a
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সিয়াম, বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা: মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস সোসাইটি ও সার্ক কালচারাল ফোরামের আয়োজনে ঢাকায় একটি অভিজাত হোটেলে অত্র সংগঠনের সভাপতি এটিএম মমতাজুল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন বিচারপতি সিকদার মকবুল হক। প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক মন্ত্রী নাজিম উদ্দীন আল আজাদ, বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক অতিরিক্ত সচিব পীরজাদা শহীদুল হারুন ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডঃ মোঃনাজির উদ্দিন মোল্লা।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, রমজানের শিক্ষা আমরা কাজে লাগাই না, অথচ রমজান আমাদের মানুষের পাশে দাঁড়াতে শিক্ষা দেয় এবং অন্যের দুঃখে দুঃখ প্রকাশ করতে হয়।প্রধান অতিথি সাবেক মন্ত্রী নাজিম উদ্দীন আল আজাদ বলেন দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে সকল মহলকে এগিয়ে আসতে হবে।
অনুষ্ঠানে দেশের বিশিষ্ট লোকদের মহান স্বাধীনতা দিবস পদক প্রদান করা হয়। এতে সলভার এগ্রো ফার্মার ম্যানেজিং ডিরেক্টর আঃ সাত্তারসহ প্রায় ১০ জনকে মহান স্বাধীনতা দিবস স্মৃতি পুরস্কার প্রদান করা হয়।
ফাইল ছবি
করোনা মহামারির বিধি-নিষেধ শিথিল করতে যাচ্ছে সৌদি আরব। এতে শতভাগ মুসল্লিতে আবারও মুখরিত হতে যাচ্ছে পবিত্র কাবা শরীফ। ইতিমধ্যে পবিত্র নগরী মক্কা ও মদিনার পবিত্র দুই মসজিদে আগের মতো মুসল্লিদের দিয়ে জমায়তের অনুমোদন দিয়েছে দেশটির সরকার। খবর সৌদি গেজেটের।
গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজের নির্দেশক্রমে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, আগামী রবিবার থেকে করোনা টিকার ডোজ সম্পন্ন করা মুসল্লিরা স্বাভাবিক পরিস্থিতির ন্যায় মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববিতে আসতে পারবেন।
তবে মুসল্লিদের ইমিউনিটি পরিস্থিতি নিশ্চিত করে ‘তাওক্কালনা’ অ্যাপের মাধ্যমে অনুমোদন নিতে হবে। তাছাড়া মসজিদের ভেতর মুসল্লি ও কর্মীদের মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতা আগের মতোই থাকবে বলে জানা যায়। করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি বিষয়ক সৌদির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা নিম্নে উল্লেখ করা হলো :
১. খোলা জায়গায় মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক নয়। তবে আবদ্ধ স্থানে মাস্ক পরা জরুরি।
২. করোনা টিকা নেওয়া ব্যক্তিদের জন্য করোনা বিষয়ক বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে। তা হলো :
ক. মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববির পূর্ণ ধারণক্ষমতা ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে সেখানকার কর্মী ও দর্শনার্থীদের সব সময় মসজিদের সর্বত্র মাস্ক পরা থাকতে হবে। এদিকে মসজিদুল হারামে ওমরাহ ও নামাজ এবং মসজিদে নববির রওজা শরিফ জিয়ারতের জন্য ‘ইতামারনা’ বা ‘তাওয়াক্কালনা’ অ্যাপের মাধ্যমে আগের মতো নিবন্ধন করতে হবে।
খ. সরকারি অফিস, বিবাহের হল, রেস্তোরাঁ, গণপরিবহন, রেস্টুরেন্ট, বিনোদন কেন্দ্র ও সিনেমা হলে সামাজিক দূরত্ব পালন না করে পূর্ণ ধারণ ক্ষমতা ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়।
গ. বিয়ে বা যেকোনো অনুষ্ঠানে উপস্থিতির সীমাবদ্ধতা তুলে নেওয়া হয়। তবে অবস্থার গুরুত্ব বিবেচনায় সতর্কতামূলক বিধিনিষেধ পালনের অনুরোধ করা হয়।
৩. ২নং ধারায় উল্লিখিত সব সুযোগ-সুবিধা ও কার্যক্রমের অংশ নিতে করোনা টিকার ডোজ সম্পন্ন করতে হবে। আর ‘তাওায়াক্কালনা’ অ্যাপে যাদেরকে অন্তর্ভূক্ত করা হয়নি বা বাদ দেওয়া হয়েছে তারা মাস্ক পরে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই এসব কার্যক্রমে অংশ নেবে।
৪. যেসব স্থানে অ্যাপের সাহায্যে যাচাই-বাছাই করা যাবে না সেখানে শারীরিক দূরত্ব ও মাস্ক পরা অব্যাহত থাকবে।
৫. ২নং ধারায় উল্লিখিত সব কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট প্রতিরোধমূলক সব প্রটোকল প্রস্তুত করতে জনস্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর মধ্য দিয়ে করোনা প্রাদুর্ভাবের পর সতর্কতামূলক কঠোর বিধি-নিষেধ জারির দীর্ঘ দেড় বছর পর তা শিথিল করতে যাচ্ছে সৌদি সরকার।
২০২০ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি ওমরাহ পালনে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এরপর কারফিউ জারি করে সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ করার পাশাপাশি সব অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিষেবা স্থগিত করা হয়েছিল। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই রমজানে নিত্যপণ্যের দাম সরকারের প্রতিষ্ঠান টিসিবিই বাড়িয়ে দিয়েছে। বরাবরের মতো এবারও সিন্ডিকেট দাম বাড়িয়েছে। দাম বৃদ্ধি সবসময় থাকলেও তা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা ছিল। কিন্তু এখন তা আর দেখা যাচ্ছে না।
মঙ্গলাব দুপুরে গুলশানে খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আগে রমজানের সময় টিসিবি পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করত, সাধারণ মানুষের ক্রয় সীমায় রাখার চেষ্টা করত। এবার ওই টিসিবি-ই পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। রমজানকে সামনে রেখে সব পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন যে সবজি, মাছ, মুরগি, গরুর গোশত, খেজুর, সব কিছুর দাম এখন ক্রয় সীমার বাইরে।
তিনি আরও বলেন, সরকার ২০০৮ সালে নির্বাচনের আগে ঘোষণা দিয়েছিল, ১০ টাকা কেজি চাল খাওয়াবে। আর এখন চালের দাম কত সবাই জানে। এটার একটা উদ্যোগও তারা নিয়েছিল, তবে সাধারণ মানুষ নয় আওয়ামী লীগের লোকজন এর সুবিধা পেয়েছে।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, এ সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় বলে জনগণের কল্যাণে তাদের কোনো কার্যক্রম নেই। জনগণের কল্যাণের চিন্তা তারা কখনও করে না।
ফখরুল বলেন, সরকার লকডাউনের নামে অকার্যকর শাটডাউন তৈরি করেছে। কিসের লকডাউন? লঞ্চ, বাস ও ট্রেন স্টেশনগুলোতে হাজার হাজার মানুষ ঢাকা ছাড়ছে। কাজ ও খাদ্য নিরাপত্তার অভাবে এসব মানুষ শহর ছেড়ে চলে যাচ্ছে।
এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা লকডাউনের বিরোধিতা করছি না, আমরা বলছি, অকার্যকর একটা শাটডাউন এটা। যে যেভাবে পারছে যাচ্ছে। পোশাককারখানা খোলা রাখছে, অথচ ব্যাংক বন্ধ রাখছে। মূলত সরকারের কাজে কোনো সমন্বয় নেই, কোনো পরিকল্পনা নেই। কোনো রোডম্যাপ নেই। এই যে সাত দিন লকডাউন, তার পরে কী হবে সে বিষয়ে কোনো নির্দেশনা নেই।
বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করে বলেন, সরকারের দুর্নীতি চরম পর্যায়ে যাওয়ার কারণে, এক দলীয় শাসনের কারণে এডমিনিস্ট্রেশনসহ কোথাও সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। ফখরুল বলেন, বিএনপির লোকজন, যারা বড় ব্যবসায়ী ছিলেন তারা গত কয়েক বছরে আওয়ামী লীগের দু্ঃশাসনে সবাই নিঃস্ব হয়ে গেছে। সারা দেশে এ করুণ চিত্র। যারা ঢাকা শহরে মোটর সাইকেলে রাইডিং করে তারা গ্রাম থেকে এসেছে একটু আয়ের আশায়। তাদেরও আজ আয়ের পথ বন্ধ হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, ২৬ মার্চকে কেন্দ্র করে সরকার যা ঘটিয়েছে সেটাকে পুঁজি করে সরকার বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। এই লকডাউনের মাঝেও বিরোধী দল ও বিরোধী মতের লোকদের দমন করে যাচ্ছে। বাক-স্বাধীনতার অধিকার সবার আছে, অথচ সরকার বিরোধী মত দমন করতে একের পর এক আইন করছে।
জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে কোথাও কোনো সরকার টিকে থাকতে পারেনি মন্তব্য করে তিনি বলেন, এমন নজির ইতিহাসে কোথাও নেই। এ সরকারও টিকে থাকতে পারবে না। আমরা আবারও আহ্বান জানাই জনগণের ভোটের অধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে দিন। জনগণের অধিকার হরণ করে কেউ টিকে থাকতে পারেনি।
খালেদা জিয়ার বিষয়ে ফখরুল বলেন, সারা দেশের মানুষ বেগম জিয়ার জন্য দোয়া করছেন। আমরা সবাই দোয়া করছি, তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন। আমরা সব সময় খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি চাই।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাস মোকাবেলায় আমরা সবসময় বলছি একটা জাতীয় কমিটি করেন সব রাজনৈতিক দল, এনজিও ও সুশীল সমাজের সমন্বয়ে। সেটা সরকার করছে না, করবে না। কারণ এটা করলে তো তাদের যে লুটপাট, দুর্নীতি তা বন্ধ হয়ে যাবে।