a বিজয় ও পরাজয় উভয়ই একটি জাতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং তা জাতীয় ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশও বটে
ঢাকা মঙ্গলবার, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২, ১৪ অক্টোবর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

বিজয় ও পরাজয় উভয়ই একটি জাতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং তা জাতীয় ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশও বটে


কর্নেল(অব.) আকরাম, লেখক ও কলামিস্ট, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ, ২০২৫, ০৯:৫৫
বিজয় ও পরাজয় উভয়ই একটি জাতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং তা জাতীয় ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশও বটে

ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

 

কর্নেল (অব.) আকরাম: বিজয় ও পরাজয় উভয়ই একটি জাতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং তা জাতীয় ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে যায়। প্রতিটি জাতির ইতিহাসে বিজয় ও পরাজয় রয়েছে, যা জাতির গঠন ও অগ্রগতিতে ভিন্ন ভূমিকা পালন করে। কিছু জাতি তাদের সাফল্যের ইতিহাসে গর্বিত, আবার কিছু জাতি দুর্ভাগ্যবশত ব্যর্থতার ইতিহাসেই বেশি সমৃদ্ধ। মানব সভ্যতার উত্থান-পতন প্রকৃতির নিয়ম, যা আমরা এড়িয়ে যেতে পারি না।  

আমাদের জাতীয় উত্থান-পতনের ইতিহাস বুঝতে হলে আমাদের অতীতের পৃষ্ঠাগুলোতে ফিরে যেতে হবে। ১৭৫৭ সালের পলাশীর যুদ্ধে নবাব সিরাজউদ্দৌলার বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা সেনাবাহিনীকে মীরজাফর বিশ্বাসঘাতকতার মাধ্যমে পরাজয়ে পরিণত করে। আমাদের নিজেদের ভুলের কারণেই বিদেশি শক্তি এদেশে প্রবেশ করে এবং দুই শতাব্দী ধরে আমাদের শাসন করে। কিন্তু আমরা সেই পরাজয়ের ইতিহাসকে বদলে ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান সৃষ্টির মাধ্যমে বিজয়ে রূপান্তর করি।  

১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ এবং ঢাকাকে রাজধানী করে পূর্ববঙ্গ সৃষ্টি হওয়া ছিল বাংলা মুসলমানদের জন্য এক বিশাল বিজয়। কিন্তু এটি খুব দ্রুতই কলকাতার হিন্দু অভিজাতদের ষড়যন্ত্র ও বিচারপতি স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ১৯১১ সালে বাতিল হয়ে যায়। এতে বাঙালি মুসলমানদের সম্ভাব্য সামাজিক উত্থান রুদ্ধ হয়। পরবর্তীতে পাকিস্তানের ভিতরেও বাঙালি মুসলমানদের জাতীয়তাবাদ আবার পরাজিত হয়।  

পাকিস্তান জন্মের পর থেকেই ভারত পাকিস্তানকে ভাঙার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তথাকথিত বাঙালি জাতীয়তাবাদ নতুন করে প্রাণ পায়। পাকিস্তানের অপরিপক্ব সামরিক-রাজনৈতিক নেতৃত্ব পূর্ব পাকিস্তানের জনগণকে কঠোর অবস্থান নিতে বাধ্য করে এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের দিকে ঠেলে দেয়। পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ কখনোই যুদ্ধ চায়নি, এটি তাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয় ২৫শে মার্চ ১৯৭১।  

আমরা যুদ্ধ করেছিলাম, কিন্তু বিজয় ছিনিয়ে নিয়েছিল বিদেশি শক্তি। পলাশীর ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটে ১৯৭১ সালে। আমরা বিজয় অর্জন করলেও তা পরাজয়ে রূপ নেয়। আজ চব্বিশ বছর পর আমরা বুঝতে পারছি, ১৯৭১ সালে আমরা কতটা বড় ভুল করেছি। আমরা নিজেরা যুদ্ধ করে বিজয় অর্জন করতে পারতাম, কিন্তু শত্রুর ফাঁদে পা দিয়ে চূড়ান্তভাবে হেরে গিয়েছিলাম।  

১৯৭১ সালের বিজয়কে ভারত তাদের নিজের অর্জন হিসেবে দেখেছে এবং গত ৫৩ বছরে, জিয়াউর রহমানের ছয় বছরের শাসনকাল ব্যতীত, বাংলাদেশকে তারা তাদের উপনিবেশ হিসেবে ব্যবহার করেছে। ২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লবের পর তারা আরও স্পষ্টভাবে ঘোষণা করছে যে, ১৯৭১-এর বিজয় তাদেরই।  

বিএনপির ভুল এবং সেনাপ্রধান মইনউদ্দিনের বিশ্বাসঘাতকতা, যিনি ইতিহাসের দ্বিতীয় মীরজাফর, ভারতের হাতে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসানোর সুযোগ করে দেয়। ফলে ২০০৮ সালের নির্বাচনের মাধ্যমে আবারও বিজয় পরাজয়ে পরিণত হয়। শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসন দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে জাতিকে জিম্মি করে রেখেছিল এবং ভারত হয়ে ওঠে বাংলাদেশের প্রকৃত শাসক।  

কিন্তু যখন জাতি সমস্ত আশার আলো নিভে যেতে দেখছিল, তখন ছাত্রদের নেতৃত্বে ৫ই আগস্ট ২০২৪ সালে এক বিস্ময়কর বিপ্লব ঘটে এবং আমরা দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জন করি।  

কিন্তু অতীতের তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে আমরা শিক্ষা নিতে পারিনি। আমরা ৫ই আগস্টের বিজয়ের পর একটি জাতীয় বিপ্লবী সরকার গঠন করতে ব্যর্থ হয়েছি। জুলাই বিপ্লবের অংশীদারদের মধ্যে বিভক্তি জাতিকে হতাশায় ফেলেছে। আমরা কি সঠিক পথে এগোচ্ছি, নাকি আবারও ভুল পথে পা বাড়াচ্ছি—এ প্রশ্ন এখন সাধারণ মানুষের।  

আমাদের এই বিজয় কি হাজারো প্রাণ ও সীমাহীন ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে, তা কি আবার পরাজয়ে পরিণত হবে?  

আমরা, বাংলাদেশিরা, আর কোনো ষড়যন্ত্র সহ্য করবো না। দলীয় স্বার্থের জন্য জাতীয় স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে কেউ যদি বিদেশি শক্তির সহায়তা নিতে চায়, জনগণ তা প্রতিরোধ করবে। অতীতের ইতিহাস আর দেখতে চাই না। এই বিজয় চিরদিনের জন্য অটুট রাখতে হবে, আর সেই লক্ষ্যেই আমাদের প্রত্যেককে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

খালেদা জিয়ার রাজনীতি করার সুযোগ নেই: ওবায়দুল কাদের


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
শুক্রবার, ২৪ ফেরুয়ারী, ২০২৩, ০৮:২২
খালেদা জিয়ার রাজনীতি করার সুযোগ নেই: ওবায়দুল কাদের

ফাইল ছবি

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অসুস্থ না হলে কারাগারে থাকতেন, তাঁর রাজনীতি করার সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, মানবিক কারণে খালেদা জিয়া যেটুকু পেয়েছেন, তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদারতার জন্য পেয়েছেন।

বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে এক যৌথ সভায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।

সভায় ওবায়দুল কাদেরের কাছে সাংবাদিকেরা জানতে চান, সরকারের মন্ত্রীরা খালেদা জিয়ার রাজনীতি করার সুযোগ নিয়ে সাংঘর্ষিক বক্তব্য দিচ্ছেন, এ বিষয়ে দলের (আওয়ামী লীগের) বক্তব্য কী? জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘খালেদা জিয়া, তিনি কি দণ্ডাদেশ থেকে মুক্তি পেয়েছেন? তিনি যে দণ্ডিত, যেটুকু পেয়েছেন মানবিক কারণে শেখ হাসিনার উদারতার জন্য পেয়েছেন। কী জন্য, মানবিক কারণটা কেন? অসুস্থ মানুষকে মানবিক কারণে, তাঁকে দণ্ডাদেশ মুক্ত করেননি, স্থগিত করেছেন। কী জন্য—তিনি অসুস্থ। অসুস্থ না হলে তিনি থাকতেন কারাগারে। তাঁর রাজনীতি করার সুযোগ নেই। দণ্ডিত ব্যক্তির রাজনীতি করার সুযোগ কোথায়। দণ্ডিত ব্যক্তি তো জেলে যাবেন।’

এর আগে ওবায়দুল কাদের বলেন, ক্ষমতায় থাকাকালে বিএনপি সন্ত্রাস করেছে এবং সন্ত্রাসের জন্ম দিয়েছে। আজ তাদের মুখে সন্ত্রাসের অভয়ারণ্য শুনতে হয়। তিনি আরও বলেন, সারা বাংলাদেশে শেখ হাসিনা যেখানেই গেছেন, আক্রমণ ও হামলা হয়েছে। গৌরনদীতে হামলা, বরিশালে যাওয়ার পথে, চট্টগ্রামে হামলা, ঈশ্বরদীতে হামলা, গ্রেনেড হামলা তো আছেই। এসব ঘটনা তো বেশি দিন আগের নয়।

বাংলাদেশে সন্ত্রাসের রাজনীতি বিএনপি শুরু করেছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, সন্ত্রাসের সঙ্গে বিএনপির নাম সম্পৃক্ত হয়ে গেছে। সন্ত্রাসের অপর নাম হচ্ছে বিএনপি। বাংলাদেশে নষ্ট রাজনীতির ঠিকানা হচ্ছে বিএনপি। তারাই নষ্ট রাজনীতির হোতা। সূত্র: প্রথম আলো

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

করোনায় (২আগষ্ট) মৃত্যু ২৪৬, শনাক্ত ১৫৯৮৯ এবং সুস্থ ১৫৪৮২


স্বাস্থ্য ডেস্ক: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সোমবার, ০২ আগষ্ট, ২০২১, ০৯:৫৫
করোনাভাইরাসের সর্বশেষ তথ্য

করোনাভাইরাস

গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ২৪৬ জন। এ নিয়ে করোনাভাইরাসে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ২১ হাজার ১৬২ জন।
 
এদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে শনাক্ত হয়েছে ১৫,৯৮৯ জন। এ নিয়ে দেশে মোট করোনাভাইরাসে শনাক্তের সংখ্যা ১২ লাখ ৮০ হাজার ৩১৭ জন।
 
আজ সোমবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে আরও জানানো হয়, গত ১ দিনে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ১৫৪৮২ জন করোনারোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১১ লাখ ৮ হাজার ৭৪৮ জন।

উল্লেখ্য, বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৫৫ হাজার ৯৩৭ জনের। পরীক্ষা করা হয়েছে ৫৩ হাজার ৪৬২টি। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ৯১ শতাংশ।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - রাজনীতি