a
ফাইল ছবি
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপি এতদিন দৌড়াতে দৌড়াতে এখন দাঁড়িয়ে গেছে। পথ হারিয়ে বিএনপি পদযাত্রায় দাঁড়িয়ে গেছে। বিএনপি এখন দিশেহারা, ফান্দে পড়িয়া বগা কান্দে রে। দিশেহারা ফখরুল এখন চোখে অন্ধকার দেখছেন। একদিকে লন্ডনের ফরমায়েশ, অন্যদিকে টাকাওয়ালাদের টাকা, ফখরুল ইসলাম আলমগীর দিশেহারা, চোখে অন্ধকার দেখছেন।’
শনিবার বিকালে ময়মনসিংহের সার্কিট হাউজে আওয়ামী লীগের জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জনসভায় উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে কাদের বলেন, ‘আপনারা খুশি থাকলে বিএনপি খুশি থাকে না। আসলে মানুষ খুশি থাকলে বিএনপি খুশি না। বিএনপির ভোট কমে গেলে মানুষের প্রতি বিএনপি খুশি থাকে না।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপিকে এদেশের মানুষ আর চায় না। ধানের শীষ মানুষ এখন চায় না। ধানের শীষ পেটের বিষ। ধানের শীষের আরেক নাম পেটের বিষ। মানুষ এখন বলে সাপের বিষ।
তিনি বলেন, ‘খেলা হবে, জোরদার খেলা হবে’ আন্দোলনে খেলা হবে, নির্বাচনে খেলা হবে। খেলা হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে, অর্থপাচারের বিরুদ্ধে, দুঃশাসনের বিরুদ্ধে, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে।’
বিএনপিকে উদ্দেশ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘গণতন্ত্র ধ্বংস করেছেন আপনারা। মেরামত করবে কে? মেরামত করেছেন শেখ হাসিনা। সেজন্যই আজকে গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পাচ্ছে। ৭ই মার্চ, জয় বাংলা নিষিদ্ধ করেছিল বিএনপি।’ সুত্র:যুগান্তর
ফাইল ছবি
আগামী .১২ জুলাই, বুধবার ঢাকায় সমাবেশ করে সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনের ঘোষণা দেবে বিএনপি। ঢাকার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এই সমাবেশের অনুমতি চেয়ে পুলিশের কাছে আবেদন করেছে দলটি। বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দল ও জোটগুলোও একই দিন ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে সমাবেশ করে এক দফা আন্দোলনের ঘোষণা দেবে।
বিএনপি ও তাদের সমমনা দলগুলোর একাধিক কেন্দ্রীয় নেতার সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। এদিকে আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনের ভাসানী মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাংগঠনিক যৌথসভায় দলটির ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমানও এ বিষয়ে কথা বলেছেন।
১২ জুলাই থেকে নতুন পর্যায়ের আন্দোলনের ঘোষণা আসছে বলে জানান আমানউল্লাহ। নেতা–কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘১২ জুলাইয়ের সমাবেশে অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে আপনাদের আসতে হবে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত থাকতে হবে। সেখান থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নতুন পর্যায়ের আন্দোলনের ঘোষণা দেবেন।’
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, সরকার পতনের এক দফার আন্দোলনের ঘোষণায় তাঁদের নতুন কর্মসূচিও থাকবে। তাঁরা এই সমাবেশের প্রস্তুতির কাজ শুরু করেছেন।
সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবিতে সমমনা কয়েকটি জোট ও দলের সঙ্গে বিএনপি যুগপৎ আন্দোলন করে আসছে গত ডিসেম্বর থেকে। অনেক দিন ধরে তাঁরা এক দফার আন্দোলনে যাওয়ার কথা বলে আসছিলেন।
বিএনপির নেতারা বলছেন, জাতীয় নির্বাচনের মাত্র ছয় মাস বাকি। এই অল্প সময়ের মধ্যে তাঁদের আন্দোলন চূড়ান্ত পর্যায়ে নেওয়ার তাগিদ থেকে এখন এক দফার আন্দোলনের ঘোষণা দিতে যাচ্ছেন তাঁরা।
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান সভায় বলেন, এই সরকার ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো আরেকটি নির্বাচন করতে চাচ্ছে। তেমন কোনো নির্বাচন এই দেশে হবে না। জনগণ সেই নির্বাচন করতে দেবে না।
সরকার পতনের দাবিতে শুধু দলের নয়, সাধারণ মানুষও মাঠে নেমে এসেছেন বলে দাবি করেন এই বিএনপি নেতা। তিনি বলেন, ‘আগামী ১২ জুলাই থেকে আন্দোলনের কর্মসূচি সফল করার মাধ্যমে, নিরপেক্ষ নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার কায়েম করে এক দফা বাস্তবায়ন না করে ঘরে ফিরব না।’
সভায় বক্তব্যে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব আমিনুল হক সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে নেতা-কর্মীদের ১২ জুলাইয়ের কর্মসূচিতে আসার আহ্বান জানান। নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সাত দিন কষ্ট করবেন, সারা জীবন ভালো থাকবেন। সেই প্রস্তুতি নেন। আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে অবৈধ সরকারের পতন ঘটাব। গত ১৫ বছর অনেক কষ্ট করেছেন। এখন কিন্তু ফসল ঘরে তোলার সময়। সকল ইউনিট নিয়ে নাইটিঙ্গেল মোড়ে উপস্থিত হতে হবে।’ সূত্র: প্রথম আলো
ফাইল ছবি
ভারতের ছত্তিশগড় রাজ্যের রায়পুরের একটি হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডে পাঁচ রোগী মৃত্যু হয়। শনিবার রাতে শহরটির রাজধানী হাসপাতালের তিনতলায় আগুন লাগে বলে ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যম জানায়। তবে আগুন লাগার কারণ এখনও জানা যায়নি।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে এবং হাসপাতালটির অন্য রোগীদের আশপাশের হাসপাতালগুলোতে স্থানাস্তর করা হয়।
পুলিশ কর্মকর্তা তারকেশ্বর প্যাটেল বলেন, আগুন লেগে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্য রোগীদের অন্যান্য হাসপাতালগুলোতে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে কীভাবে হাসপাতালটিতে আগুন লেগেছে সে বিষয়ে তারা জানাতে পারেননি।
পুলিশ জানিয়েছে, হাসপাতালটির মালিকের বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগ এনে একটি মামলা করা হবে। এদিকে, মারা যাওয়া প্রত্যেক পরিবারকে ৪ লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভুপেশ বাঘেল।