a
ফাইল ছবি
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রধানমন্ত্রী বলছেন আবার ষড়যন্ত্র শুরু হচ্ছে। আরে ষড়যন্ত্র তো করছেন আপনারা। আপনারা ষড়যন্ত্র করে দিনের ভোট রাতে করেছেন, ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে আছেন। আপনাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হবে কেন। আপনারাই তো ষড়যন্ত্রকারী।
তিনি বলেন, সরকারের এখন দুটি নতুন মন্ত্রণালয় গঠন করতে হবে। একটি হলো- ষড়যন্ত্র বিষয়ক মন্ত্রণালয়, আরেকটি হচ্ছে মিথ্যাচার বিষয়ক মন্ত্রণালয়। ওবায়দুল কাদের এত ষড়যন্ত্র করছেন তাই এই মন্ত্রণালয় গঠন করে তাকেই এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া উচিত।
শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১৪তম কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে উত্তরাঞ্চল ছাত্র ফোরাম ও বাংলাদেশ ছাত্র ফোরামের যৌথ আয়োজনে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে রিজভী বলেন, আপনি জিয়াউর রহমানকে নিয়ে প্রতিনিয়ত মিথ্যা কথা বলছেন। আমি বলব, আপনি টুঙ্গিপাড়া যান সেখানে আপনার পিতার কবরে গিয়ে জিজ্ঞাসা করুন কেন আপনার বাবা জিয়াউর রহমানকে বীর উত্তম প্রতীক খেতাব দিয়েছিল। আর আপনি রংপুরের পীরগঞ্জে যান, সেখানে আপনার স্বামীর কবরে গিয়ে বলেন যে, আপনি যে বইটা লিখেছিলেন তুমি আর আমি সঙ্গে বসে জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা শুনেছিলাম। এই বইটাতে তুমি একথা কেন লিখেছিলে। প্রশ্ন করেন, দেখি তারা কী বলে। কারণ মিনিস্ট্রি অব লাই মিথ্যার মন্ত্রণালয় করে সেই দায়িত্বটা প্রধানমন্ত্রীকে দিতে হবে। কারণ তিনি কোনো ভালো শিক্ষা দেননি। শেখ হাসিনা কোনো দিন ভালো কিছু অর্জন করেননি।
রিজভী আরও বলেন, নানা আলোচনা ও সমালোচনার মধ্য দিয়ে তাকে (তারেক রহমান) যেভাবে আওয়ামী লীগ নেতারা তীর নিক্ষেপ করেন, এর মাধ্যমে তিনি এক অভিসংবাদিত নেতা হয়ে উঠেছেন।
রিজভী বলেন, কই শেখ হাসিনা আপনি তো প্রমাণ করতে পারেননি মালয়েশিয়াতে তারেক রহমানের কারখানা আছে। কই সেখানেতো তারেক রহমানের নামে একটা আইসক্রিম কারখানাও দেখাতে পারেননি। অথচ কত মিথ্যাচার করেছেন তার বিরুদ্ধে।
বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম আলীমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আরও ছিলেন, বিএনপির চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ, ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকনসহ অন্যান্য নেতারা।
ফাইল ছবি
ঢাকায় ২৭ জুলাই মহাসমাবেশ করার ঘোষণা আগেই দিয়েছিল বিএনপি। নয়াপল্টন বা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ওই মহাসমাবেশ করার জন্য পুলিশের কাছে চিঠি দিয়েছে দলটি।
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারের কাছে আজ সোমবার চিঠি দেয় বিএনপি। নয়াপল্টন বা সোহরাওয়ার্দী উদ্যান—যেকোনো একটি স্থানে দলটি মহাসমাবেশ করতে চায় বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিএনপির সমাবেশের আবেদনের চিঠি পাওয়ার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছে ডিএমপির জনসংযোগ বিভাগ।
ইতিপূর্বে ১২ জুলাই ঢাকায় সমাবেশ করে সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনের ঘোষণা দেয় বিএনপি। ১৮ ও ১৯ জুলাই গাবতলী থেকে রায় সাহেব বাজার ও আবদুল্লাহপুর থেকে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত পদযাত্রা করেছে দলটি।
এছাড়া ২২ জুলাই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তারুণ্যের সমাবেশ করেছে বিএনপি। সূত্র: প্রথম আলো
ফাইল ছবি
মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অন্তর্ভুক্তদের মধ্যে ১০ হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদ বাতিল করা হয়েছে।
শনিবার সংসদের বৈঠকে প্রশ্নোত্তরে আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমন তথ্য জানান।
এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয় এবং প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়। নুরুন্নবী চৌধুরী তার প্রশ্নে দেশের মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা জানতে চাওয়ার পাশাপাশি কতজন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা চিহ্নিত করা হয়েছে তা জানতে চান।
জবাবে আ ক ম মোজাম্মেল হক জানান, দেশে গেজেটধারী বীর মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ১ লাখ ৮৩ হাজার ৫৬০ জন। ২০০২ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে যাদের নাম বেসামরিক গেজেটে প্রকাশিত হয়েছিল যাচাই-বাছাই করে প্রায় ১০ হাজার বেসামরিক গেজেট বাতিল করা হয়েছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নতুন অন্তর্ভুক্তি এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিদের নাম বাতিল সংক্রান্ত যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
সরকার দলের বেনজীর আহমেদের প্রশ্নের জবাবে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অনুকূলে ইস্যুকৃত সাময়িক সনদের কার্যকারিতা স্থগিত করা হয়েছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অনুকূলে ডিজিটাল সনদ (স্থায়ী সনদ) এবং জীবিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অনুকূলে ডিজিটাল স্মার্ট আইডি কার্ড প্রদান করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
ডিজিটাল সনদ তৈরি সম্পন্ন হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে একযোগে বিতরণ করা হবে বলে জানান তিনি।