a
ফাইল ছবি
অধিকৃত বায়তুল মুকাদ্দাস বা জেরুজালেমের রোমান অর্থোডক্স চার্চের আর্চবিশপ আতাউল্লাহ হানা বলেছেন, বায়তুল মুকাদ্দাস শীঘ্রই মুক্ত হবে। বিশ্ব কুদস দিবসকে সামনে রেখে তিনি বৃহস্পতিবার এসব কথা বলেন।
আতাউল্লাহ হানা এক বার্তায় আরও বলেন, মুসলমান ও খ্রিস্টানসহ বিশ্বের সকল মুক্তকামী মানুষের প্রতি আমার আহ্বান আপনারা বায়তুল মুকাদ্দাসকে একা হতে দেবেন না। বায়তুল মুকাদ্দাস ও এর ইতিহাস-ঐতিহ্য-পরিচিতিকে যেসব জল্লাদ টার্গেট করেছে তাদের ওপর আঘাত হানুন।
আতাউল্লাহ হানা বলেন, ফিলিস্তিনি খ্রিস্টানরা এ ভূখণ্ডের একটি অন্যতম প্রধান জাতি ও ফিলিস্তিনের ভূমির সাথে নিজেদের সম্পর্কের কারণে খ্রিস্টানরা গর্বিত। রোমান অর্থোডক্স চার্চের আর্চবিশপ বলেন, ফিলিস্তিনের লক্ষ্য-আদর্শ ও স্বপ্ন মুসলমান আর খ্রিস্টানদেরকে ঐক্যবদ্ধ করেছে।
বায়তুল মুকাদ্দাসের বিরুদ্ধে ইসরাইলের ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় সোচ্চার হওয়া সকল মানুষের নৈতিক, মানবিক, ধর্মীয় ও জাতীয় দায়িত্ব বলে মন্তব্য করেন। আধুনিক ইরানের রূপকার ইমাম খোমেনি পবিত্র রমজান মাসের শেষ শুক্রবারকে আন্তর্জাতিক কুদস দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন। সূত্র: পার্সটুডে
সাকিব খান
অভিনয় ছেড়ে ইসলামের পথে মনোনিবেশ করলেন রোডিজ খ্যাত ভারতীয় টিভি তারকা সাকিব খান। তিনি জানান, তিনি কাশ্মীর থেকে এসেছেন এবং বর্তমানে তিনি বিনোদন জগত ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সম্প্রতি নিজের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে এই ঘোষণা দেন সাকিব খান।
তিনি বলেন, তিনি আগামীতে আর কখনো অভিনয় এবং মডেলিং করবেন না। এমন নয় যে, আমার কাছে কাজ ছিল না অথবা আমি বশ্যতা স্বীকার করেছি। আমার হাতে ভালো কাজ ও প্রোজেক্ট ছিল। সবটাই আল্লার ইচ্ছে। আল্লাহ নিশ্চই আমার জন্য আরো ভালো কিছু ভেবে রেখেছেন।
বিনোদন দুনিয়াকে বিদায় জানানোর কারণ হিসেবে সাকিব খান আরও জানান, ‘আমি ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছিলাম এবং আমার ইসলাম ধর্মের প্রতি অবিচার করছিলাম। আমি প্রতিদিন নামাজ পড়তাম তবে শান্তি এবং আল্লাহ প্রতি মনযোগ দিতে পারছিলান না। তাই আমি আল্লাহ-র কাছে আত্মসমর্পন করছি।'
ফাইল ছবি
নাটোরের গুরুদাসপুরে ঈদের আগে তরমুজের ভালো দাম থাকলেও বর্তমানে পানির দামে বিক্রি হচ্ছে তরমুজ। তবুও মিলছে না ক্রেতা। তাই ক্ষেতেই পচে যাচ্ছে। এসব কারণে দুশ্চিন্তা ও হতাশায় পড়েছেন তরমুজ চাষিরা।
বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের নয়াবাজার এলাকার সড়কের ধারে গড়ে ওঠা অস্থায়ী তরমুজের হাটে গিয়ে দেখা যায়, চাষিরা জমি থেকে উত্তোলন করা টাটকা তরমুজ রাস্তার ধারে স্তুপ করে সাজিয়ে রেখে মলিন মুখে বসে আছেন বিক্রির অপেক্ষায়। আর এসব তরমুজ পিস হিসেবে বিক্রি হলেও কেজি দরে হিসাব করে দেখা যায় আকারভেদে ৫-৭ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবুও ছিল ক্রেতার সংকট। এ কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হতে বসেছেন কৃষকরা।
ব্যাপারী ও পাইকাররা জানান, রমজান মাসে চাহিদা বেশি তাই দামও বেশি ছিল। বর্তমানে বৈরী আবহাওয়া ও বৃষ্টির কারণে তরমুজের চাহিদা নেই। অপরদিকে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ অনেক বেশি। এছাড়া বাজারে আম ও লিচু আসায় ক্রেতাদের তরমুজের প্রতি আগ্রহ অনেকটা কমেছে। তাই এসব কারণেই দাম নেই তরমুজের।
চাষিরা জানান, ঈদের আগেও তরমুজের ভালো দাম ছিল। কিন্ত এখন একেবারেই দাম কম। ঈদের আগে যে তরমুজ ১০০-১৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে এখন সেগুলো সর্বোচ্চ ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অপরদিকে প্রতি পিস তরমুজের উৎপাদন খরচ প্রায় ৫০ টাকার বেশি। তাছাড়া জমি থেকে ১টি তরমুজ রাস্তায় নিয়ে আসার বহন খরচই ৫-৭ টাকা। তাই লাভ তো দূরের কথা, এমন দাম থাকলে উৎপাদন খরচই উঠবে না।
উল্লেখ্য, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে তরমুজের দাম কমে গেলেও বিভাগীয় শহরগুলোতে এর ব্যতিক্রম লক্ষ্য করা যায়। এসব জায়গায় তরমুজের দাম প্রায় আগের মতো, ফলে ক্রেতারা এসব ফল দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ায় অনেক জায়গায় তরমুজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এবং নষ্ট তরমুজ রাস্তায় ফেলে ভাগাড় তৈরি করছে। বিশেজ্ঞদের মতে, এব্যাপারে বাজার মনিটরিং থাকলে চাষিরা ন্যায্য মূল্য পাওয়ার পাশাপাশি সাধারণ জনগণ এসব মৌসুমী ফলের সুফল পাবেন। সূত্র: বিডি প্রতিদিন