তু বিশ্বাস তা প্রতিহত করে


মুন্না শেখ, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সোমবার, ০৫ মে, ২০২৫, ০৬:২৫
জীবন থেকে অনেক কিছু হারাতে পারে কিন্তু বিশ্বাস তা প্রতিহত করে

ছবি সংগৃহীত

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এক যুদ্ধবিমান সাহারা মরুভূমিতে ভেঙে পড়ে। পাইলট প্রাণে বেঁচে যায়, কিন্তু চারদিকে শুধু ধু-ধু বালির সমুদ্র আর ঝলসানো রোদ। খাবার নেই, পানি নেই — কেবল এক বোতল পানি আর কিছু শুকনো বিস্কুট।

তিনদিনের মাথায় তার পানি ফুরিয়ে যায়। প্রচণ্ড রোদ, পানির অভাব আর একাকীত্বের ভারে সে প্রায় মৃত্যুর মুখে। ঠিক তখনই মনে পড়ে — পাইলট হওয়ার আগে সে ছিল একজন শিল্পী। পকেটে ছিল একটি পেন্সিল আর ভাঙা একটা চশমা। মরুভূমির বালুর ওপর সে আঁকতে শুরু করে — তার পরিবার, শহর, রাস্তা আর টলমলে পানি!

জানি সে বাঁচবে না, তবু শেষ মুহূর্তগুলোতে সে তার স্মৃতি ধরে রাখতে চায়। অবাক করা বিষয়, ছবি আঁকতে আঁকতে তার তৃষ্ণা কিছুটা কমে যায়, মন শান্ত হয়ে আসে। সে ভাবল, "আমি এখনো বেঁচে আছি। স্বপ্ন দেখতে পারি মানে এখনো হার মানিনি।"

অষ্টম দিনে এক ফরাসি উদ্ধারকারী দল তাকে খুঁজে পায়। তারা দেখে — কঙ্কালসার দেহ, ফেটে যাওয়া ঠোঁট, ক্লান্ত চোখ — কিন্তু সেই পাইলট তখনো বালিতে ছবি আঁকছে, যেন কোনো মন্ত্রমুগ্ধ শিল্পী!

উদ্ধারের পরে পাইলট বলেছিল, "আমি টিকে ছিলাম, কারণ আমি বিশ্বাস হারাইনি। আমার ভাঙা চশমা আর এক টুকরো পেন্সিলও আমাকে মরুভূমিতে বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে।”

শিক্ষা: জীবন অনেক কিছু কেড়ে নিতে পারে, কিন্তু আপনার বিশ্বাস কেড়ে নিতে পারে না। যদি আপনি নিজের ওপর বিশ্বাস রাখেন, কেউ আপনাকে হারাতে পারবে না।

 

....ফেসবুক থেকে সংগৃহীত। 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোমের প্রয়োজন নেই: ইউক্রেন


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সোমবার, ১১ জুলাই, ২০২২, ১০:৩০
ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোমের প্রয়োজন নেই: ইউক্রেন

ফাইল ছবি

ইউক্রেনে ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোমের প্রয়োজন নেই। কারণ রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্রের মুখে টিকতে পারবে না এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেকসি রেজনিকভ গত শনিবার ফোর্বস শীর্ষ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই আয়রন ডোম ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার নাম জানি কিন্তু এটি ১০০% সুরক্ষা দিতে সক্ষম নয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে কি আমি ইসরায়েলে গিয়েছিলাম এবং তাদের অস্ত্র নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ও রাষ্ট্রীয় কোম্পানির সাথে কথা বলেছি। আয়রন ডোম তৈরি করা হয়েছে ধীর, কম উচ্চতার এবং কম ক্ষমতাসম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ করার জন্য এবং এটি মূলত গ্যারেজে তৈরি হয়েছে। আয়রন ডোম ক্রুজ এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের বিরুদ্ধে কার্যকর নয়।’

গত বছরের মে মাসে ইহুদিবাদী ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজার প্রতিরোধ যোদ্ধারা কয়েক হাজার ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়ে কিন্তু ইসরাইলের আয়রন ডোম ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা সে সমস্ত ক্ষেপণাস্ত্রের বেশিরভাগই ভূপাতিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। অথচ ইসরায়েল এসব ব্যবস্থা নিয়ে ব্যাপক গর্ব করে থাকে। সূত্র : জেরুজালেম পোস্ট

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - ফটো গ্যালারি

সর্বোচ্চ পঠিত - ফটো গ্যালারি

ফটো গ্যালারি এর সব খবর