a
ফাইল ছবি
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার ঘোষণা দিয়েছে তালেবান। তারা ঘোষণা করেছে, বিশৃঙ্খলার সুযোগে যারা জনগণের সম্পদ লুট করার চেষ্টা করছিল তাদেরকে আটক করা হয়েছে।
তালেবান নেতৃত্বের পক্ষ থেকে আফগান কর্মকর্তা ও দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের বাসভবনে অনুপ্রবেশ করা থেকে বিরত থাকতে তালেবান সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। তালেবান মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেছেন, নিছক সাবেক আফগান সরকারের হয়ে কাজ করত বলে কাউকে হেনস্থা করা যাবে না।
এদিকে আফগানিস্তানের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে তাদের কর্মস্থলে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছে তালেবান। কাতারের দোহায় তালেবানের রাজনৈতিক দফতরের উপ প্রধান আব্দুস সালাম হানাফি সোমবার বলেছেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিদেশি কূটনীতিক ও সেনাবাহিনীর সদস্যসহ সরকারি কাজে নিয়োজিত সব চাকরিজীবী কোনও ধরনের শঙ্কা ছাড়াই নিজ নিজ কর্মস্থলে ফিরে যান।
তিনি নারী চাকরিজীবীদেরও কর্মস্থলে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানান। হানাফি বলেন, কারো প্রতি অবিচার করা হবে না এবং নারীরা তাদের হিজাব রক্ষা করে কর্মস্থলসহ সব কাজ পূর্বের ন্যায় স্বাভাবিকভাবে চালিয়ে যেতে পারবেন।
এদিকে আল-জাজিরা টেলিভিশন জানিয়েছে, আফগান গোয়েন্দা বাহিনীর প্রধানসহ নিরাপত্তা বাহিনীর বেশ কিছু কর্মকর্তা সোমবার আমেরিকার বিমানে চড়ে কাবুল ছেড়েছেন। তবে তারা কোথায় যাচ্ছেন তা জানা যায়নি।
ফাইল ছবি
কসোভো সীমান্তে সামরিক সমাবেশ করছে সার্বিয়া। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ করে। তবে এমন রিপোর্ট প্রত্যাখান করেছে ইউরোপের রাশিয়ার অন্যতম মিত্র দেশ সার্বিয়া।
আল জাজিরার খবরে প্রকাশ, সামরিক সমাবেশ করার ইউউ এবং মার্কিন প্রতিবেদনকে ‘মিথ্যা প্রচারণা’ বলে উল্লেখ করেছে সার্বিয়া। এর আগে গত সপ্তাহে একটি গুলির ঘটনায় চারজন নিহত হয়। এই ঘটনা অস্থির বলকান অঞ্চল আরো ‘উত্তেজনা’ সৃষ্টি হবে।
সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার ভিউসিস ইন্সটাগ্রামে এক ভিডিওতে বলেছেন, এটা একটি মিথ্যা ক্যাম্পেইন।
ওই ভিডিওতে তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সামরিক বাহিনীর উপস্থিতি নিয়ে ইতোমধ্যে তারা অনেক মিথ্যা বলেছে। সার্বিয়ার বাস্তবধর্মী (সফিসটিকেটেড) অস্ত্র রয়েছে এতে তারা বিরক্ত।’
এর আগে চলতি সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র কসোভো সীমান্ত থেকে বেলগ্রেডকে তাদের বাহিনী সরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
গত সপ্তাহে উত্তর কসোভোর একটি মঠে ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর সার্বিয়া সীমান্তে অত্যাধুনিক ট্যাংক ও আর্টিলারি মোতায়েন করে বলে সতর্ক করে হোয়াইট হাউস। ইউরোপীয় ইউনিয়নও একই ধরনের উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
শনিবার কসোভোর সরকার জানিয়েছে, তারা ‘তিনটি ভিন্ন দিক’ থেকে সার্বিয়ার সেনাবাহিনীর গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছে। সার্বিয়াকে অবিলম্বে তাদের সৈন্য প্রত্যাহার এবং সীমান্ত এলাকা অসামরিকীকরণের আহ্বান জানানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন আশঙ্কা করেছে, ইউক্রেন যুদ্ধ থেকে দৃষ্টি ফেরাতে রাশিয়া সার্বিয়াকে দিয়ে নতুন কোনো ঘটনা ঘটাতেও পারে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি: ড. হাছান মাহমুদ
কোনো বক্তি বা গোষ্ঠীর রাজনৈতিক অভিলাষ চরিতার্থের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত না হতে মাদ্রাসা শিক্ষক-ছাত্রদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা ও সরকারি সম্পত্তি রক্ষার দায়িত্ব পালনে সরকার যে কোনো নৈরাজ্য দমনে বদ্ধপরিকর।
আজ দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এ আহ্বান জানান মন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস পালন না করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমনকে অজুহাত বানিয়ে দেশ, রাষ্ট্র ও জনগণের সম্পত্তির ওপর আক্রমণ ও আগুন দিয়ে দেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার পেছনে রাজনৈতিক অসৎ উদ্দেশ্য রয়েছে।
ড. হাছান বলেন, কোমলমতি শিশু-কিশোরদেরকে রাজনৈতিক ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা, রাজনৈতিক হাঙ্গামার মধ্যে ঠেলে তাদের দিয়ে সরকারি সম্পত্তিতে আগুন দেয়া অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক, অগ্রহণযোগ্য এবং দুষ্কৃতিকারি মনোবৃত্তি।
মন্ত্রী বলেন, আমি কওমী মাদ্রাসার সাথে যুক্ত সকলকে অনুরোধ জানাবো, যেসব ব্যক্তি তাদের রাজনৈতিক অভিলাষ চরিতার্থ করতে আপনাদের ব্যবহারের অপচেষ্টা করছে, ব্যবহার করছে, তাদেরকে বর্জন করুন, তাদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হবেন না এবং শিশু-কিশোরদেরকে ব্যবহার করবেন না।
কওমী মাদ্রাসার কল্যাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বহু কাজ করেছে এবং ইসলামের খেদমতে তিনি যে সমস্ত কাজ করেছেন অতীতে তা কেউ করেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশে এই কওমী মাদ্রাসার স্বীকৃতি দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।
প্রায় ১ লাখ মসজিদে স্থাপিত মক্তবের আলেমদের প্রতিমাসে সাড়ে ৪ হাজার টাকা করে ভাতাও তিনি চালু করেছেন। সারাদেশে প্রতিটি উপজেলায় একটি করে মসজিদ নির্মাণ প্রকল্পও তিনি বাস্তবায়ন করে চলেছেন এবং শুধু কওমী মাদ্রাসার স্বীকৃতি দিয়েই বঙ্গবন্ধুকন্যা ক্ষান্ত হননি বরং সেখান থেকে পাস করা অনেককে সরকারি চাকুরিও দিয়েছেন। এর আগে পঁচাত্তরের পরের অন্য সরকারগুলো তাদের পাশে বসিয়ে মুরগির কল্লা-মাছের মাথাই খাইয়েছেন, স্বীকৃতি দেননি। সূত্র:বাসস