a আরও কয়েকদিন থাকবে তীব্র তাপদাহ
ঢাকা রবিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩২, ২৭ এপ্রিল, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

আরও কয়েকদিন থাকবে তীব্র তাপদাহ


আবহাওয়া ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
শুক্রবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২৩, ১০:১১
আরও কয়েকদিন থাকবে তীব্র তাপদাহ

ফাইল ছবি

কয়েকদিন ধরে দুঃসহ গরমে মানুষ হাসপাস করছেন। কী দিন কীবা রাত, কিংবা ঘরের ভেতরে বা বাইরে; কোথাও স্বস্তি নেই।

বর্তমানে মৃদু থেকে মাঝারি পর্যায়ের তাপপ্রবাহ আছে। এটা সর্বোচ্চ মাঝারি পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে। পাশাপাশি গরমের এই ঊর্ধ্বমুখী পরিস্থিতি ২১ এপ্রিল পর্যন্ত একইরকম বিরাজ করতে পারে।

অন্যদিকে বৃহস্পতিবার মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙায়। সেখানে ব্যারোমিটারের পারদ উঠেছিল ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এ দিন ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটা গত ৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

এরআগে ২০২১ সালের এপ্রিলে ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। এই দুই স্থানের তাপমাত্রাই আগের দিনের চেয়ে বেশি ছিল। বুধবার দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায় ৩৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ঢাকায় বুধবার ছিল ৩৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা মনে করেন, এপ্রিল বাংলাদেশের উষ্ণতম মাসগুলোর একটি। খরতাপে প্রকৃতি পাগলা হাতির মতো নেচে উঠবে-এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এর মধ্যেও কখনো স্বস্তির বৃষ্টি হবে। এতে শান্তি আর স্বস্তি খুঁজে পাবে মানুষ। কিন্তু দেশের বিভিন্ন অঞ্চল টানা গরমে পুড়ছে। আবহাওয়া বিভাগের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশের ৫৬ জেলার উপর দিয়ে মৃদু থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ বইছে।

 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

সারাদেশজুড়ে বৃষ্টির আভাস, ভারী বৃষ্টিপাতেরও সম্ভাবনা


আবহাওয়া ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
শনিবার, ০৫ আগষ্ট, ২০২৩, ১২:২৭
সারাদেশজুড়ে বৃষ্টির আভাস, ভারী বৃষ্টিপাতেরও সম্ভাবনা

ফাইল ছবি

ঢাকাসহ দেশের অনেক স্থানে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরণের বৃষ্টির আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও মাঝারি ধরণের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।

আজ শনিবার (৫ আগস্ট) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এতে বলা হয়, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অনেক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, মৌসুমী বায়ুর অক্ষের একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থায় রয়েছে। এদিকে আজ সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার অবস্থা সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এ সময়ের মধ্যে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। সূত্র: ই্ত্তেফাক

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

পদ্মা সেতু আমাদের অহঙ্কার, সক্ষমতার প্রতীক: প্রধানমন্ত্রী


খোরশেদ:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
শনিবার, ২৫ জুন, ২০২২, ১২:০০
পদ্মা সেতু আমাদের অহঙ্কার, সক্ষমতার প্রতীক: প্রধানমন্ত্রী

ফাইল ছবি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রমত্তা পদ্মার বুকে পদ্মা সেতু বাঙালির অহঙ্কার, গর্ব ও সক্ষমতা ও মর্যাদার প্রতীক বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার সকাল ১০টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানস্থলে আসেন। তার সঙ্গে মঞ্চে আসীন হন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আরও আসীন হন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

এর আগে উদ্বোধনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘কোটি কোটি দেশবাসীর সঙ্গে আমিও আজ আনন্দিত, গর্বিত এবং উদ্বেলিত। অনেক বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে আর ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে প্রমত্তা পদ্মার বুকে আজ বহু কাঙ্ক্ষিত সেতু দাঁড়িয়ে গেছে।

‘এই সেতু শুধু ইট-সিমেন্ট-স্টিল-লোহার কংক্রিটের একটি অবকাঠামো নয়, এ সেতু আমাদের অহঙ্কার, আমাদের গর্ব, আমাদের সক্ষমতা, আর মর্যাদার প্রতীক। এ সেতু বাংলাদেশের জনগণের। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে আমাদের আবেগ, আমাদের সৃজনশীলতা, আমাদের সাহসিকতা, সহনশীলতা আর জেদ। সাবাস বাংলাদেশ, আমরা মাথা নোয়াবো না। আমরা মাথা নোয়াইনি।’ –বলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ষড়যন্ত্রের ফলে আমাদের সেতু নির্মাণ খানিকটা বিলম্বিত হয়েছে, কিন্তু আমরা হতোদ্দম হইনি। শেষ পর্যন্ত অন্ধকার ভেদ করে আমরা আলোর মুখ দেখেছি। পদ্মার বুকে জ্বলে উঠেছে লাল, নীল, সবুজ, সোনালি আলোর ঝলকানি। ৪১টি স্প্যান যেন স্পর্ধিত বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বলেছিলেন, বাঙালিকে কেউ 'দাবায়ে রাখতে পারবে না, পারেনি। আমরা বিজয়ী হয়েছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজের গুণগত মানে কোনো আপস করা হয়নি। এই সেতু নির্মিত হয়েছে বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও উপকরণ দিয়ে। সম্পূর্ণস্বচ্ছতা বজায় রেখে পুরো নির্মাণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে সর্বোচ্চ মান বজায় রেখে। পদ্মা সেতুর পাইল বা মাটির গভীরে বসানো ভিত্তি এখন পর্যন্ত বিশ্বে গভীরতম।

তিনি বলেন, সর্বোচ্চ ১২২ মিটার গভীর পর্যন্ত এই সেতুর পাইল বসানো হয়েছে। ভূমিকম্প প্রতিরোধ বিবেচনায় ব্যবহৃত হয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। এ রকম আরও বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্যের কারণে এই সেতুর নির্মাণ পদ্ধতি বিশ্বজুড়ে প্রকৌশলবিদ্যার পাঠ্য বইয়ে অন্তর্ভুক্ত হবে- এটা নিশ্চিত।

বিশ্বের সেরা প্রযুক্তিতে নির্মিত এ দৃষ্টিনন্দন দ্বিতল পদ্মা সেতু নির্মিত হয়েছে স্টিল ও কংক্রিট স্ট্রাকচারে। বহুমুখী এই সেতুর উপরের ডেক দিয়ে যানবাহন এবং নিচের ডেক দিয়ে চলাচল করবে ট্রেন। সেতু চালু হওয়ার পর সড়ক ও রেলপথে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলার সঙ্গে রাজধানী ঢাকার সরাসরি যোগাযোগ স্থাপিত হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু চালুর পর দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের ভোগান্তি লাঘব হবে, অন্যদিকে অর্থনীতি হবে বেগবান। তাদের ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে এবং জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ভাষণে পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পে জড়িত জাতীয় অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীকে স্মরণ করেন।

এই সেতু নির্মাণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী, দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ পরার্শক, ঠিকাদার, প্রকৌশলী, প্রযুক্তিবিদ, শ্রমিক, নিরাপত্তায় নিয়োজিত সেনাবাহিনীর সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান শেখ হাসিনা। সূত্র: সমকাল

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook