a আগামীকাল থেকে তাপমাত্রা কমবে, বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা!
ঢাকা সোমবার, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

আগামীকাল থেকে তাপমাত্রা কমবে, বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা!


আবহাওয়া ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ০৩:৫৭
আগামীকাল থেকে তাপমাত্রা কমবে, বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা!

ফাইল ছবি

 

তাপমাত্রা নিয়ে সুখবর দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সংস্থাটি জানিয়েছে, আগামীকাল রোববার থেকে তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে। পাশাপাশি আগামী ৫ দিনে বাড়তে পারে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ।

শনিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় কুমিল্লায় সর্বোচ্চ ৩৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। পাশাপাশি এই সময় ভোলায় ৩২, চট্টগ্রাম ও কুতুবদিয়ায় ২৭, টেকনাফে ২০, শ্রীমঙ্গলে ১২, বান্দরবানে ৬ মিলিমিটারসহ সিলেট, রাঙামাটি, মোংলা ও সন্দ্বীপে সামান্য থেকে ৪ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

এ ছাড়া গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বর্তমানে পাবনা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও বাগেরহাট জেলাসমূহের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে চাঁদপুর ও মৌলভীবাজার জেলাসহ ঢাকা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, রংপুর ও বরিশাল বিভাগ এবং খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায়ও তাপপ্রবাহের এমন দাপট অব্যাহত থাকতে পারে।

এ অবস্থায় আগামীকাল রোববার সকাল ৯টা পর্যন্ত সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। তবে এই সময়ে সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সূত্র: যুগান্তর

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

রাজধানী ঢাকাসহ প্রায় সারাদেশে শিলা-বৃষ্টি


আবহাওয়া ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪, ০৮:৩২
রাজধানী ঢাকাসহ প্রায় সারাদেশে শিলা-বৃষ্টি

ফাইল ছবি

 

রাজধানীতে শুরু হয়েছে বজ্রসহ বৃষ্টি। সঙ্গে শিলা। আজ রোববার (৫ মে) রাত সাড়ে ১০টার দিকে শুরু হয় এ শিলা-বৃষ্টি। এর আগে রাত ৯টার দিকে শুরু হয় ঝোড়ো হাওয়া।

সারাদেশে কালবৈশাখী ঝড়, শিলাবৃষ্টি ও বজ্রপাত হতে পারে বলে সতর্কতা জারি করা হয়েছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর। এরপর রাত ৯টার দিকে রাজধানীতে শুরু হয় ঝড়ো হাওয়া। সঙ্গে নামে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। আর সাড়ে ১০টার পর শুরু হয় শিলাবৃষ্টি।

আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম বলেন, রোববার বিকেল ৪টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দেশের ওপর দিয়ে বজ্রপাত ও বিচ্ছিন্নভাবে শিলাবৃষ্টিসহ কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যেতে পারে। সেজন্য সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। এছাড়া কাল সোমবার থেকে সারা দেশে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। এতে করে যেসব জায়গায় তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছিল সেগুলো ধীরে ধীরে কমতে থাকবে। সূত্র: ইত্তেফাক

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

রেলওয়ের ভবিষ্যৎ উন্নয়ন কর্মকর্তা কর্মচারী ও পোষ্যদের ন্যায্য অধিকার রক্ষায় জাতীয় ঐক্য জরুরী


সাইফুল আলম, ঢাকা প্রতিনিধি, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৫, ০৬:০১
রেলওয়ের ভবিষ্যৎ উন্নয়ন কর্মকর্তা কর্মচারী ও পোষ্যদের ন্যায্য অধিকার রক্ষায় জাতীয় ঐক্য জরুরী

ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

 

সাইফুল আলম, ঢাকা:  বাংলাদেশ রেলওয়ের চলমান অবস্থা কর্মকর্তা কর্মচারী ও পোষ্যদের ন্যায্য অধিকার, অডিট আপত্তি এবং বিব্রত সংবাদ প্রচার, কর্তব্যরত অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী কর্মচারীর পোষ্যদের নিয়োগ, টিএলআর ও প্রকল্পভুক্ত গেট কিপারদের চাকরি স্থায়ীকরণ, রেলওয়ে ইঞ্জিন ও কোচ সংকট, সকল কর্মচারী সহ নিরাপত্তা কর্মীদের রেশনিং ও ঝুঁকি ভাতা প্রদান, আউটসোর্সিং নিয়োগ বাতিল শীর্ষক সংলাপ এবং সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটি। 

বাংলাদেশ রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটির সম্মানিত সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির বলেন, আজকের জাতীয় সংলাপ এবং সংবাদ সম্মেলনের উদ্দেশ্য হল রেলওয়ের ভবিষ্যৎ উন্নয়ন কর্মকর্তা কর্মচারী ও পোষ্যদের ন্যায্য অধিকার রক্ষায় এবং জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা।  
বাংলাদেশ রেলওয়ের চলমান অবস্থা ও করণীয় শীর্ষক আলোচনায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় রেলওয়ে এখনো সবচেয়ে নিরাপদ, সাশ্রয়ী ও গণমুখী মাধ্যম। তবু নানা সময়ের অব্যবস্থাপনা, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, অদক্ষ নেতৃত্ব, দুর্নীতি ও রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে রেলপথ আজও তার সম্ভাব্য শক্তিতে পৌঁছতে পারেনি। সম্প্রতি দেশে ঘন ঘন ট্রেন লেট, ট্রেন লাইনচ্যুত, ইঞ্জিন বিকল, টিকিট ব্যবস্থাপনায় অনিয়ম, যাত্রীসেবায় অবনতি ও অভ্যন্তরীণ প্রশাসনিক টানা-পোড়েন রেলওয়ের প্রতি মানুষের আস্থাকে আবার প্রশ্নের মুখে ফেলেছে।
বর্তমান চ্যালেঞ্জসমূহ
• ইঞ্জিন ও কোচ সংকট: নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের অভাব এবং যন্ত্রাংশ সরবরাহে দুর্নীতি ও অনিয়মের ফলে ঘন ঘন ইঞ্জিন বিকল হচ্ছে, কোচের সল্পতায় যাত্রী চাহিদা মেটাতে পারছেনা বাংলাদেশ রেলওয়ে ।
• প্রশাসনিক বিভক্তি ও জবাবদিহির অভাব: রেলপথ মন্ত্রণালয় ও রেলওয়ে অধিদপ্তরের দ্বৈত-নেতৃত্ব কাঠামো কার্যত সিদ্ধান্ত গ্রহণকে জটিল করে তুলেছে।
• কর্মচারী ও পোষ্যদের অধিকার উপেক্ষা: তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী এবং তাদের পরিবার আজও ন্যায়সংগত নিয়োগ, পদোন্নতি ও সামাজিক সুরক্ষা থেকে বঞ্চিত।
করণীয় বিষয়গুলো হলো - 
ভূমি ও সম্পদ অপব্যবহার: রেলওয়ের হাজার হাজার একর জমি নানা অজুহাতে বেসরকারি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের হাতে চলে যাচ্ছে, অথচ রেল নিজেই অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যর্থ হচ্ছে, বেকার রেলওয়ে পোষ্যদের কর্মসংস্থানে জমি বরাদ্দ চাইলেও কর্তৃপক্ষ দিতে পারে না।
১. একক নেতৃত্ব কাঠামো নিশ্চিত করা- রেলওয়ে মহাপরিচালকের (ডিজি) দপ্তরকে পূর্ণ প্রশাসনিক ও আর্থিক ক্ষমতা প্রদান করতে হবে।
২. ইঞ্জিন ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনতে হবে- প্রতিটি ব্যর্থ ইঞ্জিন/কোচের জন্য তদন্ত ও দায় নির্ধারণ বাধ্যতামূলক করতে হবে।
৩. কর্মচারী ও পোষ্যদের অধিকার সংরক্ষণ- নিয়োগ নীতিতে “ডিপেন্ডেন্ট কোটাকে” আইন দিয়ে সংরক্ষিত
করতে হবে।
৪. টিকিট ও যাত্রীসেবা ডিজিটাল মনিটরিং- অনলাইন টিকিটিং অপারেটরদের চুক্তিতে জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।
৫. রেলভূমি সুরক্ষা ও নিজস্ব বাণিজ্যিক ব্যবহার- হাসপাতাল, মার্কেট, পার্কিং, রেলওয়ে পোষ্য সুপার মার্কেট ইত্যাদি নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় এনে আয় বাড়াতে হবে।
রেল শুধু একটি যানবাহন নয়, এটি রাষ্ট্রের অর্থনীতি, প্রশাসন ও জন-মানুষের আস্থার প্রতীক। এখন সময় এসেছে “প্রকল্পভিত্তিক রেল” থেকে “সরকারি দায়িত্বশীল রেল” প্রতিষ্ঠার।

উক্ত বক্তব্যে সভাপতি আরো বলেন, রেলওয়ে কর্মকর্তা, কর্মচারী ও পোষ্যদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা - রাষ্ট্রের দায়িত্ব, উপহার নয়"। বাংলাদেশ রেলওয়ে একটি বিষেশায়িত কারিগরি প্রতিষ্ঠান, অন্যান্য সরকারী দপ্তরের মত নয়- এটি হাজার হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের পরিবারের জীবন-জীবিকার কেন্দ্রবিন্দু। দুর্ভাগ্যজনকভাবে গত কয়েক দশক ধরে রেলওয়ের নীতিনির্ধারণ প্রক্রিয়ায় যারা মাঠপর্যায়ে কাজ করেন, যাদের ঘাম আর শ্রমে রেল চলে- তাদের কণ্ঠ সবচেয়ে কম শোনা হয়।
যে অধিকারগুলো এখনো বঞ্চিত-
তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের ন্যায্য পদোন্নতি দীর্ঘদিন ঝুলে থাকে ।
• অবসরপ্রাপ্তদের পরিবার ও পোষ্যদের জন্য কোনো সুনির্দিষ্ট সামাজিক সুরক্ষা নীতি নেই । • নিয়োগে ডিপেন্ডেন্ট কোটা আইন দ্বারা সুরক্ষিত নয় - ফলে পোষ্যরা হয়রানির শিকার হন । রেলওয়ে কল্যাণ ট্রাস্ট ও হাসপাতালগুলো এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মচারী ও পোষ্যরা প্রকৃত সুবিধা
পান না ।
• নিম্নপদস্থ কর্মচারীরা প্রতিনিয়ত বৈষম্যমূলক আচরণের মুখোমুখি হন, কিন্তু তাদের স্বর উচ্চপর্যায়ে পৌঁছায় না ।
ন্যায্যতার দাবি- কোনো দয়া নয়, এটি আইনি ও মানবিক অধিকার
• ডিপেন্ডেন্ট কোটা আইন করে সংরক্ষণ করতে হবে- পোষ্যদের নিয়োগ আর কোনো “অনুগ্রহ” নয়, এটি হতে হবে “আইনসিদ্ধ অধিকার”
প্রতি গ্রেডে স্বয়ংক্রিয় পদোন্নতি ব্যবস্থা চালু করতে হবে। 
• রেলওয়ে কল্যাণ তহবিলে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে পোষ্যদের চিকিৎসা, শিক্ষা ও আবাসনে সহায়তা দিতে হবে
• রেলপথ মন্ত্রণালয় এবং রেলওয়ে কর্মকর্তাদের মধ্যকার বৈষম্যমূলক আচরণ বন্ধ করতে হবে- সবাই এক রেলের মানুষ
• ট্রেড ইউনিয়নগুলোকে দলীয়করণ নয়, প্রকৃতভাবে কর্মচারী ও পোষ্যদের অধিকার রক্ষায় কাজ করতে হবে
রেলওয়ে বাঁচাতে হলে, আগে রেলকর্মীর অধিকার বাঁচাতে হবে।
রাষ্ট্র যদি রেলওয়েকে বাঁচাতে সত্যিই আন্তরিক হয়- তবে তাকে প্রথমে রেলকর্মী ও তাদের পরিবারের ন্যায্য দাবিগুলো স্বীকার করে আইনি কাঠামোতে প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - কৃষি ও আবহাওয়া