a
ফাইল ছবি
তাপমাত্রা নিয়ে সুখবর দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সংস্থাটি জানিয়েছে, আগামীকাল রোববার থেকে তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে। পাশাপাশি আগামী ৫ দিনে বাড়তে পারে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ।
শনিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় কুমিল্লায় সর্বোচ্চ ৩৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। পাশাপাশি এই সময় ভোলায় ৩২, চট্টগ্রাম ও কুতুবদিয়ায় ২৭, টেকনাফে ২০, শ্রীমঙ্গলে ১২, বান্দরবানে ৬ মিলিমিটারসহ সিলেট, রাঙামাটি, মোংলা ও সন্দ্বীপে সামান্য থেকে ৪ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
এ ছাড়া গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বর্তমানে পাবনা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও বাগেরহাট জেলাসমূহের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে চাঁদপুর ও মৌলভীবাজার জেলাসহ ঢাকা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, রংপুর ও বরিশাল বিভাগ এবং খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায়ও তাপপ্রবাহের এমন দাপট অব্যাহত থাকতে পারে।
এ অবস্থায় আগামীকাল রোববার সকাল ৯টা পর্যন্ত সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। তবে এই সময়ে সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সূত্র: যুগান্তর
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
দেশের ৬টি অঞ্চলে রাতের মধ্যে সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। শনিবার বিকাল ৩টা ৪৫ মিনিট থেকে রাত ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পাবনা, টাঙ্গাইল, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর এবং কুমিল্লা অঞ্চলগুলোর উপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিপার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারী সংকেত (পুনঃ) ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারী সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া দেশের অন্যত্র পশ্চিম অথবার উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণটায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর (পুনঃ) ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এদিকে, রবিবার সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাস তুলে ধরে আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান জানান, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
এ সময়ে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে বলেও জানান তিনি।
পরদিন সোমবার (২৫ মার্চ) একই সময় পর্যন্ত রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এই সময়েও সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি
বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটের যাত্রীরা। মাস্কাট থেকে ঢাকার উদ্দেশে উড্ডয়ন করা ফ্লাইটটি শুক্রবার ১১টা ৪০ মিনিটে ভারতের নাগপুরে জরুরীভাবে অবতরণ করে।
ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, মাস্কাট থেকে উড্ডয়ন করা বিমানটির পাইলট ১১টার দিকে রায়পুরের কাছাকাছি হালকা অসুস্থতা বোধ করেন। তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন।
এসময় দ্রুতই পরিস্থিতির গুরুত্ব আঁচ করে সহকারী পাইলট কলকাতা এটিসির সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
এরপর ১১টা ৪০ মিনিট নাগাদ কলকাতা এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় ওই বিমান থেকে।
পরে নাগপুর বিমানবন্দরে জরুরিভিত্তিতে ওই বিমানটিকে অবতরণ করানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নাগপুরেই পাইলটের প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আপাতত তার অবস্থা স্থিতিশীল।
ফ্লাইটে কতজন যাত্রী ছিলেন তা এখনো জানা যায়নি, তবে সবাই অক্ষত ও নিরাপদ আছেন।
বিমান সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার বিমানের ফ্লাইটটি ওমান যায়। সেখান থেকে স্থানীয় সময় মধ্যরাত ২টা ৩০ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসার কথা থাকলেও ফ্লাইটটি ভোর সাড়ে ৬টায় ঢাকার উদ্দেশে উড্ডয়ন করে।
তবে ভারতের স্থানীয় সময় শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় ফ্লাইটটি ঢাকার দিকে না এসে নাগপুর বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে।
মাস্কাট থেকে বিজি-২২ ফ্লাইটের একজন যাত্রী জানান, মাস্কাট থেকে আমাদের ফ্লাইটে তোলা হয়। আমাদের মাস্কাটে ৪ ঘণ্টা অপেক্ষা করিয়ে সাড়ে ৬টায় বিমানে তোলা হয়। তবে বিমানটি পুশ ব্যাক করার সময় ইঞ্জিনে ত্রুটি ধরা পড়ে। পরে নাগপুরে এটি জরুরি অবতরণ করে।
বর্তমানে বিমানের যাত্রীরা নাগপুর বিমানবন্দরে অপেক্ষা করছেন। যাত্রীদের আনতে নতুন ফ্লাইট পাঠানো হবে কিনা, এই ফ্লাইটেই আনা হবে তা নিশ্চিত করেনি বিমান কর্তৃপক্ষ।