a
সংগৃহীত ছবি
বিএনপির মেয়াদোত্তীর্ণ ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার নির্বাহী কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে আমানউল্লাহ আমানকে আহ্বায়ক এবং আমিনুল হককে সদস্য সচিব করে দল ঘোষণা করা হয়েছে।
সোমবার দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার ৪৭ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন করেন।
ঢাকা মহানগর উত্তর আহ্বায়ক কমিটি:
১. আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান
২. যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল আলী নকি, গুলশান
৩. যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, তেজগাঁও
৪. যুগ্ম আহ্বায়ক আতিকুল ইসলাম মতিন, মোহাম্মদপুর
৫. যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, বিমানবন্দর
৬. যুগ্ম আহ্বায়ক ফেরদৌসি আহমেদ মিষ্টি, সাবেক কাউন্সিলর
৭. যুগ্ম আহ্বায়ক এ জি এম শামসুল হক, বাড্ডা
৮. যুগ্ম আহ্বায়ক মোয়াজ্জেম হোসেন মতি, কাফরুল
৯. যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রহমান চেয়ারম্যান, ভাটারা
১০. যুগ্ম আহ্বায়ক আক্তার হোসেন, খিলক্ষেত
১১. যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম মোস্তফা, তুরাগ
১২. সদস্য সচিব আমিনুল হক রুপনগর
১৩. সদস্য তাবিথ আউয়াল, গুলশান
১৪. সদস্য ফয়েজ আহমেদ ফরু, রামপুরা
১৫. সদস্য শাহিনুর আলম মারফত, খিলক্ষেত
১৬. সদস্য আলহাজ্ব আবুল হাসেম, আদাবর
১৭. সদস্য মাহফুজুর রহমান, বাড্ডা
১৮. সদস্য আলাউদ্দিন সরকার টিপু, বিমানবন্দর
১৯. সদস্য তুহিনুল ইসলাম তুহিন, বাড্ডা
২০. সদস্য হাফিজুর রহমান ছাগির, উত্তরা পশ্চিম
২১. সদস্য সোহেল রহমান, মোহাম্মদপুর
২২. সদস্য এ্যাড: মো. আক্তারুজ্জামান, আদাবর
২৩. সদস্য আবুল হোসেন আব্দুল, মিরপুর
২৪. সদস্য মো. শাহ্ আলম, শেরে-বাংলানগর
২৫. সদস্য এল রহমান, তেজগাঁও
২৬. সদস্য আফাজ উদ্দিন, উত্তরা পশ্চিম
২৭. সদস্য আহসান হাবিব মোল্লা, উত্তর খান
২৮. সদস্য সালাম সরকার, উত্তরা পূর্ব
২৯. সদস্য গোলাম কিবরিয়া মাখন, ভাষাণটেক
৩০. সদস্য এ বি এম রাজ্জাক, মিরপুর
৩১. সদস্য তারিকুল ইসলাম তালুকদার, ক্যান্টনমেন্ট
৩২. সদস্য হাজী মো. ইউসুফ, মোহাম্মদপুর
৩৩. সদস্য আলী আকবর আলী, দক্ষিণ খান
৩৪. সদস্য আহসান উল্লা চৌধুরী হাসান, কাফরুল
৩৫. সদস্য মিজানুর রহমান বাচ্চু, বনানী
৩৬. সদস্য হুমায়ন কবির রওশন, শাহ আলী
৩৭. সদস্য আমজাদ হোসেন মোল্লা, রূপনগর
৩৮. সদস্য রেজাউর রহমান ফাহিম, বনানী
৩৯. সদস্য মাহবুব আলম মন্টু, পল্লবী
৪০. সদস্য হাফিজুর হাসান শুভ্র, দারুস-সালাম
৪১. সদস্য জাহাঙ্গীর মোল্লা, বাড্ডা
৪২. সদস্য আজহারুল ইসলাম সেলিম, ভাটারা
৪৩. সদস্য শফিকুল ইসলাম শাহিন, গুলশান
৪৪. সদস্য আফতাব উদ্দিন জসিম, শেরে-বাংলানগর
৪৫. সদস্য মো. হানিফ মিয়া শাহ্ আলী
৪৬. সদস্য মো. মোজাম্মেল হোসেন সেলিম, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল
৪৭. সদস্য মো. জিয়াউর রহমান জিয়া, মিরপুর
ফাইল ছবি
আাগামীকাল একই দিনে ও প্রায় একই সময়ে রাজধানীতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ‘সমাবেশ’ এবং বিএনপির ‘মহাসমাবেশ’ ঘিরে দেশ জুড়ে বিরাজ করছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা এবং অনুষ্ঠেয় দুই দলের এই শোডাউনকে কেন্দ্র করে রয়েছে নানামুখী শঙ্কাও।
শুধু আওয়ামী লীগ ও বিএনপিই নয়, একই দিনে রাজধানীর আরও অন্তত ১০টি স্থানে সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপির মিত্র দল—জোটসমূহ।
বিএনপির মিত্র জোট ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট ও গণতন্ত্র মঞ্চ এদিন পৃথক পৃথক স্থানে সমাবেশ করবে। সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা ড. কর্নেল অলি আহমদের (অব.) এলডিপি, মোস্তফা মোহসীন মন্টু-সুব্রত চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন গণফোরামসহ অন্যান্য মিত্র দলও পৃথকভাবে সমাবেশ করবে।
এদিকে চরমোনাই পীরের ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশও (আইএবি) আগামীকাল বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দিয়েছে। গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য এদিন সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ ডেকেছে। একই দিনে রাজধানীতে এতগুলো সমাবেশ ও মহাসমাবেশ করার ঘোষণায় একদিকে যেমন তীব্র যানজটের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, তেমনি শঙ্কা রয়েছে সংঘাত-সহিংসতারও।
গত শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যুবদল-ছাত্রদল-স্বেচ্ছাসেবক দলের ব্যানারে ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ করে বিএনপি।
সেই সমাবেশ থেকে আগামীকাল মহাসমাবেশ করার ঘোষণা দেওয়া হয়। নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে কিংবা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশের অনুমতি চেয়ে ইতিমধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন (ডিএমপি) পুলিশ কমিশনারের কাছে চিঠি দিয়েছে বিএনপি। সংবিধানে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল করে ও সংসদ ভেঙে দিয়ে সরকারের পদত্যাগের এক দফার আন্দোলন ঘোষণার পর এটিই বিএনপির প্রথম মহাসমাবেশ।
শনিবার বিএনপি যখন মহাসমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করে, ঐদিন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগের সমাবেশ ছিল বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে। ঐ সমাবেশ থেকে ‘তারুণ্যের জয়যাত্রা’ নামে সমাবেশ করার ঘোষণা দেওয়া হয়। এ সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল সোমবার। পরে সেদিনই রাতে জানানো হয়, সমাবেশ হবে বৃহস্পতিবার। যুবলীগ-ছাত্রলীগ-স্বেচ্ছাসেবক লীগের ব্যানারে আগামীকাল জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে এই সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ। এতে ঢাকা মহানগর ছাড়াও গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, ঢাকা জেলা এবং ময়মনসিংহ জেলার তিন সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরাও অংশ নেবেন।
জনমনে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা থাকলেও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সংঘাতের আশঙ্কা নেই। আওয়ামী লীগ শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করবে। তবে কেউ আঘাত করলে সমুচিত জবাব দেওয়া হবে।
তবে সংঘাতের আশঙ্কা করছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, একই দিনে পালটা কর্মসূচি দিয়ে আওয়ামী লীগ উসকানি দিচ্ছে, তারা দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে। কোনো ধরনের সংঘাতের ঘটনা ঘটলে সেটির দায় আওয়ামী লীগ ও সরকারকেই নিতে হবে বলে উল্লেখ করেছেন ফখরুল। সূত্র: ইত্তেফাক
ফাইল ছবি
নায়ারণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের বিরুদ্ধে চাপ সৃষ্টির অভিযোগ তুলে স্বতন্ত্র মেয়রপ্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার বলেছেন, আওয়ামী লীগের একজন দায়িত্বশীল কেন্দ্রীয় নেতা নারায়ণগঞ্জে শোডাউনে এসে বলেছেন, তৈমুর ঘুঘু দেখেছে, ঘুঘুর ফাঁদ দেখেনি। ২৪ ঘণ্টা পার না হতেই আমাকে রেজাল্ট দেখাবেন বলে হুমকি দিয়েছেন। এই ঘোষণার ২৪ ঘণ্টা পার না হতেই আমি ঘুঘু এবং ঘুঘুর ফাঁদ দুটোই দেখা শুরু করেছি।
আজ মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তৈমুর। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই। গতকাল সোমবার সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় আমার নির্বাচনী প্রচার কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ও জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এছাড়াও যেসব চেয়ারম্যানরা আমার পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় নেমেছিল তাদের বাড়িতে বাড়িতে পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে। এটা এক ধরণের হুমকি।
তৈমুর অভিযোগ করে আরও বলেন, সরকারি দলের বড় বড় নেতাদের নারায়ণগঞ্জে এনে নানা উস্কানিমূলক ও হুমকিমূলক বক্তৃতা দেওয়ানো হচ্ছে। একজন সম্মানিত মেহমান বলেছেন যে, ‘তৈমুরকে মাঠে নামতে দেওয়া হবে না’। এসব করে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করা হচ্ছে।