a ১২০০ বছরের পুরোনো মসজিদের সন্ধান ইসরায়েলে
ঢাকা মঙ্গলবার, ১৬ পৌষ ১৪৩২, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

১২০০ বছরের পুরোনো মসজিদের সন্ধান ইসরায়েলে


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বৃহস্পতিবার, ২৩ জুন, ২০২২, ০৭:৩০
১২০০ বছরের পুরোনো মসজিদের সন্ধান ইসরায়েলে

ফাইল ছবি

ইসরায়েলি প্রত্নতাত্ত্বিকরা দেশটির দক্ষিণে ১২০০ বছরের পুরোনো প্রাচীন মসজিদের সন্ধান পেয়েছেন। ইসরায়েলের পুরাকীর্তি কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মসজিদটির যে অংশের সন্ধান পাওয়া গেছে, ধারণা করা হচ্ছে, তা ১২০০ বছরের বেশি পুরোনো মসজিদ। নেগেভ জেলার বেদুঈন শহর রাহাতে নতুন নির্মাণ কাজ করার সময় এটি আবিষ্কৃত হয়।

মসজিদটি নেগেভ জেলায় মরুভূমিতে অবস্থিত এবং এতে একটি বর্গাকৃতি কক্ষ ও মক্কামুখি অর্ধ বৃত্তাকৃতির খোপসহ একটি দেয়াল রয়েছে।

পুরাকীর্তি কর্তৃপক্ষ জানায়, ‘অনন্য এ স্থাপত্য বৈশিষ্ট্য নির্দেশ করে যে, এটি একটি মসজিদ হিসেবে ব্যবহৃত হতো এবং এতে একসঙ্গে কয়েক ডজন মুসল্লি নামাজ পড়তে পারতেন।’

মসজিদের সন্নিকটে একটি বিলাসবহুল ভবন সন্ধান পাওয়া গেছে। সেইসঙ্গে পাওয়া গেছে কিছু থালাবাসন এবং গ্লাসের প্রত্নবস্তু, যা সেখানকার বাসিন্দারা যে সম্পদশালী ছিলেন, তা নির্দেশ করে।

উল্লেখ্য, তিন বছর আগে পুরাকীর্তি কর্তৃপক্ষ এ মসজিদটির কাছাকাছি একই সময়ের আরও একটি মসজিদ আবিষ্কার করেছিল। মসজিদ দুটি ৭০০ থেকে ৮০০ খ্রিস্টাব্দের সময়কার বলে ধারণা এবং বিশ্বব্যাপী ইসলামের প্রথম দিককার মসজিদ বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্র: এএফপি, দ্য গার্ডিয়ান

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

সুরা ইখলাস পাঠের ৭ পুরস্কার: মুফতি ইবরাহিম সুলতান


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৭:৩৮
সুরা ইখলাস পাঠের ৭ পুরস্কার মুফতি ইবরাহিম সুলতান

ফাইল ছবি

 

নিউজ ডেস্ক: পবিত্র কোরআনের ১১২ নম্বর সুরা ইখলাস। এটি ইসলামের প্রাথমিক সময়ে অবতীর্ণ হয়েছে। এই সুরার মূল বিষয়বস্তু হচ্ছে, শিরক থেকে মুক্ত হয়ে তাওহিদ তথা একত্ববাদে বিশ্বাসী হওয়া। আর এই মর্মার্থের ভিত্তিতেই সুরাটির নাম করা হয় ‘ইখলাস’।

কোরআন মাজিদের গুরুত্বপূর্ণ এই সুরা পাঠ করলে তিলাওয়াতকারীর জন্য রয়েছে বেশ কিছু পুরস্কারও। নিম্নে এর কয়েকটি উল্লেখ করা হলো—
 
জান্নাতে বিশেষ প্রাসাদ নির্মাণঃ
মুআজ ইবনে আনাস জুহানি (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি সুরা ইখলাস ১০ বার পড়বে আল্লাহ তাআলা তার জন্য জান্নাতে একটি প্রাসাদ নির্মাণ করবেন। এ কথা শুনে উমর ইবনে খাত্তাব (রা.) বলেন, তাহলে তো আমরা অনেক প্রাসাদের অধিকারী হয়ে যাব (অর্থাৎ অধিক হারে এই সুরা পাঠ করব। ফলে আল্লাহ আমাদের অনেক প্রাসাদ দান করবেন)।

রাসুল (সা.) বললেন, আল্লাহ তাআলার দান আরো প্রশস্ত, আরো উৎকৃষ্ট। (মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ১৫৬১০)

কোরআনের এক-তৃতীয়াংশ সওয়াবের পুরস্কারঃ
একাধিক হাদিস শরিফে এসেছে, সুরা ইখলাস কোরআন মাজিদের তিন ভাগের এক ভাগের সমান মর্যাদা রাখে। যে ব্যক্তি একবার এই সুরা তিলাওয়াত করবে সে কোরআন মাজিদের এক-তৃতীয়াংশের সওয়াব লাভ করবে। আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বলেন, এক ব্যক্তি অন্য ব্যক্তিকে রাতে বারবার সুরা ইখলাস পড়তে শুনেছেন।
অতঃপর সকালে নবী (সা.)-কে এ বিষয়টি অবহিত করা হয়। তখন নবী (সা.) বলেন, ওই সত্তার শপথ! যার কুদরতি হাতে আমার জীবন, অবশ্যই এ সুরা কোরআন মাজিদের এক-তৃতীয়াংশের সমান। (বুখারি, হাদিস : ৫০১৩)

আল্লাহর ভালোবাসা লাভঃ
মুমিনের জীবনের সবচেয়ে বড় আরাধনা আল্লাহ তাআলার নৈকট্য ও ভালোবাসা অর্জন করা। যারা সুরা ইখলাস বেশি বেশি পাঠ করবে তারা আল্লাহর নৈকট্য ও ভালোবাসা অর্জন করতে পারবে। আয়েশা (রা.) বলেন, একবার রাসুল (সা.) কিছু সাহাবিকে যুদ্ধে পাঠালেন। তাদের একজনকে সেনাপতি নিযুক্ত করলেন। তিনি যুদ্ধকালীন দীর্ঘ সময়ে শুধু সুরা ইখলাস দিয়ে নামাজ পড়িয়েছেন। যুদ্ধ থেকে ফেরার পর সাহাবিরা নবী (সা.)-কে বিষয়টি জানান। তখন নবী (সা.) তাদের বলেন, তোমরা তাকে জিজ্ঞেস করো—কেন সে এরূপ করেছে? সাহাবিরা জিজ্ঞেস করলে সেনাপতি জবাব দিলেন, এ সুরায় আল্লাহর গুণাবলি বর্ণিত হয়েছে। তাই আমি এ সুরাকে ভালোবাসি। নবী (সা.) তখন সাহাবিদের বলেন, তোমরা তাকে বলো, আল্লাহও তাকে ভালোবাসেন। (বুখারি, হাদিস : ৭৩৭৫)
 
সুরা ইখলাস পাঠে ক্ষমার ঘোষণাঃ
আবুল হাসান মুহাজির (রহ.) বলেন, জনৈক সাহাবি বর্ণনা করেছেন, তিনি নবীজির সঙ্গে এক সফরে ছিলেন। (একদিন তাঁর কাছে এমনভাবে বসা ছিলেন যে) তার হাঁটু দুটি নবীজির হাঁটুদ্বয়ের সঙ্গে লেগে ছিল। এ অবস্থায় এক লোককে শুনলেন, সুরা কাফিরুন তিলাওয়াত করছে। তা শুনে নবী (সা.) বললেন, সে শিরক থেকে পবিত্র হয়ে গেছে। আরেক লোককে শুনলেন, সুরা ইখলাস তিলাওয়াত করছে। তখন তিনি বলেন, তাকে মাফ করে দেওয়া হয়েছে। (সুনানে দারেমি, হাদিস : ৪৩৬৯)

সুরা ইখলাস পাঠে জাহান্নাম থেকে মুক্তিঃ
নবীজি (সা.)-এর যুগে এক সাহাবি মসজিদে কোবায় ইমামতি করার সময় প্রতি রাকাতে আবশ্যিকভাবে সুরা ইখলাস পড়তেন। নবীজি তাকে ডেকে জানতে চাইলেন, প্রতি রাকাতে আবশ্যিকভাবে সুরা ইখলাস পড়ার কারণ কী? সাহাবি জবাব দিলেন, আমি সুরা ইখলাসকে মহব্বত করি। তার জবাব শুনে নবী (সা.) বললেন, সুরা ইখলাসের প্রতি তোমার এই মহব্বত তোমাকে জান্নাতে দাখিল করবে। (তিরমিজি, হাদিস : ২৯০১)

জান্নাত লাভের সুসংবাদঃ
আনাস ইবনে মালিক (রা.) বলেন, আমি নবীজির কাছে বসা ছিলাম। এক লোক এসে বলল, আমার এক ভাই এই সুরা (সুরা ইখলাস) পড়তে ভালোবাসে। নবী করিম (সা.) বলেন, ‘তোমার ভাইকে জান্নাতের সুসংবাদ দাও।’ (আলকামেল, ইবনে আদি : ২/৩৯০)

জানাজায় ফেরেশতার আগমনঃ
মুআবিয়া ইবনে মুআবিয়া (রা.) ইন্তেকাল করলে ৭০ হাজার ফেরেশতাসহ জিবরিল (আ.) নবীজির কাছে আগমন করেন। নবী (সা.) জিবরিল (আ.) ও এই সব ফেরেশতাকে নিয়ে তার জানাজায় শরিক হন। নামাজ শেষ হলে নবীজি জিজ্ঞেস করলেন, হে জিবরিল! কোন আমলের মাধ্যমে মুআবিয়া ইবনে মুআবিয়া মুজানি এই উচ্চ মর্যাদায় অধিষ্ঠিত হয়েছে?

জিবরিল (আ.) জবাবে বলেছেন, এই মর্যাদা লাভের কারণ হলো, সে দাঁড়িয়ে, বসে, হেঁটে হেঁটে, সওয়ারিতে তথা সর্বাবস্থায় সুরা ইখলাস তিলাওয়াত করত। (মুজামে কাবির : ৮/১১৬)

আল্লাহ আমাদের বেশি বেশি সুরা ইখলাস পাঠের তৌফিক দান করুন। আমিন

 

সূত্র: বিডি প্রতিদিন

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

রাশিয়া ইউক্রেন সীমান্তে আরও ১ লাখ সৈন্য পাঠিয়েছে: পেন্টাগন


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বৃহস্পতিবার, ১০ ফেরুয়ারী, ২০২২, ১১:৪০
রাশিয়া ইউক্রেন সীমান্তে আরও ১ লাখ সৈন্য পাঠিয়েছে: পেন্টাগন

ফাইল ছবি

মার্কিন প্রতিরক্ষা অধিদপ্তর পেন্টাগনের দাবি ইউক্রেনের উত্তর সীমান্তে আরও ১ লাখ সৈন্য পাঠিয়েছে রাশিয়া। গতকাল বুধবার পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি এমনটাই দাবি করেছেন। খবর এবিসি

তিনি জানান, বেলারুশের সাথে ইউক্রেনের সীমান্তে রাশিয়া সামরিক উপস্থিতি আরো জোরদার করছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সেনা ও সামরিক সরঞ্জামাদি পরিবহন করা হয়েছে।

এদিকে, চলমান উত্তেজনার মধ্যেই বেলারুশের সঙ্গে সামরিক মহড়া চালাতে দেশটির সীমান্তে ৩০ হাজার সেনা ও যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে রাশিয়া। বৃহস্পতিবার থেকে মহড়া শুরুর কথা রয়েছে বলে জানিয়েছেন জন কিরবি।

ইতিপূর্বে, ইউক্রেনে যুদ্ধ এড়ানো সম্ভব বলে দাবি করেছিলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রো। তিনি ইউক্রেনের সংকট কমাতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তবে বৈঠক শেষে তিনি ভাল কোন খবর শুনাতে পারনেনি। তিনি বলেছিলেন, সামনে ভয়াবহ খারাপ দিন অপেক্ষা করছে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর জনপ্রিয়

সর্বশেষ - ধর্ম

সর্বোচ্চ পঠিত - ধর্ম

ধর্ম এর সব খবর