a আবারও বিয়ে করছেন রেলমন্ত্রী সুজন
ঢাকা শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ২৮ নভেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

আবারও বিয়ে করছেন রেলমন্ত্রী সুজন


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
বৃহস্পতিবার, ১০ জুন, ২০২১, ১১:৫৯
আবারও বিয়ে করছেন রেলমন্ত্রী সুজন

ফাইল ছবি। নূরুল ইসলাম সুজন

রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন ফের বিয়ে করতে যাচ্ছেন। এবার একজন আইনজীবীকে বিয়ে করতে যাচ্ছেন ৬৫ বছর বয়সী এই মন্ত্রী।

আজ বৃহস্পতিবার (১০ জুন) এ বিষয়ে জানতে নূরুল ইসলাম সুজনকে ফোন করলে তিনি ফোন ধরেননি।

তবে মন্ত্রীর একাধিক ঘনিষ্ঠ সূত্র গণমাধ্যমকে এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে।

ইতিপূর্বে, রেল মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে মন্ত্রী মুজিবুল হক ৬৭ বছর বয়সে বিয়ে করে আলোচনার ঝড় তুলেছিলেন।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগের দিন ২৯ ডিসেম্বর নূরুল ইসলাম সুজনের স্ত্রী, তিন সন্তানের জননী নিলুফার ইসলাম অসুস্থতায় ৫৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। ভোটের পরদিন তার দাফন সম্পন্ন হয়।

পেশায় সুপ্রিম কোর্টের প্রবীণ আইনজীবী নূরুল ইসলাম সুজন। তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলারও একজন আইনজীবী ছিলেন।

মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রথম অংশ নিয়ে হেরে যান। প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে। 

এরপর ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাসদের প্রার্থী এমরান আল আমিনকে পরাজিত করে দ্বিতীয়বার নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি তৃতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং বর্তমানে তিনি রেলমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। সূত্র: বাংলানিউজ২৪

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

সংকটময় পরিস্থিতিতে সুযোগসন্ধানীরা ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার চেষ্টা করে


কর্নেল(অব.) আকরাম, কলাম লেখক, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বুধবার, ২৬ ফেরুয়ারী, ২০২৫, ১১:১২
সংকটময় পরিস্থিতিতে সুযোগসন্ধানীরা ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার চেষ্টা করে

ছবি সংগৃহীত

 

ঘোলা পানিতে মাছ শিকার অনেক পুরনো কৌশল। সংকটময় পরিস্থিতিতে সুযোগসন্ধানীরা নিজেদের স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করে, জনগণের বৃহত্তর স্বার্থকে উপেক্ষা করে। এটি ব্যক্তি পর্যায়ে যেমন ঘটে, তেমনই জাতীয় জীবনেও দেখা যায়।  

জিয়াউর রহমান নিহত হওয়ার পর বিএনপির সাত্তার সরকার যখন দুর্বল হয়ে পড়ে, তখন জেনারেল এরশাদ সেই সুযোগ নিয়ে ক্ষমতা দখল করেন। তিনি গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেন এবং তার শাসনামলে দুর্নীতি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। যদিও তিনি দেশের অবকাঠামো উন্নয়নে কিছু কাজ করেছিলেন, কিন্তু প্রায় এক দশক ধরে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকারকে উপেক্ষা করেন। শেষ পর্যন্ত ১৯৯০ সালে গণআন্দোলনের মাধ্যমে তিনি ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন।  

২০০৭ সালে, রাজনৈতিক অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধান ড. ইয়ারুদ্দিনকে সরিয়ে জেনারেল মইনউদ্দিন ক্ষমতা গ্রহণ করেন। সেই সময়ের সামরিক বাহিনীর এক গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা তাকে বঙ্গভবনে প্রবেশে সহায়তা করেন, যিনি এখন নির্দোষ হওয়ার ভান করছেন। এটি ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ ষড়যন্ত্র ছিল, যার মাধ্যমে তারা বাংলাদেশ থেকে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল।  

ব্যক্তিগত স্বার্থে জাতীয় স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে জেনারেল মইনউদ্দিন ইতিহাসের দ্বিতীয় মীরজাফর হয়ে ওঠেন। শেষ পর্যন্ত মীরজাফরের মতোই তার পরিণতি ঘটে এবং ভারতের নির্দেশে তিনি ক্ষমতা আওয়ামী লীগের হাতে তুলে দেন।  

২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে, আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের মাত্র দুই মাস পর, বিডিআর বিদ্রোহের নামে ৫৭ জন সামরিক কর্মকর্তা নির্মমভাবে নিহত হন—এমন হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশের ইতিহাসে কখনো ঘটেনি।  

যে জেনারেল তার অধীনস্থ অফিসারদের জীবন রক্ষার দায়িত্বে ছিলেন, তিনি পলাশীর যুদ্ধে মীরজাফরের মতোই নিষ্ক্রিয় থাকেন। বিদেশি শক্তির ষড়যন্ত্রে দেশীয় দালালদের সহযোগিতায় শুধু ক্ষমতা হারায়নি বরং প্রায় দুই শতাব্দী ব্রিটিশ শাসনের অধীনে দাসত্ব করতে বাধ্য হয়েছে।  

১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহের পর শত বছরের সংগ্রামে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করলেও, পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী ও ভারতের আধিপত্যবাদী নীতির ষড়যন্ত্রের শিকার হতে হয়।  

স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসেও আমরা একের পর এক বিদেশি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি। আজও সেই ষড়যন্ত্র চলছে, আমাদের স্থায়ীভাবে দুর্বল করে রাখার জন্য। তবে ২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লব আমাদের সামনে পরিবর্তনের সুযোগ এনে দিয়েছে। কিন্তু এখনো সেই পরিবর্তনের যথাযথ ব্যবহার করা সম্ভব হয়নি।  

বিপ্লবী নেতৃত্বকে ধৈর্য ও বিচক্ষণতার সঙ্গে কাজ করতে হবে এবং ক্ষমতার জন্য অস্থির হওয়া উচিত নয়। জনগণ সবসময় তাদের অবদানকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।  

ড. ইউনুসের নেতৃত্বের প্রতি জনগণের আস্থা থাকলেও, আইনশৃঙ্খলার উন্নতি না হওয়া এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় তারা হতাশ।  

এদিকে, দেশের দুই প্রধান রাজনৈতিক দল আলাদা পথে এগোনোর চেষ্টা করছে, যা জাতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক। যখন জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজন, তখন তাদের এই বিভক্তি শত্রুদের জন্য সুযোগ তৈরি করছে।  

সম্প্রতি সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকারুজ্জামান 'শহীদ সেনা দিবস'-এ অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সামনে রাজনৈতিক সংকট নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি সতর্ক করে দিয়েছেন যে, রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের বিবাদ বন্ধ না করলে এবং দায়িত্বশীল না হলে দেশের সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়তে পারে।  

তবে তার বক্তব্য নিয়ে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। সমালোচকরা বলছেন, তিনি কোনো বিশেষ শক্তির ইঙ্গিতে কাজ করছেন। কেউ কেউ মনে করছেন, তার ও ড. ইউনুসের মধ্যে দূরত্ব বাড়ছে।  

তবুও, আমরা এখনো তার নেতৃত্বের প্রতি আস্থা রাখতে চাই এবং বিশ্বাস করি যে, তিনি দেশের ও জনগণের স্বার্থে যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন।

 

লেখক: রাজনৈতিক কলাম লেখক: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

হবিগঞ্জ মাধবপুরে ভাইয়ের হাতে ভাই খুন


মুজিবর, রিপোর্টার, হবিগঞ্জ, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
মঙ্গলবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২৩, ১০:৩৬
হবিগঞ্জ মাধবপুরে ভাইয়ের হাতে ভাই খুন

ছবি:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

হবিগঞ্জের মাধবপুরে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ভাইয়ের হাতে ভাই খুন হয়েছেন। রোববার (৮ জানুয়ারি) উপজেলার আদাঐর ইউনিয়নের মিঠাপুকুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মিঠাপুকুর গ্রামের সাদত আলীর ছেলে শরীফ মিয়ার সঙ্গে তার আপন ভাই শহীদ মিয়া ও রফিক মিয়ার বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধ চলছিল। বিরোধের জেরে রোববার তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও মারামারি শুরু হয়। এ সময় শরীফ মিয়া গুরুতর আহত হন। আহত অবস্থায় মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

খবর পেয়ে মাধবপুর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার নির্মলেন্দু চক্রবর্তী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রাজ্জাক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর জনপ্রিয়

সর্বশেষ - রাজনীতি