a
ফাইল ছবি
অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ সামলাতে না পেরে বাড়ানো হয়েছে লঞ্চ চলাচলের নির্ধারিত সময়। আগামীকাল সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত লঞ্চ চলবে। রবিবার (১ আগস্ট) এ তথ্য জানায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ- বিআইডব্লিটিএ।
এর আগে রফতানিমুখী শিল্প কল কারখানার শ্রমিকদের কর্মস্থলে ফিরতে ভোগান্তি কমাতে রবিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সব জেলা এবং শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও পাটুরিয়া দৌলতদিয়া রুটে লঞ্চ চলার সিদ্ধান্ত জানানো হয়। শনিবার সন্ধ্যায় বিআইডব্লিউটিএ এই সিদ্ধান্ত নেয়।
রবিবার সকালে ঢাকার সদরঘাটে চোখে পড়ে যাত্রীদের ভিড়। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলো থেকে ছেড়ে আসা লঞ্চগুলোতে ছিল না পা ফেলার জায়গা। অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ সামলাতে না পেরে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখে চাঁদপুর লঞ্চ টার্মিনাল কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএর উপ-পরিচালক কায়সারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, যাত্রীর চাপ এতটাই বেশি যে, তারা কোনোভাবেই নির্দেশনা মানছে না। যে পরিমাণ যাত্রী আছে দুপুর ১২টার মধ্যে একটি বা দুটি লঞ্চের মাধ্যমে তা ঢাকায় পাঠানো সম্ভব নয়। তাই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করে নৌচলাচল বন্ধ রেখেছি।
ফাইল ছবি
আবারও ট্রেনের টিকিট কাউন্টারেই পাওয়া যাবে। দুই মাসেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর এ টিকিট আজ থেকে কাউন্টারে পাওয়া যাচ্ছে।
রাজধানীর কমলাপুর রেল স্টেশনসহ দেশের সব স্টেশনের কাউন্টারে মঙ্গলবার (৮ জুন) সকাল ৮টা থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হয়।
এ বিষয়ে দেয়া বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ রেলওয়ে জানায় যে, করোনার ঝুঁকি এড়াতে সরকারি নির্দেশনা মেনে অর্ধেক আসনে ট্রেন চলাচল করছে। এসব ট্রেনের টিকিট একই সঙ্গে কাউন্টার ও অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে। ট্রেনের মূল আসন সংখ্যার ২৫ শতাংশ টিকিট মোবাইল অ্যাপস্ এবং ২৫ শতাংশ টিকিট কাউন্টারে বিক্রি করা হচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, যাত্রার ৪৮ ঘণ্টা আগে অবিক্রিত টিকিট একই সঙ্গে অনলাইন অথবা কাউন্টার থেকে কেনা যাবে। এছাড়া, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আগে কেনা আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট ফেরতও (রিফান্ড) দেয়া যাবে।
এ বিষয়ে রেলপথ মন্ত্রণালের সিনিয়র তথ্য অফিসার শরিফুল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, গত মঙ্গলবার (১ জুন) এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা বাংলাদেশ রেলওয়ে থেকে জারি করা হয়েছে। নির্দেশনা অনুযায়ী আজ ৮ জুন থেকে কাউন্টারে টিকিট বিক্রি হবে। তবে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে টিকিট সংগ্রহ করতে হবে।
করোনাকালে ট্রেন পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে বিশেষ কিছু নির্দেশনা দিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে- আসনবিহীন টিকিট বিক্রি করা হবে না। তাই অযথা কাউন্টারে ভিড় না করার জন্য বলা হয়েছে। টিকিটবিহীন কোনো যাত্রী স্টেশনে প্রবেশ বা ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারবেন না। ট্রেনে প্রবেশ ও প্রস্থানের জন্য ভিন্ন ভিন্ন দরজা ব্যবহার করতে হবে। অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। মাস্ক ব্যতীত কোনো যাত্রীকে স্টেশনে প্রবেশ বা ট্রেনে ভ্রমণ করতে দেয়া হবে না।
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক গত ৫ এপ্রিল তারিখ থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ের সব যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। গত ২৩ মে সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক ২৪ মে থেকে সরকার কর্তৃক বিদ্যমান আসন সংখ্যার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন পরিচালনার নির্দেশনা দেয়া হয়।
ফাইল ছবি
পরমাণু কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পশ্চিমা ৪টি দেশ আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা বা আইএইএ-তে যে প্রস্তাব পাস করেছে তার কারণে ইরান নিজের অবস্থান থেকে ১ ইঞ্চিও সরে আসবে না বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইবরাহিম রায়িসি।
আইএইএ’র বোর্ড অব গভর্নর্সের ত্রৈমাসিক বৈঠকে আমেরিকা ও তিন ইউরোপীয় দেশ ইরানবিরোধী প্রস্তাবটি ভোটাভুটিতে পাস হয়। চীন ও রাশিয়া কঠোরভাবে ওই প্রস্তাবের বিরোধিতা করলেও প্রস্তাবটিতে ভুয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে ইরানের তিনটি ‘অঘোষিত স্থানে’ কথিত ইউরেনিয়ামের সন্ধান পাওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয় এবং আইএইএ’কে পূর্ণ সহযাগিতা করার জন্য তেহরানের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
ইরানের চহারমহাল ও বখতিয়ারি প্রদেশের রাজধানী শাহরে কোর্দ সফরের সময় এক সমাবেশে প্রেসিডেন্ট রায়িসি ভাষণ দেন। সেখানে তিনি আইএইএ-তে পাস হওয়া প্রস্তাব সম্পর্কে পশ্চিমাদের উদ্দেশ করে বলেন, আপনারা গ্রিসের আদালতের রায় দেখেছেন। আপনাদের কাছে আর কতবার প্রমাণ করতে হবে যে, আমরা ন্যায়সঙ্গত উপায়েই আমাদের ন্যায্য অধিকার আদায় করে ছাড়ি?
তিনি আরো বলেন, আপনারা আর কতবার ইরানি জনগণকে পরীক্ষা করবেন? আর কতকাল আপনারা ইরানি কর্মকর্তাদের কথা কানে তুলবেন না? আপনারা কী মনে করেন যে, আইএইএ-তে প্রস্তাব পাসের কারণে আমরা আমাদের অবস্থান থেকে সরে আসব? ইরান এক পা-ও পিছিয়ে আসবে না।
সূত্র: বিডি প্রতিদিন ও প্রেস টিভি।